ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার।

প্রতিষ্ঠা ও প্রেক্ষাপট

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল স্থানীয় জনগণের মধ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত করার একটি প্রতিক্রিয়া। তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল পূর্ববাংলার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু সেখানে আসন সংখ্যা কম থাকায় অনেকেই শিক্ষা গ্রহণে বঞ্চিত হতেন। এই পরিস্থিতিতে পূর্ববাংলায় একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯১২ সালের ২ জুলাই স্যার চার্লস এলিয়ট, তখন বাংলার গভর্নর ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের সম্মতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন।

প্রাথমিক পর্যায়

প্রতিষ্ঠার শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদ ছিল: কলা, বিজ্ঞান ও আইন। প্রথম দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম মূলত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত ছিল। ধীরে ধীরে নিজস্বতা অর্জনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বায়ত্তশাসন লাভ করে এবং নিজস্ব পরীক্ষা ও ডিগ্রি প্রদান শুরু করে।

অনুষদ ও বিভাগসমূহ

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ এবং ৬২টি বিভাগ রয়েছে। প্রতিটি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি স্তরের শিক্ষা প্রদান করা হয়। নিচে অনুষদগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ
কলা অনুষদ
বিজ্ঞান অনুষদ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
আইন অনুষদ
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
জীববিজ্ঞান অনুষদ
শিক্ষা অনুষদ
ভাষা ও সাহিত্য অনুষদ
ফার্মাসি অনুষদ
চারুকলা অনুষদ
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান অনুষদ

উল্লেখযোগ্য বিভাগ

অর্থনীতি বিভাগ: দেশের অর্থনীতিবিদ তৈরিতে এই বিভাগটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আইন বিভাগ: আইন পেশায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি অন্যতম পছন্দের বিভাগ।
চিকিৎসা অনুষদ: দেশের স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে এই অনুষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ: প্রকৌশল শিক্ষায় উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ: কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এই বিভাগ কাজ করে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রায় ৭,০০০ শিক্ষক এবং প্রায় ৪৬,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। এখানকার শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা ও আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

গ্রন্থাগার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার দেশের বৃহত্তম গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে লক্ষাধিক বই, জার্নাল এবং অন্যান্য পাঠ্য উপকরণ রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে গ্রন্থাগারটিকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়েছে।

গবেষণা কার্যক্রম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ক্ষেত্রেও বেশ সক্রিয়। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। গবেষণা পত্রিকা ও সেমিনার নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে, যা নিয়মিতভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, পহেলা বৈশাখ ও Victory Day বিশেষভাবে পালিত হয়। এখানকার ভাস্কর্য ও স্থাপত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আধুনিকীকরণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বর্তমান সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিকীকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপান্তরের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মূলত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তবে এর শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ফিনান্স এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল বিনিয়োগ পদ্ধতি। এই বিষয়ে কিছু মৌলিক ধারণা নিচে দেওয়া হলো:

বাইনারি অপশন কি?*: বাইনারি অপশন হলো একটি আর্থিক চুক্তি যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের (যেমন: স্টক, মুদ্রা, কমোডিটি) দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করেন। যদি অনুমান সঠিক হয়, তবে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ পান, অন্যথায় তিনি বিনিয়োগ করা অর্থ হারান।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা*: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই, এখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগের পূর্বে ভালোভাবে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ করতে হবে।

কৌশল*: কিছু জনপ্রিয় বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল রয়েছে, যেমন:

   *ট্রেন্ড ট্রেডিং*: বাজারের ট্রেন্ড অনুসরণ করে ট্রেড করা।
   *রেঞ্জ ট্রেডিং*: একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে দামের ওঠানামা করে ট্রেড করা।
   *মার্টিংগেল কৌশল*: ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ করে পরবর্তী ট্রেডে বাজি ধরা। (এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ)

প্ল্যাটফর্ম*: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর জন্য অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো: Binary.com, IQ Option ইত্যাদি।

শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ*: বাইনারি অপশন ট্রেডিং শুরু করার আগে ভালোভাবে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। অনেক অনলাইন কোর্স এবং রিসোর্স রয়েছে যা এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন এবং ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ধরনের আর্থিক বাজারের ধারণা থাকা দরকার।

উপসংহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। সময়ের সাথে সাথে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। [[Category:

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ