অডিও

অডিও

অডিও হলো শব্দ যা আমরা শুনতে পাই। এটি একটি তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং আমাদের কান দ্বারা গৃহীত হয়। অডিওর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীরভাবে জড়িত, যোগাযোগ, বিনোদন, এবং তথ্য আদান প্রদানে এটি অপরিহার্য। এই নিবন্ধে, অডিওর বিভিন্ন দিক, এর বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ, রেকর্ডিং, সম্পাদনা, এবং আধুনিক প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

অডিওর মৌলিক ধারণা

অডিও তরঙ্গের মাধ্যমে ভ্রমণ করে। এই তরঙ্গগুলি বায়ু, জল, বা কঠিন পদার্থের মাধ্যমে সঞ্চালিত হতে পারে। তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যগুলি শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, এবং বিস্তার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

• ফ্রিকোয়েন্সি (Frequency): প্রতি সেকেন্ডে একটি তরঙ্গের কতগুলি চক্র সম্পন্ন হয়, তা হলো ফ্রিকোয়েন্সি। এর একক হলো হার্জ (Hz)। মানুষের শ্রবণসীমা সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz পর্যন্ত।
• তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wavelength): একটি তরঙ্গের দুটি সমান অংশের মধ্যে দূরত্ব হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
• বিস্তার (Amplitude): তরঙ্গের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বিন্দুর মধ্যে উল্লম্ব দূরত্ব হলো বিস্তার। এটি শব্দের শব্দমাত্রা নির্ধারণ করে।

অডিওর প্রকারভেদ

অডিওকে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যেমন:

• টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট একটি উইকি টেমপ্লেট যা একটি সাধারণ, বুলেটবিহীন তালিকা তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে উপযোগী যেখানে তালিকার আইটেমগুলির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ক্রম নেই এবং সেগুলোকে একটি পরিষ্কার, সংক্ষিপ্ত উপায়ে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। এই টেমপ্লেটটি জটিল ফরম্যাটিং ছাড়াই দ্রুত তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। আপনি যে আইটেমগুলি তালিকাভুক্ত করতে চান, সেগুলি টেমপ্লেটের মধ্যে আর্গুমেন্ট হিসেবে যোগ করতে হবে। প্রতিটি আইটেম একটি নতুন লাইনে লিখতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ:

{{প্লেইনলিস্ট * প্রথম আইটেম * দ্বিতীয় আইটেম * তৃতীয় আইটেম}}

এই কোডটি নিম্নলিখিত তালিকাটি তৈরি করবে:

• প্রথম আইটেম
• দ্বিতীয় আইটেম
• তৃতীয় আইটেম

আপনি চাইলে তালিকার আইটেমগুলির সংখ্যা যত খুশি বাড়াতে পারেন।

সুবিধা

• সহজ ব্যবহার: টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং এর জন্য কোনো জটিল কোডিং জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।
• সংক্ষিপ্ততা: এটি খুব সহজেই একটি সাধারণ তালিকা তৈরি করে, যা তথ্যকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে।
• বহুমুখীতা: টেমপ্লেটটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন - পণ্যের তালিকা, বৈশিষ্ট্যের তালিকা, বা যেকোনো সাধারণ তথ্যের তালিকা।
• ফরম্যাটিং নিয়ন্ত্রণ: যেহেতু এটি একটি সাধারণ তালিকা, তাই এটি ফরম্যাটিংয়ের বিষয়ে খুব বেশি সীমাবদ্ধতা দেয় না।

অসুবিধা

• সীমিত ফরম্যাটিং: টেমপ্লেটটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ তালিকা তৈরি করতে পারে এবং এতে জটিল ফরম্যাটিং অপশন নেই।
• ক্রমহীনতা: তালিকার আইটেমগুলির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ক্রম বোঝানো হয় না। যদি ক্রম গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে টেমপ্লেট:নম্বর তালিকা ব্যবহার করা উচিত।

অন্যান্য সম্পর্কিত টেমপ্লেট

• টেমপ্লেট:নম্বর তালিকা: এই টেমপ্লেটটি একটি নম্বরযুক্ত তালিকা তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• টেমপ্লেট:সংজ্ঞা তালিকা: এই টেমপ্লেটটি সংজ্ঞা এবং তাদের সম্পর্কিত পদগুলি তালিকাভুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• টেমপ্লেট:সারণী: জটিল ডেটা উপস্থাপনের জন্য এই টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়।
• টেমপ্লেট:বুলেট তালিকা: এটিও একটি তালিকা তৈরির টেমপ্লেট, তবে এটি বুলেট ব্যবহার করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর প্রেক্ষাপটে ব্যবহার

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে, এই টেমপ্লেটটি বিভিন্ন রিসোর্স বা তথ্যের তালিকা তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল:

{{প্লেইনলিস্ট

• স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করা
• পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন
• লিভারেজ নিয়ন্ত্রণ
• সঠিক রিস্ক-রিওয়ার্ড রেশিও নির্ধারণ}}

• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের সরঞ্জাম:

{{প্লেইনলিস্ট

• মুভিং এভারেজ (মুভিং এভারেজ)
• আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স)
• এমএসিডি (মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স)
• বলিঙ্গার ব্যান্ডস (বোলিঙ্গার ব্যান্ডস)
• ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট)}}

• ভলিউম বিশ্লেষণের সূচক:

{{প্লেইনলিস্ট

• অন ব্যালেন্স ভলিউম (অন ব্যালেন্স ভলিউম)
• ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস)
• অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন)}}

• বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

{{প্লেইনলিস্ট

• অ্যাসেট নির্বাচন (অ্যাসেট)
• সময়সীমা নির্ধারণ (সময়সীমা)
• স্ট্রাইক মূল্য (স্ট্রাইক মূল্য)
• ব্রোকার নির্বাচন (ব্রোকার)
• ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম (ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম)}}

এই উদাহরণগুলিতে, টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট ব্যবহার করে তথ্যগুলিকে সহজে বোধগম্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আরও কিছু ব্যবহারিক উদাহরণ

• একটি ট্রেডিং প্ল্যানের উপাদান:

{{প্লেইনলিস্ট

• মার্কেট বিশ্লেষণ
• ঝুঁকি মূল্যায়ন
• ট্রেডিং কৌশল
• প্রবেশ এবং প্রস্থান নিয়ম
• মূলধন ব্যবস্থাপনা}}

• সাধারণ ট্রেডিং কৌশল:

{{প্লেইনলিস্ট

• ট্রেন্ড ফলোয়িং (ট্রেন্ড ফলোয়িং)
• রেঞ্জ ট্রেডিং (রেঞ্জ ট্রেডিং)
• ব্রেকআউট ট্রেডিং (ব্রেকআউট ট্রেডিং)
• রিভার্সাল ট্রেডিং (রিভার্সাল ট্রেডিং)
• নিউজ ট্রেডিং (নিউজ ট্রেডিং)}}

• মানসিক প্রস্তুতি:

{{প্লেইনলিস্ট

• আবেগ নিয়ন্ত্রণ
• ধৈর্য
• শৃঙ্খলা
• বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা
• ভুল থেকে শিক্ষা}}

• বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর রিস্ক ফ্যাক্টর:

{{প্লেইনলিস্ট

• বাজারের অস্থিরতা
• লিভারেজের ঝুঁকি
• ব্রোকারের নির্ভরযোগ্যতা
• ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের ত্রুটি
• অপর্যাপ্ত জ্ঞান}}

কাস্টমাইজেশন

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট-কে কাস্টমাইজ করার জন্য, আপনি বিভিন্ন প্যারামিটার ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এই টেমপ্লেটটি মূলত সরলতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবুও কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে।

• তালিকার আইটেমগুলির স্টাইল পরিবর্তন: আপনি সিএসএস ব্যবহার করে তালিকার আইটেমগুলির রঙ, ফন্ট, বা আকার পরিবর্তন করতে পারেন। তবে, এটি টেমপ্লেটের মূল কাঠামোর বাইরে করা উচিত।
• আইকন যোগ করা: প্রতিটি আইটেমের আগে একটি আইকন যোগ করা যেতে পারে, তবে এর জন্য অতিরিক্ত কোডিং প্রয়োজন হবে।

উপসংহার

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট একটি সহজ এবং কার্যকরী টেমপ্লেট যা উইকিতে দ্রুত এবং সহজে তালিকা তৈরি করার জন্য উপযুক্ত। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর তথ্য উপস্থাপন এবং শিক্ষামূলক নিবন্ধে এটি বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। এর সরলতা এবং বহুমুখীতা এটিকে উইকি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি মূল্যবান হাতিয়ার করে তুলেছে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ট্রেডিং কৌশল সম্পর্কে আরও জানতে অন্যান্য নিবন্ধগুলি দেখুন। এছাড়াও ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং চার্ট প্যাটার্নগুলিও আপনার ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

অডিও রেকর্ডিং

অডিও রেকর্ডিং হলো শব্দকে ইলেকট্রনিক সংকেতে রূপান্তর করে সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া। এটি বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে:

• মাইক্রোফোন (Microphone): এটি শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে। বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোফোন রয়েছে, যেমন ডায়নামিক মাইক্রোফোন, কন্ডেন্সার মাইক্রোফোন, এবং রিबन মাইক্রোফোন।
• রেকর্ডার (Recorder): এটি বৈদ্যুতিক সংকেতকে সংরক্ষণ করে। পুরনো দিনের টেপ রেকর্ডার থেকে শুরু করে আধুনিক ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন (DAW) পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডার রয়েছে।
• ডিজিটাল অডিও (Digital Audio): শব্দকে সংখ্যায় রূপান্তরিত করে সংরক্ষণ করা হয়। এর ফলে শব্দের গুণগত মান বজায় থাকে এবং সহজে সম্পাদনা করা যায়। অডিও কোডেক (যেমন MP3, WAV, FLAC) ব্যবহার করে অডিও ফাইল তৈরি করা হয়।

অডিও রেকর্ডিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যম

মাধ্যম

সুবিধা

অসুবিধা

টেপ রেকর্ডার

সহজ ব্যবহার, কম খরচ

শব্দের মান খারাপ, টেপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা

ভিনাইল রেকর্ড

উষ্ণ শব্দ, সংগ্রহযোগ্য

স্ক্র্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা, বহন করা কঠিন

সিডি (CD)

ভালো শব্দ মান, বহন করা সহজ

স্ক্র্যাচ হলে ডেটা হারানোর ঝুঁকি

ডিজিটাল অডিও (MP3, WAV)

উচ্চ শব্দ মান, সহজে সম্পাদনাযোগ্য, বহন করা খুব সহজ

ফাইল সাইজ বড় হতে পারে (WAV), কম্প্রেশন লস (MP3)

অডিও সম্পাদনা

অডিও সম্পাদনা হলো রেকর্ডিং করা শব্দকে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার প্রক্রিয়া। এটি বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে করা হয়:

• ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন (DAW): যেমন অ্যাডোবি অডিশন, এফএল স্টুডিও, লজিক প্রো ইত্যাদি। এগুলি অডিও রেকর্ডিং, সম্পাদনা, এবং মিশ্রণের জন্য শক্তিশালী সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
• অডিও ফিল্টার (Audio Filter): শব্দের অবাঞ্ছিত অংশ দূর করতে বা শব্দের মান উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন ইকুয়ালাইজার, কম্প্রেসার, নয়েজ রিডাকশন ইত্যাদি।
• অডিও ইফেক্টস (Audio Effects): শব্দে বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন যোগ করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন রিভার্ব, ডিলি, কোরাস ইত্যাদি।

অডিওর আধুনিক প্রয়োগ

অডিওর আধুনিক প্রয়োগগুলি ব্যাপক ও বিভিন্নমুখী:

• গান শোনা: স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক, ইউটিউব মিউজিক এর মতো স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলি অডিও শোনার অভিজ্ঞতাকে সহজ করে তুলেছে।
• পডকাস্ট (Podcast): অডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
• অডিওবুক (Audiobook): বইয়ের অডিও সংস্করণ, যা শ্রবণ করে উপভোগ করা যায়।
• ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট (Voice Assistant): সিরি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যামাজন অ্যালেক্সা এর মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টগুলি অডিওর মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ করে।
• সাউন্ড ডিজাইন (Sound Design): চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম, এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টের জন্য শব্দ তৈরি করা।
• স্পীচ রিকগনিশন (Speech Recognition): অডিও থেকে টেক্সট তৈরি করার প্রযুক্তি, যা ভয়েস টাইপিং এবং ভয়েস কন্ট্রোল এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
• মিউজিক প্রোডাকশন (Music Production): গান তৈরি, সম্পাদনা এবং মিশ্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মিউজিক থিওরি এবং সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• যোগাযোগ: ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (VoIP) প্রযুক্তির মাধ্যমে অডিও কল করা যায়।
• চিকিৎসা বিজ্ঞান: আলট্রাসাউন্ড ইমেজিং এবং অডিওথেরাপি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল বিষয়

অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র, যেখানে শব্দ রেকর্ডিং, সম্পাদনা, মিক্সিং এবং মাস্টারিংয়ের প্রযুক্তিগত দিকগুলি নিয়ে কাজ করা হয়। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:

• ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স (Frequency Response): একটি অডিও সিস্টেমের বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির প্রতি সংবেদনশীলতা।
• ডাইনামিক রেঞ্জ (Dynamic Range): একটি অডিও সিগন্যালের সবচেয়ে শান্ত এবং সবচেয়ে জোরে অংশের মধ্যে পার্থক্য।
• সিগন্যাল-টু-নয়েজ রেশিও (Signal-to-Noise Ratio): অডিও সিগন্যালের শক্তি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজের মধ্যে অনুপাত।
• ডিসটর্শন (Distortion): অডিও সিগন্যালের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন।
• ইম্পিডেন্স ম্যাচিং (Impedance Matching): অডিও সরঞ্জামের মধ্যে সঠিক সিগন্যাল ট্রান্সফার নিশ্চিত করা।
• অ্যাকোস্টিক ট্রিটমেন্ট : শব্দ নিয়ন্ত্রণ এবং রুমের সাউন্ড কোয়ালিটি উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত কৌশল।

অডিও ফাইল ফরম্যাট

বিভিন্ন ধরনের অডিও ফাইল ফরম্যাট রয়েছে, প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

• WAV (Waveform Audio File Format): এটি একটি আনকম্প্রেসড অডিও ফরম্যাট, যা উচ্চ মানের শব্দ সরবরাহ করে।
• MP3 (MPEG Audio Layer III): এটি একটি কম্প্রেসড অডিও ফরম্যাট, যা ফাইল সাইজ ছোট করে এবং বহুল ব্যবহৃত।
• FLAC (Free Lossless Audio Codec): এটি একটি লসলেস কম্প্রেসড অডিও ফরম্যাট, যা শব্দের মান বজায় রেখে ফাইল সাইজ কমায়।
• AAC (Advanced Audio Coding): এটি MP3-এর চেয়ে উন্নত মানের শব্দ সরবরাহ করে।
• OGG Vorbis: এটি একটি ওপেন সোর্স অডিও ফরম্যাট, যা ভালো শব্দ মান এবং কম ফাইল সাইজের জন্য পরিচিত।

জনপ্রিয় অডিও ফাইল ফরম্যাট

ফরম্যাট

বৈশিষ্ট্য

ব্যবহার

WAV

আনকম্প্রেসড, উচ্চ গুণমান

পেশাদার অডিও প্রোডাকশন, আর্কাইভ করা

MP3

কম্প্রেসড, ছোট ফাইল সাইজ

পোর্টেবল ডিভাইস, স্ট্রিমিং

FLAC

লসলেস কম্প্রেসড, উচ্চ গুণমান

অডিও আর্কাইভ, হাই-ফাই লিসেনিং

AAC

উন্নত কম্প্রেশন, ভালো গুণমান

অ্যাপল ডিভাইস, স্ট্রিমিং

OGG Vorbis

ওপেন সোর্স, ভালো গুণমান

গেমিং, অনলাইন অডিও

ভবিষ্যৎ প্রবণতা

অডিও প্রযুক্তিতে ক্রমাগত উন্নয়ন ঘটছে। কিছু ভবিষ্যৎ প্রবণতা হলো:

• ত্রিমাত্রিক অডিও (3D Audio): এমন একটি প্রযুক্তি, যা শব্দকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করে এবং আরও বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। বাইনারাল বিটস এবং অ্যাম্বিসনিক্স এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
• spatial audio : এটি একটি ত্রিমাত্রিক অডিও প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারীকে নিমজ্জনশীল এবং বাস্তবসম্মত সাউন্ডস্কেপ সরবরাহ করে।
• আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ভিত্তিক অডিও সম্পাদনা: AI ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শব্দের মান উন্নত করা এবং অবাঞ্ছিত শব্দ দূর করা।
• ওয়্যারলেস অডিও (Wireless Audio): ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই এবং আলট্রা-ওয়াইডব্যান্ড (UWB) প্রযুক্তির মাধ্যমে তারবিহীন অডিও সংযোগের উন্নতি।
• ভয়েস টেকনোলজি (Voice Technology): ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং স্পীচ রিকগনিশন প্রযুক্তির আরও উন্নত ব্যবহার।

অডিও প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ক্রমাগত উন্নয়ন আমাদের শ্রবণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে এবং নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।

শব্দ কম্পন ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গদৈর্ঘ্য শব্দমাত্রা মাইক্রোফোন স্পিকার ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যাকোস্টিকস মিউজিক থিওরি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অডিও কোডেক ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল ইকুয়ালাইজার কম্প্রেসার রিভার্ব ডিলি পডকাস্ট অডিওবুক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ