জাতিসংঘ শিশু তহবিল
জাতিসংঘ শিশু তহবিল
ভূমিকা: জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। এটি বিশ্বের শিশুদের জীবন রক্ষাকারী এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইউনিসেফ বিশ্বের সবচেয়ে প্রান্তিক ও দুর্বল শিশুদের সহায়তা করে আসছে। এই সংস্থাটি স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, জল ও স্যানিটেশন এবং শিশু সুরক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠা ও পটভূমি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে লক্ষ লক্ষ শিশুদের দুর্দশা দেখে ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিল (United Nations International Children's Emergency Fund) নামে ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠা করে। প্রাথমিকভাবে এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য গঠিত হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে এর কার্যক্রম স্থায়ী করা হয় এবং নাম পরিবর্তন করে ইউনিসেফ রাখা হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ইউনিসেফের মূল লক্ষ্য হলো প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবন ধারণের সুযোগ তৈরি করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউনিসেফ নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলো অনুসরণ করে:
- শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নতি: শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি, অপুষ্টি দূরীকরণ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।
- মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা: বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তি করানো এবং শিক্ষার মান উন্নত করা।
- নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা: বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রচলন করা।
- শিশু সুরক্ষা: শিশু নির্যাতন, trafficking এবং অন্যান্য শোষণ থেকে শিশুদের রক্ষা করা।
- জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের জরুরি সহায়তা প্রদান করা।
- সামাজিক অন্তর্ভুক্তি: জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য দূর করে শিশুদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।
কার্যক্রম এবং প্রভাব: ইউনিসেফ বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করে। এর কার্যক্রমগুলো স্থানীয় সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়। ইউনিসেফের কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো:
- টিকাদান কর্মসূচি: পোলিও, হাম, যক্ষ্মা এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা।
- অপুষ্টি মোকাবেলা: শিশুদের অপুষ্টি দূর করার জন্য ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ এবং পুষ্টিকর খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা।
- শিক্ষা কার্যক্রম: বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তি করানো, শিক্ষকের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা।
- জল ও স্যানিটেশন প্রকল্প: বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎস তৈরি এবং স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে জলের অভাব ও দূষণ দূর করা।
- শিশু সুরক্ষা কর্মসূচি: শিশু নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা।
- দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা।
অর্থায়ন: ইউনিসেফের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছামূলক অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর প্রধান তহবিল সরবরাহকারী দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান এবং কানাডা। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি থেকেও ইউনিসেফ অনুদান গ্রহণ করে।
ইউনিসেফের কাঠামো: ইউনিসেফের কাঠামো বেশ বিস্তৃত। এর প্রধান অংশগুলো হলো:
- নির্বাহী বোর্ড: ইউনিসেফের নীতি নির্ধারণ ও কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য ৩২টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাহী বোর্ড রয়েছে।
- সচিবালয়: ইউনিসেফের প্রশাসনিক ও কার্যাবলী পরিচালনার জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থিত একটি সচিবালয় রয়েছে।
- আঞ্চলিক অফিস: বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইউনিসেফের কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য আঞ্চলিক অফিস রয়েছে।
- দেশ অফিস: প্রতিটি দেশে ইউনিসেফের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দেশ অফিস রয়েছে।
সফলতা ও চ্যালেঞ্জ: ইউনিসেফ বিগত কয়েক দশকে শিশুদের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, এবং অপুষ্টির হার কমানো। তবে, ইউনিসেফকে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
- সংঘাত ও সহিংসতা: যুদ্ধ ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
- দারিদ্র্য: দারিদ্র্যের কারণে শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।
- জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
- বৈষম্য: জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য শিশুদের অধিকার পূরণে বাধা সৃষ্টি করে।
- তহবিলের অভাব: ইউনিসেফের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব একটি বড় সমস্যা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ইউনিসেফ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউনিসেফ নিম্নলিখিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে:
- প্রতিটি শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
- স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যCoverage এর প্রচলন করা।
- শিশুদের সুরক্ষা জোরদার করা এবং শিশু নির্যাতন বন্ধ করা।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য শিশুদের প্রস্তুত করা।
- ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা এবং শিশুদের জন্য ডিজিটাল সুযোগ তৈরি করা।
ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থা: ইউনিসেফ অন্যান্য জাতিসংঘের সংস্থা যেমন - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) এর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে। এছাড়াও, ইউনিসেফ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (INGO), যেমন - সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিশুদের কল্যাণে কাজ করে।
ইউনিসেফের কাজের ক্ষেত্রসমূহ: ইউনিসেফের কাজের ক্ষেত্রগুলি ব্যাপক ও বহুমুখী। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র আলোচনা করা হলো:
- স্বাস্থ্য: ইউনিসেফ শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়। টিকাদান কর্মসূচি, স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ, এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করে শিশুদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে।
- শিক্ষা: ইউনিসেফ বিশ্বাস করে যে শিক্ষা শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। তাই, বিদ্যালয় নির্মাণ, শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে।
- পুষ্টি: শিশুদের সঠিক পুষ্টির অভাব দূর করতে ইউনিসেফ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। অপুষ্টির শিকার শিশুদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ এবং মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
- জল ও স্যানিটেশন: বিশুদ্ধ জল ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাবে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ইউনিসেফ নিরাপদ জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে।
- শিশু সুরক্ষা: ইউনিসেফ শিশুদের সকল প্রকার নির্যাতন ও শোষণ থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুশ্রম বন্ধ করা, বাল্যবিবাহ রোধ করা এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা হয়।
- জরুরি সহায়তা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ দ্রুত শিশুদের সহায়তা প্রদান করে। খাদ্য, জল, চিকিৎসা এবং আশ্রয় সরবরাহ করে শিশুদের জীবন বাঁচানো হয়।
[টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা] (SDGs) অর্জনে ইউনিসেফের ভূমিকা: জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে ইউনিসেফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, শিশুদের সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনে ইউনিসেফের অবদান উল্লেখযোগ্য। এই লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- প্রথম লক্ষ্য: দারিদ্র্য দূরীকরণ - ইউনিসেফ দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করে।
- তৃতীয় লক্ষ্য: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ - ইউনিসেফ টিকাদান কর্মসূচি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
- চতুর্থ লক্ষ্য: মানসম্মত শিক্ষা - ইউনিসেফ বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তি করানো ও শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে।
- পঞ্চম লক্ষ্য: লিঙ্গ সমতা - ইউনিসেফ নারী ও মেয়ে শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
ইউনিসেফ ও প্রযুক্তি: ইউনিসেফ শিশুদের কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। ইউনিসেফ বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কাজ করছে।
| কার্যক্রম | বিবরণ | প্রভাব |
| টিকাদান কর্মসূচি | শিশুদের পোলিও, হাম, যক্ষ্মা ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা করে। | শিশু মৃত্যুহার হ্রাস |
| অপুষ্টি মোকাবেলা | অপুষ্টির শিকার শিশুদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে। | শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ |
| শিক্ষা কার্যক্রম | বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তি করানো ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে। | শিক্ষার হার বৃদ্ধি |
| জল ও স্যানিটেশন প্রকল্প | বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎস তৈরি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করে। | পানিবাহিত রোগ হ্রাস |
| শিশু সুরক্ষা কর্মসূচি | শিশু নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। | শিশুদের নিরাপদ জীবন |
উপসংহার: ইউনিসেফ বিশ্বের শিশুদের জন্য একটি আশা ও সহায়তার প্রতীক। বিগত decades-এ সংস্থাটি শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইউনিসেফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউনিসেফ তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে এবং প্রতিটি শিশু একটি সুস্থ, নিরাপদ ও উন্নত জীবন পাবে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড ভিশন শিশু অধিকার দারিদ্র্য শিক্ষা স্বাস্থ্য পুষ্টি জল ও স্যানিটেশন জরুরি অবস্থা নিউ ইয়র্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য জার্মানি জাপান কানাডা
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
