এন্টার দ্য ড্রাগন

ভূমিকা

এন্টার দ্য ড্রাগন (Enter the Dragon) ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্শাল আর্ট চলচ্চিত্র। এটি ব্রুস লি অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র। পরিচালনা করেছেন রবার্ট ক্লস। এই ছবিটি শুধু মার্শাল আর্ট সিনেমার জগতে নয়, বরং অ্যাকশন চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। ছবিটি এশিয়ান এবং পশ্চিমা চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করে এবং বিশ্বব্যাপী কুংফু ও মার্শাল আর্টের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট

কাহিনী সংক্ষেপটি হলো, লি নামের একজন শাolin সন্ন্যাসী, যিনি একই সাথে একজন মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞ, তাকে হংকং-এর একজন গোয়েন্দা কর্তৃক একটি গোপন মিশনে নিয়োগ করা হয়। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো থাইল্যান্ডের একটি দ্বীপে অবস্থিত হান সিন নামের এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর গোপন কার্যকলাপের প্রমাণ সংগ্রহ করা। হান সিন আসলে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের প্রধান। লি আসলে হান সিনের ব্যক্তিগত মার্শাল আর্ট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য দ্বীপে যায়, যেখানে বিভিন্ন দেশের সেরা মার্শাল আর্টিস্টরা অংশ নেয়। টুর্নামেন্টটি আসলে হান সিনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ আড়াল করার একটি কৌশল। লি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি হান সিনের দুর্গের ভেতরে প্রবেশ করে তার অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকে।

চলচ্চিত্রটির নির্মাণ ও কলাকুশলী

এই চলচ্চিত্রটি তৈরি করার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। নিচে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

ব্রুস লি: লি জুন ফান, যিনি ব্রুস লি নামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত, এই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একইসাথে ছবিটির যুদ্ধ শৈলী পরিচালক (Combat Choreographer) ছিলেন।
রবার্ট ক্লস: রবার্ট ক্লস ছিলেন এই চলচ্চিত্রের পরিচালক। তিনি পশ্চিমা দর্শকদের কাছে কুংফু এবং ব্রুস লি-কে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জেমস ফ্রেঞ্চ: জেমস ফ্রেঞ্চ হান সিনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
জন স্যাকসন: জন স্যাকসন উইলিয়াম সেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি লি-এর বন্ধু এবং সহযোগী।
আহ সাক: আহ সাক ওহারার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এন্টার দ্য ড্রাগন - কলাকুশলী
অভিনেতা	চরিত্র		ব্রুস লি	লি		জেমস ফ্রেঞ্চ	হান সিন		জন স্যাকসন	উইলিয়াম সেলার		আহ সাক	ওহারা		শিয়াও লুং	রাও

চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য

এন্টার দ্য ড্রাগন চলচ্চিত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য দৃশ্য রয়েছে, যা দর্শকদের মন জয় করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:

প্রারম্ভিক দৃশ্য: চলচ্চিত্রের শুরুতেই ব্রুস লি এবং তার গুরু之间的 কথোপকথন এবং প্রশিক্ষণ দৃশ্যগুলি দর্শকদের আকৃষ্ট করে।
দ্বীপের দৃশ্য: থাইল্যান্ডের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে চলচ্চিত্রটির লোকেশন দর্শকদের মুগ্ধ করে।
যুদ্ধ দৃশ্য: ব্রুস লি-র মার্শাল আর্টের দক্ষতা এবং চলচ্চিত্রের অ্যাকশন দৃশ্যগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে হান সিনের দুর্গে লি-এর অনুপ্রবেশ এবং শত্রুদের সাথে তার যুদ্ধগুলি শ্বাসরুদ্ধকর।
আয়নার ঘর: হান সিনের দুর্গে লি-কে একটি আয়নার ঘরে আটানো হয়, যেখানে অসংখ্য আয়নার মধ্যে তার প্রতিবিম্ব তৈরি হয় এবং শত্রুরা তাকে আক্রমণ করে। এই দৃশ্যটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
চূড়ান্ত যুদ্ধ: ক্লাইম্যাক্সে ব্রুস লি এবং হান সিনের মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধটি মার্শাল আর্ট সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা যুদ্ধ দৃশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

মার্শাল আর্ট ও চলচ্চিত্রের প্রভাব

এন্টার দ্য ড্রাগন চলচ্চিত্রটি মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন সিনেমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। ব্রুস লি-র জিৎ কুং দো (Jeet Kune Do) নামক মার্শাল আর্ট শৈলী এই চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। এই ছবিটি পশ্চিমা দর্শকদের মধ্যে কুংফু এবং অন্যান্য প্রাচীন মার্শাল আর্ট সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে।

মার্শাল আর্টের জনপ্রিয়তা: চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মার্শাল আর্ট স্কুলগুলির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
অ্যাকশন সিনেমার নতুন ধারা: এন্টার দ্য ড্রাগন অ্যাকশন সিনেমার একটি নতুন ধারা তৈরি করে, যেখানে মার্শাল আর্টের ব্যবহার এবং স্টান্টগুলি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
এশিয়ান সংস্কৃতির প্রভাব: ছবিটি এশিয়ান সংস্কৃতি এবং দর্শনকে পশ্চিমা দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তোলে।

চলচ্চিত্রের সঙ্গীত

এন্টার দ্য ড্রাগন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন লালো শিফ্রিন। সঙ্গীতের ব্যবহার চলচ্চিত্রটির উত্তেজনা এবং নাটকীয়তা বৃদ্ধি করেছে। চলচ্চিত্রের মূল থিম সংটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

চলচ্চিত্রটির বিশ্লেষণ

এন্টার দ্য ড্রাগন চলচ্চিত্রটি শুধু একটি অ্যাকশন ছবি নয়, এটিতে বেশ কিছু গভীর বার্তা রয়েছে। চলচ্চিত্রটি ন্যায়বিচার, অত্যাচার এবং ব্যক্তিগত মুক্তির মতো বিষয়গুলি তুলে ধরে। ব্রুস লি-র চরিত্রটি একজন আদর্শ যোদ্ধার প্রতীক, যিনি নিজের বিশ্বাস এবং লক্ষ্যের জন্য সংগ্রাম করেন।

এন্টার দ্য ড্রাগন - বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ
বিষয়	বিশ্লেষণ		ন্যায়বিচার	লি হান সিনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।		অত্যাচার	হান সিন একজন অত্যাচারী শাসক, যে তার ক্ষমতা ব্যবহার করে অন্যদের শোষণ করে।		ব্যক্তিগত মুক্তি	লি তার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য কাজ করে।		ঐতিহ্য ও আধুনিকতা	চলচ্চিত্রটিতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সংমিশ্রণ দেখা যায়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক (রূপক)

যদিও এন্টার দ্য ড্রাগন একটি মার্শাল আর্ট চলচ্চিত্র, তবে এর কিছু দিক বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে রূপকভাবে সম্পর্কিত করা যেতে পারে:

ঝুঁকি মূল্যায়ন: লি যেমন হান সিনের দুর্গে প্রবেশের আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগ করার আগে বাজারের ঝুঁকি মূল্যায়ন করা জরুরি।
কৌশল নির্ধারণ: লি তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল নির্ধারণ করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হওয়ার জন্য একটি সঠিক ট্রেডিং কৌশল তৈরি করা প্রয়োজন।
দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: চলচ্চিত্রে লি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কারণ বাজারের পরিবর্তন খুব দ্রুত হয়।
অধ্যবসায়: লি তার লক্ষ্যে অবিচল থাকে এবং কোনো বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করে এগিয়ে যায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও ধৈর্য এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন।
সঠিক সময়ে আঘাত: লি যেমন প্রতিপক্ষের দুর্বল মুহূর্তে আঘাত করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সঠিক সময়ে ট্রেড করা প্রয়োজন।

এই সম্পর্কগুলো সম্পূর্ণরূপে রূপক, তবে এন্টার দ্য ড্রাগন-এর মূল বার্তাগুলো বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে।

ট্রেডিং কৌশল

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:

ট্রেন্ড অনুসরণ: বাজারের ট্রেন্ড অনুসরণ করে ট্রেড করা একটি জনপ্রিয় কৌশল।
সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স: সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স লেভেলগুলি চিহ্নিত করে ট্রেড করা।
মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা।
আরএসআই (RSI): রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স ব্যবহার করে ওভারবট এবং ওভারসোল্ড পরিস্থিতি চিহ্নিত করা।
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লেভেলগুলি ব্যবহার করে সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স লেভেলগুলি খুঁজে বের করা।

ভলিউম বিশ্লেষণ

ভলিউম বিশ্লেষণ বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বাজারের গতিবিধি এবং সম্ভাব্য প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

ভলিউম স্পাইক: ভলিউম স্পাইকগুলি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি নির্দেশ করে।
ভলিউম কনফার্মেশন: মূল্যে পরিবর্তনের সাথে সাথে ভলিউমের পরিবর্তন নিশ্চিত করে যে প্রবণতাটি শক্তিশালী কিনা।
অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV): অন ব্যালেন্স ভলিউম ব্যবহার করে বাজারের অন্তর্নিহিত শক্তি পরিমাপ করা।
অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন: এই লাইনটি বাজারের কেনাবেচার চাপ নির্দেশ করে।

উপসংহার

এন্টার দ্য ড্রাগন একটি কালজয়ী চলচ্চিত্র, যা শুধু মার্শাল আর্ট সিনেমার ইতিহাসে নয়, অ্যাকশন চলচ্চিত্রের জগতেও একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ব্রুস লি-র অসাধারণ অভিনয় এবং রবার্ট ক্লসের পরিচালনা এই ছবিটিকে একটি ক্লাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। চলচ্চিত্রটি যেমন দর্শকদের বিনোদন দেয়, তেমনই ন্যায়বিচার, অত্যাচার ও ব্যক্তিগত মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে এর রূপক সম্পর্ক বিষয়টিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

আরও দেখুন

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ