জাতীয় সংসদ

জাতীয় সংসদ

ভূমিকা

জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের একক legislative branch বা আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। এটি বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে গঠিত এবং এর মূল কাজ হলো দেশের জন্য আইন তৈরি করা। জাতীয় সংসদ দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা এবং এখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এই সংসদ গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।

সংবিধান ও গঠন

বাংলাদেশের সংবিধানের ৬২ থেকে ৭৫ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের গঠন, সদস্য সংখ্যা, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ একটি কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা। সংসদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৩০০ জন, যার মধ্যে ২৫০ জন সদস্য সরাসরি নির্বাচন-এর মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং ৫০টি আসন নারী সংসদ সদস্য-দের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া, সংবিধানের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দুইজন সংসদ সদস্য মনোনীত হতে পারেন।

জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা

সদস্যের প্রকার
সরাসরি নির্বাচিত সদস্য | ২৫০ |
	৫০ |
২ |
৩০০ |

সংসদের কার্যকাল ও নির্বাচন

জাতীয় সংসদের কার্যকাল সাধারণত পাঁচ বছর। তবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংসদের মেয়াদ বিলুপ্ত করতে পারেন। সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করে। সাধারণত, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটাররা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন স্পিকার এবং একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন। স্পিকার সংসদের প্রধান এবং তিনি বিতর্কের নিয়মাবলী নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেপুটি স্পিকার স্পিকারের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করেন। স্পিকার সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সংসদের কার্যাবলী

জাতীয় সংসদের প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ:

• আইন প্রণয়ন: দেশের জন্য নতুন আইন তৈরি এবং বিদ্যমান আইন সংশোধন করার ক্ষমতা জাতীয় সংসদের রয়েছে।
• বাজেট অনুমোদন: সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয় এবং সংসদের অনুমোদনের পরেই তা কার্যকর করা যায়।
• সরকারের নিয়ন্ত্রণ: সংসদ সরকারের কাজকর্মের উপর নজর রাখে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
• আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন: আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তি করার আগে জাতীয় সংসদের অনুমোদন নেয়া আবশ্যক।
• সংবিধান সংশোধন: সংবিধানের কিছু অংশ সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়।

সংসদের অভ্যন্তরের কার্যক্রম

সংসদের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

• প্রশ্ন জিজ্ঞাসা: সংসদ সদস্যরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
• আলোচনা: বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।
• বিল উত্থাপন ও গ্রহণ: সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন বিল উত্থাপন করেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে তা গ্রহণ করা হয়।
• সমালোচনা: সংসদ সদস্যরা সরকারের নীতি ও কাজকর্মের সমালোচনা করতে পারেন।

সংসদীয় কমিটি

জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি রয়েছে। এই কমিটিগুলো নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কাজ করে এবং সংসদকে রিপোর্ট প্রদান করে। যেমন:

• অর্থ কমিটি: বাজেট এবং আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে।
• আইন কমিটি: আইন প্রণয়ন এবং পর্যালোচনার কাজ করে।
• বহিঃসম্পর্ক কমিটি: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং চুক্তি নিয়ে কাজ করে।
• সরকারি হিসাব কমিটি: সরকারের আর্থিক লেনদেন নিরীক্ষা করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে জাতীয় সংসদের সম্পর্ক (বিশেষ সংযোজন)

যদিও জাতীয় সংসদ এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন এবং আর্থিক বাজারের উপর নজরদারির ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল আর্থিক বিনিয়োগ, এবং এই সংক্রান্ত নীতি ও নিয়মাবলী প্রণয়নে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সংসদের মাধ্যমে উপযুক্ত আইন তৈরি করা যেতে পারে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ উচ্চ ঝুঁকি থাকে, তাই বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি predict করা যায়।
• ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ অর্থনৈতিক সূচক এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
• ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণ বাজারের trend বুঝতে সহায়ক।
• মানি ম্যানেজমেন্ট: মানি ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
• ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন: ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্যবহার করে price action বোঝা যায়।
• সমর্থন ও প্রতিরোধ স্তর: সমর্থন ও প্রতিরোধ স্তর price movement-এর সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা দেয়।
• মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ trend identification-এর জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি indicator।
• আরএসআই (RSI): আরএসআই overbought এবং oversold পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
• MACD: MACD trend পরিবর্তনের সংকেত দেয়।
• ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট সম্ভাব্য support এবং resistance level চিহ্নিত করে।
• বোলিঙ্গার ব্যান্ড: বোলিঙ্গার ব্যান্ড volatility পরিমাপ করে।
• স্টোকাস্টিক অসিলেটর: স্টোকাস্টিক অসিলেটর price momentum বিশ্লেষণ করে।
• Elliott Wave Theory: Elliott Wave Theory বাজারের cyclical pattern বোঝার চেষ্টা করে।
• Chart Pattern: Chart Pattern ভবিষ্যৎ price movement সম্পর্কে ধারণা দেয়।

এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

সংসদের ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ

জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া-কে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, সংসদের কার্যক্রমে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন:

• অনিয়মিত অধিবেশন: সংসদের অধিবেশন প্রায়শই নিয়মিত হয় না, যা আইন প্রণয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
• বিরোধীদের অনুপস্থিতি: অনেক সময় বিরোধী দলীয় সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন না, যা সংসদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।
• মানসিক পরিবেশ: সংসদের অভ্যন্তরে প্রায়শই অস্থির পরিস্থিতি দেখা যায়, যা সুস্থ বিতর্কের পথে অন্তরায়।
• দুর্নীতি: সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়, যা সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।

সংসদকে শক্তিশালী করার উপায়

সংসদকে শক্তিশালী করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

• অধিবেশন নিয়মিত করা: সংসদের অধিবেশনগুলো নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
• বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা: বিরোধী দলীয় সদস্যদের সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে উৎসাহিত করা উচিত।
• সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা: সংসদের অভ্যন্তরে সুস্থ বিতর্কের পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
• দুর্নীতি দমন: সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
• সংসদ সদস্যদের প্রশিক্ষণ: সংসদ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।
• জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: সংসদীয় কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

উপসংহার

জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সংসদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর সংসদ তৈরি করা জরুরি। এটি দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে সহায়ক হবে।

সংবিধান সরকার নির্বাচন কমিশন স্পিকার ডেপুটি স্পিকার আইন বাজেট সংসদীয় কমিটি গণতন্ত্র রাষ্ট্রপতি ভোটার নারী সংসদ সদস্য অর্থনীতি বাইনারি অপশন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ ভলিউম বিশ্লেষণ মানি ম্যানেজমেন্ট

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ