Tax saving tips: Difference between revisions

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1
(@pipegas_WP)
 
(@pipegas_WP)
 
Line 1: Line 1:
কর সাশ্রয় টিপস
কর সাশ্রয় টিপস


[[ফাইল:Tax_saving.jpg|thumb|200px|কর সাশ্রয়ের গুরুত্ব]]
ভূমিকা


কর সাশ্রয় একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা। আমাদের সকলেরই উচিত কর সাশ্রয়ের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে অবগত থাকা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া। এই নিবন্ধে, আমরা কর সাশ্রয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে আপনার করের বোঝা কমাতে সাহায্য করবে।
কর সাশ্রয় একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা। সময় মতো সঠিক কর পরিকল্পনা করলে করের বোঝা কমানো যায় এবং বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ে। এই নিবন্ধে, বিভিন্ন কর সাশ্রয়ী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা আপনাকে আপনার ট্যাক্স বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত আয়কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্স উভয় বিষয়েই আলোকপাত করা হবে।


'''কর সাশ্রয়ের ধারণা'''
আয়কর সাশ্রয়ের সাধারণ উপায়
কর সাশ্রয় মানে হল, করের নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি এমন কিছু বিনিয়োগ বা ব্যয় করা যা করের আওতা থেকে ছাড় পেতে সাহায্য করে। এর ফলে, আপনার করযোগ্য আয় হ্রাস পায় এবং আপনাকে কম কর দিতে হয়। [[আয়কর]] একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।


'''কর সাশ্রয়ের টিপস'''
১. বিনিয়োগের মাধ্যমে কর সাশ্রয়:


১. '''বিনিয়োগের মাধ্যমে কর সাশ্রয়:'''
বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আছে যেগুলিতে বিনিয়োগ করে আপনি কর সাশ্রয় করতে পারেন। যেমন -
  * '''পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF):''' এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ যা কর সাশ্রয়ের জন্য খুবই উপযোগী। PPF-এ বিনিয়োগের পরিমাণ [[আয়কর আইন]] এর ১৬(১) ধারার অধীনে করমুক্ত। বর্তমানে, PPF-এর সুদের হারও বেশ আকর্ষণীয়।
  * '''ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS):''' মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ELSS একটি জনপ্রিয় বিকল্প। এখানে বিনিয়োগ করলে কর সাশ্রয় পাওয়া যায় এবং বাজারের [[বৈচিত্র্য]] থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে।
  * '''ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS):''' এটি অবসর গ্রহণের জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ। NPS-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। [[পেনশন]] পরিকল্পনা আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক সুরক্ষায় সহায়ক।
  * '''জীবন বীমা (Life Insurance):''' জীবন বীমা শুধুমাত্র আপনার জীবনকে সুরক্ষিত করে না, এটি কর সাশ্রয়েও সাহায্য করে। [[বীমা]] একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সুরক্ষা।
  * '''সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY):''' এটি মেয়েদের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগ করে কর সাশ্রয় করা যায়।
  * '''ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC):''' NSC একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প এবং এটি কর সাশ্রয়ে সাহায্য করে।


২. '''খরচের মাধ্যমে কর সাশ্রয়:'''
*   পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF): এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ করমুক্ত হয়। [[পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড]]
  * '''স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance):''' স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। [[স্বাস্থ্য]] সুরক্ষার জন্য এটি খুবই জরুরি।
*   ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS): মিউচুয়াল ফান্ডের এই স্কিমটি আয়কর আইনের 80C ধারার অধীনে কর ছাড় দেয়। [[ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম]]
  * '''শিক্ষা ঋণ (Education Loan):''' শিক্ষা ঋণের সুদ পরিশোধের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়।
*   ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS): এটি অবসর গ্রহণের জন্য একটি ভাল বিকল্প এবং এখানে বিনিয়োগ করে কর সাশ্রয় করা যায়। [[ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম]]
  * '''বাড়ি ঋণের সুদ (Home Loan Interest):''' বাড়ি ঋণের সুদের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়, যা আপনার করের বোঝা কমাতে সহায়ক। [[আবাসন]] একটি মৌলিক চাহিদা।
*   জীবন বীমা: জীবন বীমা পলিসিতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় পেতে পারেন। [[জীবন বীমা]]
  * '''দান (Donations):''' বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। তবে, দানের রশিদ সংরক্ষণ করা জরুরি।
*   সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: এটি মেয়ে শিশুদের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগ করে কর সাশ্রয় করা যায়। [[সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা]]
  * '''চিকিৎসা খরচ (Medical Expenses):''' কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসা খরচের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়।


৩. '''অন্যান্য কর সাশ্রয় টিপস:'''
২. খরচ সংশোধনীর মাধ্যমে কর সাশ্রয়:
  * '''কর পরিকল্পনা (Tax Planning):''' বছর শুরু হওয়ার আগে থেকেই কর পরিকল্পনা করা উচিত। এতে আপনি সময়মতো সঠিক বিনিয়োগ করতে পারবেন।
  * '''ফর্ম ১৬ (Form 16):''' আপনার নিয়োগকর্তা থেকে ফর্ম ১৬ সংগ্রহ করুন এবং এটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  * '''ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (Income Tax Return):''' সময়মতো ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিন।
  * '''কর ছাড়ের প্রমাণপত্র (Tax Deduction Proof):''' আপনার সমস্ত বিনিয়োগ এবং খরচের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে রাখুন।
  * '''বিশেষজ্ঞের পরামর্শ (Expert Advice):''' প্রয়োজন হলে কর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


'''বিভিন্ন প্রকার বিনিয়োগ এবং তাদের কর সুবিধা'''
কিছু নির্দিষ্ট খরচ আছে যেগুলি আপনি আপনার আয় থেকে বাদ দিতে পারেন, যার ফলে আপনার করযোগ্য আয় কমে যায়।


| বিনিয়োগের ধরণ | কর সুবিধা | সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা |
*  স্বাস্থ্য বীমা: স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের উপর আপনি কর ছাড় দাবি করতে পারেন। [[স্বাস্থ্য বীমা]]
|---|---|---|
*  শিক্ষা ঋণ: শিক্ষা ঋণের সুদের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। [[শিক্ষা ঋণ]]
| পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) | বিনিয়োগ এবং সুদ উভয়ই করমুক্ত | ১.৫ লক্ষ টাকা |
*  বাড়ি ভাড়া: আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তবে আপনার বাড়ি ভাড়ার একটি অংশ কর ছাড়ের জন্য বিবেচিত হতে পারে। [[বাড়ি ভাড়া]]
| ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS) | বিনিয়োগের পরিমাণ করমুক্ত | ১.৫ লক্ষ টাকা |
*  দান: বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। [[দান]]
| ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) | বিনিয়োগের উপর কর ছাড়, আংশিক withdrawal-এর উপর কর সুবিধা | ১.৫ লক্ষ টাকা (ধারা 80CCD(1B)-এর অধীনে অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা) |
| জীবন বীমা | প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় | নির্দিষ্ট সীমা নেই, তবে ধারা 80C এর অধীনে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা |
| স্বাস্থ্য বীমা | প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় | ধারা 80D-এর অধীনে নির্দিষ্ট সীমা |
| বাড়ি ঋণ | সুদের উপর কর ছাড় | নির্দিষ্ট শর্ত প্রযোজ্য |


'''টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ'''
৩. অন্যান্য কর সাশ্রয়ী উপায়:


বিনিয়োগের পূর্বে [[টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ]] এবং [[ভলিউম বিশ্লেষণ]] করা জরুরি। এই দুটি পদ্ধতি আপনাকে বাজারের গতিবিধি বুঝতে এবং সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
*  80C ধারার অধীনে বিনিয়োগ: এই ধারার অধীনে আপনি বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কর ছাড় পেতে পারেন।
*  80D ধারার অধীনে স্বাস্থ্য বীমা: এই ধারার অধীনে আপনি স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় পেতে পারেন।
*  এইচআরএ (House Rent Allowance): আপনার বেতন কাঠামোতে এইচআরএ অন্তর্ভুক্ত থাকলে, আপনি এর উপর কর ছাড় দাবি করতে পারেন। [[এইচআরএ]]
*  স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে আপনি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। [[স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন]]


* '''টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:''' এই পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক ডেটা এবং চার্ট ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়। [[চার্ট প্যাটার্ন]] এবং [[ইন্ডিকেটর]] এর মাধ্যমে বাজারের প্রবণতা বোঝা যায়।
কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয়ের উপায়
* '''ভলিউম বিশ্লেষণ:''' ভলিউম বিশ্লেষণ আপনাকে বাজারের চাহিদা এবং যোগান সম্পর্কে ধারণা দেয়। [[ভলিউম]] বৃদ্ধি বা হ্রাসের মাধ্যমে বাজারের গতিবিধি বোঝা যায়।


'''ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা'''
১. সঠিক ব্যবসায়িক কাঠামো নির্বাচন:


বিনিয়োগের ক্ষেত্রে [[ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা]] একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বিনিয়োগের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনুন, যাতে কোনো একটি বিনিয়োগে ক্ষতি হলে অন্যগুলি আপনাকে সমর্থন করতে পারে।
আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক কাঠামো নির্বাচন করা কর সাশ্রয়ের প্রথম পদক্ষেপ।


'''গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমূহ'''
*  একক মালিকানা: এই কাঠামোতে, ব্যবসার আয় সরাসরি মালিকের ব্যক্তিগত আয়ের সাথে যুক্ত হয়।
*  অংশীদারি কারবার: এই কাঠামোতে, অংশীদারদের মধ্যে লাভ-ক্ষতি ভাগ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী কর দেওয়া হয়।
*  কোম্পানি: কোম্পানি একটি পৃথক আইনি সত্তা এবং এর নিজস্ব করের হার রয়েছে। [[কোম্পানি আইন]]


* [[আয়কর বিভাগ]] (Income Tax Department)
২. ডিপ্রিসিয়েশন (Depreciation):
* [[সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)]]
* [[পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)]]
* [[ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS)]]
* [[ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS)]]
* [[জীবন বীমা]]
* [[স্বাস্থ্য বীমা]]
* [[শিক্ষা ঋণ]]
* [[বাড়ি ঋণ]]
* [[কর পরিকল্পনা]]
* [[ফর্ম ১৬]]
* [[ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন]]
* [[টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ]]
* [[ভলিউম বিশ্লেষণ]]
* [[ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা]]
* [[ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং]]
* [[বিনিয়োগের প্রকার]]
* [[বাজারের প্রবণতা]]
* [[পোর্টফোলিও বৈচিত্র্য]]
* [[আর্থিক স্বাধীনতা]]


'''উপসংহার'''
সম্পদের মূল্য হ্রাস পেলে তার উপর ডিপ্রিসিয়েশন দাবি করা যায়, যা করযোগ্য আয় কমিয়ে দেয়। [[ডিপ্রিসিয়েশন]]


কর সাশ্রয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবে আপনার বিনিয়োগ এবং খরচের পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করুন। সঠিক পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি আপনার করের বোঝা কমাতে পারেন এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। মনে রাখবেন, কর সাশ্রয় কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি আপনার আর্থিক ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
৩. গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) ব্যয়:
 
গবেষণা ও উন্নয়নে করা ব্যয় কর ছাড়ের জন্য বিবেচিত হতে পারে।
 
৪. রপ্তানি সুবিধা:
 
রপ্তানি ব্যবসার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কর সুবিধা প্রদান করে।
 
৫. কর পরিকল্পনা:
 
সময় মতো কর পরিকল্পনা করলে কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয় করা সম্ভব।
 
বিভিন্ন প্রকার ট্যাক্স এবং তাদের সাশ্রয়
 
১. ব্যক্তিগত আয়কর:
 
এটি ব্যক্তির আয়ের উপর ধার্য করা হয়। বিভিন্ন আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী করের হার ভিন্ন হয়।
 
২. কর্পোরেট ট্যাক্স:
 
এটি কোম্পানির লাভের উপর ধার্য করা হয়। কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন ছাড় এবং সুবিধা রয়েছে।
 
৩. জিএসটি (GST):
 
এটি পণ্য ও পরিষেবা কর। জিএসটি-র সঠিক হিসাব রাখা এবং সময় মতো পরিশোধ করা জরুরি। [[জিএসটি]]
 
৪. অন্যান্য কর:
 
এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য কর রয়েছে, যেমন - স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন ফি ইত্যাদি।
 
বিনিয়োগের পূর্বে বিবেচ্য বিষয়
 
*  ঝুঁকি: বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
*  লক্ষ্য: আপনার আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করা উচিত।
*  সময়কাল: বিনিয়োগের সময়কাল বিবেচনা করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সাধারণত বেশি লাভজনক হয়।
*  বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: প্রয়োজন হলে আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উচিত। [[আর্থিক উপদেষ্টা]]
 
টেবিল: বিভিন্ন বিনিয়োগ বিকল্প এবং কর ছাড়
 
{| class="wikitable"
|+ বিনিয়োগ বিকল্প | সর্বোচ্চ কর ছাড় | ধারা
| পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) | ₹1.5 লক্ষ | 80C
| ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS) | ₹1.5 লক্ষ | 80C
| ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) | ₹1.5 লক্ষ | 80CCD(1B)
| জীবন বীমা | কোনো সীমা নেই | 80C
| স্বাস্থ্য বীমা | ₹25,000 (স্বयं), ₹50,000 (পরিবার) | 80D
| শিক্ষা ঋণ | সুদ সম্পূর্ণরূপে | 80E
| দান | আয়ের 100% পর্যন্ত | 80G
|}
 
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
 
*  আয়কর আইনের নিয়মকানুন পরিবর্তনশীল। তাই, সর্বশেষ নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি।
*  কর সাশ্রয়ের জন্য ভুল তথ্য দেওয়া বা কোনো প্রকার জালিয়াতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
*  বিনিয়োগ করার আগে সমস্ত কাগজপত্র ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।
 
উপসংহার
 
কর সাশ্রয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময় মতো সঠিক পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি আপনার করের বোঝা কমাতে পারেন এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। এই নিবন্ধে উল্লিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার কর সাশ্রয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, সঠিক জ্ঞান এবং পরিকল্পনা আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে সহায়ক।
 
অভ্যন্তরীণ লিঙ্ক:
 
1.  [[পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড]]
2.  [[ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম]]
3.  [[ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম]]
4.  [[জীবন বীমা]]
5.  [[সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা]]
6.  [[স্বাস্থ্য বীমা]]
7.  [[শিক্ষা ঋণ]]
8.  [[বাড়ি ভাড়া]]
9.  [[দান]]
10. [[80C ধারা]]
11. [[80D ধারা]]
12. [[এইচআরএ]]
13. [[স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন]]
14. [[কোম্পানি আইন]]
15. [[ডিপ্রিসিয়েশন]]
16. [[জিএসটি]]
17. [[আর্থিক উপদেষ্টা]]
18. [[আয়কর আইন]]
19. [[বাজেট]]
20. [[বিনিয়োগ পরিকল্পনা]]
21. [[প্যান কার্ড]]
22. [[আধার কার্ড]]
23. [[ফর্ম 16]]
24. [[ফর্ম 12B]]
25. [[ট্যাক্স রিটার্ন]]
 
কৌশল, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ সম্পর্কিত লিঙ্ক:
 
1. [[ডাইভারসিফিকেশন]]
2. [[অ্যাসেট অ্যালোকেশন]]
3. [[ভ্যালু ইনভেস্টিং]]
4. [[গ্রোথ ইনভেস্টিং]]
5. [[টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর]]
6. [[মুভিং এভারেজ]]
7. [[আরএসআই (RSI)]]
8. [[এমএসিডি (MACD)]]
9. [[ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP)]]
10. [[ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট]]
11. [[ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন]]
12. [[সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স]]
13. [[ট্রেডিং ভলিউম]]
14. [[ব্র্রেকআউট]]
15. [[ট্রেন্ড লাইন]]


[[Category:কর_সাশ্রয়]]
[[Category:কর_সাশ্রয়]]

Latest revision as of 00:24, 24 April 2025

কর সাশ্রয় টিপস

ভূমিকা

কর সাশ্রয় একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা। সময় মতো সঠিক কর পরিকল্পনা করলে করের বোঝা কমানো যায় এবং বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ে। এই নিবন্ধে, বিভিন্ন কর সাশ্রয়ী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা আপনাকে আপনার ট্যাক্স বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত আয়কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্স উভয় বিষয়েই আলোকপাত করা হবে।

আয়কর সাশ্রয়ের সাধারণ উপায়

১. বিনিয়োগের মাধ্যমে কর সাশ্রয়:

বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আছে যেগুলিতে বিনিয়োগ করে আপনি কর সাশ্রয় করতে পারেন। যেমন -

  • পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF): এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ করমুক্ত হয়। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড
  • ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS): মিউচুয়াল ফান্ডের এই স্কিমটি আয়কর আইনের 80C ধারার অধীনে কর ছাড় দেয়। ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম
  • ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS): এটি অবসর গ্রহণের জন্য একটি ভাল বিকল্প এবং এখানে বিনিয়োগ করে কর সাশ্রয় করা যায়। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম
  • জীবন বীমা: জীবন বীমা পলিসিতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় পেতে পারেন। জীবন বীমা
  • সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: এটি মেয়ে শিশুদের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগ করে কর সাশ্রয় করা যায়। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা

২. খরচ সংশোধনীর মাধ্যমে কর সাশ্রয়:

কিছু নির্দিষ্ট খরচ আছে যেগুলি আপনি আপনার আয় থেকে বাদ দিতে পারেন, যার ফলে আপনার করযোগ্য আয় কমে যায়।

  • স্বাস্থ্য বীমা: স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের উপর আপনি কর ছাড় দাবি করতে পারেন। স্বাস্থ্য বীমা
  • শিক্ষা ঋণ: শিক্ষা ঋণের সুদের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। শিক্ষা ঋণ
  • বাড়ি ভাড়া: আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তবে আপনার বাড়ি ভাড়ার একটি অংশ কর ছাড়ের জন্য বিবেচিত হতে পারে। বাড়ি ভাড়া
  • দান: বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। দান

৩. অন্যান্য কর সাশ্রয়ী উপায়:

  • 80C ধারার অধীনে বিনিয়োগ: এই ধারার অধীনে আপনি বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কর ছাড় পেতে পারেন।
  • 80D ধারার অধীনে স্বাস্থ্য বীমা: এই ধারার অধীনে আপনি স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় পেতে পারেন।
  • এইচআরএ (House Rent Allowance): আপনার বেতন কাঠামোতে এইচআরএ অন্তর্ভুক্ত থাকলে, আপনি এর উপর কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এইচআরএ
  • স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে আপনি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন

কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয়ের উপায়

১. সঠিক ব্যবসায়িক কাঠামো নির্বাচন:

আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক কাঠামো নির্বাচন করা কর সাশ্রয়ের প্রথম পদক্ষেপ।

  • একক মালিকানা: এই কাঠামোতে, ব্যবসার আয় সরাসরি মালিকের ব্যক্তিগত আয়ের সাথে যুক্ত হয়।
  • অংশীদারি কারবার: এই কাঠামোতে, অংশীদারদের মধ্যে লাভ-ক্ষতি ভাগ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী কর দেওয়া হয়।
  • কোম্পানি: কোম্পানি একটি পৃথক আইনি সত্তা এবং এর নিজস্ব করের হার রয়েছে। কোম্পানি আইন

২. ডিপ্রিসিয়েশন (Depreciation):

সম্পদের মূল্য হ্রাস পেলে তার উপর ডিপ্রিসিয়েশন দাবি করা যায়, যা করযোগ্য আয় কমিয়ে দেয়। ডিপ্রিসিয়েশন

৩. গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) ব্যয়:

গবেষণা ও উন্নয়নে করা ব্যয় কর ছাড়ের জন্য বিবেচিত হতে পারে।

৪. রপ্তানি সুবিধা:

রপ্তানি ব্যবসার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কর সুবিধা প্রদান করে।

৫. কর পরিকল্পনা:

সময় মতো কর পরিকল্পনা করলে কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয় করা সম্ভব।

বিভিন্ন প্রকার ট্যাক্স এবং তাদের সাশ্রয়

১. ব্যক্তিগত আয়কর:

এটি ব্যক্তির আয়ের উপর ধার্য করা হয়। বিভিন্ন আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী করের হার ভিন্ন হয়।

২. কর্পোরেট ট্যাক্স:

এটি কোম্পানির লাভের উপর ধার্য করা হয়। কর্পোরেট ট্যাক্স সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন ছাড় এবং সুবিধা রয়েছে।

৩. জিএসটি (GST):

এটি পণ্য ও পরিষেবা কর। জিএসটি-র সঠিক হিসাব রাখা এবং সময় মতো পরিশোধ করা জরুরি। জিএসটি

৪. অন্যান্য কর:

এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য কর রয়েছে, যেমন - স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন ফি ইত্যাদি।

বিনিয়োগের পূর্বে বিবেচ্য বিষয়

  • ঝুঁকি: বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
  • লক্ষ্য: আপনার আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করা উচিত।
  • সময়কাল: বিনিয়োগের সময়কাল বিবেচনা করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সাধারণত বেশি লাভজনক হয়।
  • বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: প্রয়োজন হলে আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর্থিক উপদেষ্টা

টেবিল: বিভিন্ন বিনিয়োগ বিকল্প এবং কর ছাড়

সর্বোচ্চ কর ছাড় | ধারা
₹1.5 লক্ষ | 80C ₹1.5 লক্ষ | 80C ₹1.5 লক্ষ | 80CCD(1B) কোনো সীমা নেই | 80C ₹25,000 (স্বयं), ₹50,000 (পরিবার) | 80D সুদ সম্পূর্ণরূপে | 80E আয়ের 100% পর্যন্ত | 80G

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

  • আয়কর আইনের নিয়মকানুন পরিবর্তনশীল। তাই, সর্বশেষ নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি।
  • কর সাশ্রয়ের জন্য ভুল তথ্য দেওয়া বা কোনো প্রকার জালিয়াতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
  • বিনিয়োগ করার আগে সমস্ত কাগজপত্র ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।

উপসংহার

কর সাশ্রয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময় মতো সঠিক পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি আপনার করের বোঝা কমাতে পারেন এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। এই নিবন্ধে উল্লিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার কর সাশ্রয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, সঠিক জ্ঞান এবং পরিকল্পনা আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে সহায়ক।

অভ্যন্তরীণ লিঙ্ক:

1. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড 2. ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম 3. ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম 4. জীবন বীমা 5. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা 6. স্বাস্থ্য বীমা 7. শিক্ষা ঋণ 8. বাড়ি ভাড়া 9. দান 10. 80C ধারা 11. 80D ধারা 12. এইচআরএ 13. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন 14. কোম্পানি আইন 15. ডিপ্রিসিয়েশন 16. জিএসটি 17. আর্থিক উপদেষ্টা 18. আয়কর আইন 19. বাজেট 20. বিনিয়োগ পরিকল্পনা 21. প্যান কার্ড 22. আধার কার্ড 23. ফর্ম 16 24. ফর্ম 12B 25. ট্যাক্স রিটার্ন

কৌশল, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ সম্পর্কিত লিঙ্ক:

1. ডাইভারসিফিকেশন 2. অ্যাসেট অ্যালোকেশন 3. ভ্যালু ইনভেস্টিং 4. গ্রোথ ইনভেস্টিং 5. টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর 6. মুভিং এভারেজ 7. আরএসআই (RSI) 8. এমএসিডি (MACD) 9. ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP) 10. ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট 11. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন 12. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স 13. ট্রেডিং ভলিউম 14. ব্র্রেকআউট 15. ট্রেন্ড লাইন

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер
Retrieved from "https://binaryoption.wiki/bn/index.php?title=Tax_saving_tips&oldid=7448"