থমাস আলভা এডিসন
এখানে থমাস আলভা এডিসন নিয়ে একটি পেশাদার বাংলা নিবন্ধ দেওয়া হলো, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের প্রেক্ষাপটে উদ্ভাবন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাথে সংযোগ স্থাপন করে:
থমাস আলভা এডিসন
থমাস আলভা এডিসন (১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭ – ১৮ অক্টোবর ১৯৩১) ছিলেন একজন মার্কিন উদ্ভাবক ও ব্যবসায়ী। তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা উদ্ভাবক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৮৭৯ সালে প্রথম সফল বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। এডিসন শুধু একজন উদ্ভাবক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সফল উদ্যোক্তা যিনি তাঁর উদ্ভাবনগুলিকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছিলেন।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
থমাস আলভা এডিসন ১৮৪৭ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ওহাইওর মিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা স্যামুয়েল ওগল এডিসন জুনিয়র ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং মা ন্যান্সি ম্যাথিউস এডিসন ছিলেন একজন শিক্ষিকা। শৈশবে এডিসন স্কুলে খুব ভালো ছাত্র ছিলেন না। তিনি পড়াশোনার চেয়ে হাতে-কলমে কাজ করতে বেশি ভালোবাসতেন। সাত বছর বয়সে তিনি স্কুলেdropout করেন এবং মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করেন।
এডিসন খুব অল্প বয়সেই বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু করেন। তিনি সংবাদপত্র বিক্রি করতেন এবং রেলপথের স্টেশনে কাজ করতেন। এই সময়েই তিনি টেলিগ্রাফের প্রতি আগ্রহী হন এবং টেলিগ্রাফ অপারেটরের কাজ শেখেন।
কর্মজীবন
১৮৬৯ সালে এডিসন বোস্টনে নিজের প্রথম বৈদ্যুতিক উদ্ভাবন তৈরি করেন - একটি বৈদ্যুতিক ভোট গণনাকারী যন্ত্র। যদিও এটি তেমন সাফল্য পায়নি, এটি ছিল তাঁর উদ্ভাবনী কর্মজীবনের শুরু। এরপর তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে যান এবং সেখানে একটি টেলিগ্রাফ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
- বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবন:*
এডিসনের সবচেয়ে বিখ্যাত উদ্ভাবন হলো বৈদ্যুতিক বাতি। এর আগে অনেক বিজ্ঞানী বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের বাতিগুলো বেশি সময় ধরে জ্বলতো না। এডিসন এমন একটি বাতি তৈরি করতে সক্ষম হন যা প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে পারত। ১৮৭৯ সালের ২১শে অক্টোবর এডিসন তাঁর প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জনসম্মুখে প্রদর্শন করেন। এই উদ্ভাবন বৈদ্যুতিক বিপ্লব শুরু করে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
- মেনলো পার্ক:*
বৈদ্যুতিক বাতির সাফল্যের পর এডিসন নিউ জার্সির মেনলো পার্কে একটি পরীক্ষাগার স্থাপন করেন। এই পরীক্ষাগারটি ছিল বিশ্বের প্রথম শিল্প গবেষণা কেন্দ্র। এখানে এডিসন এবং তাঁর সহকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতেন। মেনলো পার্কে এডিসন ফোনোগ্রাফ, মোশন পিকচার ক্যামেরা এবং বৈদ্যুতিক পাওয়ার জেনারেটর-এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন করেন।
| উদ্ভাবন | বছর | বর্ণনা | |
| বৈদ্যুতিক বাতি | ১৮৭৯ | ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলতে সক্ষম প্রথম ব্যবহারিক বৈদ্যুতিক বাতি। | |
| ফোনোগ্রাফ | ১৮৭৭ | শব্দ রেকর্ড এবং পুনরায় চালানোর যন্ত্র। | |
| মোশন পিকচার ক্যামেরা | ১৮৯১ | চলমান ছবি ধারণ করার যন্ত্র। | |
| বৈদ্যুতিক পাওয়ার জেনারেটর | ১৮৮২ | বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র। | |
| কার্বন মাইক্রোফোন | ১৮৭৭ | টেলিফোনের জন্য উন্নত মাইক্রোফোন। | |
| টেলিগ্রাফ | ১৮৬৪ | দূরবর্তী স্থানে বার্তা প্রেরণের যন্ত্র। |
উদ্ভাবন এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক
থমাস আলভা এডিসনের জীবন এবং কাজ ঝুঁকি গ্রহণ, উদ্ভাবন এবং সফলতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ঝুঁকি গ্রহণ:* এডিসন তাঁর কর্মজীবনে অসংখ্যবার ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু তিনি কখনোই হাল ছাড়েননি। প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন এবং নতুন করে চেষ্টা করেছেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও ঝুঁকি থাকে। প্রতিটি ট্রেড একটি বাজি, যেখানে লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনই লোকসানের ঝুঁকিও বিদ্যমান। সফল ট্রেডাররা বুঝেশুনে ঝুঁকি নেয় এবং ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
- উদ্ভাবন:* এডিসন শুধু বিদ্যমান প্রযুক্তিকে উন্নত করেননি, তিনি নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও উদ্ভাবনী কৌশল এবং টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ প্রয়োজন। মার্কেটের গতিবিধি বোঝা এবং নতুন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা সফল ট্রেডারদের বৈশিষ্ট্য।
- সফলতা:* এডিসনের উদ্ভাবনগুলি মানুষের জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে ধারাবাহিক সফলতা পেতে হলে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা।
এডিসনের ব্যবসায়িক জীবন
এডিসন শুধু একজন উদ্ভাবক ছিলেন না, একজন চতুর ব্যবসায়ীও ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে তাঁর উদ্ভাবনগুলিকে বাণিজ্যিক সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে হয়। তিনি ১৮৭৮ সালে এডিসন ইলেকট্রিক লাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে জেনারেল ইলেকট্রিক (General Electric) নামে পরিচিত হয়।
এডিসন বিদ্যুতের বাণিজ্যিকীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং শহরগুলিতে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করেন। তিনি বিদ্যুতের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তোলেন এবং মানুষের জীবনযাত্রায় এর গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
থমাস আলভা এডিসন ১৮৭১ সালে মেরি স্টিলওয়েলকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন সন্তান ছিল: মারিওন এডিসন, টমাস এডিসন জুনিয়র এবং উইলিয়াম লেসলি এডিসন। মেরি এডিসনের মৃত্যুর পর ১৮৮৬ সালে এডিসন মিনা মিলারকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি সন্তান ছিল: চার্লস এডিসন।
এডিসন ছিলেন একজন কর্মনিষ্ঠ মানুষ। তিনি প্রায় সবসময়ই তাঁর পরীক্ষাগারে কাজ করতেন। তিনি খুব কম ঘুমানো এবং অল্প খাবার খাওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।
উত্তরাধিকার
থমাস আলভা এডিসন ১৯৩১ সালের ১৮ই অক্টোবর ৮৪ বছর বয়সে নিউ জার্সির ওয়েস্ট অরেঞ্জে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর উদ্ভাবনগুলি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলে।
এডিসনের অবদান আজও স্মরণীয়। তিনি শুধু একজন বিজ্ঞানী ছিলেন না, ছিলেন একজন দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন নেতা যিনি ভবিষ্যৎকে দেখতে পারতেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতেন।
- এডিসনের পেটেন্ট:* এডিসন তাঁর জীবনকালে ১,০৯৩টি মার্কিন পেটেন্ট অর্জন করেন। এটাই ছিল সেই সময়ের জন্য একটি রেকর্ড।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ
- টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর: বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলি (যেমন মুভিং এভারেজ, আরএসআই, এমএসিডি) ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা যায়।
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন: ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলো বাজারের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে এবং ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
- ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণ করে বাজারের চাহিদা এবং যোগান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- মানি ম্যানেজমেন্ট: বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে সফল হওয়ার জন্য সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরি।
- ঝুঁকি-রিটার্ন অনুপাত: প্রতিটি ট্রেডের ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য রিটার্নের অনুপাত বিবেচনা করা উচিত।
- বাজারের প্রবণতা: বাজারের সামগ্রিক প্রবণতা (আপট্রেন্ড, ডাউনট্রেন্ড, সাইডওয়েজ) বোঝা দরকার।
- সমর্থন এবং প্রতিরোধ: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো চিহ্নিত করে ট্রেডিংয়ের সুযোগ খুঁজে বের করা যায়।
- ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট লেভেলগুলো সম্ভাব্য রিভার্সাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
- বোলিঙ্গার ব্যান্ড: এই ইন্ডিকেটরটি বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
- স্টোকাস্টিক অসিলেটর: এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর, যা ওভারবট এবং ওভারসোল্ড কন্ডিশন নির্দেশ করে।
- বাইনারি অপশন স্ট্র্যাটেজি: বিভিন্ন ধরনের বাইনারি অপশন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি রয়েছে, যেমন স্ট্র্যাডল, স্ট্র্যাঙ্গল, বাটারফ্লাই ইত্যাদি।
- ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম: নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ব্রোকার নির্বাচন: লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং বিশ্বস্ত ব্রোকার নির্বাচন করা উচিত।
- ডেমো অ্যাকাউন্ট: প্রথমে ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করা ভালো।
- মানসিক дисциплиিন: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দেখুন
তথ্যসূত্র
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
