বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

thumb|250px|বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো

ভূমিকা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization - WHO) জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। এটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক питаньের নেতৃত্ব প্রদান করে। ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বিশ্বের সকল মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করে। WHO-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত। এটি ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ, গবেষণা পরিচালনা, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, এবং স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করাই এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য।

প্রতিষ্ঠা ও পটভূমি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়। এর ফলস্বরূপ, ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে, ১৯১৯ সালে লিগ অফ নেশনসের অধীনে স্বাস্থ্য সংস্থা গঠিত হয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এর কার্যক্রম ব্যাহত হয়। WHO প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং মহামারী মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া। সংস্থটির প্রথম পরিচালক ছিলেন ব্রুক চিশলম।

সাংগঠনিক কাঠামো

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো বেশ বিস্তৃত। এর প্রধান অংশগুলো হলো:

• বিশ্ব স্বাস্থ্য सभा (World Health Assembly): এটি WHO-এর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী органы। সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা এখানে মিলিত হন এবং সংস্থার নীতি ও বাজেট অনুমোদন করেন।
• নির্বাহী পরিষদ (Executive Board): এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য சபাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয় এবং স্বাস্থ্য কর্মসূচির বাস্তবায়ন তদারকি করে।
• মহাপরিচালক (Director-General): তিনি WHO-এর প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বর্তমানে টেড্রোস অ্যাডানোম গেব্রেইয়াস এই পদে আছেন।
• আঞ্চলিক কার্যালয় (Regional Offices): WHO ছয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে:

   *   আফ্রিকা অঞ্চল (আফ্রিকা)
   *   আমেরিকা অঞ্চল (প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন - PAHO)
   *   পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল
   *   ইউরোপীয় অঞ্চল
   *   দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল (SEARO)
   *   পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল

কার্যক্রম ও কার্যাবলী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

• মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: WHO বিভিন্ন সংক্রামক রোগ, যেমন - এইচআইভি, এইডস, ক্ষয়রোগ, ম্যালেরিয়া, পোলিও এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য বৈশ্বিক কর্মসূচি পরিচালনা করে।
• স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা: সংস্থাটি স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করে এবং নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবনে সহায়তা করে।
• স্বাস্থ্য নীতি ও পরিকল্পনা: WHO সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে স্বাস্থ্যখাতে নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করে।
• স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সরবরাহ: সংস্থাটি স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং তা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে বিনিময় করে।
• জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে WHO ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করে।
• মানসিক স্বাস্থ্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
• পুষ্টি: সংস্থাটি পুষ্টির অভাব দূরীকরণে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে।
• পরিবেশ ও স্বাস্থ্য: পরিবেশ দূষণ ও এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব মোকাবিলায় WHO বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।

গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

• পোলিও নির্মূল: WHO-এর দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচির ফলে বিশ্বে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে।
• ক্ষয়রোগ নিয়ন্ত্রণ: সংস্থাটির প্রচেষ্টায় ক্ষয়রোগের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
• ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ: ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য WHO বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে রোগের বিস্তার কমেছে।
• এইচআইভি/এইডস মোকাবিলা: এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে WHO গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
• কোভিড-১৯ মোকাবিলা: কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় WHO জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন - ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান।

সমালোচনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু ক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

• রাজনৈতিক প্রভাব: কোনো কোনো ক্ষেত্রে WHO-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে।
• বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া: কিছু জরুরি পরিস্থিতিতে WHO-এর প্রতিক্রিয়া দেরিতে হয়েছে বলে সমালোচনা করা হয়েছে। যেমন, ইবোলা এবং কোভিড-১৯ এর শুরুতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে না পারার অভিযোগ রয়েছে।
• অর্থনৈতিক নির্ভরতা: WHO-এর অর্থায়ন মূলত সদস্য রাষ্ট্র এবং বেসরকারি দাতা সংস্থার উপর নির্ভরশীল। এর ফলে সংস্থাটি দাতাগুলোর স্বার্থের প্রতি প্রভাবিত হতে পারে।

সদস্যপদ ও অর্থায়ন

বর্তমানে WHO-এর ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। সংস্থাটির প্রধান অর্থায়নকারী হলো সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, যেমন - বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন তহবিল থেকে WHO অর্থ পেয়ে থাকে।

ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

• জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, যা মোকাবিলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
• অণুজীবের প্রতিরোধ ক্ষমতা: অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অণুজীবের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে, যা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কঠিন করে তুলছে।
• অসংক্রামক রোগ: হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্টের মতো অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।
• বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বৈষম্য: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগে বৈষম্য রয়েছে, যা দূর করা জরুরি।
• নতুন মহামারী: ভবিষ্যতে নতুন নতুন মহামারী দেখা যেতে পারে, যার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: একটি সম্পর্কযুক্ত আলোচনা

যদিও আপাতদৃষ্টিতে বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়, তবুও এদের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যকলাপ এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘটনার পূর্বাভাস বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করতে পারে।

• ফার্মাসিউটিক্যাল স্টকস: WHO-এর কোনো ঘোষণার ফলে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শেয়ারের দামে পরিবর্তন আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নতুন ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে সেই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডাররা এই পরিবর্তনের সুযোগ নিতে পারেন।
• স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ: WHO-এর স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি এবং গবেষণা স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে। এই খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাইনারি অপশন ট্রেডিং করা যেতে পারে।
• মহামারী সংক্রান্ত ট্রেডিং: কোনো মহামারী দেখা দিলে মাস্ক, স্যানিটাইজার, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়তে পারে, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে।
• ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট: নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবর বা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সংক্রান্ত তথ্য বাইনারি অপশন মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হতে হলে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical Analysis) এবং ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: এই পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক ডেটা এবং চার্ট ব্যবহার করে ভবিষ্যতের দামের গতিবিধি прогнозировать করা হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:

   *   মুভিং এভারেজ (Moving Average)
   *   রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (Relative Strength Index - RSI)
   *   মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স (Moving Average Convergence Divergence - MACD)
   *   বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands)
   *   ফিबोनाची রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)

• ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত সংখ্যক শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। উচ্চ ভলিউম সাধারণত শক্তিশালী ট্রেন্ড নির্দেশ করে।

   *   অন ব্যালেন্স ভলিউম (On Balance Volume - OBV)
   *   ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (Volume Weighted Average Price - VWAP)

এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে, ট্রেডাররা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যকলাপের ফলে সৃষ্ট বাজারের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। তাই, ট্রেডিং করার সময় কিছু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করা উচিত:

• স্টপ-লস অর্ডার: স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্ষতি সীমিত করা যায়।
• ছোট বিনিয়োগ: প্রথমে ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করা উচিত এবং ধীরে ধীরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো উচিত।
• বৈচিত্র্যকরণ: বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেটে বিনিয়োগ করে পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করা উচিত।
• মানসিক নিয়ন্ত্রণ: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

উপসংহার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংস্থাটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এবং স্বাস্থ্যখাতে নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যকলাপ বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে, তবে এক্ষেত্রে সঠিক বিশ্লেষণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ