নিউটন
নিবন্ধ শুরু:
নিউটন
স্যার আইজ্যাক নিউটন ছিলেন একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, আলকেমিস্ট এবং ধর্মতত্ত্ববিদ। তাঁকে সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিউটনের কাজের মূল ভিত্তি ছিল গতিসূত্র এবং মহাকর্ষ সূত্র। এই সূত্রগুলো পদার্থবিজ্ঞান এবং প্রকৌশল এর ভিত্তি স্থাপন করেছে।
জীবন ও কর্মজীবন
আইজ্যাক নিউটন ১৬৪৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর (জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) উল্স্থর্প-বাই-কোল্স্টারওয়ার্থ, লিঙ্কনশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, আইজ্যাক নিউটন সিনিয়র, ছিলেন একজন কৃষক। নিউটনের মা, হান্না আইস্কফ, তাঁর জন্মের কয়েক মাস পরেই মারা যান। নিউটন তাঁর নানীর কাছে বড় হন।
১২ বছর বয়সে নিউটনকে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়-এর ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে তিনি গণিত এবং দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৬৬১ সালে তিনি স্নাতক এবং ১৬৬৪ সালে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন।
১৬৬৫ থেকে ১৬৬৭ সাল পর্যন্ত, নিউটন তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেন। এই সময়কালে, তিনি ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন, রঙের তত্ত্ব এবং মহাকর্ষ সূত্র এর প্রাথমিক ধারণা তৈরি করেন। ১৬৮৭ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত বই "ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা" (Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica) প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি তাঁর গতিসূত্র এবং মহাকর্ষ সূত্র বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।
নিউটন ১৬৮৭ থেকে ১৭০৩ সাল পর্যন্ত রয়্যাল সোসাইটি-র সভাপতি ছিলেন এবং রয়্যাল মিন্ট-এর ওয়ার্ডেন হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ১৭২৭ সালের ৩১ মার্চ লন্ডনে মারা যান এবং ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
নিউটনের সূত্রাবলী
নিউটনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র রয়েছে, যা শাস্ত্রীয় বলবিদ্যা-র ভিত্তি স্থাপন করেছে:
| সূত্র ১ | স্থির বস্তু স্থির থাকতে চায় এবং গতিশীল বস্তু সরলরেখায় সমবেগে চলতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো বাহ্যিক বল তার ওপর প্রযুক্ত হয়। একে জড়তার সূত্রও বলা হয়। |
| সূত্র ২ | বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে, ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে। (F = ma) |
| সূত্র ৩ | প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। |
মহাকর্ষ সূত্র
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র অনুসারে, দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বল তাদের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। এই সূত্রটি মহাবিশ্বের বস্তুগুলোর গতিবিধি ব্যাখ্যা করতে সহায়ক।
F = Gm₁m₂/r²
এখানে,
- F হল মহাকর্ষ বল।
- G হল মহাকর্ষীয় ধ্রুবক।
- m₁ এবং m₂ হল দুটি বস্তুর ভর।
- r হল বস্তুদ্বয়ের মধ্যে দূরত্ব।
ক্যালকুলাস
নিউটন গটফ্রিড উইলহেম লাইবনিজের সাথে স্বাধীনভাবে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন। ক্যালকুলাস হলো গণিতের একটি শাখা যা পরিবর্তনশীল রাশিগুলোর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। এটি পদার্থবিজ্ঞান, প্রকৌশল, অর্থনীতি এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অন্তরকলন এবং সমাকলন ক্যালকুলাসের দুটি প্রধান অংশ।
আলোর তত্ত্ব
নিউটন বিশ্বাস করতেন যে আলো কণা দ্বারা গঠিত। তিনি তাঁর "অপটিক্স" (Opticks) বইতে আলোর কণা তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, আলো ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি যা সরলরেখায় ভ্রমণ করে। যদিও পরবর্তীতে ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব প্রস্তাব করেন, নিউটনের কণা তত্ত্ব দীর্ঘকাল ধরে প্রভাবশালী ছিল।
আলকেমি এবং ধর্মতত্ত্ব
বিজ্ঞান ছাড়াও, নিউটন আলকেমি এবং ধর্মতত্ত্ব নিয়েও আগ্রহী ছিলেন। তিনি অনেক সময় আলকেমি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং সোনার রানি তৈরির চেষ্টা করেছেন। তিনি বাইবেল এবং ধর্মীয় বিষয়েও প্রচুর লেখালেখি করেছেন।
নিউটনের প্রভাব
নিউটনের কাজ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি-র ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাঁর সূত্রগুলো গতিবিদ্যা, মহাকাশ বিজ্ঞান, এবং প্রকৌশল-এর ভিত্তি স্থাপন করেছে। নিউটনের ক্যালকুলাস গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান-এর অগ্রগতিতে সহায়ক হয়েছে।
- ভরবেগ
- শক্তি
- কার্য
- তাপগতিবিদ্যা
- বিদ্যুৎ চুম্বকত্ব
- আপেক্ষিকতা তত্ত্ব
- কোয়ান্টাম বলবিদ্যা
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
- মহাবিশ্বের গঠন
- ব্ল্যাক হোল
- মহাকর্ষীয় তরঙ্গ
- স্পেস-টাইম
- আলোর বেগ
- ফোটন
- তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা
- ন্যানোপ্রযুক্তি
- বায়োফিজিক্স
- কম্পিউটার বিজ্ঞান
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- রোবোটিক্স
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক
যদিও নিউটনের কাজ সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে তাঁর সূত্রগুলো ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্যতা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, একজন ট্রেডার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। এই অনুমান করার জন্য পরিসংখ্যান, সম্ভাব্যতা তত্ত্ব, এবং গণিত-এর জ্ঞান প্রয়োজন। নিউটনের সূত্রগুলো আমাদের প্রাকৃতিক ঘটনা এবং বাজারের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে, যা ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হতে পারে।
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ
- ভলিউম বিশ্লেষণ
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- মানি ম্যানেজমেন্ট
- চার্ট প্যাটার্ন
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
- মুভিং এভারেজ
- আরএসআই (Relative Strength Index)
- এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence)
- বলিঙ্গার ব্যান্ড
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট
- সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স
- ট্রেডিং সাইকোলজি
- মার্টিংগেল কৌশল
নিউটনের কাজ আমাদের কারণ এবং প্রভাব-এর মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, প্রতিটি ট্রেডিং সিদ্ধান্তের একটি কারণ থাকে এবং তার একটি প্রভাব থাকে। নিউটনের সূত্রগুলো ব্যবহার করে, ট্রেডাররা তাদের সিদ্ধান্তের প্রভাব মূল্যায়ন করতে পারে এবং লাভজনক ট্রেডিং করার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
