অ্যাকশন সিনেমার তালিকা

অ্যাকশন সিনেমার তালিকা

ভূমিকা

অ্যাকশন সিনেমা হল চলচ্চিত্র জগতের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারা। এই ধরনের সিনেমাগুলোতে সাধারণত উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য, মারামারি, ধোঁয়াশা, এবং বিপদসংকুল পরিস্থিতি থাকে যা দর্শকদের আকৃষ্ট করে। অ্যাকশন সিনেমার মূল উদ্দেশ্য হল দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ সৃষ্টি করা। এই ধারাটির বিবর্তন বেশ দীর্ঘ এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকশন সিনেমা দর্শকদের মাঝে সমাদৃত হয়েছে। চলচ্চিত্রের ইতিহাস-এর সাথে সাথে অ্যাকশন সিনেমারও পরিবর্তন ঘটেছে।

অ্যাকশন সিনেমার প্রকারভেদ

অ্যাকশন সিনেমা বিভিন্ন উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে, যেমন:

• মার্শাল আর্ট অ্যাকশন: এই সিনেমাগুলোতে কুংফু, কারাতে, জুডো-র মতো মার্শাল আর্টের ব্যবহার দেখা যায়। মার্শাল আর্ট এই সিনেমার প্রধান আকর্ষণ।
• বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরক অ্যাকশন: এই ধরনের সিনেমাগুলোতে বন্দুকযুদ্ধ, বোমা বিস্ফোরণ এবং অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ দেখানো হয়।
• গাড়ি Chase এবং স্টান্ট: দ্রুতগতির গাড়ি Chase এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট এই সিনেমাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গাড়ির স্টান্ট সাধারণত অভিজ্ঞ স্টান্টম্যান দ্বারা পরিবেশিত হয়।
• সুপারহিরো অ্যাকশন: কমিক বইয়ের চরিত্রগুলোর উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া সিনেমা, যেখানে সুপারহিরোরা তাদের বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে অপরাধীদের সাথে লড়াই করে। সুপারহিরো এখন অ্যাকশন সিনেমার একটি বড় অংশ।
• স্পাই অ্যাকশন: গুপ্তচরবৃত্তি এবং গোপন মিশনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া সিনেমা। গুপ্তচরবৃত্তি এই সিনেমার মূল উপাদান।

বিখ্যাত অ্যাকশন সিনেমার তালিকা

এখানে কিছু বিখ্যাত অ্যাকশন সিনেমার একটি তালিকা দেওয়া হলো:

বিখ্যাত অ্যাকশন সিনেমার তালিকা

চলচ্চিত্র	পরিচালক	বছর	অভিনেতা
ডাই হার্ড	জন ম্যাক Tiernan	১৯৮৮	ব্রুস উইলিস
টার্মিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে	জেমস ক্যামেরন	১৯৯১	আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
ম্যাট্রিক্স	লানা ওয়াচowski এবং লিলি ওয়াচowski	১৯৯৯	কিয়ানু রিভস
মিশন: ইম্পসিবল - ফলআউট	ক্রিস্টোফার ম্যাকQuarry	২০১৭	টম ক্রুজ
জন উইক	চাদ স্টাহেলস্কি	২০১৪	কিয়ানু রিভস
ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজ	বিভিন্ন পরিচালক	২০০১-বর্তমান	ভিন ডিজেল, পল ওয়াকার
ডার্ক নাইট	ক্রিস্টোফার নোলান	২০০৮	ক্রিশ্চিয়ান বেল
Avengers: Endgame	অ্যান্থনি এবং জো রুসো	২০১৯	রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ক্রিস ইভান্স
Mad Max: Fury Road	জর্জ মিলার	২০১৫	টম হার্ডি, শার্লিজ থেরন
Die Another Day	লি টেম্পলটন	২০০২	পিয়ার্স ব্রসনান
Casino Royale	মার্টিন ক্যাম্পবেল	২০০৬	ড্যানিয়েল ক্রেইগ
Bourne Identity	ডগ লিমান	২০০২	ম্যাট ড্যামন
The Raid: Redemption	Gareth Evans	২০১১	Iko Uwais
Kill Bill: Vol. 1	Quentin Tarantino	২০০৩	Uma Thurman
Predator	জন ম্যাক Tiernan	১৯৮৭	আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
Lethal Weapon	রিচার্ড Donner	১৯৮৭	মেল Gibson, ড্যানি Glover
Speed	জন Speed	১৯৯৪	কিয়ানু রিভস, স্যান্ড্রা Bullock
Taken	Pierre Morel	২০০৮	লিয়াম Neeson
Equalizer	Antoine Fuqua	২০১৪	ডেনজেল ওয়াশিংটন
Baby Driver	Edgar Wright	২০১৭	Ansel Elgort

অ্যাকশন সিনেমার নির্মাণ প্রক্রিয়া

অ্যাকশন সিনেমার নির্মাণ প্রক্রিয়া অন্যান্য সিনেমা থেকে কিছুটা ভিন্ন। এখানে স্পেশাল এফেক্টস এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টস এর ব্যবহার অনেক বেশি। স্টান্টের জন্য অভিজ্ঞ স্টান্ট কোঅর্ডিনেটর প্রয়োজন হয়, যিনি অভিনেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এছাড়াও, সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার সময় অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলোর পরিকল্পনা খুব সতর্কতার সাথে করা হয়।

• চিত্রনাট্য: একটি শক্তিশালী চিত্রনাট্য অ্যাকশন সিনেমার ভিত্তি। গল্পটি আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ হতে হবে।
• স্থান নির্বাচন: অ্যাকশন সিনেমার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
• ক্যামেরার কাজ: দ্রুতগতির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো ক্যামেরার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে দক্ষ সিনেম্যাটোগ্রাফার প্রয়োজন।
• সম্পাদনা: অ্যাকশন সিনেমার সম্পাদনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগতির দৃশ্যগুলো সুন্দরভাবে সম্পাদনা করার মাধ্যমে সিনেমার গতি বজায় রাখা হয়।
• শব্দ এবং সঙ্গীত: অ্যাকশন সিনেমার শব্দ এবং সঙ্গীত দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শব্দ সম্পাদনা এবং সঙ্গীত পরিচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাকশন সিনেমার ভবিষ্যৎ

অ্যাকশন সিনেমার ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অ্যাকশন সিনেমাগুলোতে নতুন নতুন কৌশল এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ব্যবহার করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR) এর মতো প্রযুক্তিগুলো অ্যাকশন সিনেমাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি ভবিষ্যতে অ্যাকশন সিনেমার অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করে দেবে।

অ্যাকশন সিনেমার প্রভাব

অ্যাকশন সিনেমাগুলো দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ও রোমাঞ্চের সৃষ্টি করে। এই সিনেমাগুলো দর্শকদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপিত করে এবং তাদের বাস্তব জীবনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হয়। অ্যাকশন সিনেমার জনপ্রিয়তা বিনোদন শিল্প-এর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে অ্যাকশন সিনেমার সংযোগ

যদিও আপাতদৃষ্টিতে অ্যাকশন সিনেমা এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই, তবে উভয় ক্ষেত্রেই ঝুঁকি এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন।

• ঝুঁকি মূল্যায়ন: অ্যাকশন সিনেমার নায়করা যেমন বিপদ মূল্যায়ন করে পদক্ষেপ নেয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করা জরুরি। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
• কৌশলগত পরিকল্পনা: অ্যাকশন সিনেমার মতো, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও সফল হওয়ার জন্য একটি সুচিন্তিত কৌশল প্রয়োজন। ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
• দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: অ্যাকশন দৃশ্যে যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ দক্ষতা এখানে কাজে লাগে।
• ভলিউম বিশ্লেষণ: সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ভলিউম বিশ্লেষণ করা জরুরি। ভলিউম বিশ্লেষণ আপনাকে বাজারের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে।
• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: সিনেমার ভিজ্যুয়াল এফেক্টস এবং স্টান্টগুলো যেমন মনোযোগ আকর্ষণ করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ আপনাকে সঠিক ট্রেড নির্বাচন করতে সাহায্য করে।
• মানি ম্যানেজমেন্ট: অ্যাকশন সিনেমার বাজেট যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ মানি ম্যানেজমেন্ট জরুরি। মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার মূলধন রক্ষা করে।
• সম্ভাব্য রিটার্ন: অ্যাকশন সিনেমার বক্স অফিস হিট যেমন বিনিয়োগের রিটার্ন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সম্ভাব্য রিটার্ন মূল্যায়ন করা উচিত। রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
• মার্কেট সেন্টিমেন্ট: সিনেমার দর্শকদের প্রতিক্রিয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ মার্কেট সেন্টিমেন্ট বোঝা জরুরি। মার্কেট সেন্টিমেন্ট আপনাকে বাজারের মানসিকতা বুঝতে সাহায্য করে।
• ঝুঁকি-পুরস্কার অনুপাত: অ্যাকশন সিনেমার ঝুঁকি ও উত্তেজনা যেমন সমানুপাতিক, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি-পুরস্কার অনুপাত বিবেচনা করা উচিত। ঝুঁকি-পুরস্কার অনুপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং মেট্রিক।
• বৈচিত্র্যকরণ: অ্যাকশন সিনেমার বিভিন্ন ধরন যেমন দর্শকদের আকর্ষণ করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বৈচিত্র্যকরণ করা উচিত। বৈচিত্র্যকরণ আপনার ঝুঁকি কমায়।
• দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ: কিছু অ্যাকশন সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদী লাভ নিয়ে আসে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কৌশল কাজে লাগতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা উচিত।
• সংবাদ এবং বিশ্লেষণ: সিনেমার খবর এবং পর্যালোচনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ আর্থিক খবর এবং বিশ্লেষণ অনুসরণ করা উচিত। আর্থিক বিশ্লেষণ আপনাকে বাজারের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।
• শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ: অ্যাকশন সিনেমার অভিনেতা এবং নির্মাতারা যেমন প্রশিক্ষণ নেয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ট্রেডিং শিক্ষা আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
• মানসিক শৃঙ্খলা: অ্যাকশন সিনেমার চরিত্রদের মানসিক দৃঢ়তা যেমন প্রয়োজন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ মানসিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি। মানসিক শৃঙ্খলা আপনাকে আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করে।
• সিস্টেম্যাটিক ট্রেডিং: অ্যাকশন সিনেমার শুটিং যেমন একটি সিস্টেমে করা হয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ একটি সিস্টেম্যাটিক অ্যাপ্রোচ অনুসরণ করা উচিত। সিস্টেম্যাটিক ট্রেডিং আপনার ট্রেডিংকে আরও সুসংগঠিত করে।

উপসংহার

অ্যাকশন সিনেমা চলচ্চিত্র শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সিনেমাগুলো দর্শকদের উত্তেজনা ও রোমাঞ্চের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অ্যাকশন সিনেমার ধারা আরও বিকশিত হবে এবং দর্শকদের জন্য নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। একই সাথে, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রেও ঝুঁকি মূল্যায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, যা অ্যাকশন সিনেমার নায়কদের বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে তুলনীয়।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ