বিষয়:পরিবহন

পরিবহন ব্যবস্থা: একটি বিস্তারিত আলোচনা

ভূমিকা

পরিবহন একটি অত্যাবশ্যকীয় মানব কার্যক্রম, যা মানুষ ও পণ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করতে সহায়তা করে। এটি অর্থনীতি, সমাজ, এবং সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বিশ্বে পরিবহন ব্যবস্থা বিশ্বায়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে, পরিবহনের বিভিন্ন দিক, প্রকারভেদ, ইতিহাস, আধুনিক প্রবণতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পরিবহনের ইতিহাস

পরিবহনের ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন। প্রাচীনকালে মানুষ মূলত পায়ে হাঁটা, পশু, এবং নদীপথে নৌকা ব্যবহার করে যাতায়াত করত। চাকার আবিষ্কার পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বিপ্লব নিয়ে আসে, যা रथ এবং গাড়ির প্রচলন শুরু করে। এরপর রোমান সাম্রাজ্য রাস্তাঘাট নির্মাণ করে পরিবহনকে আরও উন্নত করে। মধ্যযুগে ঘোড়া এবং পালের নৌকা ছিল প্রধান পরিবহন মাধ্যম।

১৪শ শতাব্দীতে কম্পাস এবং নৌকাচালনার উন্নত কৌশল আবিষ্কারের ফলে সমুদ্রপথে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। শিল্প বিপ্লব পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে স্টিমার এবং লোкомоটিভ তৈরি হয়, যা স্থল ও জলপথে দ্রুত পরিবহন শুরু করে। বিংশ শতাব্দীতে অভ্যন্তরীণ জ্বলন ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে গাড়ি, বাস, এবং বিমান তৈরি হয়, যা পরিবহনকে আরও দ্রুত এবং সহজলভ্য করে তোলে।

পরিবহনের প্রকারভেদ

পরিবহনকে সাধারণত পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:

• টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট একটি উইকি টেমপ্লেট যা একটি সাধারণ, বুলেটবিহীন তালিকা তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে উপযোগী যেখানে তালিকার আইটেমগুলির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ক্রম নেই এবং সেগুলোকে একটি পরিষ্কার, সংক্ষিপ্ত উপায়ে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। এই টেমপ্লেটটি জটিল ফরম্যাটিং ছাড়াই দ্রুত তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। আপনি যে আইটেমগুলি তালিকাভুক্ত করতে চান, সেগুলি টেমপ্লেটের মধ্যে আর্গুমেন্ট হিসেবে যোগ করতে হবে। প্রতিটি আইটেম একটি নতুন লাইনে লিখতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ:

{{প্লেইনলিস্ট * প্রথম আইটেম * দ্বিতীয় আইটেম * তৃতীয় আইটেম}}

এই কোডটি নিম্নলিখিত তালিকাটি তৈরি করবে:

• প্রথম আইটেম
• দ্বিতীয় আইটেম
• তৃতীয় আইটেম

আপনি চাইলে তালিকার আইটেমগুলির সংখ্যা যত খুশি বাড়াতে পারেন।

সুবিধা

• সহজ ব্যবহার: টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং এর জন্য কোনো জটিল কোডিং জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।
• সংক্ষিপ্ততা: এটি খুব সহজেই একটি সাধারণ তালিকা তৈরি করে, যা তথ্যকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে।
• বহুমুখীতা: টেমপ্লেটটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন - পণ্যের তালিকা, বৈশিষ্ট্যের তালিকা, বা যেকোনো সাধারণ তথ্যের তালিকা।
• ফরম্যাটিং নিয়ন্ত্রণ: যেহেতু এটি একটি সাধারণ তালিকা, তাই এটি ফরম্যাটিংয়ের বিষয়ে খুব বেশি সীমাবদ্ধতা দেয় না।

অসুবিধা

• সীমিত ফরম্যাটিং: টেমপ্লেটটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ তালিকা তৈরি করতে পারে এবং এতে জটিল ফরম্যাটিং অপশন নেই।
• ক্রমহীনতা: তালিকার আইটেমগুলির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ক্রম বোঝানো হয় না। যদি ক্রম গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে টেমপ্লেট:নম্বর তালিকা ব্যবহার করা উচিত।

অন্যান্য সম্পর্কিত টেমপ্লেট

• টেমপ্লেট:নম্বর তালিকা: এই টেমপ্লেটটি একটি নম্বরযুক্ত তালিকা তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• টেমপ্লেট:সংজ্ঞা তালিকা: এই টেমপ্লেটটি সংজ্ঞা এবং তাদের সম্পর্কিত পদগুলি তালিকাভুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• টেমপ্লেট:সারণী: জটিল ডেটা উপস্থাপনের জন্য এই টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়।
• টেমপ্লেট:বুলেট তালিকা: এটিও একটি তালিকা তৈরির টেমপ্লেট, তবে এটি বুলেট ব্যবহার করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর প্রেক্ষাপটে ব্যবহার

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে, এই টেমপ্লেটটি বিভিন্ন রিসোর্স বা তথ্যের তালিকা তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল:

{{প্লেইনলিস্ট

• স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করা
• পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন
• লিভারেজ নিয়ন্ত্রণ
• সঠিক রিস্ক-রিওয়ার্ড রেশিও নির্ধারণ}}

• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের সরঞ্জাম:

{{প্লেইনলিস্ট

• মুভিং এভারেজ (মুভিং এভারেজ)
• আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স)
• এমএসিডি (মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স)
• বলিঙ্গার ব্যান্ডস (বোলিঙ্গার ব্যান্ডস)
• ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট)}}

• ভলিউম বিশ্লেষণের সূচক:

{{প্লেইনলিস্ট

• অন ব্যালেন্স ভলিউম (অন ব্যালেন্স ভলিউম)
• ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস)
• অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন)}}

• বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

{{প্লেইনলিস্ট

• অ্যাসেট নির্বাচন (অ্যাসেট)
• সময়সীমা নির্ধারণ (সময়সীমা)
• স্ট্রাইক মূল্য (স্ট্রাইক মূল্য)
• ব্রোকার নির্বাচন (ব্রোকার)
• ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম (ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম)}}

এই উদাহরণগুলিতে, টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট ব্যবহার করে তথ্যগুলিকে সহজে বোধগম্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আরও কিছু ব্যবহারিক উদাহরণ

• একটি ট্রেডিং প্ল্যানের উপাদান:

{{প্লেইনলিস্ট

• মার্কেট বিশ্লেষণ
• ঝুঁকি মূল্যায়ন
• ট্রেডিং কৌশল
• প্রবেশ এবং প্রস্থান নিয়ম
• মূলধন ব্যবস্থাপনা}}

• সাধারণ ট্রেডিং কৌশল:

{{প্লেইনলিস্ট

• ট্রেন্ড ফলোয়িং (ট্রেন্ড ফলোয়িং)
• রেঞ্জ ট্রেডিং (রেঞ্জ ট্রেডিং)
• ব্রেকআউট ট্রেডিং (ব্রেকআউট ট্রেডিং)
• রিভার্সাল ট্রেডিং (রিভার্সাল ট্রেডিং)
• নিউজ ট্রেডিং (নিউজ ট্রেডিং)}}

• মানসিক প্রস্তুতি:

{{প্লেইনলিস্ট

• আবেগ নিয়ন্ত্রণ
• ধৈর্য
• শৃঙ্খলা
• বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা
• ভুল থেকে শিক্ষা}}

• বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর রিস্ক ফ্যাক্টর:

{{প্লেইনলিস্ট

• বাজারের অস্থিরতা
• লিভারেজের ঝুঁকি
• ব্রোকারের নির্ভরযোগ্যতা
• ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের ত্রুটি
• অপর্যাপ্ত জ্ঞান}}

কাস্টমাইজেশন

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট-কে কাস্টমাইজ করার জন্য, আপনি বিভিন্ন প্যারামিটার ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এই টেমপ্লেটটি মূলত সরলতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবুও কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে।

• তালিকার আইটেমগুলির স্টাইল পরিবর্তন: আপনি সিএসএস ব্যবহার করে তালিকার আইটেমগুলির রঙ, ফন্ট, বা আকার পরিবর্তন করতে পারেন। তবে, এটি টেমপ্লেটের মূল কাঠামোর বাইরে করা উচিত।
• আইকন যোগ করা: প্রতিটি আইটেমের আগে একটি আইকন যোগ করা যেতে পারে, তবে এর জন্য অতিরিক্ত কোডিং প্রয়োজন হবে।

উপসংহার

টেমপ্লেট:প্লেইনলিস্ট একটি সহজ এবং কার্যকরী টেমপ্লেট যা উইকিতে দ্রুত এবং সহজে তালিকা তৈরি করার জন্য উপযুক্ত। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর তথ্য উপস্থাপন এবং শিক্ষামূলক নিবন্ধে এটি বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। এর সরলতা এবং বহুমুখীতা এটিকে উইকি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি মূল্যবান হাতিয়ার করে তুলেছে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ট্রেডিং কৌশল সম্পর্কে আরও জানতে অন্যান্য নিবন্ধগুলি দেখুন। এছাড়াও ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং চার্ট প্যাটার্নগুলিও আপনার ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

স্থল পরিবহন

স্থল পরিবহন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরিবহন মাধ্যম। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন এবং রেলপথ পরিবহন উল্লেখযোগ্য।

• সড়ক পরিবহন: বাস, গাড়ি, মোটরসাইকেল, ট্রাক ইত্যাদি সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে। এটি সবচেয়ে সহজলভ্য পরিবহন মাধ্যম, তবে এটি সময়সাপেক্ষ এবং যানজট prone।
• রেলপথ পরিবহন: ট্রেন রেলপথের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে। এটি সড়ক পরিবহনের চেয়ে দ্রুত এবং নিরাপদ, তবে এটি সীমিত সংখ্যক স্থানে চলাচল করতে পারে।

জল পরিবহন

জল পরিবহন নদী, নহর, সমুদ্র এবং মহাসাগর ব্যবহার করে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করে। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী পরিবহন মাধ্যম, তবে এটি ধীরগতির।

• নদীপথ: নৌকা, স্টিমার, বার্জ ইত্যাদি নদীপথে চলাচল করে।
• সমুদ্রপথ: জাহাজ, কার্গো জাহাজ, ট্যাঙ্কার ইত্যাদি সমুদ্রপথে চলাচল করে।

বিমান পরিবহন

বিমান পরিবহন সবচেয়ে দ্রুতগতির পরিবহন মাধ্যম। এটি বিমান, হেলিকপ্টার ইত্যাদি ব্যবহার করে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে। এটি ব্যয়বহুল হলেও দূরবর্তী স্থানে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য এটি খুবই উপযোগী।

পাইপলাইন পরিবহন

পাইপলাইন পরিবহন সাধারণত তেল, গ্যাস, এবং জল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী পরিবহন মাধ্যম।

মহাকাশ পরিবহন

মহাকাশ পরিবহন রকেট, স্পেস শাটল ইত্যাদি ব্যবহার করে মহাকাশে স্যাটেলাইট, মহাকাশযান এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পরিবহন করে।

পরিবহন ব্যবস্থার উপাদান

একটি কার্যকরী পরিবহন ব্যবস্থার জন্য নিম্নলিখিত উপাদানগুলি অপরিহার্য:

• অবকাঠামো: রাস্তা, রেলপথ, বন্দর, বিমানবন্দর ইত্যাদি।
• যানবাহন: বাস, ট্রেন, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি।
• নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
• যোগাযোগ ব্যবস্থা: পরিবহন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং সমন্বয়।
• মানব সম্পদ: চালক, প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ইত্যাদি।
• নীতি ও বিধিবিধান: পরিবহন সংক্রান্ত আইন ও নিয়মকানুন।

পরিবহন অর্থনীতির উপর প্রভাব

পরিবহন অর্থনীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

• বাণিজ্য: পরিবহন বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। পণ্য পরিবহন সহজ হলে উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্য সহজে বাজারে বিক্রি করতে পারে।
• কর্মসংস্থান: পরিবহন খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
• শিল্পের বিকাশ: পরিবহন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করে। কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের জন্য একটি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজন।
• পর্যটন: পরিবহন পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করে। পর্যটকরা সহজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পারে।
• ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব: উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা একটি দেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

পরিবহনের আধুনিক প্রবণতা

পরিবহন ব্যবস্থায় বর্তমানে বেশ কিছু আধুনিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে:

• স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা: IoT (Internet of Things) এবং AI (Artificial Intelligence) ব্যবহার করে পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট এবং কার্যকরী করা হচ্ছে।
• বৈদ্যুতিক যানবাহন: বৈদ্যুতিক গাড়ি, বৈদ্যুতিক বাস এবং বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
• স্বয়ংক্রিয় যানবাহন: চালকবিহীন গাড়ি এবং ড্রোন পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
• হাইপারলুপ: এটি একটি নতুন পরিবহন প্রযুক্তি, যেখানে ক্যাপসুলের মাধ্যমে খুব দ্রুত গতিতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা যায়।
• মাল্টিমোডাল পরিবহন: বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমকে সমন্বিত করে একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।

পরিবহন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ

পরিবহন ব্যবস্থা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়:

• যানজট: শহরগুলোতে যানজট একটি বড় সমস্যা, যা সময় এবং অর্থের অপচয় ঘটায়।
• দূষণ: পরিবহন খাত থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষণকারী গ্যাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
• দুর্ঘটনা: সড়ক, রেল এবং বিমান দুর্ঘটনায় প্রতি বছর বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
• অবকাঠামোর অভাব: অনেক দেশে উন্নত পরিবহন অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।
• অর্থনৈতিক বৈষম্য: পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে অনেক মানুষ অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
• জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবহন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা

ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত, পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ হবে বলে আশা করা যায়।

• উচ্চগতির রেল: বুলেট ট্রেন এবং হাই-স্পিড রেল ভবিষ্যতে দ্রুতগতির যাত্রী পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হবে।
• উড়ন্ত গাড়ি: ভার্টিক্যাল টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং (VTOL) প্রযুক্তি ব্যবহার করে উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, যা শহরের যানজট কমাতে সহায়ক হবে।
• হাইপারলুপ: হাইপারলুপ প্রযুক্তি ভবিষ্যতে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
• স্মার্ট ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করা হবে।
• টেকসই জ্বালানি: বায়োফুয়েল, হাইড্রোজেন ফুয়েল এবং বিদ্যুৎ এর ব্যবহার বাড়ানো হবে, যা পরিবেশ দূষণ কমাতে সহায়ক হবে।
• পরিবহন নেটওয়ার্কের ইন্টিগ্রেশন: বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমকে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে, যা যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে।

উপসংহার

পরিবহন মানব জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। আধুনিক বিশ্বে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত, পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ হবে, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ ও উন্নত করবে। এই লক্ষ্যে, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।

পরিবহনের প্রকারভেদ ও উদাহরণ

পরিবহন মাধ্যম	উদাহরণ	সুবিধা	অসুবিধা
স্থল পরিবহন	বাস, ট্রেন, গাড়ি, মোটরসাইকেল	সহজলভ্য, সাশ্রয়ী (কিছু ক্ষেত্রে)	যানজট, দূষণ, ধীরগতি (কিছু ক্ষেত্রে)
জল পরিবহন	জাহাজ, নৌকা, স্টিমার	সাশ্রয়ী, বৃহৎ পরিমাণ পণ্য পরিবহন উপযোগী	ধীরগতি, আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল
বিমান পরিবহন	বিমান, হেলিকপ্টার	দ্রুতগতি, দূরবর্তী স্থানে যাতায়াত সহজ	ব্যয়বহুল, পরিবেশ দূষণ
পাইপলাইন পরিবহন	তেল, গ্যাস, জল	নির্ভরযোগ্য, কম খরচ	নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য সীমাবদ্ধ
মহাকাশ পরিবহন	রকেট, স্পেস শাটল	মহাকাশ গবেষণা ও যোগাযোগে সহায়ক	অত্যন্ত ব্যয়বহুল, জটিল প্রযুক্তি

যোগাযোগ || অবকাঠামো উন্নয়ন || টেকসই উন্নয়ন || পরিবেশ দূষণ || যানবাহন প্রযুক্তি || পরিবহন পরিকল্পনা || ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং || ভূগোল || অর্থনীতি || আন্তর্জাতিক বাণিজ্য || সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা || নীতিনির্ধারণ || শহুরে পরিকল্পনা || গ্রামীণ পরিবহন || পাবলিক ট্রান্সপোর্ট || লোজিস্টিকস || পরিবহন নিরাপত্তা || পরিবহন আইন || ভলিউম বিশ্লেষণ || টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ || মোমেন্টাম ট্রেডিং || ব্রেকআউট কৌশল || ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ