তানজানিয়া
তানজানিয়া
তানজানিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ। এর সরকারি নাম তানজানিয়া প্রজাতন্ত্র। দেশটির পূর্বে ভারত মহাসাগর, উত্তরে উগান্ডা ও কেনিয়া, পশ্চিমে রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং দক্ষিণে মালাউই ও জাম্বিয়া অবস্থিত। আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম দেশ এটি। দেশটির আয়তন ৯,৪৭,৩০০ বর্গকিলোমিটার। তানজানিয়ার রাজধানী ডোডোমা এবং বৃহত্তম শহর দারুস সালাম।
ইতিহাস
তানজানিয়ার ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং জটিল। এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে বantu জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বসবাস করত। এরপর আরব বণিকরা এখানে বাণিজ্য করতে আসে এবং ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বিস্তার করে। ১৫০০ শতাব্দীর পর পর্তুগিজরা এখানে আসে, তবে তাদের শাসন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
১৯ শতকে জার্মানি তানজানিয়া দখল করে নেয় এবং এটিকে জার্মান পূর্ব আফ্রিকা নামে অভিহিত করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-এ জার্মানির পরাজয়ের পর ব্রিটিশরা তানজানিয়া দখল করে নেয় এবং এটিকে টাঙ্গানিকা নামে শাসন করতে শুরু করে। একই সময়ে, জঞ্জিবার ব্রিটিশদের অধীনে ছিল।
১৯৬১ সালে টাঙ্গানিকা স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে টাঙ্গানিকা ও জঞ্জিবার একত্রিত হয়ে তানজানিয়া প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। জুলিয়াস নাইয়েরে ছিলেন তানজানিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি তানজানিয়াকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেন।
রাজনীতি
তানজানিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি-শাসিত প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং সরকারের প্রধান। তানজানিয়ার সংসদীয় ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। চাম্বো মুসাউয়ি বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
তানজানিয়ার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হলো চাদema, সিসিএম এবং এসিএলপি।
অর্থনীতি
তানজানিয়ার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। দেশটির প্রায় ৭০% মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। কফি, চায়, তুলা, কাসাভা এবং প্ল্যান্টেইন এখানকার প্রধান কৃষিপণ্য।
এছাড়াও, তানজানিয়ার খনিজ সম্পদ যেমন সোনা, হীরা, ট্যানজানাইট এবং গ্যাস দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পর্যটন শিল্পও তানজানিয়ার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। Серенгети জাতীয় উদ্যান, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জঞ্জিবার-এর সুন্দর সমুদ্র সৈকত প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটককে আকর্ষণ করে।
| ক্ষেত্র | অবদান (%) | কৃষি | প্রায় ৩০% | শিল্প | প্রায় ২৫% | পরিষেবা | প্রায় ৪৫% |
ভূগোল ও জলবায়ু
তানজানিয়ার ভূগোল খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। দেশটির উত্তরে কিলিমাঞ্জারো পর্বত অবস্থিত, যা আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। Серенгети জাতীয় উদ্যান তৃণভূমি এবং বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। ভিক্টোরিয়া হ্রদ তানজানিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধার।
তানজানিয়ার জলবায়ু ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয়। দেশটির উত্তরাঞ্চলে মরুশুষ্ক জলবায়ু দেখা যায়, যেখানে দক্ষিণাঞ্চলে আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করে।
জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি
তানজানিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। দেশটির জনসংখ্যার বেশিরভাগই আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এখানে মাসাই, চাগা, মাকোন্দে এবং হায়া-এর মতো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। সোয়াহিলি এবং ইংরেজি তানজানিয়ার সরকারি ভাষা।
তানজানিয়ার সংস্কৃতি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে গঠিত। এখানকার মানুষেরা গান, নাচ এবং শিল্পকলার প্রতি আগ্রহী। টিংগাটিনগা নামক চিত্রকলার শৈলী তানজানিয়ার সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পর্যটন
তানজানিয়া পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদ্যমান।
- Серенгети জাতীয় উদ্যান: এটি তানজানিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত জাতীয় উদ্যান। এখানে সিংহ, হাতি, চিতা এবং গন্ডার সহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। (Серенгети জাতীয় উদ্যান)
- কিলিমাঞ্জারো পর্বত: আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো তানজানিয়ার অন্যতম আকর্ষণ। এখানে পর্বতারোহণ একটি জনপ্রিয় কার্যকলাপ। (কিলিমাঞ্জারো)
- জঞ্জিবার: ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপটি তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং মশলার বাগানের জন্য বিখ্যাত। (জঞ্জিবার)
- নগোরোংগোরো ক্রেটার: এটি একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, যেখানে প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণী বাস করে। (নগোরোংগোরো ক্রেটার)
- তারংগিরে জাতীয় উদ্যান: এই উদ্যানে হাতি এবং বিভিন্ন পাখি দেখার জন্য সেরা স্থান হিসেবে পরিচিত। (তারংগিরে জাতীয় উদ্যান)
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
তানজানিয়ার শিক্ষার হার তুলনামূলকভাবে কম। দেশটির সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এখানে প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। তবে, উচ্চশিক্ষা এখনো অনেকের জন্য সহজলভ্য নয়।
তানজানিয়ার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নত নয়। দেশটির মানুষেরা malnutrition, ম্যালেরিয়া, এইডস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। সরকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কাজ করছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
তানজানিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। এখানে সড়ক, রেলপথ এবং বিমান পথের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। দারুস সালাম বন্দরটি তানজানিয়ার প্রধান সমুদ্র বন্দর।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং তানজানিয়া
বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পাবে নাকি হ্রাস পাবে তা অনুমান করে। তানজানিয়ার অর্থনীতি এবং আর্থিক বাজারের প্রেক্ষাপটে বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো:
- বৈধতা: তানজানিয়ায় বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের বৈধতা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো আইন নেই। তবে, দেশটির আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই বিষয়ে নজর রাখে।
- ঝুঁকি: বাইনারি অপশন ট্রেডিং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা তাদের সম্পূর্ণ মূলধন হারাতে পারেন।
- নিয়ন্ত্রণ: তানজানিয়ায় বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই।
- জনপ্রিয়তা: তানজানিয়ায় বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তবে এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং শুরু করার আগে, বিনিয়োগকারীদের উচিত এই বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া এবং ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical analysis) ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ (Fundamental analysis) ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume analysis) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk management) ট্রেডিং কৌশল (Trading strategies) অর্থনৈতিক সূচক (Economic indicators) ফরেক্স ট্রেডিং (Forex trading) স্টক মার্কেট (Stock market) বিনিয়োগ (Investment) আর্থিক বাজার (Financial market) তানজানিয়ার অর্থনীতি (Tanzania's economy) আফ্রিকার অর্থনীতি (Africa's economy) উগান্ডা (Uganda) কেনিয়া (Kenya) রুয়ান্ডা (Rwanda) বুরুন্ডি (Burundi) মালাউই (Malawi) জাম্বিয়া (Zambia) ভারত মহাসাগর (Indian Ocean) ডোডোমা (Dodoma) দারুস সালাম (Dar es Salaam) জুলিয়াস নাইয়েরে (Julius Nyerere)
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
