জাতিসংঘের ভূমিকা
জাতিসংঘের ভূমিকা
ভূমিকা
জাতিসংঘ বা জাতিসংঘ (United Nations) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, বিভিন্ন জাতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করাই এর প্রধান লক্ষ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলার পর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সংস্থাটি গঠিত হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের প্রায় সকল স্বাধীন রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত। জাতিসংঘের সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠা ও প্রেক্ষাপট
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিগত বিদ্বেষ ও সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের কারণে বিশ্বজুড়ে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। এই পরিস্থিতিতে, যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি অ্যাটলান্টিক সনদ-এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়, যেখানে যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে, ১৯৪৩ সালের ৩০ আগস্ট মস্কো ঘোষণা এবং ১৯৪৪ সালের ডাম্বার্টন ওকস সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রাথমিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয়। অবশেষে, ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল সান ফ্রান্সিসকোতে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের সনদ-এ স্বাক্ষর করেন এবং ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও নীতি
জাতিসংঘের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
- আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
- জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।
- অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
- জাতিসমূহের স্বাধীনতা ও সমতা নিশ্চিত করা।
- মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানো এবং fördern করা।
জাতিসংঘের কার্যক্রম
জাতিসংঘ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে তার উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
- শান্তি রক্ষা মিশন: জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য সৈন্য ও পর্যবেক্ষক প্রেরণ করে।
- মানবিক সহায়তা: জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সরবরাহ করে।
- উন্নয়নমূলক কার্যক্রম: জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
- মানবাধিকার সুরক্ষা: জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করে এবং সুরক্ষার জন্য সুপারিশ করে।
- আন্তর্জাতিক আইন: জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন প্রণয়ন করে এবং আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করে।
জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গসমূহ
জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গ রয়েছে:
১. সাধারণ পরিষদ (General Assembly): এটি জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট থাকে। সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে এবং সুপারিশ গ্রহণ করে।
২. নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council): নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। এর ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন স্থায়ী সদস্য (চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এবং ১০ জন অস্থায়ী সদস্য রয়েছে। স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।
৩. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council): এই পরিষদ অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে।
৪. অছি পরিষদ (Trusteeship Council): এটি অছিভুক্ত অঞ্চলগুলোর তত্ত্বাবধান করে। বর্তমানে এর কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
৫. আন্তর্জাতিক আদালত (International Court of Justice): এটি জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করাই এর কাজ।
৬. জাতিসংঘ সচিবালয় (UN Secretariat): এটি জাতিসংঘের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। জাতিসংঘের মহাসচিব এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতিসংঘের সাফল্য ও সমালোচনা
জাতিসংঘ মানবজাতির কল্যাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- কোরীয় যুদ্ধ (Korean War) ও উপসাগরীয় যুদ্ধে (Gulf War) শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
- বিভিন্ন দেশে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রদান।
- জাতিসংঘের শিশু তহবিল (UNICEF) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতিতে অবদান।
- জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা।
- মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়া এবং বিভিন্ন মানবাধিকার চুক্তি প্রণয়ন।
তবে, জাতিসংঘ কিছু সমালোচনার সম্মুখীনও হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
- নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা: স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা আসে।
- সিদ্ধান্তহীনতা: অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারার অভিযোগ রয়েছে।
- কার্যকারিতা: কিছু ক্ষেত্রে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলো তাদের উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
- আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: জাতিসংঘের প্রশাসনিক কাঠামোতে অনেক জটিলতা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ
বর্তমান বিশ্বে জাতিসংঘ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, মহামারী, অর্থনৈতিক বৈষম্য, এবং আঞ্চলিক সংঘাত মোকাবিলায় জাতিসংঘের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য জাতিসংঘের সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত করা, এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা জরুরি।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে জাতিসংঘের সংযোগ (রূপক অর্থে)
যদিও সরাসরি কোনো সংযোগ নেই, তবে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে জাতিসংঘের কিছু নীতিগত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের (যেমন: স্টক, মুদ্রা, কমোডিটি) দাম বাড়বে নাকি কমবে, তা অনুমান করে। এখানে, দুটি সম্ভাব্য ফলাফল থাকে - হ্যাঁ অথবা না।
জাতিসংঘের ক্ষেত্রেও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায়শই দুটি বিকল্প থাকে - হয় সহযোগিতা ও শান্তি, অথবা সংঘাত ও যুদ্ধ। জাতিসংঘের নীতিগুলো শান্তির পক্ষে সমর্থন জানায়, ঠিক যেমন একজন বাইনারি অপশন ট্রেডার একটি নির্দিষ্ট দিকে বিনিয়োগ করে।
এই সাদৃশ্যটি শুধুমাত্র একটি রূপক উদাহরণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এবং এর সাথে জাতিসংঘের কার্যক্রমের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মৌলিক ধারণা
বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল প্রক্রিয়া। এখানে কিছু মৌলিক ধারণা আলোচনা করা হলো:
- কল অপশন (Call Option): যদি বিনিয়োগকারী মনে করে যে সম্পদের দাম বাড়বে, তবে সে কল অপশন কিনবে।
- পুট অপশন (Put Option): যদি বিনিয়োগকারী মনে করে যে সম্পদের দাম কমবে, তবে সে পুট অপশন কিনবে।
- স্ট্রাইক মূল্য (Strike Price): এটি সেই মূল্য যা সম্পদের দাম ঐ নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে হবে।
- মেয়াদকাল (Expiry Time): এটি সেই সময়সীমা যার মধ্যে বিনিয়োগকারীর অনুমান সঠিক হতে হবে।
- পেআউট (Payout): যদি বিনিয়োগকারীর অনুমান সঠিক হয়, তবে সে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লাভ করবে।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical Analysis)
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এটি ঐতিহাসিক মূল্য ডেটা এবং চার্ট ব্যবহার করে ভবিষ্যতের দামের গতিবিধি অনুমান করার চেষ্টা করে। কিছু জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:
- মুভিং এভারেজ (Moving Average)
- রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index - RSI)
- মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স (Moving Average Convergence Divergence - MACD)
- বলিঙ্গার ব্যান্ড (Bollinger Bands)
ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis)
ভলিউম বিশ্লেষণ হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি সম্পদের কতগুলো ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা। এটি দামের গতিবিধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- ভলিউম স্পাইক (Volume Spike): যখন ভলিউম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়, তখন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হতে পারে।
- ভলিউম কনফার্মেশন (Volume Confirmation): দামের সাথে ভলিউমের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management)
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত:
- স্টপ-লস অর্ডার (Stop-Loss Order): এটি একটি নির্দিষ্ট মূল্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেড বন্ধ করে দেয়, যাতে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত থাকে।
- পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন (Portfolio Diversification): বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো যায়।
- লিভারেজ (Leverage): লিভারেজ ব্যবহার করে লাভের সম্ভাবনা বাড়ানো যায়, তবে এটি ঝুঁকির পরিমাণও বৃদ্ধি করে।
উপসংহার
জাতিসংঘ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। তবে, সংস্থাটিকে আরও কার্যকর করতে এর কাঠামোতে কিছু সংস্কার আনা প্রয়োজন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিহার্য।
| স্থায়ী সদস্য | ৫ |
| অস্থায়ী সদস্য | ১০ |
| মোট সদস্য রাষ্ট্র | ১৯৩ |
| পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র | ২ (ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন) |
আরও দেখুন
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
- বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
- ওয়ার্ল্ড ব্যাংক
- মানবাধিকার
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ভলিউম বিশ্লেষণ
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল
- ফরেক্স ট্রেডিং
- স্টক মার্কেট
- কমোডিটি মার্কেট
- অর্থনীতি
- ভূ-রাজনীতি
- জাতিগত সংঘাত
- জলবায়ু পরিবর্তন
- সন্ত্রাসবাদ
- মহামারী
- দারিদ্র্য
- জাতিসংঘের সনদ
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
