80 জি
৮০ জি
ভূমিকা
আয়কর আইন, ১৯61-এর ৮০জি ধারাটি ভারতে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই ধারাটি ব্যক্তি এবং সংস্থা উভয়কেই তাদের করযোগ্য আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ছাড়ের সুযোগ দেয়, যা তারা বিভিন্ন যোগ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে। এই অনুদানগুলি সাধারণত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো সামাজিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। ৮০জি ধারার অধীনে কর ছাড়ের পরিমাণ অনুদানের ধরনের উপর নির্ভর করে।
৮০জি ধারার ইতিহাস
আয়কর আইন, ১৯61 প্রণয়নের পর থেকে ৮০জি ধারাটি বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এই সংশোধনীগুলির উদ্দেশ্য ছিল দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুদানকে উৎসাহিত করা এবং সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করা। সময়ের সাথে সাথে, এই ধারার অধীনে ছাড়ের সীমা এবং যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে।
৮০জি ধারার অধীনে কর ছাড়ের যোগ্যতা
এই ধারার অধীনে কর ছাড় পেতে হলে, কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। সেগুলি হল:
- অনুদানটি একটি যোগ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রদান করতে হবে।
- অনুদানটি নগদ অথবা চেক অথবা অনলাইন পদ্ধতিতে প্রদান করা যেতে পারে।
- অনুদান প্রদানের রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে।
- কিছু ক্ষেত্রে, অনুদানের পরিমাণ করযোগ্য আয়ের ৫০% এর বেশি হতে পারবে না।
যোগ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান
৮০জি ধারার অধীনে কর ছাড় পাওয়ার জন্য, অনুদান প্রদান করা প্রতিষ্ঠানটিকে যোগ্য হতে হবে। সাধারণত, নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলি এই ধারার অধীনে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়:
- সরকার কর্তৃক গঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
- বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
- গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
- দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থা।
- পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা।
- ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (কিছু শর্তসাপেক্ষে)।
অনুদান এবং ছাড়ের প্রকার
বিভিন্ন ধরনের অনুদানের জন্য ৮০জি ধারার অধীনে বিভিন্ন হারে কর ছাড় পাওয়া যায়। নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো:
| অনুদানের প্রকার | ছাড়ের হার | শর্ত |
| ১০০% ছাড় | কোনো সীমা নেই | প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল, রাজ্য সরকার কর্তৃক গঠিত ত্রাণ তহবিল, ইত্যাদি। |
| ৫০% ছাড় | করযোগ্য আয়ের ১০% পর্যন্ত | স্বীকৃত দাতব্য প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইত্যাদি। |
| ১০০% ছাড় | কোনো সীমা নেই | জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল, ইত্যাদি। |
| বিশেষ ছাড় | নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা, গ্রামীণ উন্নয়ন, ইত্যাদি। |
৮০জি এবং বাইনারি অপশন: একটি সম্পর্ক
যদিও ৮০জি ধারাটি মূলত দাতব্য অনুদানের সাথে সম্পর্কিত, তবে বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সাথে এর একটি পরোক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। একজন বাইনারি অপশন ট্রেডার তার উপার্জনের একটি অংশ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে ৮০জি ধারার অধীনে কর ছাড় পেতে পারেন। এটি কর সাশ্রয়ের একটি বৈধ উপায়। তবে, বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ, এবং ট্রেডারদের উচিত তাদের ঝুঁকির ক্ষমতা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা।
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মৌলিক ধারণা
বাইনারি অপশন হলো একটি আর্থিক উপকরণ যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পাবে নাকি হ্রাস পাবে তা অনুমান করে। যদি তাদের অনুমান সঠিক হয়, তবে তারা একটি পূর্বনির্ধারিত পরিমাণ লাভ পান। অন্যথায়, তারা তাদের বিনিয়োগ হারান। বাইনারি অপশন ট্রেডিং সহজলভ্য এবং দ্রুত লাভের সুযোগ প্রদান করে, তবে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল
সফল বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে:
- টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস: চার্ট এবং নির্দেশক ব্যবহার করে বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা।
- ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস: অর্থনৈতিক সূচক এবং খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নেওয়া।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি ট্রেডের জন্য স্টপ-লস সেট করা এবং পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করা।
- মানি ম্যানেজমেন্ট: ট্রেডিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা এবং তা কঠোরভাবে অনুসরণ করা।
- ট্রেন্ড ফলোয়িং: বাজারের প্রবণতা অনুসরণ করে ট্রেড করা।
- রেঞ্জ ট্রেডিং: একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বাজারের ওঠানামা থেকে লাভবান হওয়া।
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ঝুঁকি
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সাথে জড়িত কিছু ঝুঁকি রয়েছে:
- উচ্চ ঝুঁকি: বিনিয়োগের সম্পূর্ণ পরিমাণ হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
- বাজারের অস্থিরতা: বাজারের অপ্রত্যাশিত ওঠানামা ট্রেডারদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- প্রতারণার ঝুঁকি: কিছু ব্রোকার প্রতারণামূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
- মানসিক চাপ: দ্রুত ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপ ট্রেডারদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
৮০জি ধারার অধীনে অনুদান প্রদানের নিয়মাবলী
- অনুদানকারীকে অবশ্যই ভারতীয় আয়কর আইনের অধীনে করযোগ্য ব্যক্তি হতে হবে।
- অনুদানটি অবশ্যই একটি বৈধ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রদান করতে হবে।
- অনুদান প্রদানের রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে অনুদানের পরিমাণ এবং প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে।
- কিছু ক্ষেত্রে, অনুদানের পরিমাণ করযোগ্য আয়ের একটি নির্দিষ্ট শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
- অনলাইন অনুদানের ক্ষেত্রে, নিশ্চিত করুন যে আপনার ব্রাউজারটি সুরক্ষিত এবং আপনি একটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে দান করছেন।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সুযোগ প্রদান করে। কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো:
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের নির্দেশক (Indicators)
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক ব্যবহার করা হয়:
- Moving Average
- Relative Strength Index (RSI)
- Moving Average Convergence Divergence (MACD)
- Bollinger Bands
- Stochastic Oscillator
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ভলিউম এবং প্রবণতা (Trend)
ট্রেডিং ভলিউম এবং প্রবণতা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক। উচ্চ ভলিউম সাধারণত বাজারের শক্তিশালী প্রবণতা নির্দেশ করে। প্রবণতা অনুসরণ করে ট্রেড করা একটি জনপ্রিয় কৌশল।
৮০জি ধারার সুবিধা
- কর সাশ্রয়: দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে করযোগ্য আয় কমানো যায়।
- সামাজিক উন্নয়ন: দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করে সমাজের উন্নয়নে সহায়তা করা যায়।
- স্বীকৃতি: কিছু ক্ষেত্রে, দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদানকারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৮০জি ধারার অসুবিধা
- জটিলতা: এই ধারার নিয়মাবলী জটিল হতে পারে, এবং সঠিকভাবে বোঝা কঠিন হতে পারে।
- যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অভাব: সব দাতব্য প্রতিষ্ঠান ৮০জি ধারার অধীনে যোগ্য নয়।
- সীমা: কিছু ক্ষেত্রে, অনুদানের পরিমাণের উপর সীমা থাকে।
উপসংহার
আয়কর আইনের ৮০জি ধারাটি দাতব্য অনুদানকে উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। বাইনারি অপশন ট্রেডাররা তাদের উপার্জনের একটি অংশ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে এই ধারার অধীনে কর ছাড় পেতে পারেন। তবে, বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ, এবং ট্রেডারদের উচিত তাদের ঝুঁকির ক্ষমতা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা।
আরও তথ্য
- আয়কর বিভাগ, ভারত সরকার
- দাতব্য প্রতিষ্ঠানসমূহ
- বাইনারি অপশন ট্রেডিং গাইড
- টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস টিউটোরিয়াল
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (ন্যূনতম জমা $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (ন্যূনতম জমা $5)
আমাদের কমিউনিটিতে যোগ দিন
আমাদের Telegram চ্যানেল @strategybin সাবস্ক্রাইব করুন: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সিগন্যাল ✓ একচেটিয়া কৌশল বিশ্লেষণ ✓ মার্কেট ট্রেন্ডের অ্যালার্ট ✓ নবীনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

