পর্যটনের সংজ্ঞা

পর্যটন সংজ্ঞা

পর্যটন কী?

পর্যটন একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সাধারণভাবে, পর্যটন বলতে নিজ বাসস্থান থেকে সাময়িকভাবে অন্য কোনো স্থানে ভ্রমণ করাকে বোঝায়, যেখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্য হয় বিনোদন, বিশ্রাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বা অন্য কোনো অভিজ্ঞতা লাভ করা। তবে, এই সংজ্ঞাটি পর্যটনের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না। পর্যটন শুধু ভ্রমণ নয়, এটি একটি জটিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়া।

পর্যটন শিল্প বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পর্যটনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব।

পর্যটনের সংজ্ঞা: বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ

পর্যটনের সংজ্ঞা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন হতে পারে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা আলোচনা করা হলো:

• জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO)-এর সংজ্ঞা: UNWTO অনুসারে, "পর্যটন হলো এমন একটি ঘটনা যেখানে কোনো ব্যক্তি তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য কোনো স্থানে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য ভ্রমণ করে এবং সেখানে কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং বিনোদন, অবকাশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে অবস্থান করে।"

• ওয়াল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (WTO)-এর সংজ্ঞা: WTO-এর মতে, "পর্যটন হলো এমন একটি কার্যকলাপ যা কোনো ব্যক্তি বা দলের সাময়িক এবং স্বেচ্ছায় নিজ বাসস্থান ত্যাগ করে অন্য কোনো স্থানে ভ্রমণ এবং সেখানে অবস্থানের সাথে জড়িত, যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিনোদন বা অন্য কোনো অভিজ্ঞতা অর্জন।"

• অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ: অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটন হলো একটি শিল্প যা রাজস্ব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এই শিল্পে হোটেল, পরিবহন, খাবার এবং বিনোদন সহ বিভিন্ন খাতের অবদান রয়েছে।

• সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ: সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটন বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

• পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ: পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটন পরিবেশের উপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো প্রভাবই ফেলতে পারে। পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকো ট্যুরিজম পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

পর্যটনের প্রকারভেদ

পর্যটন বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যা উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

• অবকাশ পর্যটন: এটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকারের পর্যটন, যেখানে মানুষ বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য ভ্রমণ করে।
• সাংস্কৃতিক পর্যটন: এই ধরনের পর্যটনে মানুষ কোনো অঞ্চলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিল্পকলা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখার জন্য ভ্রমণ করে। ঐতিহাসিক পর্যটন এর একটি অংশ।
• ধর্মীয় পর্যটন: ধর্মীয় কারণে মানুষ পবিত্র স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে। যেমন - মক্কা, জেরুজালেম, বৈষ্ণোদেবী ইত্যাদি।
• প্রকৃতি পর্যটন: প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মানুষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক স্থানে ভ্রমণ করে। এর মধ্যে পাহাড়, সমুদ্র, বন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
• স্বাস্থ্য পর্যটন: স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য বা বিশেষ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য মানুষ অন্য স্থানে ভ্রমণ করে।
• শিক্ষা পর্যটন: শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করা। যেমন - ভাষা শিক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি।
• ক্রীড়া পর্যটন: খেলাধুলা দেখার বা অংশগ্রহণের জন্য ভ্রমণ করা। যেমন - অলিম্পিক গেমস, ফুটবল বিশ্বকাপ ইত্যাদি।
• ব্যবসায়িক পর্যটন: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা, যেমন - সম্মেলন, সেমিনার, আলোচনা সভা ইত্যাদি।

পর্যটনের প্রকারভেদ

প্রকার	উদ্দেশ্য	উদাহরণ
অবকাশ পর্যটন	বিশ্রাম ও বিনোদন	সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ
সাংস্কৃতিক পর্যটন	সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেখা	জাদুঘর ও ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন
ধর্মীয় পর্যটন	ধর্মীয় স্থান দর্শন	মক্কা ও জেরুজালেম ভ্রমণ
প্রকৃতি পর্যটন	প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ	পাহাড় ও বন ভ্রমণ
স্বাস্থ্য পর্যটন	স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার	স্পা ও ওয়েলনেস সেন্টার ভ্রমণ
শিক্ষা পর্যটন	শিক্ষা গ্রহণ	ভাষা শিক্ষা ও গবেষণা
ক্রীড়া পর্যটন	খেলাধুলা দেখা বা অংশগ্রহণ	অলিম্পিক গেমস ও ফুটবল বিশ্বকাপ
ব্যবসায়িক পর্যটন	ব্যবসায়িক কাজ	সম্মেলন ও সেমিনার যোগদান

পর্যটনের উপাদান

পর্যটন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন উপাদান একে অপরের সাথে জড়িত। পর্যটনের প্রধান উপাদানগুলো হলো:

• আকর্ষণ (Attractions): পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো স্থান বা জিনিস, যেমন - প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইত্যাদি।
• পরিবহন (Transportation): পর্যটকদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, যেমন - বিমান, রেল, সড়ক, নৌপথ ইত্যাদি।
• আবাসন (Accommodation): পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা, যেমন - হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, হোমস্টেই ইত্যাদি।
• খাবার ও পানীয় (Food and Beverage): পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা।
• বিনোদন (Entertainment): পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, যেমন - পার্ক, থিয়েটার, কনসার্ট ইত্যাদি।
• পর্যটন পরিষেবা (Tourism Services): পর্যটকদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান, যেমন - ট্যুর গাইড, ভিসা, বীমা ইত্যাদি।

পর্যটনের অর্থনৈতিক প্রভাব

পর্যটন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:

• রাজস্ব বৃদ্ধি: পর্যটনের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন ধরনের কর ও शुल्क আদায় করে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে।
• কর্মসংস্থান সৃষ্টি: পর্যটন শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। হোটেল, পরিবহন, খাবার, বিনোদন এবং অন্যান্য সম্পর্কিত খাতে স্থানীয় জনগণের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
• স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন: পর্যটনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতির উন্নয়ন হয়। স্থানীয় পণ্য ও পরিষেবাগুলোর চাহিদা বাড়ে।
• বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন: আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।
• অবকাঠামোর উন্নয়ন: পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে রাস্তাঘাট, পরিবহন ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অবকাঠামোগুলোর উন্নয়ন হয়।

পর্যটনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব

পর্যটন সমাজের উপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো প্রভাবই ফেলে।

• সাংস্কৃতিক বিনিময়: পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি একে অপরের সাথে পরিচিত হয়, যা সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করে।
• ঐতিহ্য সংরক্ষণ: পর্যটন স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে সাহায্য করে। পর্যটকরা স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, যা স্থানীয়দের তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে উৎসাহিত করে।
• সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: পর্যটনের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হয়।
• অপরাধ বৃদ্ধি: পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অপরাধের সংখ্যা বাড়তে পারে, যেমন - চুরি, ছিনতাই, ইত্যাদি।
• সাংস্কৃতিক দূষণ: পর্যটকদের আচরণ এবং জীবনযাত্রা স্থানীয় সংস্কৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

পর্যটনের পরিবেশগত প্রভাব

পর্যটনের পরিবেশগত প্রভাবগুলি নিম্নরূপ:

• প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার: পর্যটনের জন্য প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করা হয়, যেমন - জল, বিদ্যুৎ, ভূমি ইত্যাদি।
• দূষণ: পর্যটনের কারণে বায়ু দূষণ, জল দূষণ এবং শব্দ দূষণ হতে পারে।
• জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি: পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত নির্মাণ এবং মানুষের কার্যকলাপের কারণে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে।
• বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: পর্যটকদের সৃষ্ট বর্জ্য পরিবেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।

ইকো ট্যুরিজম বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।

পর্যটন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

পর্যটন একটি জটিল শিল্প। এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ। পর্যটন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো:

• টেকসই উন্নয়ন: পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পর্যটনকে টেকসই করা যায়, যাতে এটি পরিবেশ এবং সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।
• গুণগত মান বৃদ্ধি: পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পর্যটন পরিষেবার গুণগত মান বৃদ্ধি করা যায়।
• পর্যটকদের সন্তুষ্টি: পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করে তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।
• স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন: পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নকে উৎসাহিত করা যায়।
• দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো সংকট মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

আধুনিক পর্যটন প্রবণতা

বর্তমানে পর্যটন শিল্পে কিছু নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা উল্লেখ করা হলো:

• ভার্চুয়াল ট্যুরিজম: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR) প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
• টেকসই পর্যটন: পরিবেশ এবং সমাজের উপর কম প্রভাব ফেলে এমন পর্যটন ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
• অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক পর্যটন: পর্যটকরা এখন শুধু দর্শনীয় স্থান দেখা নয়, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা নিতে বেশি আগ্রহী।
• স্বাস্থ্য ও সুস্থতা পর্যটন: স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ভ্রমণ একটি জনপ্রিয় প্রবণতা।
• ডিজিটাল পর্যটন: মোবাইল অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং বুকিং করার প্রবণতা বাড়ছে।

উপসংহার

পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প যা অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। পর্যটনের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, উপাদান এবং প্রভাব সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। পর্যটন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পর্যটনকে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব করে তোলা সম্ভব। আধুনিক পর্যটন প্রবণতাগুলো অনুসরণ করে পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করা যেতে পারে।

পর্যটন শিল্প, জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা, ইকো ট্যুরিজম, ঐতিহাসিক পর্যটন, ধর্মীয় পর্যটন, সাংস্কৃতিক পর্যটন, পর্যটন ব্যবস্থাপনা, টেকসই পর্যটন, ভার্চুয়াল ট্যুরিজম, ডিজিটাল পর্যটন, বৈদেশিক মুদ্রা, কর্মসংস্থান, রাজস্ব, হোটেল, পরিবহন, খাবার, বিনোদন, ট্যুর গাইড, ভিসা, বীমা, পরিবেশবান্ধব পর্যটন, পর্যটন পরিষেবা, পর্যটন অর্থনীতি, পর্যটন সমাজবিজ্ঞান, পর্যটন ভূগোল

Technical Analysis, Volume Analysis, Moving Averages, Bollinger Bands, Fibonacci Retracement, Support and Resistance, Trend Lines, Candlestick Patterns, MACD, RSI, Stochastic Oscillator, Ichimoku Cloud, Elliott Wave Theory, Gap Analysis, Chart Patterns

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ