ফারুক (অভিনেতা)

ফারুক (জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন এবং অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

ফারুকের আসল নাম ফয়জুর রহমান ফারুক। তিনি ১৯৪২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এইচ. এম. নুরুল ইসলাম এবং মায়ের নাম লায়লা বেগম। ফারুক ১৯৫৮ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

ফারুকের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬১ সালে বাহানা চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তবে, ১৯৬৪ সালে জলছবি চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পর তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর তিনি একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিজের স্থান করে নেন।

ফারুক প্রায় ১৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে:

জলছবি (১৯৬৪)
সুতরাং ধরুন (১৯৭২)
হাঁ울ি বাতাস (১৯৭৩)
গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮)
মহানায়ক (১৯৮০)
লাঠিয়াল (১৯৮৩)
পেনশন (১৯৮৫)
দুই ভাই (১৯৮৮)
কপাল (১৯৯৩)

ফারুক শুধু একজন অভিনেতা ছিলেন না, তিনি একজন সফল পরিচালক এবং প্রযোজকও ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন এবং প্রযোজনা করেছেন।

অভিনয় শৈলী

ফারুকের অভিনয় শৈলী ছিল খুবই স্বাভাবিক এবং সাবলীল। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। তার সংলাপ delivery এবং body language তাকে অন্যান্য অভিনেতাদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। তিনি ছিলেন একজন versatile অভিনেতা, যিনি একই সাথে অ্যাকশন, রোমান্স এবং কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

ফারুক তার কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

বাচসাস পুরস্কার (১৯৭২) - সুতরাং ধরুন চলচ্চিত্রের জন্য
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৫) - লাঠিয়াল চলচ্চিত্রের জন্য
একুশে পদক (২০১৬) - অভিনয় শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য
জীবনব্যাপী সম্মাননা পুরস্কার (২০১৮) - চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি

রাজনৈতিক জীবন

ফারুক ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ-এর হয়ে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

ফারুক ১৯৭৮ সালে ডিপান্বিতাকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে, যার নাম আহনাফ ফারুক।

ফারুকের চলচ্চিত্রযাত্রা এবং বাংলা চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট

ফারুকের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় এমন এক সময়ে, যখন বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির সোনালী যুগ চলছিল। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক-এর মতো প্রখ্যাত নির্মাতারা চলচ্চিত্রকে নতুন পথে চালিত করছিলেন। এই সময়ে, ফারুকের মতো অভিনেতারা চলচ্চিত্রে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেন। তিনি রহমান, রাজ্জাক এর মতো অভিনেতাদের সাথে পর্দা ভাগ করেছেন এবং বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ফারুক অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা
চলচ্চিত্র	বছর	পরিচালক
জলছবি	১৯৬৪	হান্নান চৌধুরী
সুতরাং ধরুন	১৯৭১	বাদল রহমান
হাঁউলি বাতাস	১৯৭৩	বাদল রহমান
গোলাপী এখন ট্রেনে	১৯৭৮	আজমল হুদা
মহানায়ক	১৯৮০	দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
লাঠিয়াল	১৯৮৩	নরেশ ভৌমিক
পেনশন	১৯৮৫	আমজাদ হোসেন

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক (রূপক অর্থে)

যদিও ফারুক একজন অভিনেতা, তার কর্মজীবনের কিছু বৈশিষ্ট্যকে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

ঝুঁকি গ্রহণ (Risk Management): একজন অভিনেতার জীবনে, প্রতিটি নতুন চরিত্র একটি ঝুঁকি। ফারুক বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তার ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতার প্রমাণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, বিনিয়োগকারীরা তাদের ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করে ট্রেড করে।
সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত (Timing): চলচ্চিত্রে, একটি দৃশ্যের সঠিক সময়ে সংলাপ বলা বা অভিনয় করা জরুরি। তেমনি, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, সঠিক সময়ে ট্রেড করা (call বা put অপশন নির্বাচন করা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এবং ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে এই সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয়।
পোর্টফোলিওDiversification (বৈচিত্র্য): ফারুক বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন - অ্যাকশন, রোমান্স, কমেডি। এটি তার পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য এনেছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করে পোর্টফোলিও Diversification করা উচিত, যাতে ঝুঁকি কমানো যায়।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ (Long Term Investment): ফারুক দীর্ঘ ছয় দশক ধরে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, যা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের একটি উদাহরণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করে ট্রেড করলে লাভের সম্ভাবনা বাড়ে।
ভলিউম অ্যানালাইসিস (Volume Analysis): চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা এবং দর্শকের প্রতিক্রিয়া ভলিউম বিশ্লেষণের মতো। কোন চলচ্চিত্রে দর্শকের আগ্রহ বেশি, তা বিশ্লেষণ করে প্রযোজকরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, ভলিউম অ্যানালাইসিস করে মার্কেটের গতিবিধি বোঝা যায়। ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং মুভিং এভারেজ এর মাধ্যমে ভলিউম বিশ্লেষণ করা হয়।
ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি (Trading Strategy): ফারুক প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও, সফল হওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি প্রয়োজন। মার্টিংগেল স্ট্র্যাটেজি, পেনট্রেশন স্ট্র্যাটেজি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি রয়েছে।
ঝুঁকি-রিটার্ন অনুপাত (Risk-Reward Ratio): প্রতিটি চলচ্চিত্রের বাজেট এবং প্রত্যাশিত আয় একটি ঝুঁকি-রিটার্ন অনুপাত তৈরি করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, প্রতিটি ট্রেডের ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য রিটার্ন বিবেচনা করা উচিত।
মানসিক শৃঙ্খলা (Discipline): একজন অভিনেতাকে তার চরিত্রে অবিচল থাকতে হয়, যা মানসিক শৃঙ্খলার পরিচয়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেড করা জরুরি। মানসিক প্রস্তুতি এবং ধৈর্য এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
বাজার বিশ্লেষণ (Market Analysis): চলচ্চিত্রের বাজার বিশ্লেষণ করে ফারুক তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও, বাজার বিশ্লেষণ করে ট্রেড করা উচিত। অর্থনৈতিক সূচক এবং রাজনৈতিক ঘটনা বাজারের গতিবিধিতে প্রভাব ফেলে।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল (Support and Resistance Level): চলচ্চিত্রের গল্পের বাঁকগুলো সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলের মতো কাজ করে, যা দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করে ট্রেড করা যায়।
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্টের মতো হতে পারে, যা গল্পের গভীরতা বাড়ায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট ব্যবহার করে সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল নির্ণয় করা যায়।
বুলিশ এবং বিয়ারিশ ট্রেন্ড (Bullish and Bearish Trend): চলচ্চিত্রের গল্পের গতিবিধি বুলিশ বা বিয়ারিশ ট্রেন্ডের মতো হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, বুলিশ এবং বিয়ারিশ ট্রেন্ড চিহ্নিত করে ট্রেড করা যায়।
অলিং এবং রিলিং (Rallying and Rolling): চলচ্চিত্রের ক্লাইম্যাক্স অলিং এবং রিলিংয়ের মতো কাজ করে, যা দর্শকদের উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, মার্কেটের এই ধরনের মুভমেন্টগুলি ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে।
ডাবল টপ এবং ডাবল বটম (Double Top and Double Bottom): চলচ্চিত্রের গল্পের মোড়গুলো ডাবল টপ এবং ডাবল বটমের মতো হতে পারে, যা দর্শকদের আকর্ষণ ধরে রাখে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, এই ধরনের প্যাটার্নগুলি ট্রেডিংয়ের সংকেত দেয়।
ব্র breakouts এবং পুলব্যাকস (Breakouts and Pullbacks): চলচ্চিত্রের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো ব্র breakouts এবং পুলব্যাকসের মতো হতে পারে, যা গল্পকে নতুন দিকে নিয়ে যায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, এই ধরনের মুভমেন্টগুলি ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে।

আরও দেখুন

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ