Types of Binary Options

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

বাইনারি অপশন প্রকার

বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জনপ্রিয় আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা কোনো সম্পদের (যেমন স্টক, মুদ্রা, কমোডিটি) দাম একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। এই ট্রেডিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ এবং ঝুঁকি প্রদান করে। এই নিবন্ধে, বাইনারি অপশনের বিভিন্ন প্রকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. হাই/লো (High/Low) অপশন ২. টাচ/নো টাচ (Touch/No Touch) অপশন ৩. ইন/আউট (In/Out) অপশন ৪. রেঞ্জ (Range) অপশন ৫. টার্বো (Turbo) অপশন ৬. ডিজিটাল (Digital) অপশন ৭. ওয়ান-টাচ (One-Touch) অপশন ৮. পেয়ার অপশন (Pair Option) ৯. ল্যাডার অপশন (Ladder Option)

১. হাই/লো (High/Low) অপশন এটি বাইনারি অপশনের সবচেয়ে সরল এবং বহুল ব্যবহৃত প্রকার। এখানে, বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের দাম বাড়বে (কল অপশন) নাকি কমবে (পুট অপশন)। যদি বিনিয়োগকারীর অনুমান সঠিক হয়, তবে তিনি একটি পূর্বনির্ধারিত পরিমাণ লাভ পান। আর ভুল হলে, তিনি বিনিয়োগ করা পুরো অর্থ হারান।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি মনে করেন যে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে ইউএসডি/জেপিওয়াই (USD/JPY) মুদ্রার দাম বাড়বে, তাহলে আপনি একটি কল অপশন কিনতে পারেন। যদি দাম সত্যিই বাড়ে, আপনি লাভ পাবেন। অন্যথায়, আপনার বিনিয়োগ শেষ হয়ে যাবে। ফরেক্স ট্রেডিং এবং মুদ্রা বিনিময় হার সম্পর্কে ধারণা থাকলে এই অপশন ট্রেড করা সহজ।

২. টাচ/নো টাচ (Touch/No Touch) অপশন এই অপশনে, বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে সম্পদের দাম একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে (টাচ) নাকি পৌঁছাবে না (নো টাচ)। এখানে সময়সীমা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দামকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টার্গেট প্রাইস স্পর্শ করতে হবে।

যদি আপনি মনে করেন ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম আজ $৮০-এ পৌঁছাবে, তাহলে আপনি একটি টাচ অপশন কিনতে পারেন। যদি দাম $৮০ স্পর্শ করে, আপনি লাভ পাবেন। অন্যথায়, আপনার বিনিয়োগ হারাতে হবে। কমোডিটি মার্কেট এবং বাজার বিশ্লেষণ এই অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ইন/আউট (In/Out) অপশন টাচ/নো টাচ অপশনের মতোই, ইন/আউট অপশনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। তবে এখানে বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে দাম নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে থাকবে (ইন) নাকি রেঞ্জের বাইরে চলে যাবে (আউট)।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন যে স্বর্ণের দাম $২০০০ এবং $২০০০ ৫০-এর মধ্যে থাকবে, তাহলে আপনি একটি ইন অপশন কিনতে পারেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং স্বর্ণের বাজার সম্পর্কে জ্ঞান এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

৪. রেঞ্জ (Range) অপশন এই অপশনে, বিনিয়োগকারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের দাম একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে থাকবে কিনা তা অনুমান করতে হয়। যদি দাম রেঞ্জের মধ্যে থাকে, বিনিয়োগকারী লাভ পান।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন যে আগামী ৩০ মিনিটে অ্যাপলের শেয়ারের দাম $১৫০ থেকে $১৫৫-এর মধ্যে থাকবে, তাহলে আপনি একটি রেঞ্জ অপশন কিনতে পারেন। স্টক মার্কেট এবং শেয়ার বাজার বিশ্লেষণ এই অপশনের জন্য প্রয়োজনীয়।

৫. টার্বো (Turbo) অপশন টার্বো অপশন, যা প্রায়শই "এক্সট্রিম" অপশন নামে পরিচিত, খুব দ্রুত মেয়াদ শেষ হওয়ার বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। এই অপশনগুলি উচ্চ ঝুঁকি এবং উচ্চ লাভের সম্ভাবনা প্রদান করে।

টার্বো অপশন ট্রেড করার সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হয়। টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

৬. ডিজিটাল (Digital) অপশন ডিজিটাল অপশনগুলি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এখানে, বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে দাম লক্ষ্যমাত্রার উপরে থাকবে নাকি নিচে। এই অপশনে, লাভ সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণে হয়ে থাকে।

যদি আপনি মনে করেন যে ডাউ জোন্স ইন্ডস্ট্রিয়াল এভারেজ (Dow Jones Industrial Average) সূচকটি আজ ৩৫০00-এর উপরে থাকবে, তাহলে আপনি একটি ডিজিটাল অপশন কিনতে পারেন। বাজারের পূর্বাভাস এবং অর্থনৈতিক সূচক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

৭. ওয়ান-টাচ (One-Touch) অপশন ওয়ান-টাচ অপশন অনেকটা টাচ অপশনের মতোই, তবে এখানে দামকে একবার মাত্র টার্গেট প্রাইস স্পর্শ করতে হয়। একবার স্পর্শ করলেই বিনিয়োগকারী লাভ পান, এমনকি দাম পরে কমে গেলেও।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন যে বিটকয়েনের দাম এই সপ্তাহে $৭০,০০০-এ পৌঁছাবে, তাহলে আপনি একটি ওয়ান-টাচ অপশন কিনতে পারেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা থাকলে এই অপশন ট্রেড করা সহজ।

৮. পেয়ার অপশন (Pair Option) পেয়ার অপশন বিনিয়োগকারীদের দুটি ভিন্ন সম্পদের মধ্যে আপেক্ষিক কর্মক্ষমতা নিয়ে ট্রেড করার সুযোগ দেয়। এখানে, বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে একটি সম্পদ অন্যটির চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে নাকি খারাপ।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন যে গুগল (Google) শেয়ার অ্যাপলের (Apple) চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে, তাহলে আপনি একটি পেয়ার অপশন কিনতে পারেন। তুলনামূলক বিশ্লেষণ এবং পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা এই অপশনের জন্য প্রয়োজনীয়।

৯. ল্যাডার অপশন (Ladder Option) ল্যাডার অপশন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ধাপ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি ধাপ একটি নির্দিষ্ট মূল্য স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে। বিনিয়োগকারীকে অনুমান করতে হয় যে দাম কোন ধাপে পৌঁছাবে। যত উপরে ধাপ, লাভের পরিমাণ তত বেশি।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন যে সিলভারের দাম $২৫, $২৬, বা $২৭-এ পৌঁছাতে পারে, তাহলে আপনি একটি ল্যাডার অপশন কিনতে পারেন। মূল্য নির্ধারণ এবং বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা এক্ষেত্রে কাজে লাগে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ঝুঁকি বাইনারি অপশন ট্রেডিং ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিনিয়োগ করার আগে, বাজারের ঝুঁকি, নিজের ঝুঁকির সহনশীলতা এবং ট্রেডিং কৌশল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি ট্রেডে আপনার বিনিয়োগের একটি ছোট অংশ ব্যবহার করুন।
  • বাজার বিশ্লেষণ: ট্রেড করার আগে বাজার বিশ্লেষণ করুন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
  • শিক্ষা: বাইনারি অপশন ট্রেডিং সম্পর্কে আরও জানুন এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
  • মানসিক শৃঙ্খলা: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং ঠান্ডা মাথায় ট্রেড করুন।

উপসংহার বাইনারি অপশন ট্রেডিং বিভিন্ন প্রকার অপশন সরবরাহ করে, যা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ দেয়। প্রতিটি অপশনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, ঝুঁকি এবং লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের উচিত তাদের বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং ঝুঁকির সহনশীলতা অনুযায়ী সঠিক অপশন নির্বাচন করা।

আরও জানতে:

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер