Classful Addressing
Classful Addressing
Classful Addressing হল আইপি ঠিকানা (IP Address)-এর একটি পুরনো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের আকার অনুযায়ী আইপি ঠিকানাগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হতো। প্রতিটি শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বিট নেটওয়ার্ক আইডি এবং হোস্ট আইডি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই পদ্ধতিটি বর্তমানে CIDR (Classless Inter-Domain Routing)-এর কারণে প্রায় বিলুপ্তপ্রায়, তবুও নেটওয়ার্কিংয়ের মৌলিক ধারণা হিসেবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ।
Classful Addressing-এর ইতিহাস
Classful Addressing ১৯৭০-এর দশকে ARPANET-এর সময় প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই সময় ইন্টারনেটের আকার ছোট ছিল এবং নেটওয়ার্কের সংখ্যাও কম ছিল। তাই আইপি ঠিকানা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সরল পদ্ধতি প্রয়োজন ছিল। Classful Addressing এই চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু ইন্টারনেটের দ্রুত সম্প্রসারণের সাথে সাথে এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
Classful Addressing-এর শ্রেণীসমূহ
Classful Addressing-কে মূলত পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: ক্লাস A, ক্লাস B, ক্লাস C, ক্লাস D এবং ক্লাস E। এদের মধ্যে প্রথম তিনটি শ্রেণী (A, B, C) নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্লাস D এবং E বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। নিচে এই শ্রেণীগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ক্লাস A
- প্রথম বিট: ০
- নেটওয়ার্ক বিট: ৮ বিট
- হোস্ট বিট: ২৪ বিট
- মোট ঠিকানা সংখ্যা: ১৬,৭৭৭,২১৬ (2^24)
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস A নেটওয়ার্কগুলো বড় আকারের নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই শ্রেণীতে খুব কম সংখ্যক নেটওয়ার্ক আইডি থাকে, কিন্তু প্রতিটি নেটওয়ার্কে অনেক হোস্ট থাকতে পারে।
- উদাহরণ: ১০.০.০.০ থেকে ১০.২৫৫.২৫৫.২৫৫ পর্যন্ত।
- ব্যবহার: সাধারণত বৃহৎ কর্পোরেট নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) দ্বারা ব্যবহৃত হয়।
ক্লাস B
- প্রথম বিট: ১০
- নেটওয়ার্ক বিট: ১৬ বিট
- হোস্ট বিট: ১৬ বিট
- মোট ঠিকানা সংখ্যা: ৬5,৫৩৬ (2^16)
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস B নেটওয়ার্কগুলো মাঝারি আকারের নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত। এটি ক্লাস A থেকে বেশি সংখ্যক নেটওয়ার্ক আইডি এবং কম সংখ্যক হোস্ট প্রদান করে।
- উদাহরণ: ১৭২.১৬.০.০ থেকে ১৭২.৩১.২৫৫.২৫৫ পর্যন্ত।
- ব্যবহার: মাঝারি আকারের ব্যবসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।
ক্লাস C
- প্রথম বিট: ১১০
- নেটওয়ার্ক বিট: ২৪ বিট
- হোস্ট বিট: ৮ বিট
- মোট ঠিকানা সংখ্যা: ২৫৬ (2^8)
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস C নেটওয়ার্কগুলো ছোট আকারের নেটওয়ার্কের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নেটওয়ার্ক আইডি প্রদান করে, কিন্তু প্রতিটি নেটওয়ার্কে হোস্টের সংখ্যা সীমিত।
- উদাহরণ: ১৯২.১৬৮.০.০ থেকে ১৯২.১৬৮.২৫৫.২৫৫ পর্যন্ত।
- ব্যবহার: ছোট অফিস, হোম নেটওয়ার্ক বা ছোট ব্যবসার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।
ক্লাস D
- প্রথম বিট: ১১১০
- বৈশিষ্ট্য: মাল্টিকাস্ট গ্রুপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: ২২৪.০.০.০ থেকে ২৩৯.২৫৫.২৫৫.২৫৫ পর্যন্ত।
ক্লাস E
- প্রথম বিট: ১১১১০
- বৈশিষ্ট্য: পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত।
- উদাহরণ: ২৪০.০.০.০ থেকে ২৫৫.২৫৫.২৫৫.২৫৫ পর্যন্ত।
Classful Addressing-এর অসুবিধা
Classful Addressing-এর প্রধান অসুবিধাগুলো হলো:
- আইপি ঠিকানা (IP Address)-এর অপচয়: Classful Addressing-এ নেটওয়ার্কের আকার নির্দিষ্ট করা থাকে, যার ফলে অনেক সময় আইপি ঠিকানা অব্যবহৃত থেকে যায়।
- স্কেলেবিলিটির অভাব: ইন্টারনেটের দ্রুত সম্প্রসারণের সাথে সাথে Classful Addressing-এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- রাউটিং টেবিলের আকার বৃদ্ধি: Classful Addressing-এ রাউটিং টেবিলের আকার বড় হয়ে যায়, যা রাউটিং প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
Classful এবং Classless Addressing-এর মধ্যে পার্থক্য
| বৈশিষ্ট্য | Classful Addressing | Classless Addressing (CIDR) | |---|---|---| | নেটওয়ার্কের বিভাজন | নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বিভক্ত | যেকোনো আকারের নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায় | | আইপি ঠিকানা ব্যবহার | অপচয় হতে পারে | দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যায় | | স্কেলেবিলিটি | কম | বেশি | | রাউটিং টেবিলের আকার | বড় | ছোট | | সাবনেটিং | জটিল | সহজ |
সাবনেটিং (Subnetting)
সাবনেটিং (Subnetting) হল একটি নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার প্রক্রিয়া। Classful Addressing-এ সাবনেটিং তুলনামূলকভাবে জটিল ছিল। প্রতিটি শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট সাবনেট মাস্ক (Subnet Mask) ব্যবহার করতে হতো।
- Class A: ২৫৫.০.০.০
- Class B: ২৫৫.২৫৫.০.০
- Class C: ২৫৫.২৫৫.২৫৫.০
সাবনেট মাস্ক ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক আইডি এবং হোস্ট আইডি আলাদা করা হতো।
Classful Addressing-এর উদাহরণ
ধরা যাক, একটি কোম্পানিকে একটি ক্লাস C নেটওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে: ১৯২.১৬৮.১.০/২৪। এই নেটওয়ার্কটিতে ২৫৬টি আইপি ঠিকানা রয়েছে। যদি কোম্পানিটি নেটওয়ার্কটিকে দুটি সাবনেটে ভাগ করতে চায়, তবে সাবনেট মাস্ক হবে ২৫৫.২৫৫.২৫৫.১২৮। এর ফলে দুটি সাবনেট তৈরি হবে:
- ১৯২.১৬৮.১.০ - ১৯২.১৬৮.১.১২৭
- ১৯২.১৬৮.১.১২৮ - ১৯২.১৬৮.১.২৫৫
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক
যদিও Classful Addressing সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং (Binary Option Trading)-এর সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে নেটওয়ার্কিং এবং ডেটা ট্রান্সমিশনের ধারণাগুলো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বুঝতে সহায়ক হতে পারে। দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেটা ট্রান্সমিশন ট্রেডিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি নেটওয়ার্কিংয়ের মূল ভিত্তি।
নেটওয়ার্কিংয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা
- ডিএনএস (DNS): ডোমেইন নেইম সিস্টেম।
- টিসিপি/আইপি (TCP/IP): ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল/ইন্টারনেট প্রোটোকল।
- রাউটিং (Routing): ডেটা প্যাকেটকে গন্তব্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া।
- ফায়ারওয়াল (Firewall): নেটওয়ার্ককে ক্ষতিকারক অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে।
- ভিএলএএন (VLAN): ভার্চুয়াল লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক।
- এনএটি (NAT): নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্রান্সলেশন।
- ডায়নামিক আইপি অ্যাড্রেসিং (Dynamic IP Addressing): স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইপি ঠিকানা বরাদ্দ করা।
- স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেসিং (Static IP Addressing): স্থায়ী আইপি ঠিকানা ব্যবহার করা।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ
- মুভিং এভারেজ (Moving Average): ট্রেন্ড সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- আরএসআই (RSI): রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স, যা ওভারবট এবং ওভারসোল্ড অবস্থা নির্দেশ করে।
- MACD (MACD): মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স, যা ট্রেন্ড পরিবর্তন সনাক্ত করে।
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করে।
- ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP): ভলিউমের উপর ভিত্তি করে গড় মূল্য নির্ণয় করে।
- অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV): ভলিউম এবং মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
কৌশল
- মার্টিংগেল কৌশল (Martingale Strategy): ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ করে বাজি ধরা।
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল সনাক্ত করা।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং (Breakout Trading): নির্দিষ্ট লেভেল থেকে দামের উল্লম্ফন চিহ্নিত করা।
- পিনি বার কৌশল (Pin Bar Strategy): ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে ট্রেড করা।
Classful Addressing বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত না হলেও, নেটওয়ার্কিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলো বোঝার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। CIDR-এর আবির্ভাবের সাথে সাথে আইপি ঠিকানা ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে Classful Addressing-এর ধারণাগুলো আজও প্রাসঙ্গিক।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
