কর্মসংস্থান

কর্মসংস্থান: একটি বিস্তারিত আলোচনা

ভূমিকা

কর্মসংস্থান মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি কেবল অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেয় না, বরং আত্মসম্মান, সামাজিক মর্যাদা এবং ব্যক্তিগত বিকাশেও সহায়তা করে। কর্মসংস্থান একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। এই নিবন্ধে, কর্মসংস্থানের ধারণা, প্রকারভেদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপায়, কর্মসংস্থান বাজারের চ্যালেঞ্জ এবং এই সংক্রান্ত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কর্মসংস্থানের ধারণা

কর্মসংস্থান বলতে সাধারণত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়টিকে বোঝায়। এটি হতে পারে ফুল-টাইম বা পার্ট-টাইম চাকরি, স্ব-কর্মসংস্থান অথবা অন্য কোনো আয় উৎপাদনশীল কাজ। অর্থনীতি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিতরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কর্মসংস্থানের প্রকারভেদ

কর্মসংস্থান বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

• আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান: এই ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, বেতন-ভাতা, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে হয়ে থাকে। শ্রম আইন এক্ষেত্রে কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করে।
• অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান: এই ধরনের কর্মসংস্থানে শ্রমিকদের কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগপত্র বা সুযোগ-সুবিধা থাকে না। সাধারণত ছোট ব্যবসা, দিনমজুরের কাজ, এবং ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা এর অন্তর্ভুক্ত।
• স্ব-কর্মসংস্থান: যখন কোনো ব্যক্তি নিজেই নিজের ব্যবসা শুরু করে এবং নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করে, তখন তাকে স্ব-কর্মসংস্থান বলা হয়। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
• অংশকালীন কর্মসংস্থান: এই ক্ষেত্রে শ্রমিকরা দৈনিক বা সাপ্তাহিক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে। নমনীয় কর্মঘণ্টা এই ধরনের কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
• চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তির মাধ্যমে কাজ করা হলে তাকে চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান বলে। চুক্তি আইন এক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
• দূরবর্তী কর্মসংস্থান: বর্তমানে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে দূরবর্তী কর্মসংস্থান বাড়ছে, যেখানে কর্মীরা শারীরিকভাবে অফিসে উপস্থিত না থেকেও কাজ করতে পারে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপায়

কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভরশীল। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় আলোচনা করা হলো:

• অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর বৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রধান উপায়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করে।
• শিল্পায়ন: শিল্প খাতের উন্নয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিল্প নীতি এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
• ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই): এসএমই খাত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম উৎস। এই খাতকে উৎসাহিত করার জন্য ঋণ সুবিধা এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা উচিত।
• শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: কারিগরি শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যায়, যা কর্মসংস্থান বাজারে চাহিদা পূরণ করে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মসংস্থানমুখী করতে হবে।
• উদ্যোক্তা উন্নয়ন: নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা উচিত। উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংস্থা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• অবকাঠামো উন্নয়ন: রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি অবকাঠামোর উন্নয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক। অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে প্রচুর কর্মীর প্রয়োজন হয়।
• কৃষি উন্নয়ন: কৃষি খাতের উন্নয়ন গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষি ঋণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়।
• পর্যটন শিল্প: পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি বড় মাধ্যম। পর্যটন নীতি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতকে আরও উন্নত করা যায়।

কর্মসংস্থান বাজারের চ্যালেঞ্জ

কর্মসংস্থান বাজার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। নিচে কয়েকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ আলোচনা করা হলো:

• বেকারত্ব: কর্মসংস্থানের সুযোগের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা বেশি হলে বেকারত্ব দেখা দেয়। বেকারত্ব ভাতা একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি জরুরি।
• দক্ষতার অভাব: অনেক শ্রমিকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে তারা চাকরি পায় না। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• প্রযুক্তিগত পরিবর্তন: প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের কারণে অনেক পুরনো পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং নতুন দক্ষতার চাহিদা তৈরি হচ্ছে। ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
• বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা: বিশ্বায়নের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, যা কর্মসংস্থান বাজারের উপর প্রভাব ফেলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলি এই প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করে।
• জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা হারাচ্ছে, বিশেষ করে কৃষি এবং মৎস্যজীবীরা। জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
• অভিবাসন: স্থানীয় কর্মসংস্থান বাজারের উপর অভিবাসনের প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিবাসন নীতিগুলি এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ

কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বেকারত্ব হ্রাস করার জন্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ আলোচনা করা হলো:

• সরকারি উদ্যোগ:

   * জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি: সরকার একটি জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বেকারত্ব হ্রাস করা।
   * দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি: সরকার বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই কর্মসূচিগুলি পরিচালনা করে।
   * প্রধানমন্ত্রী স্ব-কর্মসংস্থান কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ঋণ এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
   * মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (এমজিএনআরইজিএ): এই আইনের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ১০০ দিনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়।

• বেসরকারি উদ্যোগ:

   * কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর): অনেক কোম্পানি তাদের সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
   * এনজিও-র ভূমিকা: বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে।
   * উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র: বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান করে।

ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান

ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান বাজার বর্তমানে প্রচলিত বাজারের থেকে ভিন্ন হবে। প্রযুক্তির উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), এবং অটোমেশনের কারণে অনেক নতুন পেশা তৈরি হবে, আবার অনেক পুরনো পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:

• ডিজিটাল দক্ষতা: প্রোগ্রামিং, ডেটা বিশ্লেষণ, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি ডিজিটাল দক্ষতাগুলি ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
• সবুজ অর্থনীতি: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং সবুজ অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। টেকসই উন্নয়ন এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।
• স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে।
• শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: অনলাইন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
• সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন: সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা বাড়বে।

কর্মসংস্থান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির একটি তালিকা:

কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বিষয়

বিষয়	বিবরণ	লিঙ্ক
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি	জিডিপি বৃদ্ধি, বিনিয়োগ	অর্থনৈতিক উন্নয়ন
শিল্পায়ন	শিল্প খাতের উন্নয়ন	শিল্প বিপ্লব
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প	এসএমই খাতের উন্নয়ন	শিল্প উদ্যোক্তা
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ	কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ	শিক্ষা প্রকৌশল
উদ্যোক্তা উন্নয়ন	নতুন ব্যবসা শুরু করা	ব্যবসা পরিকল্পনা
অবকাঠামো উন্নয়ন	রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ	যোগাযোগ ব্যবস্থা
কৃষি উন্নয়ন	আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি	কৃষি অর্থনীতি
পর্যটন শিল্প	পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন	পর্যটন ব্যবস্থাপনা
বেকারত্ব	কর্মসংস্থানের অভাব	বেকারত্ব সমস্যা
দক্ষতার অভাব	প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অভাব	মানব সম্পদ উন্নয়ন
প্রযুক্তিগত পরিবর্তন	নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার	প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা	আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা	আন্তর্জাতিক অর্থনীতি
জলবায়ু পরিবর্তন	পরিবেশগত প্রভাব	পরিবেশ দূষণ
অভিবাসন	মানুষের স্থানান্তর	জনসংখ্যা
জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি	সরকারের কর্মসংস্থান পরিকল্পনা	সরকারি নীতি
দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি	প্রশিক্ষণ প্রদান	কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ
প্রধানমন্ত্রী স্ব-কর্মসংস্থান কর্মসূচি	দরিদ্রদের সহায়তা	স্বনির্ভরতা
এমজিএনআরইজিএ	গ্রামীণ কর্মসংস্থান	গ্রামীণ অর্থনীতি
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা	কোম্পানির সামাজিক ভূমিকা	সামাজিক ব্যবসা
এনজিও-র ভূমিকা	বেসরকারি সংস্থার অবদান	বেসরকারি সংস্থা
উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র	নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা	উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ

উপসংহার

কর্মসংস্থান একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বেকারত্ব হ্রাস করার জন্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান বাজারের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা জরুরি। এছাড়াও, নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং পরিবেশবান্ধব শিল্প বিকাশে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ