অপশন মেয়াদ এবং স্ট্রাইক মূল্য নির্ধারণ

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

অপশন মেয়াদ এবং স্ট্রাইক মূল্য নির্ধারণ: নতুনদের জন্য নির্দেশিকা

Binary option বা বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি সরলীকৃত আর্থিক উপকরণ যেখানে আপনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে কোনো নির্দিষ্ট সম্পদের মূল্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়বে নাকি কমবে। এই ট্রেডিংয়ের মূল ভিত্তি হলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার নির্ধারণ করা: Expiry time (মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়) এবং স্ট্রাইক মূল্য (Strike Price)। এই দুটি বিষয় সঠিকভাবে বোঝা এবং নির্বাচন করা সফল ট্রেডিংয়ের জন্য অপরিহার্য।

এই নিবন্ধে, আমরা এই দুটি ধারণার ভিত্তি, কীভাবে এগুলো ট্রেডিং সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে, এবং প্ল্যাটফর্মে কীভাবে এগুলো সেট করতে হয়, তা সহজভাবে আলোচনা করব। এই জ্ঞান আপনাকে সফল ট্রেডিং এর জন্য মানসিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতেও সাহায্য করবে।

বাইনারি অপশনের মৌলিক কাঠামো

বাইনারি অপশনকে একটি "হ্যাঁ/না" প্রশ্নের মতো ভাবা যেতে পারে। আপনি বাজি ধরছেন যে একটি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হবে কি হবে না।

  • যদি আপনি মনে করেন মূল্য বাড়বে, আপনি একটি Call option (কল অপশন) কেনেন।
  • যদি আপনি মনে করেন মূল্য কমবে, আপনি একটি Put option (পুট অপশন) কেনেন।

এই ভবিষ্যদ্বাণীটিকে সফল করতে হলে, আপনার নির্বাচিত Expiry time শেষ হওয়ার সময় মূল্য আপনার নির্বাচিত দিক অনুযায়ী থাকতে হবে।

স্ট্রাইক মূল্য (Strike Price) কী?

স্ট্রাইক মূল্য হলো সেই নির্দিষ্ট মূল্য স্তর, যা আপনি ট্রেড শুরু করার আগে নির্ধারণ করেন। এটি আপনার বাজি ধরার ভিত্তি।

স্ট্রাইক মূল্যের ভূমিকা

ধরুন, আপনি EUR/USD কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করছেন এবং বর্তমান বাজার মূল্য হলো ১.১০৫০।

  • যদি আপনি একটি কল অপশন কেনেন, আপনি আশা করছেন মেয়াদ শেষে মূল্য ১.১০৫০ এর উপরে থাকবে। এই ১.১০৫০ বা এর কাছাকাছি কোনো মূল্যই হলো স্ট্রাইক মূল্য।
  • যদি আপনি একটি পুট অপশন কেনেন, আপনি আশা করছেন মূল্য ১.১০৫০ এর নিচে থাকবে।

স্ট্রাইক মূল্য নির্ধারণ করে আপনার ট্রেডটি লাভজনক হবে কিনা। ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে, সাধারণত বর্তমান বাজার মূল্যটিই ডিফল্ট স্ট্রাইক মূল্য হিসাবে সেট করা থাকে, বিশেষ করে স্বল্প-মেয়াদী ট্রেডের ক্ষেত্রে।

ইন-দ্য-মানি (ITM) এবং আউট-অফ-দ্য-মানি (OTM)

স্ট্রাইক মূল্যের সাপেক্ষে ট্রেডের অবস্থানকে বর্ণনা করার জন্য ITM এবং OTM ধারণাগুলি ব্যবহৃত হয়।

  • In-the-money (ITM): যদি ট্রেডটি মেয়াদ শেষে লাভজনক অবস্থায় থাকে।
   * কল অপশনের জন্য: মেয়াদ শেষের মূল্য > স্ট্রাইক মূল্য।
   * পুট অপশনের জন্য: মেয়াদ শেষের মূল্য < স্ট্রাইক মূল্য।
  • Out-of-the-money (OTM): যদি ট্রেডটি মেয়াদ শেষে লোকসানে থাকে।
   * কল অপশনের জন্য: মেয়াদ শেষের মূল্য < স্ট্রাইক মূল্য।
   * পুট অপশনের জন্য: মেয়াদ শেষের মূল্য > স্ট্রাইক মূল্য।

কিছু প্ল্যাটফর্মে, আপনি স্ট্রাইক মূল্য পরিবর্তন করার সুযোগ পান (বিশেষ করে যখন আপনি উচ্চ Payout চান, যা সাধারণত OTM ট্রেডগুলোর ক্ষেত্রে ঘটে)।

অবস্থান কল অপশনের শর্ত পুট অপশনের শর্ত
ইন-দ্য-মানি (ITM) বর্তমান মূল্য > স্ট্রাইক মূল্য বর্তমান মূল্য < স্ট্রাইক মূল্য
আউট-অফ-দ্য-মানি (OTM) বর্তমান মূল্য < স্ট্রাইক মূল্য বর্তমান মূল্য > স্ট্রাইক মূল্য

মেয়াদ (Expiry Time) নির্ধারণ

Expiry time হলো সেই নির্দিষ্ট মুহূর্ত যখন আপনার ট্রেডটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল নির্ধারিত হয়। বাইনারি অপশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল অংশ হলো এই সময়সীমা নির্বাচন।

স্বল্প বনাম দীর্ঘ মেয়াদ

মেয়াদ কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক ঘন্টা বা দিন পর্যন্ত হতে পারে।

  • **স্বল্প মেয়াদ (যেমন ৩০ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিট):** এই ট্রেডগুলো দ্রুত ফলাফল দেয় এবং উচ্চ অস্থিরতার (Volatility) সময় জনপ্রিয়। তবে, এদের জন্য খুব দ্রুত বিশ্লেষণ এবং প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।
  • **দীর্ঘ মেয়াদ (যেমন ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা বা তার বেশি):** এই ট্রেডগুলো বাজারের বৃহত্তর Trend বা প্রবণতা অনুসরণ করে। এদের জন্য চার্ট বিশ্লেষণ এবং মৌলিক তথ্যের (Fundamental Analysis) ওপর বেশি নির্ভর করতে হয়।

মেয়াদ নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান

মেয়াদ নির্বাচনের আগে আপনাকে বাজারের অবস্থা বুঝতে হবে।

  • **বাজারের অস্থিরতা:** যখন বাজার খুব দ্রুত ওঠানামা করে (উচ্চ অস্থিরতা), তখন স্বল্প মেয়াদ কার্যকর হতে পারে, কিন্তু ভুল ভবিষ্যদ্বাণী দ্রুত লোকসানে পরিণত হতে পারে।
  • **আপনার বিশ্লেষণ পদ্ধতি:** আপনি যদি একটি Candlestick pattern (যেমন ডজি বা হ্যামার) দেখে ট্রেড করেন, তবে ক্যান্ডেলের সময়কালের সাথে মেয়াদ মেলাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ৫ মিনিটের ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ব্যবহার করেন, তবে আপনার মেয়াদ সাধারণত সেই ক্যান্ডেলের চেয়ে সামান্য বেশি হওয়া উচিত।
  • **RSI বা MACD এর মতো সূচক:** যদি কোনো সূচক দ্রুত সংকেত দেয়, তবে স্বল্প মেয়াদ ভালো হতে পারে।

একটি সাধারণ ভুল হলো, স্বল্প মেয়াদে ট্রেড করার সময় বাজারের স্বাভাবিক নয়েজ বা ক্ষুদ্র ওঠানামাকে মূল প্রবণতা ভেবে ভুল করা। এ কারণে বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল মেনে চলা জরুরি।

ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে স্ট্রাইক এবং মেয়াদ সেট করার ধাপসমূহ

অধিকাংশ জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেমন IQ Option বা Pocket Option, একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্কফ্লো অনুসরণ করে।

ধাপ ১: সম্পদ নির্বাচন এবং চার্ট সেটিংস

  • প্রথমে আপনার পছন্দের সম্পদ (যেমন, GBP/USD, গোল্ড, বা স্টক ইনডেক্স) নির্বাচন করুন।
  • চার্ট টাইপ (সাধারণত ক্যান্ডেলস্টিক) এবং সময়সীমা (যেমন, ১ মিনিট বা ৫ মিনিট) সেট করুন।

ধাপ ২: মেয়াদ নির্বাচন

  • প্ল্যাটফর্মের ট্রেড সেটিংস বক্সে যান।
  • উপলব্ধ Expiry time বিকল্পগুলি দেখুন (যেমন, ১ মিনিট, ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা)।
  • আপনার বিশ্লেষণ অনুযায়ী একটি সময়সীমা বেছে নিন।

ধাপ ৩: ট্রেডের পরিমাণ এবং ঝুঁকি নির্ধারণ

  • আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। এটি আপনার Position sizing এর অংশ। মনে রাখবেন, বাইনারি অপশনে আপনার সর্বোচ্চ ঝুঁকি হলো আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ।
  • Risk management এর অংশ হিসাবে, এক ট্রেডে আপনার মোট অ্যাকাউন্টের ১% থেকে ৫% এর বেশি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।

ধাপ ৪: স্ট্রাইক মূল্য যাচাইকরণ (যদি প্রযোজ্য হয়)

  • যদি প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে বর্তমান বাজার মূল্য থেকে ভিন্ন স্ট্রাইক মূল্য বেছে নিতে দেয় (এটি সাধারণত 'Fixed Time Trade' এর পরিবর্তে 'Touch/No Touch' বা নির্দিষ্ট কিছু অপশনে দেখা যায়), তবে বর্তমান মূল্য এবং আপনার প্রত্যাশিত গতির উপর ভিত্তি করে স্ট্রাইক মূল্য নির্বাচন করুন।
  • যদি প্ল্যাটফর্মটি কেবল বর্তমান মূল্যে ট্রেড করার সুযোগ দেয়, তবে স্ট্রাইক মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেট হয়ে যায়।

ধাপ ৫: কল বা পুট নির্বাচন

  • আপনার বিশ্লেষণ অনুযায়ী মূল্য বাড়বে মনে হলে 'Call' বা 'Up' বোতামে ক্লিক করুন।
  • মূল্য কমবে মনে হলে 'Put' বা 'Down' বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬: ট্রেড নিশ্চিতকরণ

  • অর্ডারটি নিশ্চিত করুন। ট্রেডটি শুরু হবে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং মেয়াদ নির্ধারণের সম্পর্ক

প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ (Technical Analysis) ব্যবহার করে ট্রেডাররা ভবিষ্যতের বাজার গতিবিধি অনুমান করার চেষ্টা করেন। এই বিশ্লেষণগুলি কীভাবে মেয়াদ নির্ধারণে সাহায্য করে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং মেয়াদ

Candlestick pattern হলো মূল্য গতির একটি ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা।

  • **উদাহরণ:** যদি আপনি একটি শক্তিশালী বুলিশ এনগাল্ফিং প্যাটার্ন দেখেন যা ৫ মিনিটের চার্টে তৈরি হয়েছে, তবে বাজারটি সম্ভবত পরবর্তী কয়েক মিনিটের জন্য উপরে যাবে।
  • **মেয়াদ নির্ধারণ:** এই ক্ষেত্রে, আপনি ৫ মিনিটের ক্যান্ডেল শেষ হওয়ার সাথে সাথে ট্রেড শুরু করলে, আপনার মেয়াদ কমপক্ষে ৫ মিনিট বা তার বেশি (যেমন ৭ বা ১০ মিনিট) সেট করা উচিত, যাতে প্যাটার্নটির প্রভাব বাজারে প্রতিফলিত হতে পারে।
  • **ভুল ধারণা:** শুধু প্যাটার্ন দেখেই ৩০ সেকেন্ডের ট্রেড শুরু করা একটি সাধারণ ভুল। প্যাটার্ন তৈরি হতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে কম মেয়াদ দিলে ফলাফল অনিশ্চিত হয়।

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এবং মেয়াদ

Support and resistance হলো চার্টের সেই স্তর যেখানে মূল্য অতীতে বাধা পেয়ে ফিরে এসেছে।

  • **ব্যবহার:** যখন মূল্য শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স স্তরের কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন পুট অপশন নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। যখন এটি শক্তিশালী সাপোর্ট স্তরের কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন কল অপশন নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।
  • **মেয়াদ নির্ধারণ:** যদি কোনো স্তর খুব শক্তিশালী হয়, তবে মূল্য সেই স্তর ভাঙতে বেশি সময় নিতে পারে। তাই, এই ধরনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদ (যেমন ১৫ মিনিট বা তার বেশি) ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ।

সূচক (Indicators) এবং মেয়াদ

সূচকগুলো বাজারের গতিবেগ বা অতিরিক্ত কেনা/বেচা অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।

  • **RSI (Relative Strength Index):** RSI যখন ৭০ এর উপরে যায় (ওভারবট), তখন পুট অপশনের সম্ভাবনা বাড়ে। যদি RSI দ্রুত নিচে নামতে শুরু করে, তবে স্বল্প মেয়াদে পুট নেওয়া যেতে পারে।
  • **MACD (Moving Average Convergence Divergence):** MACD লাইন যখন সিগন্যাল লাইনকে নিচের দিকে অতিক্রম করে (বেয়ারিশ ক্রসওভার), তখন পুট অপশনের সংকেত দেয়। এই ক্রসওভারের স্থায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে মেয়াদ নির্বাচন করতে হবে।

বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে, বিশেষ করে মেয়াদ এবং স্ট্রাইক মূল্যের ক্ষেত্রে, বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রত্যাশিত লাভের হার

অধিকাংশ প্ল্যাটফর্ম ITM ট্রেডের জন্য ৭০% থেকে ৯৫% পর্যন্ত Payout প্রদান করে।

  • **লাভজনক হওয়ার জন্য:** আপনাকে ৫০% এর বেশি ট্রেডে জিততে হবে, কারণ আপনার হারানো অর্থ সম্পূর্ণ চলে যায়, কিন্তু জেতা অর্থ আসে পেআউটের হার অনুযায়ী।
  • **উদাহরণ টেবিল:**
পেআউট হার জিততে প্রয়োজনীয় শতাংশ (ব্রেকইভেন)
৮০% ৫১.১১%
৯০% ৫২.৬৩%

যদি আপনার পেআউট ৯০% হয়, তবে আপনাকে প্রতি ১০০ টি ট্রেডের মধ্যে অন্তত ৫৩ টি জিততে হবে কেবল ব্রেকইভন (লাভ বা লোকসান ছাড়া) থাকার জন্য। এটি বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল এর একটি মূল অংশ।

ভুল যা নতুনরা করে

  • **অতিরিক্ত স্বল্প মেয়াদ:** ৩০ বা ৬০ সেকেন্ডের ট্রেডগুলোতে বাজারের স্বাভাবিক ওঠানামাকে ভুল সংকেত ভেবে ট্রেড করা।
  • **স্ট্রাইক মূল্য উপেক্ষা করা:** উচ্চ পেআউটের লোভে OTM ট্রেড করা, যেখানে বাজারকে অনেক বেশি সরতে হবে।
  • **মার্টিনগেল (Martingale) ব্যবহার:** লোকসান পুষিয়ে নিতে পরের ট্রেডে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করা। এটি দ্রুত অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে পারে।

ঝুঁকি সহনশীলতা এবং ডেমো অ্যাকাউন্ট

ট্রেডিং শুরু করার আগে, আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করুন।

  • **ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার:** IQ Option বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মেয়াদ এবং স্ট্রাইক সেটিংসের সাথে পরিচিত হন। ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন আপনাকে বাস্তব অর্থ হারানোর ভয় ছাড়াই কৌশল পরীক্ষা করতে দেয়।
  • **KYC এবং তহবিল:** আসল ট্রেডিং শুরু করার আগে, প্ল্যাটফর্মে আপনার KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি ছোট অঙ্কের অর্থ জমা করছেন। মনে রাখবেন, ডিপোজিট এবং উইথড্রয়াল প্রক্রিয়া প্ল্যাটফর্ম ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

উন্নত ধারণা: ভলাটিলিটি এবং অপশন টাইম ডিকে

যখন আপনি মেয়াদ নির্বাচন করেন, তখন আপনাকে বাজারের অস্থিরতা (Volatility) এবং অপশন টাইম ডিকে (Time Decay) সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

অস্থিরতা (Volatility)

অস্থিরতা পরিমাপ করে যে একটি সম্পদ কত দ্রুত এবং কত বড় পরিসরে তার দাম পরিবর্তন করে।

  • উচ্চ অস্থিরতার সময়, মূল্য দ্রুত স্ট্রাইক মূল্য অতিক্রম করতে পারে, যা স্বল্প মেয়াদের জন্য ভালো।
  • কম অস্থিরতার সময়, মূল্য স্থির থাকে, যা স্বল্প মেয়াদের জন্য খারাপ। এই পরিস্থিতিতে, Elliott wave বা দীর্ঘমেয়াদী Trend বিশ্লেষণ বেশি কার্যকর হতে পারে।

টাইম ডিকে (Time Decay)

টাইম ডিকে হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে অপশনের মূল্য হ্রাস পেতে থাকে (যদিও বাইনারি অপশনে এটি সরাসরি মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলে না, কিন্তু এটি বাজারকে দ্রুত একটি দিকে স্থির হতে চাপ সৃষ্টি করে)।

  • স্বল্প মেয়াদের ট্রেডে, টাইম ডিকে খুব দ্রুত কাজ করে। মেয়াদ যত কম হবে, বাজারকে আপনার পক্ষে সামান্য সরতে হবে তত কম।
  • দীর্ঘ মেয়াদের ট্রেডে, টাইম ডিকে প্রভাব ফেলতে সময় নেয়, তবে বাজার উল্টো দিকে গেলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।

উপসংহার

স্ট্রাইক মূল্য এবং মেয়াদ নির্ধারণ বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের দুটি প্রধান স্তম্ভ। স্ট্রাইক মূল্য আপনার লাভের সীমা নির্ধারণ করে, আর মেয়াদ নির্ধারণ করে কত দ্রুত সেই সীমা অতিক্রম করতে হবে। নতুন হিসেবে, আপনার উচিত হবে বাজার বিশ্লেষণ (যেমন Support and resistance বা Candlestick pattern) এবং আপনার ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মেয়াদ বেছে নেওয়া। সর্বদা Risk management কে অগ্রাধিকার দিন এবং কখনোই এমন অর্থ বিনিয়োগ করবেন না যা হারালে আপনার জীবন প্রভাবিত হতে পারে।

আরও দেখুন (এই সাইটে)

প্রস্তাবিত নিবন্ধ

Recommended Binary Options Platforms

Platform Why beginners choose it Register / Offer
IQ Option Simple interface, popular asset list, quick order entry IQ Option Registration
Pocket Option Fast execution, tournaments, multiple expiration choices Pocket Option Registration

Join Our Community

Subscribe to our Telegram channel @copytradingall for analytics, free signals, and much more!

Баннер