ডাইভারজেন্ট প্লেট boundary
ডাইভারজেন্ট প্লেট boundary
ডাইভারজেন্ট প্লেট boundary হলো সেই স্থান যেখানে ভূত্বকীয় প্লেট একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়। এই সরে যাওয়া নতুন ভূত্বক তৈরি করে। ডাইভারজেন্ট boundary সাধারণত মিড-ওশান রিজ, রিফট ভ্যালি এবং কিছু ক্ষেত্রে মহাদেশীয় ফাটল অঞ্চলে দেখা যায়। এই প্রক্রিয়াটি ভূ-গঠনবিদ্যা এবং ভূমিকম্প সহ বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক ঘটনাগুলির জন্য দায়ী।
গঠন প্রক্রিয়া
ডাইভারজেন্ট boundaryগুলোতে ম্যান্টল থেকে ম্যাগমা উপরে উঠে আসে এবং ঠান্ডা হয়ে নতুন basal্টিক ভূত্বক তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটিকে সমুদ্রতল বিস্তার (Seafloor spreading) বলা হয়। এটি মূলত মহাসাগরের তলদেশে ঘটে।
- মিড-ওশান রিজ: এটি সমুদ্রের নিচে বিস্তৃত পর্বতশ্রেণী যা ডাইভারজেন্ট boundary বরাবর গঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরা (Mid-Atlantic Ridge)।
- রিফট ভ্যালি: মহাদেশীয় ভূত্বকে ডাইভারজেন্ট boundary দেখা গেলে রিফট ভ্যালি গঠিত হয়। পূর্ব আফ্রিকার রিফট ভ্যালি এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
- মহাদেশীয় ফাটল: এটি একটি প্রাথমিক পর্যায়, যেখানে মহাদেশীয় ভূত্বক প্রসারিত হতে শুরু করে এবং ফাটল তৈরি হয়।
ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি
ডাইভারজেন্ট boundaryগুলোতে অগভীর focus-এর ভূমিকম্প প্রায়শই ঘটে থাকে। এই ভূমিকম্পগুলো সাধারণত কম শক্তিশালী হয়। কারণ প্লেটগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়, ফলে ঘর্ষণ কম হয়।
এছাড়াও, ডাইভারজেন্ট boundaryগুলোতে আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। ম্যাগমা উপরে উঠে আসার কারণে নতুন volcanic দ্বীপ বা পর্বত গঠিত হতে পারে। যেমন, আইসল্যান্ড একটি আগ্নেয়গিরি দ্বীপ, যা মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরার উপরে অবস্থিত।
উদাহরণ
- মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরা: এটি আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত একটি বৃহৎ ডাইভারজেন্ট boundary। এখানে ক্রমাগত নতুন ভূত্বক তৈরি হচ্ছে এবং আটলান্টিক মহাসাগর প্রসারিত হচ্ছে।
- পূর্ব আফ্রিকার রিফট ভ্যালি: এটি পূর্ব আফ্রিকার একটি দীর্ঘ এবং সংকীর্ণ এলাকা, যেখানে মহাদেশীয় ভূত্বক ধীরে ধীরে বিভক্ত হচ্ছে। এখানে অনেক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্র রয়েছে।
- রেডিওন দ্বীপ: এটি একটি ছোট দ্বীপ যা আইসল্যান্ডের কাছে অবস্থিত। এটি মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরার একটি অংশ এবং নতুন ভূত্বক তৈরির একটি সক্রিয় এলাকা।
ডাইভারজেন্ট boundary এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং
যদিও ডাইভারজেন্ট boundary একটি ভূতাত্ত্বিক ধারণা, এর কিছু বৈশিষ্ট্য বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ, একজন ট্রেডার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। ডাইভারজেন্ট boundary-এর মতো, এখানে দুটি ভিন্ন দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- মূল্য বৃদ্ধি (Call Option): ডাইভারজেন্ট boundary-এর মতো, যেখানে প্লেটগুলো দূরে সরে যায়, তেমনি একটি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
- মূল্য হ্রাস (Put Option): প্লেটগুলো দূরে সরে যাওয়ার বিপরীত দিকে, একটি সম্পদের মূল্য হ্রাস পেতে পারে।
এই সাদৃশ্য ব্যবহার করে, ট্রেডাররা ডাইভারজেন্ট boundary-এর ধারণাটিকে বাজারের গতিবিধি বোঝার জন্য একটি রূপক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ডাইভারজেন্ট boundary
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ-এর মাধ্যমে বাজারের প্রবণতা (trend) এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো সনাক্ত করা যায়। ডাইভারজেন্ট boundary-এর ধারণাটি এখানে সহায়ক হতে পারে।
- ট্রেন্ড লাইন: ডাইভারজেন্ট boundary-এর মতো, ট্রেন্ড লাইনগুলো বাজারের গতিবিধিকে নির্দেশ করে। যখন মূল্য একটি ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করে, তখন এটি একটি নতুন দিকের ইঙ্গিত দিতে পারে।
- সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে মূল্য বাধা পেতে পারে বা দিক পরিবর্তন করতে পারে। ডাইভারজেন্ট boundary-এর প্লেটগুলোর মতো, এই লেভেলগুলো বাজারের গতিবিধিকে প্রভাবিত করে।
- চার্ট প্যাটার্ন: বিভিন্ন চার্ট প্যাটার্ন, যেমন ডাবল টপ বা ডাবল বটম, বাজারের সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো নির্দেশ করতে পারে।
ভলিউম বিশ্লেষণ এবং ডাইভারজেন্ট boundary
ভলিউম বিশ্লেষণ বাজারের গতিবিধির শক্তি এবং ধারাবাহিকতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। ডাইভারজেন্ট boundary-এর ক্ষেত্রে, ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারের চাপ এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো বোঝা যায়।
- ভলিউম স্পাইক: যখন ভলিউম দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তখন এটি একটি শক্তিশালী প্রবণতার ইঙ্গিত দিতে পারে। ডাইভারজেন্ট boundary-এর মতো, যেখানে প্লেটগুলোর মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে, তেমনি ভলিউম স্পাইক বাজারের দ্রুত পরিবর্তনে সহায়ক।
- ভলিউম কনফার্মেশন: একটি নতুন প্রবণতা শুরু হলে, ভলিউম বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। যদি ভলিউম বৃদ্ধি না পায়, তবে প্রবণতা দুর্বল হতে পারে।
- On Balance Volume (OBV): এটি একটি জনপ্রিয় ভলিউম নির্দেশক, যা বাজারের ক্রয় এবং বিক্রয় চাপ পরিমাপ করে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাইভারজেন্ট boundary-এর ধারণাকে ব্যবহার করে ট্রেডাররা তাদের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- স্টপ-লস অর্ডার: এটি একটি অর্ডার যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ট্রেড বন্ধ করে দেয় যখন মূল্য একটি নির্দিষ্ট লেভেলে পৌঁছায়। এটি সম্ভাব্য ক্ষতি সীমিত করতে সহায়ক।
- পজিশন সাইজিং: প্রতিটি ট্রেডে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।
- Diversification: বিভিন্ন সম্পদে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো যায়।
কৌশল
ডাইভারজেন্ট boundary-এর ধারণা ব্যবহার করে কিছু ট্রেডিং কৌশল তৈরি করা যেতে পারে:
- ব্রেকআউট ট্রেডিং: যখন মূল্য একটি সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করে, তখন এটি একটি নতুন প্রবণতার শুরু হতে পারে।
- রিভার্সাল ট্রেডিং: যখন মূল্য একটি নির্দিষ্ট লেভেলে বাধা পায় এবং দিক পরিবর্তন করে, তখন এটি একটি রিভার্সাল ট্রেডিং সুযোগ তৈরি করতে পারে।
- Momentum Trading: শক্তিশালী প্রবণতা অনুসরণ করে ট্রেড করা।
উপসংহার
ডাইভারজেন্ট প্লেট boundary একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক ধারণা, যা পৃথিবীর উপরিভাগের পরিবর্তন এবং নতুন ভূত্বক তৈরিতে সহায়ক। এই ধারণাটি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং বাজারের গতিবিধি বুঝতে সহায়ক হতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ভলিউম বিশ্লেষণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ট্রেডাররা তাদের ট্রেডিং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সফল হতে পারে।
আরও জানতে:
- ভূ-গঠনবিদ্যা
- ভূমিকম্প
- আগ্নেয়গিরি
- সমুদ্রতল বিস্তার
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ভলিউম বিশ্লেষণ
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- বাইনারি অপশন ট্রেডিং
- Call Option
- Put Option
- ট্রেন্ড লাইন
- সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল
- চার্ট প্যাটার্ন
- On Balance Volume (OBV)
- স্টপ-লস অর্ডার
- Diversification
- ব্রেকআউট ট্রেডিং
- রিভার্সাল ট্রেডিং
- Momentum Trading
- Mid-Atlantic Ridge
- East African Rift Valley
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
