অ্যান্ড্রয়েড
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম: একটি বিস্তারিত আলোচনা
ভূমিকা
অ্যান্ড্রয়েড হলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, টিভি এবং অন্যান্য ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত একটি বহুল জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি মূলত লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং গুগল কর্তৃক ডেভেলপ করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের উন্মুক্ত উৎস সফটওয়্যার প্রকৃতির কারণে, এটি বিভিন্ন ডিভাইস প্রস্তুতকারক এবং ডেভেলপারদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই নিবন্ধে, অ্যান্ড্রয়েডের ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য, আর্কিটেকচার, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অ্যান্ড্রয়েডের ইতিহাস
অ্যান্ড্রয়েডের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে অ্যান্ডি Rubin, রিচ Miner, নিক Sears এবং ক্রিস White দ্বারা গঠিত একটি ছোট কোম্পানি অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড-এর মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে, এটি উন্নত ক্যামেরাযুক্ত ডিজিটাল ক্যামেরাগুলির জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে, স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা উপলব্ধি করে, তারা স্মার্টফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েডকে পুনরায় ডিজাইন করে।
২০০৫ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেডকে অধিগ্রহণ করে এবং অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৮ সালে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ফোন, HTC Dream (T-Mobile G1 নামেও পরিচিত) বাজারে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর থেকে, অ্যান্ড্রয়েড দ্রুত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েডের বৈশিষ্ট্য
অ্যান্ড্রয়েডের সাফল্যের পেছনে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
- উন্মুক্ত উৎস: অ্যান্ড্রয়েডের সোর্স কোড সবার জন্য উন্মুক্ত, যা ডেভেলপারদের কাস্টমাইজেশন এবং নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরির সুযোগ করে দেয়।
- বহুমুখীতা: অ্যান্ড্রয়েড বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়, যেমন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ এবং টিভি।
- অ্যাপ্লিকেশনের প্রাচুর্য: গুগল প্লে স্টোর-এ লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে।
- কাস্টমাইজেশন: অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারে।
- গুগল পরিষেবাগুলির সাথে সংহতকরণ: অ্যান্ড্রয়েড গুগল ম্যাপস, জিমেইল, ইউটিউব এবং অন্যান্য গুগল পরিষেবাগুলির সাথে সহজে সংহত করা যায়।
- ওয়্যারলেস আপডেটস: অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলি ওয়্যারলেস আপডেটের মাধ্যমে নতুন সংস্করণ এবং নিরাপত্তা প্যাচগুলি গ্রহণ করতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েডের আর্কিটেকচার
অ্যান্ড্রয়েডের আর্কিটেকচারকে চারটি প্রধান স্তরে ভাগ করা যায়:
1. লিনাক্স কার্নেল: এটি অ্যান্ড্রয়েডের ভিত্তি, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। 2. হার্ডওয়্যার অ্যাবস্ট্রাকশন লেয়ার (HAL): HAL হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারকদের তাদের ড্রাইভারগুলিকে অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সহায়তা করে। 3. অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম (ART): ART অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে চালায় এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করে। 4. অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক: এটি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের জন্য প্রয়োজনীয় API এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
| স্তর | বিবরণ | | লিনাক্স কার্নেল | হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। | | হার্ডওয়্যার অ্যাবস্ট্রাকশন লেয়ার (HAL) | হার্ডওয়্যার ড্রাইভারগুলিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে। | | অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম (ART) | অ্যাপ্লিকেশন চালায় এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করে। | | অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক | ডেভেলপারদের জন্য API এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করে। | |
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য জাভা এবং কোটলিন প্রোগ্রামিং ভাষা প্রধানভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও হলো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য অফিশিয়াল সমন্বিত উন্নয়ন পরিবেশ (IDE)।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের মূল বিষয়গুলি হলো:
- অ্যাক্টিভিটি: একটি অ্যাক্টিভিটি হলো অ্যাপ্লিকেশনের একটি একক স্ক্রিন।
- ইনটেন্ট: ইনটেন্ট হলো অ্যাপ্লিকেশন কম্পোনেন্টগুলির মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম।
- ভিউ: ভিউ হলো ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপাদান, যেমন বাটন, টেক্সট ফিল্ড এবং ইমেজ ভিউ।
- লেআউট: লেআউট হলো ভিউগুলির বিন্যাস এবং সংগঠন।
- রিসোর্স: রিসোর্স হলো অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ব্যবহৃত চিত্র, শব্দ এবং অন্যান্য ডেটা।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন SDK (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট) এবং API (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) উপলব্ধ রয়েছে, যা ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং পরীক্ষা করতে সহায়তা করে।
অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণসমূহ
অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণ সময়ের সাথে সাথে প্রকাশিত হয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে নতুন বৈশিষ্ট্য, উন্নতি এবং নিরাপত্তা আপডেট রয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্করণ হলো:
- অ্যান্ড্রয়েড ১.০ (আপেল পাই): ২০০৮ সালে প্রকাশিত প্রথম অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ।
- অ্যান্ড্রয়েড ২.০ (ইক্লিপ্স): এটিতে গুগল ম্যাপস এবং মার্কেট (প্লে স্টোর) যুক্ত করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৩.০ (হানি কম্ব): ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ (আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ): এতে ফেস আনলক এবং ডেটা ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ যুক্ত করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ (ললিপপ): এটি ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন এবং উন্নত নোটিফিকেশন সিস্টেম নিয়ে আসে।
- অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ (মার্শমেলো): এতে অ্যাপ্লিকেশন অনুমতির নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ (নুগেট): এটি মাল্টি-উইন্ডো সাপোর্ট এবং ডাইরেক্ট রিপ্লাই যুক্ত করেছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ (ওরিও): এতে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্লিকেশন সীমাবদ্ধতা এবং স্বয়ংক্রিয় ফিল-ইন যুক্ত করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ (পাই): এটি ডিজিটাল ওয়েলবিং এবং অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন নিয়ে আসে।
- অ্যান্ড্রয়েড ১০ (কিউ): এটিতে সিস্টেম-ওয়াইড ডার্ক মোড এবং গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা হয়েছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ১১ (আর): এটি কথোপকথন বিজ্ঞপ্তি এবং ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ উন্নত করেছিল।
- অ্যান্ড্রয়েড ১২ (এস): এটি ম্যাটেরিয়াল ইউ ডিজাইন এবং গোপনীয়তা বৈশিষ্ট্যগুলির উপর জোর দেয়।
- অ্যান্ড্রয়েড ১৩ (টি): এটি গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার উপর আরও বেশি মনোযোগ দিয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েডের ভবিষ্যৎ প্রবণতা
অ্যান্ড্রয়েডের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল এবং উদ্ভাবনী। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যৎ প্রবণতা হলো:
- ফোল্ডেবল ডিভাইস: ফোল্ডেবল স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করছে, যা অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার আরও বাড়িয়ে দেবে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): অ্যান্ড্রয়েডে AI-এর ব্যবহার আরও বাড়বে, যা ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা এবং উন্নত কার্যকারিতা প্রদান করবে।
- ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT): অ্যান্ড্রয়েড IoT ডিভাইসগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যা স্মার্ট হোম এবং স্মার্ট শহরগুলির বিকাশে সহায়তা করবে।
- অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR): অ্যান্ড্রয়েড AR এবং VR অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য আরও উন্নত সমর্থন প্রদান করবে।
- 5G প্রযুক্তি: 5G প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলি আরও দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সংযোগ উপভোগ করতে পারবে।
- সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা: গুগল অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে।
অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা
অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুগল নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, যা ডিভাইসগুলিকে ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকি থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের উচিত তাদের ডিভাইসগুলি সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিতভাবে তাদের ডেটা ব্যাকআপ করা। গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকারক অ্যাপ্লিকেশন থেকে রক্ষা করে।
অ্যান্ড্রয়েড এবং অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে তুলনা
অ্যান্ড্রয়েড বর্তমানে iOS, উইন্ডোজ ফোন, এবং অন্যান্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের সাথে প্রতিযোগিতা করছে। অ্যান্ড্রয়েডের উন্মুক্ত উৎস এবং কাস্টমাইজেশনের সুযোগ এটিকে অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে আলাদা করে।
| অ্যান্ড্রয়েড | iOS | | লিনাক্স ভিত্তিক | ডারউইন ভিত্তিক | | উন্মুক্ত উৎস | বদ্ধ উৎস | | উচ্চ | সীমিত | | গুগল প্লে স্টোর | অ্যাপ স্টোর | | বিভিন্ন প্রস্তুতকারক | অ্যাপল | | বিভিন্ন পরিসরে উপলব্ধ | সাধারণত উচ্চ মূল্যের | |
উপসংহার
অ্যান্ড্রয়েড একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী অপারেটিং সিস্টেম, যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয়। এর উন্মুক্ত উৎস, কাস্টমাইজেশনের সুযোগ এবং বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম এটিকে একটি আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড আরও উন্নত এবং উদ্ভাবনী হয়ে উঠবে, যা আমাদের ডিজিটাল জীবনকে আরও সহজ এবং সমৃদ্ধ করবে।
স্মার্টফোন ট্যাবলেট অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোর অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও লিনাক্স সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট মোবাইল প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইন্টারনেট অফ থিংস অগমেন্টেড রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি 5G ডেটা নিরাপত্তা গোপনীয়তা উন্মুক্ত উৎস হার্ডওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রামিং ভাষা কোটলিন জাভা অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক হার্ডওয়্যার অ্যাবস্ট্রাকশন লেয়ার
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ভলিউম বিশ্লেষণ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন মুভিং এভারেজ আরএসআই MACD ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট বোলিঙ্গার ব্যান্ডস সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন মার্কেট সেন্টিমেন্ট ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ অর্থনৈতিক সূচক বৈশ্বিক বাজার
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
