বাংলাদেশের সংবিধান

বাংলাদেশের সংবিধান

ভূমিকা

সংবিধান হলো একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামো, সরকারের কার্যাবলী, এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। বাংলাদেশের সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান সভা কর্তৃক গৃহীত এবং কার্যকর করা হয়। এই সংবিধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

সংবিধান প্রণয়নের পটভূমি

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়, যা ড. অনুপম সেন-এর সভাপতিত্ত্বে কাজ শুরু করে। এই কমিটি দীর্ঘ deliberations এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবিধানের পর্যালোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে। পরবর্তীতে, সংবিধান সভায় এই খসড়া সংবিধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সংশোধনের পর তা গৃহীত হয়।

সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

• গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র: বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।
• সার্বভৌমত্ব: বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন ও সার্বভৌম।
• একক রাষ্ট্র: এটি একটি একক রাষ্ট্র, যেখানে কেন্দ্র সরকারের কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত।
• সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা: বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় প্রকৃতির, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান।
• মৌলিক অধিকার: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন - বাকস্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার ইত্যাদি।
• ধর্মীয় স্বাধীনতা: ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হলেও অন্যান্য ধর্ম পালনেও সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে।
• ভাষা: বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সংবিধানের কাঠামো

সংবিধানের মূল কাঠামো নিম্নলিখিত অংশে বিভক্ত:

বাংলাদেশের সংবিধানের কাঠামো

বিষয়বস্তু |
সংবিধানের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য |	প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও জাতীয় পরিচিতি |	মৌলিক অধিকার |	রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি |	আইন বিভাগ |	নির্বাহী বিভাগ |	বিচার বিভাগ |	নির্বাচন |	সংবিধান সংশোধন |	অন্যান্য বিধান |

সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ

• প্রস্তাবনা: সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
• মৌলিক অধিকার: সংবিধানের দ্বিতীয় অংশে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক সুরক্ষিত। এর মধ্যে রয়েছে জীবনের অধিকার, শারীরিক নিরক্ষরতা থেকে মুক্তি, দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রম থেকে মুক্তি, আইনের দৃষ্টিতে সমতা, বৈষম্য থেকে মুক্তি, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও প্রকাশনার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, গতিশীলতার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন বা সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ইত্যাদি।
• রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: তৃতীয় অংশে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো বর্ণিত হয়েছে, যা সরকারের নীতি নির্ধারণে সহায়ক। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
• আইন বিভাগ: চতুর্থ অংশে জাতীয় সংসদ বা আইন বিভাগের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
• নির্বাহী বিভাগ: পঞ্চম অংশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা সহ নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করা হয়েছে।
• বিচার বিভাগ: ষষ্ঠ অংশে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য আদালতের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সংবিধানের সংশোধনী

বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৫টি সংশোধনী প্রস্তাবিত হয়েছে, যার মধ্যে কিছু গৃহীত এবং কিছু বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংশোধনীগুলো হলো:

• দ্বিতীয় সংশোধনী: ১৯৭৩ সালে ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পরিবর্তন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
• চতুর্থ সংশোধনী: ১৯৭৫ সালে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়।
• পঞ্চম সংশোধনী: ১৯৭৯ সালে চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি পুনরুদ্ধার করা হয়।
• অষ্টম সংশোধনী: ১৯৮৮ সালে সামরিক আইন ও জরুরি অবস্থার সময় জারি করা অধ্যাদেশগুলোকে সংবিধানের বৈধতা দেওয়া হয়।
• ত্রয়োদশ সংশোধনী: ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়।
• পঞ্চদশ সংশোধনী: ২০১১ সালে আরো কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যা সংবিধানের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

সংবিধানের গুরুত্ব

বাংলাদেশের সংবিধান একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে এবং সরকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী নির্ধারণ করে। সংবিধানে বর্ণিত নীতি ও আদর্শগুলো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সহায়ক।

সংবিধান ও বাইনারি অপশন ট্রেডিং (সম্পর্কিত কৌশল, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ)

যদিও বাংলাদেশের সংবিধান এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবুও একটি স্থিতিশীল ও সুসংগঠিত রাষ্ট্র কাঠামো বিনিয়োগের পরিবেশকে অনুকূল করে তোলে। একটি সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো এবং বিনিয়োগকারীদের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা থাকলে, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ পছন্দ করেন।

এখানে কিছু কৌশল, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণের লিঙ্ক দেওয়া হলো যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য সহায়ক হতে পারে:

১. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস ২. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ৩. মুভিং এভারেজ ৪. আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স) ৫. এমএসিডি (মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স) ৬. বলিঙ্গার ব্যান্ডস ৭. ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট ৮. ভলিউম অ্যানালাইসিস ৯. বাইনারি অপশন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি ১০. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ১১. মানি ম্যানেজমেন্ট ১২. ট্রেডিং সাইকোলজি ১৩. ব্রোকার নির্বাচন ১৪. ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার ১৫. মার্কেট সেন্টিমেন্ট ১৬. অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার ১৭. নিউজ ট্রেডিং ১৮. প্যাটার্ন ট্রেডিং ১৯. ট্রেণ্ড ট্রেডিং ২০. রেঞ্জ ট্রেডিং

উপসংহার

বাংলাদেশের সংবিধান একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে। এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখায়। সংবিধানে বর্ণিত নীতি ও আদর্শগুলো মেনে চললে, বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারবে।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ