জর্জ ডব্লিউ বুশ

জর্জ ডব্লিউ বুশ (জন্ম জুলাই ৬, ১৯৪৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে এই পদে ছিলেন। বুশ টেক্সাসের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তার পিতা জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলা এবং এর পরবর্তী আফগানিস্তান যুদ্ধ ও ইরাক যুদ্ধ-এর কারণে বিশেষভাবে পরিচিত।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

জর্জ ডব্লিউ বুশ ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ এবং মায়ের নাম বারবারা পিয়ার্স বুশ। বুশ পরিবার দীর্ঘকাল ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে জড়িত। তিনি ইয়ेल বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন (১৯৬৮) এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন (১৯৭৫)।

রাজনৈতিক জীবন

বুশের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭০-এর দশকে। তিনি তেল ব্যবসায় জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে টেক্সাসে ফিরে এসে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৬ সালে তিনি টেক্সাসের গভর্নর নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। গভর্নর হিসেবে তিনি শিক্ষা সংস্কার এবং অপরাধ কমানোর ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম মেয়াদ (২০০১-২০০৫)

জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আল গোরকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও বুশ শপথ গ্রহণ করেন। তার প্রথম মেয়াদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল ১১ই সেপ্টেম্বর-এর সন্ত্রাসী হামলা (২০০১)। এই হামলার পর বুশ "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ঘোষণা করেন এবং আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করেন, যার লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদা এবং ওসামা বিন লাদেনকে নির্মূল করা।

সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুশ প্রশাসন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ গঠন করে এবং পিট্রিয়ট আইন পাস করে। এই আইন সমালোচিত হলেও বুশ প্রশাসন এটিকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বলে দাবি করে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, বুশ প্রশাসন কর হ্রাস করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করার চেষ্টা করে। তবে, এই সময়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয় এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ (২০০৫-২০০৯)

২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বুশ জন কেরিকে পরাজিত করে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। তার দ্বিতীয় মেয়াদে ইরাক যুদ্ধ একটি প্রধান বিষয় ছিল। বুশ প্রশাসন সaddam হোসেন-এর শাসনের অবসান এবং ইরাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঘোষণা করে। তবে, ইরাক যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এই সময়ে হারিকেন Katrina (২০০৫) নিউ অরলিন্স এবং অন্যান্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। বুশ প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার ধীরগতি এবং দুর্বল সমন্বয়ের জন্য সমালোচিত হয়।

বুশ প্রশাসন শিক্ষার জন্য No Child Left Behind Act-এর মাধ্যমে শিক্ষাখাতে সংস্কারের চেষ্টা করে। এছাড়া, তিনি চিকিৎসাখাতে Medicare Part D চালু করেন, যা বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য prescription drug benefit প্রদান করে।

পররাষ্ট্র নীতি

জর্জ ডব্লিউ বুশের পররাষ্ট্র নীতি মূলত "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। তিনি জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেন, তবে ইরাক যুদ্ধের প্রশ্নে জাতিসংঘের সঙ্গে মতভেদ দেখা যায়। বুশ প্রশাসন উত্তর কোরিয়া এবং ইরান-এর পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

সমালোচনা এবং বিতর্ক

জর্জ ডব্লিউ বুশের presidency বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হয়েছে। ইরাক যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ নজরদারি কর্মসূচি, এবং অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অনেকে বুশকে যুদ্ধবাজ এবং সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, তার সমর্থকরা তাকে একজন দৃঢ় নেতা হিসেবে দেখেন যিনি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বুশের legacy

জর্জ ডব্লিউ বুশের legacy জটিল এবং বহুমাত্রিক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তার "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে তার সংস্কারগুলো বিতর্কের জন্ম দিলেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।

আরও দেখুন

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক (রূপক অর্থে)

জর্জ ডব্লিউ বুশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো প্রায়শই বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মতো ছিল - যেখানে দুটি সম্ভাব্য ফলাফল ছিল: সাফল্য অথবা ব্যর্থতা। প্রতিটি সিদ্ধান্ত একটি "কল" বা "পুট" অপশনের মতো ছিল, যেখানে ঝুঁকি এবং পুরস্কার উভয়ই বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, ইরাক যুদ্ধ ছিল একটি বড় "অপশন" যেখানে বুশ প্রশাসন বিশ্বাস করত যে সফল হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনবে, কিন্তু ব্যর্থ হলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হতে পারে।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা : বুশ প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো প্রায়শই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অভাবের কারণে সমালোচিত হয়েছে।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ : রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে বুশ প্রশাসনের "টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ" প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
ভলিউম বিশ্লেষণ : জনমতের "ভলিউম" সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কিছু সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি : বুশ প্রশাসনের "ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি" (রাজনৈতিক কৌশল) প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদী লাভের ওপর বেশি জোর দিত।
অপশন প্রাইসিং : রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের "অপশন প্রাইসিং" (খরচ ও সুবিধা) সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি বলে অনেকে মনে করেন।
মার্জিন কল : ইরাক যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব একটি "মার্জিন কল"-এর মতো ছিল, যা মার্কিন অর্থনীতিকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিল।
ডাইভারসিফিকেশন : বুশ প্রশাসন তাদের রাজনৈতিক কৌশলকে "ডাইভারসিফাই" করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যা তাদের দুর্বল করে দিয়েছিল।
হেজিং : রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য "হেজিং" কৌশল ব্যবহার করা উচিত ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।
স্টপ-লস অর্ডার : কোনো ভুল সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচতে "স্টপ-লস অর্ডার" (সীমিত ক্ষতির জন্য পদক্ষেপ) গ্রহণ করা উচিত ছিল।
টেক প্রফিট : সফল সিদ্ধান্তগুলো থেকে লাভবান হওয়ার জন্য "টেক প্রফিট" (সময়মতো লাভ গ্রহণ) করা উচিত ছিল।
ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ : ইরাকের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের "ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ" সঠিকভাবে করা হয়নি।
সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণ : জনমতের "সেন্টিমেন্ট" (অনুভূতি) সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে বুশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছিল।
প্যাটার্ন রিকগনিশন : রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে "প্যাটার্ন" (নমুনা) চিনতে না পারার কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ট্রেন্ড ফলোয়িং : বাজারের "ট্রেন্ড" (প্রবণতা) অনুসরণ না করে বুশ প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল।
ব্রোকরেজ অ্যাকাউন্ট : রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া একটি "ব্রোকরেজ অ্যাকাউন্ট"-এর মতো ছিল, যেখানে বিভিন্ন পক্ষ তাদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করেছে।

এই রূপকগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোকে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ধারণার সাথে তুলনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, এবং এর মাধ্যমে কোনো বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না।

জর্জ ডব্লিউ বুশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
জন্ম তারিখ	জুলাই ৬, ১৯৪৬
জন্মস্থান	নিউ হ্যাভেন, কানেকটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক দল	রিপাবলিকান পার্টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা	ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ), হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল (এমবিএ)
রাষ্ট্রপতি হিসেবে কার্যকাল	২০০১ – ২০০৯
उपराष्ट्रपति	ডিক Cheney

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ