Butterfly Strategy

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি একটি বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল যা সীমিত ঝুঁকি এবং সীমিত লাভের সম্ভাবনা প্রদান করে। এই কৌশলটি সাধারণত সেইসব ট্রেডারদের জন্য উপযুক্ত যারা বাজারের একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করেন। এটি একটি neutral strategy, অর্থাৎ বাজারের দিক সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট পূর্বাভাস না থাকলেও এই কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি কি?

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি হলো তিনটি ভিন্ন স্ট্রাইক প্রাইসের অপশন ব্যবহার করে গঠিত একটি কৌশল। এই স্ট্র্যাটেজিতে, একটি 'বডি' অপশন থাকে যা অন্য দুটি 'উইং' অপশন দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। বডি অপশনটি সাধারণত অ্যাট-দ্য-মানি (at-the-money) স্ট্রাইক প্রাইসে থাকে, যেখানে উইং অপশন দুটি ইন-দ্য-মানি (in-the-money) এবং আউট-দ্য-মানি (out-of-the-money) স্ট্রাইক প্রাইসে থাকে।

এই কৌশলটির নামকরণ করা হয়েছে প্রজাপতির ডানার আকৃতির সাথে মিল রেখে, যেখানে বডি অপশনটি প্রজাপতির শরীর এবং উইং অপশন দুটি ডানার প্রতিনিধিত্ব করে।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি কিভাবে কাজ করে?

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি মূলত বাজারের স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে। যখন ট্রেডার মনে করেন যে দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকবে, তখন তারা এই কৌশলটি ব্যবহার করেন।

  • কল বাটারফ্লাই (Call Butterfly): এই ক্ষেত্রে, তিনটি কল অপশন ব্যবহার করা হয়। একটি অ্যাট-দ্য-মানি কল অপশন বিক্রি করা হয় এবং দুটি উইং কল অপশন কেনা হয়। একটি উইং অপশনটি কম স্ট্রাইক প্রাইসে এবং অন্যটি বেশি স্ট্রাইক প্রাইসে থাকে।
  • পুট বাটারফ্লাই (Put Butterfly): এখানে তিনটি পুট অপশন ব্যবহার করা হয়। একটি অ্যাট-দ্য-মানি পুট অপশন বিক্রি করা হয় এবং দুটি উইং পুট অপশন কেনা হয়। একটি উইং অপশনটি কম স্ট্রাইক প্রাইসে এবং অন্যটি বেশি স্ট্রাইক প্রাইসে থাকে।

যদি মেয়াদপূর্তির তারিখে বাজারের দাম বডি অপশনের স্ট্রাইক প্রাইসের কাছাকাছি থাকে, তাহলে ট্রেডার সর্বোচ্চ লাভ করেন। যদি দাম উইং অপশনগুলোর বাইরে চলে যায়, তবে ট্রেডার শুধুমাত্র উইং অপশনগুলোর প্রিমিয়াম থেকে লাভ করেন, যা তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের একটি অংশ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি তৈরির নিয়ম

একটি বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি তৈরির নিয়ম
পদক্ষেপ বিবরণ
তিনটি অপশন নির্বাচন করুন: একটি অ্যাট-দ্য-মানি এবং দুটি উইং অপশন। বডি অপশন বিক্রি করুন: অ্যাট-দ্য-মানি অপশনটি বিক্রি করুন। উইং অপশন কিনুন: কম এবং বেশি স্ট্রাইক প্রাইসের দুটি উইং অপশন কিনুন। নেট প্রিমিয়াম গণনা করুন: উইং অপশন কেনার খরচ এবং বডি অপশন বিক্রির প্রাপ্তি থেকে নেট প্রিমিয়াম গণনা করুন। ব্রেকইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করুন: এই স্ট্র্যাটেজির ব্রেকইভেন পয়েন্টগুলো বের করুন।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজির উদাহরণ

ধরা যাক, একটি স্টকের দাম ১০০ টাকা। একজন ট্রেডার একটি বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে চান। তিনি নিম্নলিখিত অপশনগুলি নির্বাচন করেন:

  • ১০০ টাকার স্ট্রাইক প্রাইসের একটি কল অপশন বিক্রি করেন, যার জন্য তিনি ৫ টাকা প্রিমিয়াম পান।
  • ৯৫ টাকার স্ট্রাইক প্রাইসের একটি কল অপশন কেনেন, যার জন্য তিনি ১০ টাকা খরচ করেন।
  • ১০৫ টাকার স্ট্রাইক প্রাইসের একটি কল অপশন কেনেন, যার জন্য তিনি ৫ টাকা খরচ করেন।

এই ক্ষেত্রে, নেট প্রিমিয়াম হবে: ৫ - ১০ - ৫ = -১০ টাকা।

যদি মেয়াদপূর্তির তারিখে স্টকের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি থাকে, তাহলে ট্রেডার লাভবান হবেন। যদি দাম ১০০ টাকার উপরে বা নিচে চলে যায়, তবে ট্রেডার ক্ষতি স্বীকার করবেন।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজির সুবিধা

  • সীমিত ঝুঁকি: এই কৌশলে ঝুঁকির পরিমাণ আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা থাকে।
  • সীমিত লাভ: লাভের সম্ভাবনাও সীমিত, তবে বাজারের স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে ভালো রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
  • কম প্রিমিয়াম খরচ: অন্যান্য জটিল অপশন কৌশলের তুলনায় এটি কম প্রিমিয়াম খরচ করে।
  • নমনীয়তা: এই কৌশলটি বিভিন্ন মেয়াদ এবং স্ট্রাইক প্রাইসের অপশন ব্যবহার করে তৈরি করা যায়।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজির অসুবিধা

  • সীমিত লাভ: লাভের সম্ভাবনা সীমিত হওয়ায়, বড় ধরনের বাজার মুভমেন্ট থেকে লাভবান হওয়া যায় না।
  • কমিশন খরচ: একাধিক অপশন ট্রেড করার কারণে কমিশন খরচ বেশি হতে পারে।
  • সময় সংবেদনশীল: এই কৌশলটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাভজনক হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
  • জটিলতা: নতুন ট্রেডারদের জন্য এই কৌশলটি বোঝা কঠিন হতে পারে।

কখন বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করবেন?

  • যখন আপনি আশা করেন যে বাজারের দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকবে।
  • যখন আপনি কম ঝুঁকি নিয়ে ট্রেড করতে চান।
  • যখন আপনি বাজারের দিক সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
  • যখন আপনি প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে চান।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজির প্রকারভেদ

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজির কিছু ভিন্নতা রয়েছে, যা ট্রেডারদের তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কৌশলটি কাস্টমাইজ করতে সাহায্য করে:

  • আয়রন বাটারফ্লাই (Iron Butterfly): এই কৌশলে কল এবং পুট উভয় অপশন ব্যবহার করা হয়। এটি বাজারের স্থিতিশীলতার উপর আরও বেশি নির্ভর করে।
  • ডাবল বাটারফ্লাই (Double Butterfly): এই কৌশলে দুটি বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি একসাথে ব্যবহার করা হয়, যা লাভের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
  • ব্রোকেন বাটারফ্লাই (Broken Butterfly): এই কৌশলে উইং অপশনগুলোর স্ট্রাইক প্রাইস সমান দূরত্বে থাকে না।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজিতে ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন: যদি বাজার আপনার প্রত্যাশার বিপরীতে চলে যায়, তাহলে স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে আপনার ক্ষতি সীমিত করুন।
  • পজিশন সাইজিং: আপনার ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের আকারের উপর ভিত্তি করে পজিশন সাইজ নির্ধারণ করুন।
  • ডাইভারসিফিকেশন: আপনার পোর্টফোলিওকে বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করে ডাইভারসিফাই করুন।
  • বাজার বিশ্লেষণ: ট্রেড করার আগে বাজারের অবস্থা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ উভয়ই ব্যবহার করুন।

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি এবং অন্যান্য কৌশল

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি অন্যান্য অপশন ট্রেডিং কৌশলের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • স্ট্র্যাডল (Straddle): স্ট্র্যাডল হলো একটি neutral strategy, যেখানে একই স্ট্রাইক প্রাইসের কল এবং পুট অপশন কেনা হয়। বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি স্ট্র্যাডলের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ। স্ট্র্যাডল
  • স্ট্র্যাংগল (Strangle): স্ট্র্যাংগল হলো স্ট্র্যাডলের মতো, তবে এখানে ভিন্ন স্ট্রাইক প্রাইসের কল এবং পুট অপশন কেনা হয়। বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি স্ট্র্যাংগলের চেয়েও কম ঝুঁকিপূর্ণ। স্ট্র্যাংগল
  • কন্ডর (Condor): কন্ডর হলো একটি নিরপেক্ষ কৌশল, যা চারটি অপশন ব্যবহার করে গঠিত। বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি কন্ডরের একটি সরল রূপ। কন্ডর অপশন
  • স্প্রেড (Spread): বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি একটি জটিল স্প্রেড কৌশল, যা একাধিক অপশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। অপশন স্প্রেড

উপসংহার

বাটারফ্লাই স্ট্র্যাটেজি একটি কার্যকর কৌশল, যা বাজারের স্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে সীমিত ঝুঁকি এবং সীমিত লাভের সম্ভাবনা প্রদান করে। এই কৌশলটি নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ট্রেডারদের জন্য উপযুক্ত, তবে এটি ব্যবহারের আগে ভালোভাবে বোঝা এবং অনুশীলন করা জরুরি। সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বাজার বিশ্লেষণ করে, এই কৌশলটি থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।

অপশন ট্রেডিং বাইনারি অপশন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ভলিউম বিশ্লেষণ মার্কেট সেন্টিমেন্ট ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ পজিশন ট্রেডিং ডে ট্রেডিং সুইং ট্রেডিং অপশন চেইন ইম্প্লাইড ভোলাটিলিটি গ্রিকস (অপশন) মানি ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং সাইকোলজি ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন চার্ট প্যাটার্ন ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট মুভিং এভারেজ আরএসআই (RSI)

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер