Discretionary income

ডিসcretionary আয়

ডিসcretionary আয় হলো একটি পরিবারের আয়ের সেই অংশ, যা জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচগুলো – যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা – বাদ দেওয়ার পরে অবশিষ্ট থাকে। এই অবশিষ্ট অর্থ মানুষ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে পারে, যেমন বিনোদন, ভ্রমণ, বিনিয়োগ অথবা সঞ্চয়। ডিসcretionary আয় একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ভোক্তাদের খরচ করার প্রবণতা-র একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

ডিসcretionary আয়ের সংজ্ঞা এবং গণনা

ডিসcretionary আয় হিসাব করার মূল সূত্রটি হলো:

ডিসcretionary আয় = মোট আয় – প্রয়োজনীয় খরচ

এখানে, মোট আয় বলতে পরিবারের সকল প্রকার আয়কে বোঝায়, যেমন বেতন, ব্যবসা থেকে আয়, বিনিয়োগের সুদ, লভ্যাংশ ইত্যাদি। অন্যদিকে, প্রয়োজনীয় খরচ বলতে সেইসব ব্যয়কে বোঝায় যা জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যক। এই খরচগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

• খাদ্য ও পানীয়
• বস্ত্র ও পাদুকা
• বাসস্থান (ভাড়া বা বন্ধকী কিস্তি)
• পরিবহন খরচ
• স্বাস্থ্যসেবা
• শিক্ষা খরচ
• ঋণ পরিশোধ (যেমন, শিক্ষা ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ)
• কর (আয়কর, সম্পত্তি কর ইত্যাদি)

ডিসcretionary আয় গণনা করার সময়, প্রয়োজনীয় খরচের সংজ্ঞা ব্যক্তি বা পরিবারের জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য খাদ্য এবং বাসস্থানের খরচ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেখানে একটি উচ্চ আয়ের পরিবারের জন্য শিক্ষা এবং বিনোদন খাতে ব্যয় বেশি হতে পারে।

ডিসcretionary আয় গণনার উদাহরণ

বিবরণ
মোট মাসিক আয়
খাদ্য ও পানীয়
বাসস্থান (ভাড়া)
পরিবহন
স্বাস্থ্যসেবা
শিক্ষা
ঋণ পরিশোধ
কর
প্রয়োজনীয় মোট খরচ
ডিসcretionary আয়

ডিসcretionary আয়ের গুরুত্ব

ডিসcretionary আয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:

• ব্যক্তিগত অর্থনীতি: ডিসcretionary আয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক। এটি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পরিষেবা উপভোগ করার সুযোগ দেয়, যা তাদের মানসিক শান্তি এবং সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে।
• অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: ডিসcretionary আয় সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যখন মানুষের হাতে বেশি ডিসcretionary আয় থাকে, তখন তারা বেশি খরচ করে, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে এবং উৎপাদনশীলতাকে উৎসাহিত করে। এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
• বিনিয়োগ: ডিসcretionary আয়ের একটি অংশ মানুষ বিনিয়োগ করতে পারে, যা পুঁজি গঠন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক। বিনিয়োগের মাধ্যমে মানুষ শেয়ার বাজার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড অথবা রিয়েল এস্টেট-এর মতো বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।
• সরকারের রাজস্ব: ডিসcretionary আয়ের উপর ভিত্তি করে সরকার বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ করতে পারে, যা সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে এবং জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা যায়।
• ভোক্তা আচরণ: ডিসcretionary আয় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা এবং খরচ করার অভ্যাস নির্ধারণ করে।

ডিসcretionary আয় এবং অর্থনৈতিক সূচক

ডিসcretionary আয় বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক নিচে উল্লেখ করা হলো:

• মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি): ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি পেলে ভোগব্যয় বাড়ে, যা জিডিপি-র একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
• ভোক্তা আস্থা সূচক: ডিসcretionary আয় স্থিতিশীল থাকলে বা বাড়লে ভোক্তাদের আস্থা বাড়ে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
• unemployment হার: ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি পেলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হয়, যা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং বেকারত্বের হার কমায়।
• মুদ্রাস্ফীতি: ডিসcretionary আয় বেশি থাকলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদার চাপ বাড়ে।

ডিসcretionary আয়কে প্রভাবিত করার কারণসমূহ

ডিসcretionary আয় বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এই কারণগুলোকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

• আয়-সংশ্লিষ্ট কারণ:

 * বেতন বৃদ্ধি: বেতন বাড়লে মানুষের ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি পায়।
 * বোনাস এবং অন্যান্য সুবিধা: বোনাস বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পেলে ডিসcretionary আয় বাড়ে।
 * বিনিয়োগ থেকে আয়: লভ্যাংশ, সুদ, এবং মূলধন লাভ থেকে প্রাপ্ত আয় ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি করে।
 * ব্যবসার আয়: ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত লাভ ডিসcretionary আয় বাড়াতে সহায়ক।

• ব্যয়-সংশ্লিষ্ট কারণ:

 * জীবনযাত্রার খরচ: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় খরচ বাড়লে ডিসcretionary আয় কমে যায়।
 * করের হার: করের হার বাড়লে ডিসcretionary আয় হ্রাস পায়।
 * ঋণ পরিশোধ: ঋণের কিস্তি পরিশোধের পরিমাণ বাড়লে ডিসcretionary আয় কমে যায়।
 * অপ্রত্যাশিত খরচ: আকস্মিক অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে অপ্রত্যাশিত খরচ হলে ডিসcretionary আয় কমে যেতে পারে।

ডিসcretionary আয় ব্যবস্থাপনার কৌশল

ডিসcretionary আয় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব। নিচে কিছু কৌশল আলোচনা করা হলো:

• বাজেট তৈরি: একটি বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা উচিত।
• সঞ্চয়: নিয়মিতভাবে ডিসcretionary আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করা উচিত। এটি ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
• বিনিয়োগ: সঞ্চিত অর্থ বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা উচিত, যেমন স্টক, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, অথবা রিয়েল এস্টেট।
• ঋণ হ্রাস: উচ্চ সুদের ঋণগুলো দ্রুত পরিশোধ করার চেষ্টা করা উচিত, যাতে ঋণের বোঝা কমে যায় এবং ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি পায়।
• খরচ কমানো: অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো কমিয়ে ডিসcretionary আয় বাড়ানো সম্ভব।
• আর্থিক পরিকল্পনা: দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং ডিসcretionary আয়

বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি উচ্চ-ঝুঁকির বিনিয়োগ, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ডিসcretionary আয় বাড়ানোর একটি উপায় হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের (যেমন, মুদ্রা, শেয়ার, কমোডিটি) দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। যদি অনুমান সঠিক হয়, তবে বিনিয়োগকারী লাভ পান, অন্যথায় তিনি বিনিয়োগ করা অর্থ হারান।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সাফল্যের জন্য প্রয়োজন:

• বাজার বিশ্লেষণ: টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ-এর মাধ্যমে বাজারের গতিবিধি বোঝা।
• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ এবং স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা।
• মানসিক নিয়ন্ত্রণ: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
• ধৈর্য: তাড়াহুড়ো না করে সঠিক সুযোগের জন্য অপেক্ষা করা।

ডিসcretionary আয়ের একটি ছোট অংশ বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগ করা যেতে পারে, তবে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত।

উপসংহার

ডিসcretionary আয় একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ধারণা, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সুযোগকে প্রভাবিত করে। সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডিসcretionary আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব, যা আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়ক। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মতো বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও, এক্ষেত্রে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ বাজেট খরচ আয় মুদ্রাস্ফীতি বেকারত্ব জিডিপি শেয়ার বাজার বন্ড মিউচুয়াল ফান্ড রিয়েল এস্টেট টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ ভলিউম বিশ্লেষণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাইনারি অপশন ট্রেডিং স্টক কমোডিটি মুদ্রা কর

অথবা ।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ