প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা শিশুদের জীবন পরিবর্তনে কাজ করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রান্তিক ও দুর্বল শিশুদের অধিকার এবং সুযোগের জন্য সংগ্রাম করে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাস করে, শিশুরা তাদের সম্ভাবনা অর্জন করতে সক্ষম, যদি তাদের সঠিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রায় ৮০ বছর ধরে, এই সংস্থাটি শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস

১৯৩৮ সালে এরিক লাংটন এবং তার স্ত্রী ন্যান্সি লাংটন স্পেনের গৃহযুদ্ধের শিকার শিশুদের সহায়তা করার জন্য ‘ foster homes for Spanish children’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৪১ সালে এর নাম পরিবর্তন করে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল’ রাখা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকাতে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করে। শুরুতে সংস্থাটি মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের খাদ্য, বস্ত্র এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করত। সময়ের সাথে সাথে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল তাদের কাজের পরিধি বাড়িয়েছে এবং শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে। বর্তমানে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের প্রায় ৭0টি দেশে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা হিসেবে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

কার্যক্রমের ক্ষেত্রসমূহ

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল শিশুদের অধিকার রক্ষায় পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে কাজ করে:

  • শিক্ষা: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় নির্মাণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ এবং উপবৃত্তি প্রদান। সংস্থাটি মেয়েদের শিক্ষায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়, কারণ বাল্যবিবাহ এবং অন্যান্য কারণে অনেক মেয়ে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষা অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • স্বাস্থ্য: শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন কর্মসূচি চালায়। এর মধ্যে রয়েছে টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি সরবরাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন। সংস্থাটি মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ নজর রাখে। শিশু স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য সংস্থাটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়।
  • সুরক্ষা: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুশ্রম বন্ধ করা, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করা, এবং সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষা প্রদান করা। সংস্থাটি শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করে এবং তাদের মানসিক সহায়তা প্রদান করে। শিশু অধিকার রক্ষার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
  • খাদ্য নিরাপত্তা: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষকদের সহায়তা করে, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয় এবং দরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য সরবরাহ করে। সংস্থাটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য সংকটের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। খাদ্য নিরাপত্তা বর্তমানে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
  • জল ও স্যানিটেশন: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নিরাপদ জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে জলের উৎস তৈরি করা, শৌচাগার নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা প্রদান। জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলাতেও সংস্থাটি কাজ করে।

কার্যকরী কৌশল

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে। সংস্থাটি স্থানীয় সংস্থা, সরকার এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাথে সহযোগিতা করে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল তাদের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের সময় স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করে এবং স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও মতামতকে গুরুত্ব দেয়। সংস্থাটি অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন পদ্ধতিতে বিশ্বাস করে, যেখানে স্থানীয় জনগণ তাদের নিজেদের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। উন্নয়ন অর্থনীতি এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি এবং নীতি পরিবর্তন এর মাধ্যমে শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। সংস্থাটি সরকার এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের শিশুদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করে এবং তাদের অনুকূল নীতি প্রণয়নে উৎসাহিত করে। রাজনৈতিক অর্থনীতি এবং নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের প্রভাব

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিশুদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসে। সংস্থাটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জল ও স্যানিটেশন খাতে তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের জীবনমান উন্নত করে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে এবং বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সহায়ক। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংস্থাটির অবদান অনস্বীকার্য।

বছর কার্যক্রম প্রভাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শিশুদের সহায়তা | প্রায় ৬,০০০ শিশুকে খাদ্য ও আশ্রয় প্রদান এশিয়ায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ | শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা বৃদ্ধি লাতিন আমেরিকায় কার্যক্রম শুরু | দরিদ্র শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন শিশু অধিকারের ওপর জোর | শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা | জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস স্থানীয় সম্প্রদায়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি | অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলা | স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাখাতে জরুরি সহায়তা

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে সম্পর্ক

যদিও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল একটি উন্নয়ন সংস্থা এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি আর্থিক বিনিয়োগ, তবুও উভয়ের মধ্যে একটি পরোক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাইনারি অপশন ট্রেডিং থেকে অর্জিত মুনাফা সামাজিক দায়বদ্ধতা (Corporate Social Responsibility) কর্মসূচির মাধ্যমে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাকে দান করা যেতে পারে। অনেক বিনিয়োগকারী তাদের লাভের একটি অংশ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে আগ্রহী হন।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ, তাই এখানে বিনিয়োগের পূর্বে ভালোভাবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে হবে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর মৌলিক ধারণা

বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের (যেমন: স্টক, কমোডিটি, মুদ্রা) দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করেন। যদি অনুমান সঠিক হয়, তবে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ পান, অন্যথায় বিনিয়োগের সম্পূর্ণ অর্থ হারাতে হয়।

  • কল অপশন (Call Option): দাম বাড়বে এমন অনুমান।
  • পুট অপশন (Put Option): দাম কমবে এমন অনুমান।
  • পেমআউট (Payout): সঠিক অনুমানের ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ।
  • এক্সপায়ারি টাইম (Expiry Time): বিনিয়োগের সময়সীমা।

ফিনান্সিয়াল ডেরিভেটিভস সম্পর্কে জ্ঞান এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং বাইনারি অপশন

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:

ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং চার্ট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের দামের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ভলিউম বিশ্লেষণ এবং বাইনারি অপশন

ভলিউম বিশ্লেষণ বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভলিউম হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো সম্পদের কতগুলো ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে তার সংখ্যা।

  • ভলিউম স্পাইক (Volume Spike): অস্বাভাবিক ভলিউম বৃদ্ধি, যা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। অন-ব্যালেন্স ভলিউম (OBV)
  • ভলিউম কনফার্মেশন (Volume Confirmation): দামের সাথে ভলিউমের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP)
  • ডাইভারজেন্স (Divergence): দাম এবং ভলিউমের মধ্যে বিপরীতমুখী প্রবণতা দেখা গেলে, এটি সম্ভাব্য ট্রেন্ড পরিবর্তনের সংকেত দেয়। ভলিউম প্রোফাইল

অর্ডার ফ্লো এবং টাইম অ্যান্ড সেলস ভলিউম (TSV) বিশ্লেষণ করে বাজারের গতিবিধি বোঝা যায়।

ঝুঁকি সতর্কতা

বাইনারি অপশন ট্রেডিং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত যা হারালে আপনার আর্থিক ক্ষতি হবে না। ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন এর মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল-এর মতো সংস্থায় দান করার আগে, অনুগ্রহ করে তাদের কার্যক্রম এবং বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। দাতব্য সংস্থা নির্বাচন করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

আরও জানতে

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер