এক্সপায়ারি সময় এবং স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচন পদ্ধতি
এক্সপায়ারি সময় এবং স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচন পদ্ধতি: নতুনদের জন্য নির্দেশিকা
বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের দাম বাড়বে নাকি কমবে, তার উপর বাজি ধরা। এই ট্রেডিংয়ে দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো কখন আপনার ট্রেডটি শেষ হবে (অর্থাৎ এক্সপায়ারি সময়) এবং কোন দামে আপনি ট্রেডটি খুলবেন (অর্থাৎ স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচন)। এই দুটি উপাদান সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারা সফল ট্রেডিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করে।
এই নিবন্ধে, আমরা নতুনদের জন্য সহজ ভাষায় এক্সপায়ারি সময় এবং স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচনের পদ্ধতি, প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা এবং বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করব।
এক্সপায়ারি সময় (Expiry Time) কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
এক্সপায়ারি সময় হলো সেই নির্দিষ্ট মুহূর্ত যখন আপনার Call option বা Put option স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল নির্ধারিত হয়। বাইনারি অপশনে, আপনার লাভ বা ক্ষতি নির্ভর করে মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় সম্পদের দাম আপনার নির্বাচিত মূল্যের (স্ট্রাইক প্রাইস) তুলনায় উপরে নাকি নিচে আছে তার উপর।
গুরুত্ব:
১. সময়সীমা নির্ধারণ: এক্সপায়ারি সময় নির্ধারণ করে যে আপনার পূর্বাভাসটি কত দ্রুত কার্যকর হতে হবে। এটি স্বল্পমেয়াদী (যেমন ৬০ সেকেন্ড) বা দীর্ঘমেয়াদী (যেমন ১ দিন) হতে পারে। ২. কৌশল নির্ধারণ: আপনি কোন ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন বা কারিগরি বিশ্লেষণ ব্যবহার করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে এক্সপায়ারি সময় নির্বাচন করতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের এক্সপায়ারি সময়
বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের মৌলিক উপাদান ও কার্যকারিতা বিভিন্ন মেয়াদ শেষের সময় অফার করে।
| সময়কাল | বৈশিষ্ট্য | উপযুক্ত পরিস্থিতি |
|---|---|---|
| ৬০ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিট | অতি দ্রুত, উচ্চ অস্থিরতা প্রয়োজন | স্ক্যাল্পিং, তাৎক্ষণিক বাজারের প্রতিক্রিয়া যাচাই |
| ৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট | মধ্যম গতি, স্বল্পমেয়াদী প্যাটার্ন যাচাই | ছোট সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ব্রেকআউট |
| ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা বা তার বেশি | দীর্ঘমেয়াদী ট্রেন্ড অনুসরণ | RSI বা MACD এর মতো ধীরগতির সূচক ব্যবহার |
এক্সপায়ারি সময় নির্বাচনের সহজ নিয়মাবলী
এক্সপায়ারি সময় নির্বাচনের জন্য কোনো এক আকারের সমাধান নেই। এটি নির্ভর করে আপনি কোন সময় ফ্রেমে বিশ্লেষণ করছেন তার ওপর।
১. চার্ট টাইমফ্রেমের সাথে মিল: যদি আপনি ১ মিনিটের চার্ট দেখে ট্রেড করেন, তবে আপনার এক্সপায়ারি সময় সাধারণত ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে রাখা উচিত। যদি আপনি ১৫ মিনিটের চার্ট দেখেন, তবে এক্সপায়ারি ৩০ মিনিট বা তার বেশি হতে পারে। ২. বাজার অস্থিরতা (Volatility): বাজার যত বেশি অস্থির, তত কম এক্সপায়ারি সময় ব্যবহার করা ভালো, কারণ দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে দীর্ঘ সময়ের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ৩. আপনার কৌশল: যদি আপনার কৌশলটি কোনো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্রেকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, তবে প্যাটার্নটি সম্পূর্ণ হতে যতটুকু সময় লাগে, তার চেয়ে সামান্য বেশি এক্সপায়ারি সেট করুন।
সাধারণ ভুল: নতুন ব্যবসায়ীরা প্রায়শই তাদের বিশ্লেষণের সময় ফ্রেমের চেয়ে অনেক কম এক্সপায়ারি সময় সেট করেন (যেমন ১ মিনিটের চার্টে ০.৫ মিনিটের এক্সপায়ারি), যা কেবল ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে।
স্ট্রাইক প্রাইস (Strike Price) কী?
স্ট্রাইক প্রাইস হলো সেই নির্দিষ্ট মূল্য, যা আপনি ট্রেড শুরু করার সময় নির্ধারণ করেন। বাইনারি অপশনে, এটি হলো সেই রেফারেন্স পয়েন্ট যার সাপেক্ষে আপনার ট্রেডটি লাভজনক হবে কিনা তা বিচার করা হয়।
যদি আপনি মনে করেন দাম বাড়বে (Call), তবে মেয়াদ শেষে দাম স্ট্রাইক প্রাইসের উপরে থাকতে হবে। যদি আপনি মনে করেন দাম কমবে (Put), তবে মেয়াদ শেষে দাম স্ট্রাইক প্রাইসের নিচে থাকতে হবে।
ইন-দ্য-মানি (ITM) এবং আউট-অফ-দ্য-মানি (OTM)
স্ট্রাইক প্রাইসের অবস্থান লাভের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে।
১. ইন-দ্য-মানি (ITM): যখন আপনার ট্রেডটি ইতিমধ্যেই লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি কল ট্রেড করলেন এবং বর্তমান বাজার মূল্য স্ট্রাইক প্রাইসের চেয়ে বেশি। ২. আউট-অফ-দ্য-মানি (OTM): যখন আপনার ট্রেডটি লোকসানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি কল ট্রেড করলেন কিন্তু বাজার মূল্য স্ট্রাইক প্রাইসের চেয়ে কম।
প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায়শই ITM ট্রেডের জন্য উচ্চতর পেআউট অফার করে না, কারণ এটি ট্রেডারের জন্য বেশি নিশ্চিত। বরং, অনেক ব্রোকার OTM ট্রেডের জন্য সামান্য বেশি রিটার্ন দিতে পারে, যদিও এটি ঝুঁকি বাড়ায়।
স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচনের কৌশল
স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচন মূলত নির্ভর করে আপনি বাজারে কতটা মার্জিন বা সুরক্ষা চান তার ওপর।
১. আইটিএম ট্রেডিং (নিরাপদ কিন্তু কম লাভ): কিছু ব্যবসায়ী চান যে তাদের ট্রেডটি যেন নিশ্চিতভাবে লাভজনক হয়। এর জন্য তারা এমন একটি স্ট্রাইক প্রাইস বেছে নেন যা বর্তমান বাজার মূল্যের কাছাকাছি কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের পক্ষে আছে (যদি প্ল্যাটফর্মটি আইটিএম এন্ট্রি অনুমোদন করে)। ২. ওটিএম ট্রেডিং (উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ রিটার্ন): কিছু ব্যবসায়ী সামান্য বেশি লাভের আশায় এমন একটি স্ট্রাইক প্রাইস বেছে নেন যা বাজার থেকে কিছুটা দূরে। এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ বাজারকে আপনার দিকে অনেকটা সরতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি EUR/USD এর বর্তমান মূল্য ১.০৮৫০ হয়:
- কল ট্রেডের জন্য স্ট্রাইক প্রাইস ১.০৮৫০ বা তার নিচে হলে ITM সম্ভাবনা বাড়ে।
- পুট ট্রেডের জন্য স্ট্রাইক প্রাইস ১.০৮৫০ বা তার উপরে হলে ITM সম্ভাবনা বাড়ে।
প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা: অর্ডার এন্ট্রি এবং সেটিংস
একটি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের মৌলিক উপাদান ও কার্যকারিতা বোঝা অপরিহার্য। IQ Option বা Pocket Option এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে অর্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।
একটি ট্রেড খোলার ধাপসমূহ:
১. সম্পদ নির্বাচন: ট্রেড করার জন্য একটি সম্পদ (যেমন EUR/USD, সোনা, অ্যাপল স্টক) নির্বাচন করুন। ২. চার্ট সেটিংস: চার্ট টাইমফ্রেম এবং বিশ্লেষণের জন্য প্রযুক্তিগত সূচক সেট করুন। ৩. বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ: আপনি কত টাকা বাজি ধরতে চান, তা স্থির করুন। এটি আপনার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতির অংশ। ৪. এক্সপায়ারি সময় নির্বাচন: ড্রপডাউন মেনু থেকে আপনার নির্ধারিত এক্সপায়ারি সময় নির্বাচন করুন। ৫. স্ট্রাইক প্রাইস নির্ধারণ: প্ল্যাটফর্মটি সাধারণত বর্তমান বাজার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ট্রাইক প্রাইস সেট করে। কিছু প্ল্যাটফর্মে আপনি ম্যানুয়ালি এটি পরিবর্তন করতে পারেন (বিশেষত ফিক্সড টাইম ট্রেড ব্যতীত)। ৬. কল/পুট নির্বাচন: আপনার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে 'Call' (উপরে যাবে) বা 'Put' (নিচে যাবে) বাটনে ক্লিক করুন।
প্ল্যাটফর্মের বিশেষ বৈশিষ্ট্য: ফিক্সড টাইম বনাম ওয়ান-টাচ
বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ফিক্সড টাইম ট্রেড অফার করে, যেখানে এক্সপায়ারি সময় নির্ধারিত থাকে। তবে কিছু প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন অপশন দেয়:
- ওয়ান-টাচ (One-Touch): এখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করেন, এবং যদি ট্রেড শেষ হওয়ার আগে বাজার সেই মূল্য স্পর্শ করে, তবে আপনি লাভ করেন। এটি এক্সপায়ারি সময়ের ওপর কম নির্ভরশীল।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: এক্সপায়ারি এবং পজিশন সাইজিং =
বাইনারি অপশন উচ্চ ঝুঁকির ট্রেডিং। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ছাড়া সফলতা অসম্ভব।
ঝুঁকি প্রতি ট্রেড (Risk per Trade)
আপনার মোট মূলধনের কত শতাংশ একটি একক ট্রেডে ঝুঁকি নেবেন, তা স্থির করা আবশ্যক।
১. আদর্শ নিয়ম: অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা সাধারণত মোট অ্যাকাউন্টের ১% থেকে ৩% এর বেশি ঝুঁকি নেন না। ২. এক্সপায়ারি ও ঝুঁকি: স্বল্পমেয়াদী এক্সপায়ারি (যেমন ৬০ সেকেন্ড) উচ্চ ঝুঁকি বহন করে কারণ বাজারের সামান্য নয়েজও আপনার ট্রেডকে প্রভাবিত করতে পারে। দীর্ঘ এক্সপায়ারি তুলনামূলকভাবে কম নয়েজ দ্বারা প্রভাবিত হয়।
দৈনিক বা সাপ্তাহিক ক্ষতির সীমা
একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ট্রেডিং এর জন্য ক্ষতির সীমা নির্ধারণ করা জরুরি।
| অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স | সর্বোচ্চ দৈনিক ঝুঁকি (২% ধরে) | ট্রেডের সংখ্যা (যদি প্রতি ট্রেডে ২০% ঝুঁকি নেন) |
|---|---|---|
| $১০০০ !! $২০ !! ১টি ট্রেড |
যদি আপনি দৈনিক ক্ষতির সীমা অতিক্রম করেন, তবে সেই দিনের জন্য ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটি আবেগপ্রবণ ট্রেডিং (Revenge Trading) থেকে রক্ষা করে।
প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং এক্সপায়ারি নির্বাচন
প্রযুক্তিগত সূচক ব্যবহার করার সময়, আপনার এক্সপায়ারি সময় সূচকের সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এবং এক্সপায়ারি
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন যেমন ডজি (Doji) বা হ্যামার (Hammer) সাধারণত দ্রুত মূল্য প্রত্যাখ্যান বা একত্রীকরণ নির্দেশ করে।
- ব্যবহার: যদি আপনি একটি শক্তিশালী রিভার্সাল প্যাটার্ন দেখেন যা ১ মিনিটের চার্টে তৈরি হয়েছে, তবে এক্সপায়ারি সময় সাধারণত সেই প্যাটার্নের পরবর্তী ক্যান্ডেল বা তার পরের ক্যান্ডেল পর্যন্ত সেট করা উচিত।
- ভুল: একটি ছোট প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে দীর্ঘ এক্সপায়ারি সেট করলে বাজারের স্বাভাবিক গতিবিধি আপনার বিপক্ষে যেতে পারে।
সূচক এবং এক্সপায়ারি
সূচকগুলো বিভিন্ন গতিতে বাজারকে পরিমাপ করে।
১. RSI এবং স্টোকাস্টিক: এগুলো দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয় এবং সাধারণত স্বল্পমেয়াদী (৫ থেকে ১৫ মিনিটের) এক্সপায়ারির জন্য ভালো কাজ করে। ২. MACD এবং মুভিং এভারেজ (MA): এগুলো ট্রেন্ড নির্ধারণে সহায়ক এবং সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী (৩০ মিনিট বা তার বেশি) এক্সপায়ারির জন্য উপযুক্ত।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স এবং স্ট্রাইক প্রাইস
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলি হলো বাজারের এমন বাধা যেখানে দাম বারবার ফিরে আসে বা ভেঙে যায়।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং: যদি আপনি দেখেন যে দাম একটি রেজিস্ট্যান্স স্তর ভেঙে উপরে যাচ্ছে, তবে আপনার কল ট্রেডের স্ট্রাইক প্রাইস সেই ভাঙা স্তরটির ঠিক নিচে রাখা উচিত, যাতে দাম সামান্য সংশোধন হলেও আপনি লাভ করতে পারেন।
- রিভার্সাল ট্রেডিং: যদি দাম একটি শক্তিশালী সাপোর্ট স্তরে পৌঁছায় এবং আপনি রিভার্সালের জন্য পুট ট্রেড করেন, তবে আপনার স্ট্রাইক প্রাইস সেই সাপোর্ট স্তরের সামান্য উপরে রাখা উচিত।
এলিয়ট ওয়েভ থিওরি (Elliott Wave Theory)
এলিয়ট ওয়েভ তত্ত্ব বাজারের চক্রাকার প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে। এটি তুলনামূলকভাবে জটিল হলেও, এক্সপায়ারি নির্বাচনের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
- নিয়ম: যদি আপনি দেখেন যে বাজার একটি 'কারেক্টিভ ওয়েভ' (A, B, C) এর মধ্যে রয়েছে, তবে এক্সপায়ারি সময় এমনভাবে সেট করুন যাতে এটি সেই ছোট চক্রটি শেষ করতে পারে (সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা)। যদি ইমপালস ওয়েভ চলছে বলে মনে হয়, তবে এক্সপায়ারি তুলনামূলকভাবে ছোট রাখা যেতে পারে।
বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা স্থাপন
বাইনারি অপশনকে অল্প সময়ে আয়ের উপায় হিসেবে দেখা হলেও, এটি রাতারাতি ধনী হওয়ার রাস্তা নয়।
লাভের হার বনাম গ্যারান্টি
একটি পেআউট সাধারণত ৭০% থেকে ৯২% এর মধ্যে থাকে। এর মানে হলো, আপনি যদি $১০০ বিনিয়োগ করেন এবং জেতেন, তবে আপনি $৭০ থেকে $৯২ লাভ করবেন।
টেবিল: লাভের হিসাব (ধরুন পেআউট ৮৫%)
| ট্রেড ফলাফল | বিনিয়োগ ($) | প্রাপ্তি ($) | নিট লাভ/ক্ষতি ($) |
|---|---|---|---|
| জয় (Win) | ১০০ | ১৭৫ (১০০ মূলধন + ৭৫ লাভ) | +৭৫ |
| হার (Loss) | ১০০ | ০ | -১০০ |
যদি আপনার জয়ের হার ৫০% হয়, তবে আপনি মূলত লোকসানে থাকবেন, কারণ আপনার হারানো পরিমাণ জেতার পরিমাণের চেয়ে বেশি (যেহেতু পেআউট ১০০% এর কম)। সফল হওয়ার জন্য, আপনার জয়ের হার অবশ্যই ৫০% এর চেয়ে যথেষ্ট বেশি হতে হবে (যেমন ৫৫% থেকে ৬০% এর বেশি)।
ট্রেডিং জার্নাল এবং বিশ্লেষণ
সফলতার জন্য ট্রেডিং জার্নাল রাখা অত্যাবশ্যক। প্রতিটি ট্রেডের সময়, এক্সপায়ারি, স্ট্রাইক প্রাইস, এবং কেন আপনি সেই সিদ্ধান্ত নিলেন তা লিখে রাখুন।
- বিশ্লেষণ: জার্নাল বিশ্লেষণ করে দেখুন কোন এক্সপায়ারি সময় এবং কোন স্ট্রাইক প্রাইস সেটিংস আপনাকে সবচেয়ে বেশি জিতিয়েছে। এটি আপনাকে আপনার কৌশলকে পরিমার্জিত করতে সাহায্য করবে।
উপসংহার
এক্সপায়ারি সময় এবং স্ট্রাইক প্রাইস নির্বাচন হলো বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু। এক্সপায়ারি সময় আপনার বিশ্লেষণ করা সময় ফ্রেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত, এবং স্ট্রাইক প্রাইস আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা এবং বাজারের বর্তমান সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স স্তর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া উচিত। সর্বদা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা মেনে চলুন এবং মনে রাখবেন, ধারাবাহিকতা এবং শৃঙ্খলা সাফল্যের চাবিকাঠি।
আরও দেখুন (এই সাইটে)
- বাইনারি অপশন কী এবং অন্যান্য ট্রেডিং থেকে এর পার্থক্য
- ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের মৌলিক উপাদান ও কার্যকারিতা
- বাইনারি অপশনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও মূলধন সুরক্ষা
- সফল ট্রেডিং এর জন্য মানসিক নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা
প্রস্তাবিত নিবন্ধ
- বিভিন্ন সময় ফ্রেমে ট্রেডিং
- অল্প সময়ে আয়ের পদ্ধতি
- বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে সফলতা পেতে কোন সময়সূচী অনুসরণ করা উচিত?
- এক্সপায়ারি সময়
Recommended Binary Options Platforms
| Platform | Why beginners choose it | Register / Offer |
|---|---|---|
| IQ Option | Simple interface, popular asset list, quick order entry | IQ Option Registration |
| Pocket Option | Fast execution, tournaments, multiple expiration choices | Pocket Option Registration |
Join Our Community
Subscribe to our Telegram channel @copytradingall for analytics, free signals, and much more!
