Psycho: Difference between revisions

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1
(@pipegas_WP)
 
(@pipegas_WP)
 
Line 1: Line 1:
সাইকো (Psycho)
সাইকো (Psycho)


আলফ্রেড হিচকক পরিচালিত ১৯৬০ সালের আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার চলচ্চিত্র সাইকো চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। চলচ্চিত্রটি রিচার্ড ম্যাথিসন রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। সাইকো শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্ব, ভয়, এবং সমাজের লুকানো অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে গভীর অনুসন্ধান করে। এই নিবন্ধে, সাইকো চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক, এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ, এবং চলচ্চিত্রটি কীভাবে দর্শকদের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আলফ্রেড হিচককের ১৯৬০ সালের সাইকো (Psycho) চলচ্চিত্রটি [[ভয়]] এবং [[রহস্য]]generative genre-এর একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। চলচ্চিত্রটি শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি মানুষের [[মনস্তত্ত্ব]] এবং [[অন্ধকার]] দিকগুলো নিয়ে গভীর অনুসন্ধান করে। এই নিবন্ধে, সাইকো চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক, এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো।


== সংক্ষিপ্তসার ==
== চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট ==
সাইকো চলচ্চিত্রের গল্পটি মারিওন ক্রেইন নামের এক তরুণীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। মারিওন তার বসের কাছ থেকে ৪০,০০০ ডলার চুরি করে এবং ফ্লোরিডার দিকে পালিয়ে যায়। পথে সে একটি নির্জন মোটেল "বেটস মোটেল"-এ আশ্রয় নেয়। এই মোটেলের মালিক নরম্যান বেটস একজন অদ্ভুত এবং অন্তর্মুখী যুবক। মারিওন সেখানে থাকাকালীন নরম্যানের মায়ের প্রতি তার অস্বাভাবিক আকর্ষণ এবং মোটেলটির আশেপাশে ঘটা রহস্যজনক ঘটনাগুলো তাকে আতঙ্কিত করে তোলে। অপ্রত্যাশিতভাবে, মারিওনের জীবন একটি ভয়ংকর মোড় নেয়, যা দর্শকদের শ্বাসরুদ্ধ করে দেয়।
 
সাইকোর গল্পটি মারিয়েন ক্রেইন নামের এক মহিলার জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। মারিয়েন তার অফিসের কিছু টাকা চুরি করে এবং ফ্লোরিডায় পালানোর চেষ্টা করে। পথে সে একটি নির্জন [[মোটেল]]-এ আশ্রয় নেয়, যার মালিক নরম্যান Bates। নরম্যান তার মায়ের প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী এবং মায়ের পুরনো বাড়িতেই সে বসবাস করে। ধীরে ধীরে মারিয়েনের কাছে নরম্যানের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় এবং সে বুঝতে পারে যে মোটেলটি ঘিরে রয়েছে কিছু [[রহস্য]]।


== নির্মাণশৈলী ==
== নির্মাণশৈলী ==
সাইকো চলচ্চিত্রটি হিচককের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পেছনে এর নির্মাণশৈলী একটি বড় কারণ। চলচ্চিত্রটিতে হিচকক বেশ কিছু নতুন কৌশল ব্যবহার করেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।


* ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: হিচকক বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেন। বিশেষ করে "শাওয়ার সিন"-এ দ্রুত সম্পাদনা এবং ক্লোজ-আপ শটগুলো দর্শকদের মনে ভয়ের জন্ম দেয়। [[ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল]] সম্পর্কে আরও জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন।
আলফ্রেড হিচকক সাইকো নির্মাণে বেশ কিছু নতুন কৌশল ব্যবহার করেন যা চলচ্চিত্রটিকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
* সাউন্ড ডিজাইন: চলচ্চিত্রের সাউন্ড ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বার্নার্ড হার্মানের আবহ সঙ্গীত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা দৃশ্যের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। [[সাউন্ড ডিজাইন]] এর ব্যবহার চলচ্চিত্রটিকে আরও বাস্তব করে তোলে।
 
* সম্পাদনা: সাইকো চলচ্চিত্রের সম্পাদনা খুবই দ্রুত এবং তীক্ষ্ণ। শাওয়ার সিনের প্রায় ৭০টি ভিন্ন শট ব্যবহার করা হয়েছে, যা মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের একটি দৃশ্যকে শ্বাসরুদ্ধকর করে তুলেছে। [[চলচ্চিত্র সম্পাদনা]] একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
*   [[ক্যামেরার ব্যবহার]]: হিচকক ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেন। বিশেষ করে শাওয়ারের দৃশ্যে ক্যামেরার দ্রুত মুভমেন্ট এবং ক্লোজ-আপ শটগুলো দর্শকদের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
* সাদাকালো চিত্রায়ণ: চলচ্চিত্রটি সাদাকালোয় নির্মিত, যা এটিকে একটি বিশেষ আবহ দিয়েছে। এটি একদিকে যেমন রহস্যময়তা তৈরি করেছে, তেমনি অন্যদিকে চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুর গভীরতা বাড়িয়েছে। [[সাদাকালো চলচ্চিত্র]] এর নান্দনিকতা আলোচনা করা হয়েছে এখানে।
[[সংগীত]]: বার্নার্ড হার্মানের সংগীত চলচ্চিত্রের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে।
[[সম্পাদনা]]: চলচ্চিত্রের সম্পাদনা দ্রুত এবং আকস্মিক, যা দর্শকদের চমকে দেয় এবং গল্পের গতি বজায় রাখে।
[[কালো-সাদা চলচ্চিত্র]]: চলচ্চিত্রটি কালো-সাদা রঙে নির্মিত, যা এটিকে একটি ক্লাসিক এবং টাইমলেস লুক দিয়েছে।


== চরিত্রায়ণ ==
== চরিত্রায়ণ ==
সাইকো চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো অত্যন্ত জটিল এবং বাস্তবসম্মত। প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজস্ব মানসিক দ্বন্দ্ব এবং গোপনীয়তা নিয়ে জর্জরিত।


* মারিওন ক্রেইন (জ্যানেট লি): মারিওন একজন সাধারণ মেয়ে, যে ভুল পথে চালিত হয়। তার চরিত্রটি দর্শকদের সহানুভূতি আকর্ষণ করে। [[জ্যানেট লি]] ছিলেন এই চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেত্রী।
সাইকোর চরিত্রগুলো অত্যন্ত জটিল এবং বহুস্তরীয়। প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজস্ব মানসিক দ্বন্দ্ব এবং গোপনীয়তা বহন করে।
* নরম্যান বেটস (অ্যান্টনি পারকিন্স): নরম্যান চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র। তার দ্বিধাগ্রস্ত ব্যক্তিত্ব, মায়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা, এবং মানসিক অস্থিরতা দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। [[অ্যান্টনি পারকিন্স]] এর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত।
 
* মাদার বেটস (পথলিয়া স্ট্যানলি): নরম্যানের মা, যিনি মৃত হওয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্রের গল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার চরিত্রটি কর্তৃত্বপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রণকারী। [[পথলিয়া স্ট্যানলি]] এই চরিত্রে অভিনয় করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
*   [[নরম্যান Bates]]: নরম্যান চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সে একজন লাজুক এবং অন্তর্মুখী যুবক, যে তার মায়ের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল। ধীরে ধীরে জানা যায় যে নরম্যানের ব্যক্তিত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত - নরম্যান এবং তার মৃত মা। নরম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্টনি পারকিন্স।
* স্যাম লফাস (জন গ্যাভিন): একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ, যে মারিওনকে খুঁজছে এবং বেটস মোটেলের রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করে। [[জন গ্যাভিন]] এর চরিত্রটি গল্পের গতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
[[মারিয়েন ক্রেইন]]: মারিয়েন একজন সাধারণ মেয়ে, যে ভুল করে একটি জটিল পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যানেট Leigh।
*   [[মিসেস Bates]]: নরম্যানের মা, যিনি মৃত কিন্তু নরম্যানের মনে জীবিত। তার চরিত্রটি নরম্যানের মানসিক অবস্থার প্রতীক।


{| class="wikitable"
{| class="wikitable"
|+ সাইকো চলচ্চিত্রের চরিত্র তালিকা
|+ সাইকোর প্রধান চরিত্রসমূহ
|-
|-
! চরিত্র !! অভিনেতা !! বর্ণনা
| চরিত্র || অভিনেতা || ভূমিকা |
|-
|-
| মারিওন ক্রেইন || জ্যানেট লি || প্রধান চরিত্র, যে অর্থ চুরি করে পালিয়ে যায়
| নরম্যান Bates || অ্যান্টনি পারকিন্স || মোটেলের মালিক |
|-
|-
| নরম্যান বেটস || অ্যান্টনি পারকিন্স || মোটেলের মালিক, মানসিক ভারসাম্যহীন
| মারিয়েন ক্রেইন || জ্যানেট Leigh || প্রধান নারী চরিত্র |
|-
|-
| মাদার বেটস || পথলিয়া স্ট্যানলি || নরম্যানের মৃত মা, প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব
| মিসেস Bates || ক্যাথলিন ট্রো || নরম্যানের মা |
|-
| স্যাম লফাস || জন গ্যাভিন || প্রাইভেট ডিটেকটিভ, মারিওনের অনুসন্ধানকারী
|}
|}


== চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু ==
== চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু ==
সাইকো চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।


* মানসিক স্বাস্থ্য: চলচ্চিত্রটি মানসিক অসুস্থতা এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করে। নরম্যান বেটসের চরিত্রটি মানসিক রোগের একটি উদাহরণ, যা সমাজে কীভাবে ভুল বোঝাবুঝি এবং বৈষম্যের শিকার হয়, তা দেখানো হয়েছে। [[মানসিক স্বাস্থ্য]] বিষয়ক আলোচনা এখানে রয়েছে।
সাইকো চলচ্চিত্রটি মানুষের মনের অন্ধকার দিক, [[পরিচয় সংকট]], [[মাতা-পুত্রের সম্পর্ক]] এবং [[যৌন repression]]-এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। নরম্যানের মায়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং নিজের ব্যক্তিত্বের বিভাজন তাকে ধীরে ধীরে [[পাগলামি]]র দিকে ঠেলে দেয়। চলচ্চিত্রটি দেখায় যে কীভাবে মানসিক trauma একজন মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
* পরিচয় সংকট: মারিওন এবং নরম্যান উভয়ই তাদের পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় ভোগে। মারিওন তার চুরি করা অর্থের কারণে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়, অন্যদিকে নরম্যান তার মায়ের ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলে। [[পরিচয় সংকট]] একটি জটিল মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
 
* যৌনতা এবং কামনা: চলচ্চিত্রটিতে যৌনতা এবং কামনার বিষয়গুলো সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মারিওনের চরিত্রটি পুরুষদের দ্বারা শোষণের শিকার হয়, এবং নরম্যানের মায়ের প্রতি আকর্ষণ তার যৌন frustation-এর প্রতীক। [[যৌনতা এবং চলচ্চিত্র]] নিয়ে আরও আলোচনা করা হয়েছে।
== চলচ্চিত্রটির প্রভাব ==
* মায়ের প্রভাব: সাইকো চলচ্চিত্রে মায়ের চরিত্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী। নরম্যানের মায়ের ব্যক্তিত্ব তার জীবনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করে, যা একটি জটিল মানসিক সম্পর্কের উদাহরণ। [[মায়ের প্রভাব]] শিশুদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলোচনা করা হয়েছে এখানে।
 
সাইকো চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর [[চলচ্চিত্র শিল্প]]-এ এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এর কিছু প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:
 
*   [[হॉरর জঁর]]: সাইকো আধুনিক [[হॉरর]] চলচ্চিত্রের পথ খুলে দিয়েছে। এর আগে हॉरর চলচ্চিত্রগুলো সাধারণত ভৌতিক বা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে তৈরি হতো, কিন্তু সাইকো মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভয়ের সৃষ্টি করে।
*  [[থ্রিলার জঁর]]: চলচ্চিত্রটি [[থ্রিলার]] জঁরকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। সাসপেন্স এবং অপ্রত্যাশিত মোড়গুলো দর্শকদের শেষ পর্যন্ত আটকে রাখে।
*   [[চলচ্চিত্রের সেন্সরশিপ]]: সাইকো-তে [[নগ্নতা]] এবং [[হিংসা]]র দৃশ্যগুলো তৎকালীন সেন্সরশিপ বোর্ডের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর ফলে চলচ্চিত্রে সেন্সরশিপের নিয়মগুলো আরও কঠোর করা হয়।
*   [[পপুলার সংস্কৃতি]]: সাইকো পপুলার সংস্কৃতিতে একটি আইকনিক স্থান দখল করে নিয়েছে। এর বিভিন্ন দৃশ্য, সংলাপ এবং চরিত্রগুলো অসংখ্যবার [[নকল]] করা হয়েছে এবং [[স্যাটায়ার]] করা হয়েছে।
 
== সাইকো-র বিশ্লেষণ ==
 
সাইকো চলচ্চিত্রটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:


== প্রভাব এবং উত্তরাধিকার ==
*  [[ফ্রয়েডীয় বিশ্লেষণ]]: ফ্রয়েডীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, নরম্যানের মায়ের প্রতি আকর্ষণ এবং তার ব্যক্তিত্বের বিভাজন অইডিপাস কমপ্লেক্সের প্রকাশ।
সাইকো চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটি শুধু একটি বাণিজ্যিক সাফল্য ছিল না, বরং চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারাকেও পরিবর্তন করে দিয়েছে।
*  [[নারীবাদী বিশ্লেষণ]]: নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, মারিয়েন ক্রেইন চরিত্রটি পুরুষের দ্বারা [[শোষিত]] এবং [[নির্যাতিত]] হওয়ার প্রতীক।
*  [[সামাজিক বিশ্লেষণ]]: সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, চলচ্চিত্রটি ১৯৫০-এর দশকের আমেরিকান সমাজের [[নৈতিক অবক্ষয়]] এবং [[মানসিক চাপ]] তুলে ধরে।


* সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরার জন্ম: সাইকো চলচ্চিত্রটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরার জন্ম দেয়। এর আগে থ্রিলার চলচ্চিত্রগুলোতে সাধারণত শারীরিক সহিংসতার উপর বেশি জোর দেওয়া হতো, কিন্তু সাইকো মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করে ভয় এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে। [[সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার]] নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
== গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ==
* চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ: চলচ্চিত্রটিতে নগ্নতা এবং সহিংসতার দৃশ্য থাকায় এটি সেন্সরশিপের সম্মুখীন হয়। এর ফলে চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। [[চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ]] এর ইতিহাস এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
* হিচককের খ্যাতি বৃদ্ধি: সাইকো চলচ্চিত্রটি আলফ্রেড হিচককের খ্যাতি আরও বাড়িয়ে তোলে। তিনি "মাস্টার অফ সাসপেন্স" হিসেবে পরিচিত হন। [[আলফ্রেড হিচকক]] এর অন্যান্য কাজগুলোও উল্লেখযোগ্য।
* আধুনিক চলচ্চিত্রের উপর প্রভাব: সাইকো চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী এবং গল্প বলার ধরণ আধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক পরিচালক এই চলচ্চিত্রের কৌশলগুলো তাদের কাজে ব্যবহার করেছেন। [[আধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাণ]] এর ধারাতেও সাইকোর প্রভাব দেখা যায়।


== টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ==
*   [[শাওয়ার দৃশ্য]]: সাইকোর সবচেয়ে বিখ্যাত দৃশ্য হলো শাওয়ার দৃশ্য। এই দৃশ্যে মারিয়েনকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং হিচকক এখানে দ্রুত সম্পাদনা এবং সঙ্গীতের ব্যবহার করে দর্শকদের মধ্যে চরম ভয়ের অনুভূতি তৈরি করেন।
* শট নির্বাচন: হিচকক প্রতিটি শট খুব সতর্কতার সাথে নির্বাচন করেছেন, যা দৃশ্যের উত্তেজনা বাড়াতে সহায়ক।
*   [[মোটেলের দৃশ্য]]: মোটেলের দৃশ্যগুলো নরম্যানের মানসিক অবস্থার প্রতীক। নির্জন এবং অন্ধকার মোটেলটি নরম্যানের মনের ভেতরের অন্ধকারকে প্রতিফলিত করে।
* আলো এবং ছায়া: চলচ্চিত্রের আলো এবং ছায়ার ব্যবহার দর্শকদের মধ্যে রহস্যময়তা তৈরি করে।
*   [[গোরার দৃশ্য]]: গোরার দৃশ্যটি নরম্যানের মায়ের কঙ্কাল আবিষ্কারের মাধ্যমে দর্শকদের চমকে দেয় এবং গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
* সঙ্গীত: বার্নার্ড হার্মানের সঙ্গীত চলচ্চিত্রের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। [[চলচ্চিত্রের সঙ্গীত]] একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
* সম্পাদনা কৌশল: দ্রুত সম্পাদনা এবং ক্লোজ-আপ শটগুলো দর্শকদের মনে ভয়ের জন্ম দেয়। [[চলচ্চিত্র সম্পাদনা কৌশল]] নিয়ে আরও জানতে পারেন।


== ভলিউম বিশ্লেষণ ==
== চলচ্চিত্রটির উত্তরাধিকার ==
সাইকো চলচ্চিত্রের বক্স অফিস সাফল্যের কারণ এর আকর্ষণীয় গল্প এবং নির্মাণশৈলী। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর প্রথম সপ্তাহে প্রায় $১.৩ মিলিয়ন আয় করে এবং পরবর্তীতে এটি $৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে। [[বক্স অফিস কালেকশন]] চলচ্চিত্রের সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি।


{| class="wikitable"
সাইকো চলচ্চিত্রটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। এটি অসংখ্য [[চলচ্চিত্র]] এবং [[টেলিভিশন]] অনুষ্ঠানে [[অনুপ্রেরণা]] জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রটি [[চলচ্চিত্র শিক্ষা]]র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন [[চলচ্চিত্র উৎসবে]] প্রদর্শিত হয়।
|+ সাইকো চলচ্চিত্রের বক্স অফিস তথ্য
|-
! সপ্তাহ !! আয় (USD)
|-
| প্রথম সপ্তাহ || ১,৩০০,০০০
|-
| দ্বিতীয় সপ্তাহ || ১,১০০,০০০
|-
| তৃতীয় সপ্তাহ || ৯০০,০০০
|-
| চতুর্থ সপ্তাহ || ৭০০,০০০
|}


== অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় ==
== অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় ==
* [[স্টিভেন স্পিলবার্গ]] : বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, যিনি হিচককের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
* [[স্ট্যানলি কুবরিক]] : প্রভাবশালী চলচ্চিত্র পরিচালক, যিনি সাইকো চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন।
* [[ডেভিড লিঞ্চ]] : সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরার একজন গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক।
* [[ডার্ক ফ্যান্টাসি]] : সাইকো চলচ্চিত্রের কিছু উপাদান ডার্ক ফ্যান্টাসির সাথে সম্পর্কিত।
* [[হরর ফিল্ম]] : সাইকো চলচ্চিত্রটি হরর ফিল্ম জনরার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
* [[সাসপেন্স থ্রিলার]] : সাইকো একটি ক্লাসিক সাসপেন্স থ্রিলার।
* [[ফিল্ম Noir]] : সাইকো চলচ্চিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য ফিল্ম Noir-এর সাথে মিলে যায়।
* [[গথিক হরর]] : মাদার বেটসের চরিত্র এবং মোটেলের পরিবেশ গথিক হররের উপাদান বহন করে।
* [[মানসিক বিভ্রম]] : নরম্যান বেটসের মানসিক অবস্থা মানসিক বিভ্রমের একটি উদাহরণ।
* [[অধিগ্রহণ (সাইকোলজি)]] : নরম্যানের মায়ের ব্যক্তিত্ব তার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা অধিগ্রহণের একটি উদাহরণ।
* [[দ্বৈত ব্যক্তিত্ব]] : নরম্যানের আচরণে দ্বৈত ব্যক্তিত্বের লক্ষণ দেখা যায়।
* [[ট্রমা]] : মারিওনের অতীত এবং নরম্যানের মায়ের মৃত্যু তাদের জীবনে ট্রমা সৃষ্টি করে।
* [[ভয়]] : চলচ্চিত্রটি মানুষের ভেতরের ভয়কে জাগিয়ে তোলে।
* [[অন্ধকার]] : সাইকো চলচ্চিত্রের পরিবেশ এবং গল্পে অন্ধকারের প্রতীকী ব্যবহার করা হয়েছে।


সাইকো চলচ্চিত্রটি শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্বের একটি গভীর চিত্র। এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ, এবং বিষয়বস্তু এটিকে চলচ্চিত্র ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি আজও দর্শকদের মনে ভয়ের সঞ্চার করে এবং নতুন করে ভাবায়।
*  [[আলফ্রেড হিচকক]] - পরিচালক
*  [[অ্যান্টনি পারকিন্স]] - অভিনেতা
*  [[জ্যানেট Leigh]] - অভিনেত্রী
*  [[বার্নার্ড হারমান]] - সংগীত পরিচালক
*  [[ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্ব]]
*  [[হॉरর ফিল্ম]]
*  [[সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার]]
*  [[চলচ্চিত্রের ইতিহাস]]
*  [[ফিল্ম নয়ার]]
*  [[সাসপেন্স]]
*  [[মিস্ট্রি]]
*  [[ডার্ক সাইকোলজি]]
*  [[মানসিক রোগ]]
*  [[ট্রমা]]
*  [[অন্ধকার ব্যক্তিত্ব]]
*  [[মানসিক চাপ]]
*  [[ভয়]]
*  [[দুঃস্বপ্ন]]
 
সাইকো চলচ্চিত্রটি শুধু একটি বিনোদনমূলক ছবি নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং সমাজের অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে একটি গভীর আলোচনা। এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ এবং বিষয়বস্তু চলচ্চিত্রটিকে একটি ক্লাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
 
[[ক্যামেরার কাজ]]
[[আলোর ব্যবহার]]
[[শব্দ পরিকল্পনা]]
[[অভিনয় কৌশল]]
[[গল্প বলার ধরণ]]
[[চরিত্রের বিকাশ]]
[[পরিবেশ তৈরি]]
[[সাসপেন্স তৈরি]]
[[ক্লাইম্যাক্স]]
[[ফ্ল্যাশব্যাক]]
[[সিম্বলিজম]]
[[রূপক]]
[[দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার]]
[[মোটিফ]]
[[থিম]]
[[মেসেজ]]
[[রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট]]
[[সামাজিক প্রেক্ষাপট]]
[[সাংস্কৃতিক প্রভাব]]
[[সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া]]
[[পুরস্কার ও স্বীকৃতি]]
[[পুনর্নির্মাণ]]
[[অনুসরণ]]
[[প্রভাবিত চলচ্চিত্র]]
[[চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ]]
[[ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফি]]
[[ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র]]
[[ভার্চুয়াল রিয়েলিটি]]
[[অগমেন্টেড রিয়েলিটি]]
[[স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম]]
[[সিনেমা হল]]
[[চলচ্চিত্র উৎসব]]
[[ফিল্ম রিভিউ]]
[[চলচ্চিত্র সংরক্ষণ]]


[[Category:সাইকোলজিক্যাল_থ্রিলার]]
[[Category:সাইকোলজিক্যাল_থ্রিলার]]

Latest revision as of 12:58, 23 April 2025

সাইকো (Psycho)

আলফ্রেড হিচককের ১৯৬০ সালের সাইকো (Psycho) চলচ্চিত্রটি ভয় এবং রহস্যgenerative genre-এর একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। চলচ্চিত্রটি শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে গভীর অনুসন্ধান করে। এই নিবন্ধে, সাইকো চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক, এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো।

চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট

সাইকোর গল্পটি মারিয়েন ক্রেইন নামের এক মহিলার জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। মারিয়েন তার অফিসের কিছু টাকা চুরি করে এবং ফ্লোরিডায় পালানোর চেষ্টা করে। পথে সে একটি নির্জন মোটেল-এ আশ্রয় নেয়, যার মালিক নরম্যান Bates। নরম্যান তার মায়ের প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী এবং মায়ের পুরনো বাড়িতেই সে বসবাস করে। ধীরে ধীরে মারিয়েনের কাছে নরম্যানের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় এবং সে বুঝতে পারে যে মোটেলটি ঘিরে রয়েছে কিছু রহস্য

নির্মাণশৈলী

আলফ্রেড হিচকক সাইকো নির্মাণে বেশ কিছু নতুন কৌশল ব্যবহার করেন যা চলচ্চিত্রটিকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • ক্যামেরার ব্যবহার: হিচকক ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেন। বিশেষ করে শাওয়ারের দৃশ্যে ক্যামেরার দ্রুত মুভমেন্ট এবং ক্লোজ-আপ শটগুলো দর্শকদের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
  • সংগীত: বার্নার্ড হার্মানের সংগীত চলচ্চিত্রের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে।
  • সম্পাদনা: চলচ্চিত্রের সম্পাদনা দ্রুত এবং আকস্মিক, যা দর্শকদের চমকে দেয় এবং গল্পের গতি বজায় রাখে।
  • কালো-সাদা চলচ্চিত্র: চলচ্চিত্রটি কালো-সাদা রঙে নির্মিত, যা এটিকে একটি ক্লাসিক এবং টাইমলেস লুক দিয়েছে।

চরিত্রায়ণ

সাইকোর চরিত্রগুলো অত্যন্ত জটিল এবং বহুস্তরীয়। প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজস্ব মানসিক দ্বন্দ্ব এবং গোপনীয়তা বহন করে।

  • নরম্যান Bates: নরম্যান চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সে একজন লাজুক এবং অন্তর্মুখী যুবক, যে তার মায়ের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল। ধীরে ধীরে জানা যায় যে নরম্যানের ব্যক্তিত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত - নরম্যান এবং তার মৃত মা। নরম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্টনি পারকিন্স।
  • মারিয়েন ক্রেইন: মারিয়েন একজন সাধারণ মেয়ে, যে ভুল করে একটি জটিল পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যানেট Leigh।
  • মিসেস Bates: নরম্যানের মা, যিনি মৃত কিন্তু নরম্যানের মনে জীবিত। তার চরিত্রটি নরম্যানের মানসিক অবস্থার প্রতীক।
সাইকোর প্রধান চরিত্রসমূহ
চরিত্র অভিনেতা
নরম্যান Bates অ্যান্টনি পারকিন্স
মারিয়েন ক্রেইন জ্যানেট Leigh
মিসেস Bates ক্যাথলিন ট্রো

চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু

সাইকো চলচ্চিত্রটি মানুষের মনের অন্ধকার দিক, পরিচয় সংকট, মাতা-পুত্রের সম্পর্ক এবং যৌন repression-এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। নরম্যানের মায়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং নিজের ব্যক্তিত্বের বিভাজন তাকে ধীরে ধীরে পাগলামির দিকে ঠেলে দেয়। চলচ্চিত্রটি দেখায় যে কীভাবে মানসিক trauma একজন মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

চলচ্চিত্রটির প্রভাব

সাইকো চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র শিল্প-এ এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এর কিছু প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • হॉरর জঁর: সাইকো আধুনিক হॉरর চলচ্চিত্রের পথ খুলে দিয়েছে। এর আগে हॉरর চলচ্চিত্রগুলো সাধারণত ভৌতিক বা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে তৈরি হতো, কিন্তু সাইকো মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভয়ের সৃষ্টি করে।
  • থ্রিলার জঁর: চলচ্চিত্রটি থ্রিলার জঁরকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। সাসপেন্স এবং অপ্রত্যাশিত মোড়গুলো দর্শকদের শেষ পর্যন্ত আটকে রাখে।
  • চলচ্চিত্রের সেন্সরশিপ: সাইকো-তে নগ্নতা এবং হিংসার দৃশ্যগুলো তৎকালীন সেন্সরশিপ বোর্ডের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর ফলে চলচ্চিত্রে সেন্সরশিপের নিয়মগুলো আরও কঠোর করা হয়।
  • পপুলার সংস্কৃতি: সাইকো পপুলার সংস্কৃতিতে একটি আইকনিক স্থান দখল করে নিয়েছে। এর বিভিন্ন দৃশ্য, সংলাপ এবং চরিত্রগুলো অসংখ্যবার নকল করা হয়েছে এবং স্যাটায়ার করা হয়েছে।

সাইকো-র বিশ্লেষণ

সাইকো চলচ্চিত্রটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:

গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য

  • শাওয়ার দৃশ্য: সাইকোর সবচেয়ে বিখ্যাত দৃশ্য হলো শাওয়ার দৃশ্য। এই দৃশ্যে মারিয়েনকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং হিচকক এখানে দ্রুত সম্পাদনা এবং সঙ্গীতের ব্যবহার করে দর্শকদের মধ্যে চরম ভয়ের অনুভূতি তৈরি করেন।
  • মোটেলের দৃশ্য: মোটেলের দৃশ্যগুলো নরম্যানের মানসিক অবস্থার প্রতীক। নির্জন এবং অন্ধকার মোটেলটি নরম্যানের মনের ভেতরের অন্ধকারকে প্রতিফলিত করে।
  • গোরার দৃশ্য: গোরার দৃশ্যটি নরম্যানের মায়ের কঙ্কাল আবিষ্কারের মাধ্যমে দর্শকদের চমকে দেয় এবং গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

চলচ্চিত্রটির উত্তরাধিকার

সাইকো চলচ্চিত্রটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। এটি অসংখ্য চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রটি চলচ্চিত্র শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।

অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়

সাইকো চলচ্চিত্রটি শুধু একটি বিনোদনমূলক ছবি নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং সমাজের অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে একটি গভীর আলোচনা। এর নির্মাণশৈলী, চরিত্রায়ণ এবং বিষয়বস্তু চলচ্চিত্রটিকে একটি ক্লাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ক্যামেরার কাজ আলোর ব্যবহার শব্দ পরিকল্পনা অভিনয় কৌশল গল্প বলার ধরণ চরিত্রের বিকাশ পরিবেশ তৈরি সাসপেন্স তৈরি ক্লাইম্যাক্স ফ্ল্যাশব্যাক সিম্বলিজম রূপক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার মোটিফ থিম মেসেজ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সামাজিক প্রেক্ষাপট সাংস্কৃতিক প্রভাব সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া পুরস্কার ও স্বীকৃতি পুনর্নির্মাণ অনুসরণ প্রভাবিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফি ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অগমেন্টেড রিয়েলিটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম সিনেমা হল চলচ্চিত্র উৎসব ফিল্ম রিভিউ চলচ্চিত্র সংরক্ষণ

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер