ওয়ার্ল্ড ভিশন

ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান মানবিক সংস্থা। এটি দারিদ্র্য দূরীকরণ, অবিচার মোকাবেলা এবং মানুষের জীবন পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে। সংস্থাটি শিশুদের সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তা করে।

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস

ওয়ার্ল্ড ভিশন ১৯৫০ সালে বব পিয়ার্স এবং টেড অস্টেন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এটি চীনের দরিদ্র শিশুদের সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কোরিয়ান যুদ্ধের সময় শিশুদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সংস্থাটি দ্রুত প্রসারিত হয়। বর্তমানে এটি প্রায় ১০০টি দেশে কাজ করছে এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানবিক সংস্থা হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ওয়ার্ল্ড ভিশনের মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা এবং তাদের স্বনির্ভর করে তোলা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্থাটি নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলো অনুসরণ করে:

শিশুদের সুস্থ ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা।
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা।
জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
দুর্যোগকালীন ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
মানবাধিকার রক্ষা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

কার্যক্রম

ওয়ার্ল্ড ভিশন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কার্যক্রম নিচে উল্লেখ করা হলো:

শিশু সুরক্ষা: শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ, শিশু বিবাহ বন্ধ করা এবং শিশুদের সহিংসতা থেকে রক্ষা করা। শিশু অধিকার সুরক্ষায় সংস্থাটি বিশেষভাবে কাজ করে।
শিক্ষা: শিক্ষাখাতে সংস্থাটি স্কুল নির্মাণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে। শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও তারা কাজ করে।
স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যখাতে ওয়ার্ল্ড ভিশন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ, টিকা প্রদান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, এই বিষয়ে সংস্থাটি বদ্ধপরিকর।
জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন: সংস্থাটি নিরাপদ জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে। এর মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় বিশুদ্ধ জল সরবরাহ অত্যাবশ্যক।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: ওয়ার্ল্ড ভিশন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন আয় উৎপাদনমূলক প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা প্রদান করে। দারিদ্র্য বিমোচন এর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: সংস্থাটি বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রমের ক্ষেত্রসমূহ
ক্ষেত্র	কার্যক্রম
শিশু সুরক্ষা	শিশুশ্রম প্রতিরোধ, শিশু বিবাহ বন্ধ, সহিংসতা প্রতিরোধ
শিক্ষা	স্কুল নির্মাণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, উপবৃত্তি
স্বাস্থ্য	স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ, টিকা প্রদান, সচেতনতা কার্যক্রম
জল ও স্যানিটেশন	নিরাপদ জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন
অর্থনৈতিক উন্নয়ন	আয় উৎপাদনমূলক প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা	ত্রাণ বিতরণ, পুনর্বাসন কার্যক্রম

কর্মপদ্ধতি

ওয়ার্ল্ড ভিশন স্থানীয় समुदायের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে। সংস্থাটি স্থানীয় নেতৃত্ব এবং জনগণের চাহিদার প্রতি সম্মান জানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার এবং স্থানীয় क्षमता বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়। স্থানীয় সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হয়।

অর্থায়ন

ওয়ার্ল্ড ভিশন ব্যক্তিগত অনুদান, কর্পোরেট স্পন্সরশিপ, সরকারি অনুদান এবং অন্যান্য তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে অর্থায়ন করে। সংস্থাটি তার আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য সুপরিচিত। অনুদান সংস্থাটির কার্যক্রমের অন্যতম চালিকাশক্তি।

সফলতা ও প্রভাব

ওয়ার্ল্ড ভিশন বিগত কয়েক দশকে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সংস্থাটির কার্যক্রমের ফলে অনেক শিশু শিক্ষা লাভ করেছে, দরিদ্র পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে এবং অনেক समुदाय স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও সংস্থাটি সহায়তা করছে।

সমালোচনা

অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিরুদ্ধেও কিছু সমালোচনা রয়েছে। কিছু সমালোচক সংস্থাটির খ্রিস্টান ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। আবার কেউ কেউ সংস্থাটির কার্যক্রমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে, ওয়ার্ল্ড ভিশন তার কাজের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখার চেষ্টা করে এবং সমালোচনার ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা করে কার্যক্রমের মান উন্নয়নে কাজ করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে সংস্থাটি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক (সরাসরি নয়, তবে প্রাসঙ্গিক আলোচনা)

যদিও ওয়ার্ল্ড ভিশন সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে জড়িত নয়, তবে সংস্থাটির অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কাজগুলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি। এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান না থাকলে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। তাই, ওয়ার্ল্ড ভিশন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এমন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করে যা তাদের জন্য নিরাপদ এবং টেকসই।

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কিছু মৌলিক ধারণা:

কল অপশন (Call Option): যদি মনে করা হয় কোনো সম্পদের মূল্য ভবিষ্যতে বাড়বে, তাহলে কল অপশন কেনা হয়।
পুট অপশন (Put Option): যদি মনে করা হয় কোনো সম্পদের মূল্য ভবিষ্যতে কমবে, তাহলে পুট অপশন কেনা হয়।
মেয়াদ (Expiry): বাইনারি অপশন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ থাকে। এই সময়সীমার মধ্যে অপশনটি প্রয়োগ করতে হয়।
পayout (Payout): যদি অপশনটি সঠিকভাবে অনুমান করা যায়, তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়া যায়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ঝুঁকি কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে:

সঠিক বিশ্লেষণ (Proper Analysis): ট্রেডিং করার আগে বাজারের সঠিক বিশ্লেষণ করা জরুরি। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ফা fundamental বিশ্লেষণ এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management): ট্রেডিংয়ের সময় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নিয়মকানুন অনুসরণ করা উচিত।
অল্প বিনিয়োগ (Small Investment): প্রথমে অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত।
মানসিক নিয়ন্ত্রণ (Emotional Control): ট্রেডিংয়ের সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis):

ভলিউম (Volume): কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি সম্পদের কতগুলো ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, তা হলো ভলিউম।
ভলিউম ইন্ডিকেটর (Volume Indicator): ভলিউম বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়, যেমন: On Balance Volume (OBV), Moving Average Convergence Divergence (MACD)।

টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর (Technical Indicators):

মুভিং এভারেজ (Moving Average): এটি একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর, যা দামের গড় গতিবিধি দেখায়।
রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index - RSI): এটি দামের গতিবিধি এবং পরিবর্তনের হার পরিমাপ করে।
বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): এটি দামের অস্থিরতা পরিমাপ করে।
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): এটি সম্ভাব্য সমর্থন এবং প্রতিরোধের স্তর চিহ্নিত করে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

মার্জিন (Margin): ব্রোকারের কাছ থেকে ধার করা অর্থ।
লিভারেজ (Leverage): বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করার ক্ষমতা।
স্প্রেড (Spread): কেনা এবং বেচার দামের মধ্যে পার্থক্য।
ব্রোকার (Broker): যিনি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ওয়ার্ল্ড ভিশন ভবিষ্যতে তার কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সংস্থাটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দরিদ্র মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আরও বেশি কাজ করতে চায়। এছাড়াও, সংস্থাটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করার পরিকল্পনা করছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

[ওয়ার্ল্ড ভিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট](https://www.worldvision.org/)

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ