জাতিসংঘের মানব বসতি কর্মসূচি

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

জাতিসংঘের মানব বসতি কর্মসূচি

ভূমিকা জাতিসংঘের মানব বসতি কর্মসূচি (United Nations Human Settlements Programme), সংক্ষেপে ইউএন-হ্যাবিট্যাট (UN-Habitat), জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এটি মানুষের বসতি এবং টেকসই নগর উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, পর্যাপ্ত আশ্রয় নিশ্চিত করা এবং টেকসই শহর তৈরি করাই এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। জাতিসংঘ এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)-এর অধীনে এটি কাজ করে।

প্রতিষ্ঠা ও পটভূমি ১৯৭৬ সালে ভ্যাঙ্কুভার শহরে অনুষ্ঠিত প্রথম মানব বসতি সম্মেলনের (First Human Settlements Conference) মাধ্যমে ইউএন-হ্যাবিট্যাটের যাত্রা শুরু হয়। এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বসতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করলেও, একটি সমন্বিত কাঠামোর অভাব ছিল। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান এবং জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করা। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ-এর রেজোলিউশন ২০/৬১-এর মাধ্যমে ইউএন-হ্যাবিট্যাট প্রতিষ্ঠিত হয়।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ইউএন-হ্যাবিট্যাটের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:

  • টেকসই নগর উন্নয়ন: পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কমিয়ে শহরগুলোকে আরও বাসযোগ্য করে তোলা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা।
  • আশ্রয়ণ সমস্যার সমাধান: দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান নিশ্চিত করা। দারিদ্র্য বিমোচন এর সাথে সম্পর্কিত এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • নগর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা: কার্যকর নগর পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শহরের সুযোগ-সুবিধাগুলো সকলের জন্য সমানভাবে উপলব্ধ করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শহরগুলোকে প্রস্তুত করা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করা। জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে একটি বড় উদ্বেগের কারণ।
  • disaster risk reduction: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে শহরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণ: স্থানীয় সরকারগুলোকে শক্তিশালী করা এবং নগর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

কার্যক্রম ইউএন-হ্যাবিট্যাট বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • গবেষণা ও বিশ্লেষণ: বসতি এবং নগর উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নীতি নির্ধারণে সহায়তা করা। গবেষণা পদ্ধতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রযুক্তিগত সহায়তা: সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নগর উন্নয়ন এবং বসতি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।
  • নীতি ও নির্দেশিকা প্রণয়ন: টেকসই নগর উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক নীতি ও নির্দেশিকা প্রণয়ন করা।
  • প্রকল্প বাস্তবায়ন: বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
  • capacity building: স্থানীয় সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা। মানব সম্পদ উন্নয়ন এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • advocacy and awareness: মানব বসতি এবং টেকসই নগর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক মহলে advocacy কার্যক্রম পরিচালনা করা।

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ ইউএন-হ্যাবিট্যাট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো:

  • Sustainable Cities Programme (SCP): এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই শহর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা হয়।
  • Slum Upgrading Facility (SUF): দরিদ্র বস্তিগুলোর উন্নয়ন এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
  • Global Land Tool Network (GLTN): ভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই নেটওয়ার্ক কাজ করে।
  • финансирование устойчивого развития городов (FSG): শহরের টেকসই উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
  • New Urban Agenda: ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত habitat III সম্মেলনে এই নতুন নগর উন্নয়ন এজেন্ডা গ্রহণ করা হয়, যা টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর তৈরির একটি গাইডলাইন।

অভ্যন্তরীণ কাঠামো ইউএন-হ্যাবিট্যাটের একটি জটিল অভ্যন্তরীণ কাঠামো রয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন নির্বাহী পরিচালক (Executive Director), যিনি সংস্থার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সংস্থাটিতে বিভিন্ন বিভাগ এবং শাখা রয়েছে, যা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

  • Office of the Executive Director: নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়, যা সংস্থার কৌশলগত দিকনির্দেশনা এবং নীতি নির্ধারণ করে।
  • Programme Support Branch: কর্মসূচি সহায়তা শাখা, যা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।
  • Regional Offices: বিভিন্ন অঞ্চলে ইউএন-হ্যাবিট্যাটের আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, যা স্থানীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেমন: আফ্রিকা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান, ইত্যাদি।
  • Thematic Branches: বিষয়ভিত্তিক শাখা, যা নির্দিষ্ট বিষয় যেমন - জলবায়ু পরিবর্তন, আশ্রয়ণ, নগর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে।

অর্থায়ন ইউএন-হ্যাবিট্যাটের কার্যক্রম মূলত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুদান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার তহবিল থেকে পরিচালিত হয়। সংস্থাটি নিয়মিতভাবে অনুদান সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ ইউএন-হ্যাবিট্যাটকে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো:

  • অপর্যাপ্ত তহবিল: সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাব প্রায়ই দেখা যায়।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
  • সমন্বয়ের অভাব: বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণে কার্যক্রমের কার্যকারিতা কমে যায়।
  • স্থানীয় সমস্যা: স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইউএন-হ্যাবিট্যাট ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals - SDGs) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। সংস্থাটি ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক শহরকে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলার জন্য কাজ করবে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও কৌশল উদ্ভাবনেও গুরুত্ব দেবে।

ইউএন-হ্যাবিট্যাট এবং অন্যান্য সংস্থা ইউএন-হ্যাবিট্যাট অন্যান্য জাতিসংঘের সংস্থা, যেমন - ইউএনডিপি (UNDP), ইউএনইপি (UNEP), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (UNICEF) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এই সহযোগিতা সংস্থাগুলোকে একে অপরের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সাহায্য করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে প্রাসঙ্গিকতা (সংক্ষেপে) যদিও সরাসরি সম্পর্ক নেই, ইউএন-হ্যাবিট্যাটের কাজ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের উপর প্রভাব ফেলে। একটি স্থিতিশীল এবং উন্নত পরিবেশ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে, যা পরবর্তীতে আর্থিক বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, বাজারের গতিবিধি বোঝা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সূচকগুলো বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ইউএন-হ্যাবিট্যাটের প্রতিবেদন এবং গবেষণা এই ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ: বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical Analysis) একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এটি ঐতিহাসিক মূল্য ডেটা এবং চার্ট ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:

  • মুভিং এভারেজ (Moving Averages)
  • রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (Relative Strength Index - RSI)
  • moving average convergence divergence (MACD)
  • বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands)
  • ফিওনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)

ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis) বাজারের গতিবিধি এবং প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ভলিউম বাড়লে সাধারণত শক্তিশালী প্রবণতা নির্দেশ করে।

  • অন ব্যালেন্স ভলিউম (On Balance Volume - OBV)
  • ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (Volume Weighted Average Price - VWAP)
  • অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (Accumulation/Distribution Line)

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management): বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই, সঠিকভাবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করা অত্যন্ত জরুরি। স্টপ-লস অর্ডার (Stop-Loss Order) এবং পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন (Portfolio Diversification) এর মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

ট্রেডিং কৌশল (Trading Strategies):

  • ট্রেন্ড ফলোয়িং (Trend Following)
  • রেঞ্জ ট্রেডিং (Range Trading)
  • ব্রেকআউট ট্রেডিং (Breakout Trading)
  • পিনি বার রিভার্সাল (Pin Bar Reversal)
  • মার্কেট সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস (Market Sentiment Analysis)

উপসংহার জাতিসংঘের মানব বসতি কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি এবং টেকসই নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আরও দেখুন

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер