জুয়ান ক্রিস্টোফার কলম্বাস

পরিচিতি

জুয়ান ক্রিস্টোফার কলম্বাস (Christopher Columbus) ছিলেন একজন ইতালীয় অন্বেষক, navigated এবং উপনিবেশ স্থাপনকারী। ১৪৯২ সালে তিনি স্পেনের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকা মহাদেশে পৌঁছান। যদিও তিনি প্রথম ইউরোপীয় ছিলেন না যিনি আমেরিকাতে এসেছিলেন (ভাইকিং লিফ এরিকসন এর আগে ১০শ শতাব্দীতে উত্তর আমেরিকাতে পৌঁছেছিলেন), কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে স্থায়ী যোগাযোগ স্থাপন করে এবং বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। কলম্বাসের অবদান ভূগোল, ইতিহাস, এবং সংস্কৃতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৫১ সালে ইতালির জেনোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল ডোমেনিকো কলম্বো এবং মায়ের নাম সুসান্না ফন্টানারিও। কলম্বাসের শৈশব সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না, তবে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এবং নৌচালনা, গণিত, ভূগোল এবং ভাষার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি বণিক হিসেবে সমুদ্রযাত্রায় অংশ নেন এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন বন্দরে ভ্রমণ করেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে সমুদ্র সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে।

সমুদ্রযাত্রার পরিকল্পনা ও স্পেনের পৃষ্ঠপোষকতা

কলম্বাস বিশ্বাস করতেন যে এশিয়াতে পৌঁছানোর জন্য পশ্চিম দিকে সমুদ্রপথে যাত্রা করা সম্ভব। তিনি পর্তুগালের রাজার কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব দিলে রাজা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর কলম্বাস স্পেনের রাজা ফার্দিনান্দ এবং রানি ইসবેલાর কাছে যান। দীর্ঘ আলোচনার পর তারা কলম্বাসের প্রস্তাব মেনে নেন এবং তাকে তিনটি জাহাজ—সান্টা মারিয়া, পিন্টা, এবং নিনা—দিয়ে আমেরিকা অভিযানের জন্য অর্থায়ন করেন। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল এশিয়ার সাথে নতুন বাণিজ্যিক পথ খুঁজে বের করা এবং ক্রিশ্চিয়ানিটির বিস্তার ঘটানো।

প্রথম সমুদ্রযাত্রা (১৪৯২-১৪৯৩)

৩ আগস্ট ১৪৯২ সালে কলম্বাস সান্টা মারিয়া নামক জাহাজে করে স্পেনের পালোস বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় দুই মাস পর, ১২ অক্টোবর ১৪৯২ সালে তিনি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ—সান সালভাদর (বর্তমানে ওয়াটলিং দ্বীপ) আবিষ্কার করেন। কলম্বাস ভেবেছিলেন যে তিনি এশিয়ার কাছাকাছি কোথাও পৌঁছেছেন, তাই তিনি দ্বীপটির নামকরণ করেন স্যান সালভাদর। এরপর তিনি কিউবা এবং হিস্পানিওলা (বর্তমানে হাইতি এবং ডমিনিকান রিপাবলিক) দ্বীপগুলো আবিষ্কার করেন।

এই সমুদ্রযাত্রায় কলম্বাস স্থানীয় আбориগিনদের (টাইনো জাতি) সাথে পরিচিত হন। তিনি তাদের সংস্কৃতি, ভাষা এবং জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে পারেন। কলম্বাস হিস্পানিওলা দ্বীপে একটি ফোর্ট নির্মাণ করেন, যার নাম দেন লা নাভিদাদ। এটি ছিল আমেরিকার প্রথম ইউরোপীয় বসতি। ১৪৯৩ সালে কলম্বাস স্পেনে ফিরে আসেন এবং তার আবিষ্কারের খবর জানান।

ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা
সমুদ্রযাত্রা	বছর	জাহাজ	গন্তব্য
প্রথম সমুদ্রযাত্রা	১৪৯২-১৪৯৩	সান্টা মারিয়া, পিন্টা, নিনা	বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, কিউবা, হিস্পানিওলা
দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা	১৪৯৩-১৪৯৬	১৭টি জাহাজ	অ্যান্টিলিস দ্বীপপুঞ্জ, পুয়ের্তো রিকো, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
তৃতীয় সমুদ্রযাত্রা	১৪৯৮-১ milhão	৩টি জাহাজ	দক্ষিণ আমেরিকা (ভেনেজুয়েলা)
চতুর্থ সমুদ্রযাত্রা	১৫০২-১৫০৪	৪টি জাহাজ	মধ্য আমেরিকা (হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা)

পরবর্তী সমুদ্রযাত্রা এবং বিতর্ক

কলম্বাস আরও তিনবার আমেরিকা মহাদেশে সমুদ্রযাত্রা করেন (১৪৯৩-১৪৯৬, ১৪৯৮-১ milhão, এবং ১৫০২-১৫০৪)। দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় তিনি অ্যান্টিলিস দ্বীপপুঞ্জ, পুয়ের্তো রিকো এবং ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপ আবিষ্কার করেন। তৃতীয় সমুদ্রযাত্রায় তিনি দক্ষিণ আমেরিকার ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে পৌঁছান। চতুর্থ সমুদ্রযাত্রায় তিনি মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং কোস্টারিকার উপকূল অনুসন্ধান করেন।

কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা ইউরোপীয়দের জন্য নতুন সম্পদ এবং বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে, এর ফলস্বরূপ স্থানীয় আদিবাসীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার ও শোষণ চালানো হয়। কলম্বাস এবং তার সঙ্গীরা স্থানীয়দের দাস হিসেবে ধরে নিয়ে যান এবং তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাপন ধ্বংস করেন। কলম্বাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা ওঠে এবং তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার

২০ মে ১৫0৬ সালে স্পেনের ভায়adolid শহরে জুয়ান ক্রিস্টোফার কলম্বাস মারা যান। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি এশিয়াতে পৌঁছেছিলেন, আমেরিকা নয়। কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা বিশ্বের মানচিত্র পরিবর্তন করে দেয় এবং উপনিবেশবাদের পথ প্রশস্ত করে।

কলম্বাসের উত্তরাধিকার অত্যন্ত জটিল। একদিকে তিনি একজন সাহসী অন্বেষক এবং navigateur হিসেবে সম্মানিত, অন্যদিকে তিনি আদিবাসীদের উপর অত্যাচার ও শোষণের জন্য সমালোচিত। কলম্বাসের নামানুসারে অনেক শহর, রাস্তা, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে।

কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার প্রভাব

কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার ফলে ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান শুরু হয়। এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো নব্য উপনিবেশ স্থাপন করতে উৎসাহিত হয় এবং বিশ্ব বাণিজ্যর বিস্তার ঘটে। কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা ভূগোল, navigateur এবং ইতিহাসের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

নতুন বিশ্বের আবিষ্কার: কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার ফলে ইউরোপীয়রা আমেরিকার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারে।
উপনিবেশবাদের সূচনা: কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা ইউরোপীয় দেশগুলোকে আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করতে উৎসাহিত করে।
বাণিজ্যিক বিপ্লব: কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার ফলে নতুন বাণিজ্যিক পথ উন্মুক্ত হয় এবং ইউরোপে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়: কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার ফলে ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটে।

আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কলম্বাস

আধুনিক ঐতিহাসিকরা কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রাকে একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক ঘটনা হিসেবে দেখেন। তারা কলম্বাসের সাহস, navigateur দক্ষতা এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেন, তবে একই সাথে তার অত্যাচার, শোষণ এবং জাতিগত বিদ্বেষের সমালোচনা করেন। কলম্বাসের উত্তরাধিকার নিয়ে বিতর্ক আজও অব্যাহত আছে।

আরও জানুন

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ

যদিও ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জীবন এবং সমুদ্রযাত্রা ট্রেডিংয়ের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবে আমরা তার অভিযানের কিছু দিককে ট্রেডিংয়ের কৌশল হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।

১. ঝুঁকি মূল্যায়ন: কলম্বাস নতুন পথে যাত্রা করার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করেছিলেন। তেমনি, ট্রেডিংয়ের আগে বাজারের ঝুঁকি মূল্যায়ন করা জরুরি। ২. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ: কলম্বাস এশিয়ার নতুন পথ আবিষ্কারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। ট্রেডিংয়েও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের লক্ষ্য রাখা উচিত। ৩. বৈচিত্র্যকরণ: কলম্বাস বিভিন্ন দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন, যা বিনিয়োগের বৈচিত্র্যকরণের মতো। ৪. ভলিউম বিশ্লেষণ: কলম্বাসের যাত্রা পথে জাহাজের সংখ্যা এবং তাদের গতিবিধি ভলিউম বিশ্লেষণের অনুরূপ। ৫. ট্রেন্ড বিশ্লেষণ: কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার দিক পরিবর্তনগুলো বাজারের ট্রেন্ড বিশ্লেষণের মতো।

এই বিষয়গুলো বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে সঠিক বিশ্লেষণ এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন।

ট্রেডিং কৌশল মার্কেট সেন্টিমেন্ট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পিপিং স্ট্র্যাডেল বাটারফ্লাই কন্ডর ব্রোকর প্ল্যাটফর্ম অ্যাসেট টাইম ফ্রেম চার্ট প্যাটার্ন ইন্ডিকেটর ভলিউম লিকুইডিটি

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ