Mantle

mantle

পৃথিবীর mantle বা গুরুমণ্ডল হল ভূত্বক (Crust) এবং নিউক্লিয়াস (Core) এর মধ্যে অবস্থিত শিলাস্তরের একটি স্তর। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অংশ, যা পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৮৪% এবং মোট ভরের প্রায় ৬৭% গঠন করে। mantle সম্পূর্ণরূপে তরল নয়, বরং এটি কঠিন শিলা দিয়ে গঠিত যা অত্যন্ত ধীরে ধীরে প্রবাহিত হতে পারে। এই প্রবাহের কারণে পৃথিবীর উপরিভাগে বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক (Geomorphology) পরিবর্তন দেখা যায়।

গঠন ও উপাদান

mantle প্রধানত সিলिकेट (Silicate) শিলা দিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) এবং আয়রন (Iron) এর পরিমাণ বেশি। mantle এর প্রধান উপাদানগুলো হলো:

পেরাইডোটাইট (Peridotite): এটি mantle-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিলা, যা প্রধানত অলিভিন (Olivine) এবং পাইরক্সিন (Pyroxene) দিয়ে গঠিত।
ডুনাইট (Dunite): এটি পেরাইডোটাইটের একটি প্রকার, যাতে প্রায় পুরোটাই অলিভিন থাকে।
হারজবার্গাইট (Harzburgite): এটিও পেরাইডোটাইটের একটি প্রকার, যাতে পাইরক্সিনের পরিমাণ কম থাকে।
এছাড়াও, mantle-এ অল্প পরিমাণে বাসalt (Basalt) এবং অন্যান্য আগ্নেয় শিলা (Igneous rock) পাওয়া যায়।

mantle-এর উপাদানগুলো বিভিন্ন গভীরতায় বিভিন্ন অবস্থায় থাকে। উপরের mantle অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা এবং কঠিন, যেখানে নিচের mantle অনেক বেশি গরম এবং আংশিকভাবে গলিত অবস্থায় থাকে।

mantle-এর স্তরসমূহ

mantle-কে সাধারণত তিনটি প্রধান স্তরে ভাগ করা হয়:

mantle-এর স্তরসমূহ
স্তর	গভীরতা (কিলোমিটার)	তাপমাত্রা (°সেলসিয়াস)	বৈশিষ্ট্য	উপরের mantle	০-৬৬০	১০০-১০০০	কঠিন, তবে ধীরে ধীরে প্রবাহিত হতে পারে। ভূমিকম্প (Earthquake) এর কেন্দ্র এখানে বেশি দেখা যায়।	transition zone	৪০০-৬৬০	১০০০-১৯০০	খনিজগুলির পরিবর্তন ঘটে, যেমন অলিভিন স্পিনেল-এ রূপান্তরিত হয়।	নিচের mantle	৬৬০-২,৮৯০	১৯০০-৩,৭০০	অত্যন্ত গরম এবং আংশিকভাবে গলিত, ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয়।

mantle-এর কার্যাবলী

mantle পৃথিবীর অভ্যন্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এবং এর প্রধান কার্যাবলীগুলো হলো:

কনভেকশন (Convection): mantle-এর গরম উপাদানগুলো উপরে উঠে আসে এবং ঠান্ডা উপাদানগুলো নিচে নেমে যায়। এই প্রক্রিয়ার ফলে mantle-এর মধ্যে একটি বৃত্তাকার প্রবাহ তৈরি হয়, যা প্লেট টেকটোনিক্স (Plate tectonics) এর প্রধান চালিকা শক্তি।
আগ্নেয়গিরি (Volcano) তৈরি: mantle থেকে গলিত ম্যাগমা (Magma) ভূত্বকের দুর্বল স্থান দিয়ে উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি তৈরি করে।
ভূমিকম্প (Earthquake) সৃষ্টি: mantle-এর মধ্যে শিলাগুলির স্থানচ্যুতি এবং চাপের কারণে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
ভূ-চুম্বকত্ব (Geomagnetism): mantle-এর লোহার উপাদান পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করে।
পৃথিবীর তাপীয় বাজেট (Earth's thermal budget): mantle পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে তাপ পরিবহন করে এবং পৃষ্ঠের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

mantle এবং অন্যান্য স্তর

ভূত্বক (Crust): mantle-এর উপরে ভূত্বক অবস্থিত, যা পৃথিবীর সবচেয়ে বাইরের কঠিন স্তর। ভূত্বক mantle-এর তুলনায় অনেক পাতলা এবং হালকা।
নিউক্লিয়াস (Core): mantle-এর নিচে নিউক্লিয়াস অবস্থিত, যা প্রধানত লোহা (Iron) এবং নিকেল (Nickel) দিয়ে গঠিত। নিউক্লিয়াসকে দুটি অংশে ভাগ করা হয়: outer core (বাইরের অংশ) তরল এবং inner core (ভেতরের অংশ) কঠিন।
অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার (Asthenosphere): এটি উপরের mantle-এর একটি অংশ, যা আংশিকভাবে গলিত এবং নরম। এই স্তরের উপর লিথোস্ফিয়ার (Lithosphere) (ভূত্বক এবং উপরের mantle-এর কঠিন অংশ) চলাচল করে।

mantle নিয়ে গবেষণা

mantle নিয়ে গবেষণা ভূ-পদার্থবিদ্যা (Geophysics) এবং ভূ-রসায়ন (Geochemistry) এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে mantle সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন, যেমন:

ভূমিকম্পের তরঙ্গ (Seismic wave) বিশ্লেষণ: ভূমিকম্পের তরঙ্গ mantle-এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গতি এবং দিক পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে mantle-এর গঠন এবং উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ম্যাগমা (Magma) বিশ্লেষণ: আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ম্যাগমার রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে mantle-এর উপাদান সম্পর্কে জানা যায়।
ভূ-তাপীয় প্রবাহ (Geothermal gradient) পরিমাপ: পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপমাত্রার পরিবর্তন পরিমাপ করে mantle-এর তাপীয় অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
কম্পিউটার মডেলিং (Computer modeling): mantle-এর আচরণ এবং প্রক্রিয়াগুলো বোঝার জন্য কম্পিউটার মডেল তৈরি করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং বিশ্লেষণ

রাইডন ক্ষেত্র (Rayleigh criterion): mantle-এর স্থিতিশীলতা এবং কনভেকশন বুঝতে এই ধারণাটি ব্যবহৃত হয়।
প্লুম টেকটোনিক্স (Plume tectonics): mantle প্লুম হলো mantle থেকে আসা উষ্ণ উপাদান, যা ভূত্বকে জ্বালাতন সৃষ্টি করে এবং আগ্নেয়গিরি তৈরি করে।
সাবডাকশন (Subduction): একটি টেকটোনিক প্লেট অন্য প্লেটের নিচে ডুবে যাওয়া প্রক্রিয়া, যা mantle-এর উপাদান পুনর্ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
সুপারপ্লুম (Superplume): বিশাল আকারের mantle প্লুম, যা মহাদেশীয় আকারের আগ্নেয়গিরি এবং বিশাল লাভা প্রদেশ (Large igneous province) তৈরি করতে পারে।

ভবিষ্যৎ গবেষণা

mantle নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান গবেষণার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো:

mantle-এর গভীর গঠন এবং উপাদান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা।
mantle কনভেকশনের প্রক্রিয়া এবং এর প্রভাব বোঝা।
mantle প্লুম এবং হটস্পটগুলোর উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণা করা।
mantle-এর উপাদান এবং প্রক্রিয়ার সাথে পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিবর্তনগুলোর সম্পর্ক নির্ণয় করা।
জলবায়ু পরিবর্তন (Climate change) এবং mantle-এর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করা।

mantle পৃথিবীর একটি জটিল এবং গতিশীল অংশ, যা আমাদের গ্রহের গঠন এবং বিবর্তন বুঝতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

mantle সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক
বিষয়	লিঙ্ক	ভূত্বক	ভূত্বক	নিউক্লিয়াস	নিউক্লিয়াস	সিলिकेट	সিলिकेट	ম্যাগনেসিয়াম	ম্যাগনেসিয়াম	আয়রন	আয়রন	পেরাইডোটাইট	পেরাইডোটাইট	ডুনাইট	ডুনাইট	হারজবার্গাইট	হারজবার্গাইট	আগ্নেয় শিলা	আগ্নেয় শিলা	ভূমিকম্প	ভূমিকম্প	কনভেকশন	কনভেকশন	প্লেট টেকটোনিক্স	প্লেট টেকটোনিক্স	আগ্নেয়গিরি	আগ্নেয়গিরি	ভূ-চুম্বকত্ব	ভূ-চুম্বকত্ব	পৃথিবীর তাপীয় বাজেট	পৃথিবীর তাপীয় বাজেট	অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার	অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার	লিথোস্ফিয়ার	লিথোস্ফিয়ার	রাইডন ক্ষেত্র	রাইডন ক্ষেত্র	প্লুম টেকটোনিক্স	প্লুম টেকটোনিক্স	সাবডাকশন	সাবডাকশন

ভূ-অভ্যন্তর (Category:Geo-interior)

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ