Twelve-Factor App

Twelve-Factor App

Twelve-Factor App হল একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতি যা আধুনিক, স্কেলেবল এবং রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশানগুলি প্রায়শই ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মে স্থাপন করা হয় এবং ক্রমাগত ডেলিভারি এবং ডেভঅপস অনুশীলনগুলির সাথে ভালভাবে কাজ করে। এই নিবন্ধে, আমরা Twelve-Factor App-এর প্রতিটি ফ্যাক্টর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

১. কোডবেস (Codebase)

একটি Twelve-Factor App-এর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল একটি একক কোডবেস। এর মানে হল অ্যাপ্লিকেশনটির সমস্ত কোড একটিমাত্র ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম-এ (যেমন Git) ট্র্যাক করা উচিত। একাধিক কোডবেস তৈরি করা হলে জটিলতা বাড়ে, সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

• একক কোডবেস বজায় রাখা অ্যাপ্লিকেশনটিকে ট্র্যাক করা, পরিবর্তন করা এবং রোলব্যাক করা সহজ করে তোলে।
• এটি টিমের মধ্যে সহযোগিতা উন্নত করে।
• কন্টিনিউয়াস ইন্টিগ্রেশন এবং কন্টিনিউয়াস ডেলিভারি (CI/CD) পাইপলাইন তৈরি করা সহজ করে।

২. নির্ভরতা (Dependencies)

অ্যাপ্লিকেশনের সমস্ত নির্ভরতা (লাইব্রেরি, প্যাকেজ, ইত্যাদি) স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা উচিত এবং নির্ভরতা ব্যবস্থাপনার সরঞ্জাম (যেমন Maven, npm, pip) ব্যবহার করে পরিচালনা করা উচিত।

• প্রত্যেকটি নির্ভরতা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হলে, অ্যাপ্লিকেশনটি বিভিন্ন পরিবেশে (যেমন ডেভেলপমেন্ট, টেস্টিং, প্রোডাকশন) একই রকমভাবে কাজ করবে।
• নির্ভরতা ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ভরতা ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারে, যা স্থাপনার প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
• ডকার এবং কুবেরনেটিস এর মতো কন্টেইনারাইজেশন প্রযুক্তির সাথে এটি খুব ভালোভাবে কাজ করে।

৩. কনফিগারেশন (Config)

অ্যাপ্লিকেশনের কনফিগারেশন কোড থেকে আলাদা করা উচিত। কনফিগারেশন ভেরিয়েবলগুলি পরিবেশের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে (যেমন ডেটাবেস ইউআরএল, API কী)।

• কনফিগারেশন কোড থেকে আলাদা রাখলে, অ্যাপ্লিকেশনটি পুনরায় কোড না করে বিভিন্ন পরিবেশে স্থাপন করা যায়।
• সংবেদনশীল তথ্য (যেমন API কী) কোডবেসের মধ্যে সংরক্ষণ করা উচিত নয়।
• কনফিগারেশনগুলি এনভায়রনমেন্ট ভেরিয়েবল অথবা কনফিগারেশন ফাইল (যেমন `.env`) এ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
• ভল্ট এবং হ্যাশিকর্প এর মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করে কনফিগারেশন নিরাপদে পরিচালনা করা যায়।

৪. ব্যাকেন্ড পরিষেবা (Backing Services)

ব্যাকেন্ড পরিষেবাগুলি (যেমন ডেটাবেস, বার্তা সারি, ক্যাশিং সিস্টেম) অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে একই রকমভাবে ট্রিট করা উচিত। অ্যাপ্লিকেশনটিকে এই পরিষেবাগুলির নির্দিষ্ট বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে হবে না।

• এটি অ্যাপ্লিকেশনটিকে বিভিন্ন ব্যাকেন্ড পরিষেবাগুলির সাথে সহজে স্যুইচ করতে দেয়।
• ডেভেলপমেন্ট এবং প্রোডাকশন পরিবেশে বিভিন্ন ব্যাকেন্ড পরিষেবা ব্যবহার করা যেতে পারে।
• মাইক্রোসার্ভিসেস আর্কিটেকচারের সাথে ভালভাবে কাজ করে।
• পোস্টগ্রেসএসকিউএল, মাইএসকিউএল, মংগোডিবি ইত্যাদি বিভিন্ন ডেটাবেস ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. বিল্ড, রিলিজ, রান (Build, Release, Run)

অ্যাপ্লিকেশনের জীবনচক্রকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা উচিত: বিল্ড, রিলিজ এবং রান।

• বিল্ড: কোডবেস এবং এর নির্ভরতা থেকে একটি এক্সিকিউটেবল প্যাকেজ তৈরি করা।
• রিলিজ: বিল্ডের সাথে কনফিগারেশন যুক্ত করে একটি রিলিজ তৈরি করা, যা স্থাপনযোগ্য।
• রান: রিলিজ চালানো, যা অ্যাপ্লিকেশনটিকে একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ সরবরাহ করে।
• এই তিনটি পর্যায়কে আলাদা রাখলে, স্থাপনার প্রক্রিয়াটি আরও নির্ভরযোগ্য এবং অনুমানযোগ্য হয়।
• জেনকিন্স, গিটল্যাব সিআই, এবং সার্কেলসিআই এর মতো সিআই/সিডি সরঞ্জাম এই প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে সাহায্য করে।

৬. প্রক্রিয়া (Processes)

অ্যাপ্লিকেশনটিকে এক বা একাধিক স্টেটলেস প্রক্রিয়াকরণে চালানো উচিত। কোনো প্রক্রিয়াই অন্য কোনো প্রক্রিয়ার অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে না।

• স্টেটলেস প্রক্রিয়াগুলি সহজে স্কেল করা যায়।
• এগুলি রোলিং ডিপ্লয়মেন্ট এবং শূন্য ডাউনটাইম স্থাপনার জন্য উপযুক্ত।
• লোড ব্যালেন্সিং ব্যবহার করে একাধিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ট্র্যাফিক বিতরণ করা যায়।
• এপিএম (Application Performance Monitoring) সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রক্রিয়াগুলির কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা যায়।

৭. পোর্ট বাইন্ডিং (Port Binding)

অ্যাপ্লিকেশনটিকে একটি পোর্টে বাইন্ড করা উচিত এবং এই পোর্টের মাধ্যমে পরিষেবা সরবরাহ করা উচিত।

• এটি অ্যাপ্লিকেশনটিকে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবাগুলির সাথে যোগাযোগ করতে দেয়।
• পোর্টের মাধ্যমে পরিষেবা সরবরাহ করা অ্যাপ্লিকেশনটিকে আরও মডুলার করে তোলে।
• এনগিনেক্স এবং অ্যাপাচি এর মতো ওয়েব সার্ভারগুলি পোর্ট বাইন্ডিং পরিচালনা করতে পারে।

৮. কনকারেন্সি (Concurrency)

অ্যাপ্লিকেশনটিকে কনকারেন্ট অনুরোধগুলি পরিচালনা করার জন্য ডিজাইন করা উচিত।

• এটি অ্যাপ্লিকেশনটির কর্মক্ষমতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা উন্নত করে।
• মাল্টিথ্রেডিং, অ্যাসিঙ্ক্রোনাস প্রোগ্রামিং এবং ইভেন্ট লুপ এর মতো কৌশল ব্যবহার করে কনকারেন্সি অর্জন করা যেতে পারে।
• রেডিস এবং র্যাবিটএমকিউ এর মতো বার্তা সারি ব্যবহার করে কনকারেন্সি পরিচালনা করা যায়।

৯. ডিসপোজেবিলিটি (Disposability)

অ্যাপ্লিকেশনটিকে দ্রুত শুরু এবং বন্ধ করার জন্য ডিজাইন করা উচিত।

• এটি রোলিং ডিপ্লয়মেন্ট এবং স্বয়ংক্রিয় স্কেলিং সহজ করে।
• ডকার এবং কুবেরনেটিস এর মতো কন্টেইনারাইজেশন প্রযুক্তি ডিসপোজেবিলিটি অর্জন করতে সাহায্য করে।
• অ্যাপ্লিকেশন শুরু করার সময় প্রয়োজনীয় রিসোর্সগুলি (যেমন ডেটাবেস সংযোগ) দ্রুত স্থাপন করা উচিত।

১০. ডেভ/প্রোডাকশন প্যারিটি (Dev/Prod Parity)

ডেভেলপমেন্ট, টেস্টিং এবং প্রোডাকশন পরিবেশগুলি যতটা সম্ভব একই রকম হওয়া উচিত।

• এটি অপ্রত্যাশিত ত্রুটিগুলি হ্রাস করে এবং স্থাপনার প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
• কন্টেইনারাইজেশন এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ কোড (IaC) এই প্যারিটি অর্জন করতে সাহায্য করে।
• টেরাফর্ম এবং অ্যানসিবল এর মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা যায়।

১১. লগস (Logs)

অ্যাপ্লিকেশনটিকে স্ট্যান্ডার্ড আউটপুটে লগ লিখতে হবে। লগগুলি ইভেন্ট স্ট্রিম হিসাবে ট্রিট করা উচিত।

• এটি লগ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ সহজ করে।
• এলকে স্ট্যাক (Elasticsearch, Logstash, Kibana) এবং স্প্লঙ্ক এর মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করে লগগুলি পরিচালনা করা যায়।
• লগগুলি অ্যাপ্লিকেশনটির সমস্যা সমাধান এবং কর্মক্ষমতা নিরীক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
• গ্রাফানা এবং প্রমিথিউস এর মতো পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামগুলির সাথে লগ একত্রিত করা যায়।

১২. অ্যাডমিন প্রক্রিয়া (Admin Processes)

অ্যাপ্লিকেশনের অ্যাডমিন প্রক্রিয়াগুলি (যেমন ডেটাবেস মাইগ্রেশন, কনফিগারেশন পরিবর্তন) কোডবেসের অংশ হওয়া উচিত এবং নিয়মিত স্থাপনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চালানো উচিত।

• এটি নিশ্চিত করে যে অ্যাডমিন প্রক্রিয়াগুলি নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য।
• ফ্লাইওয়ে এবং লিকুইবেস এর মতো সরঞ্জাম ডেটাবেস মাইগ্রেশন পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
• অ্যাডমিন প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো উচিত, যাতে সেগুলি মানুষের ত্রুটির শিকার না হয়।

এই Twelve-Factor App-এর নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে, ডেভেলপাররা আধুনিক, স্কেলেবল এবং রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে। এই পদ্ধতিগুলি মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার এবং ক্লাউড-নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

এই নির্দেশিকাগুলি শুধুমাত্র শুরু। আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুসারে এগুলি প্রয়োগ করতে হতে পারে।

এখানে কিছু অতিরিক্ত রিসোর্স দেওয়া হল:

• [The Twelve-Factor App](https://12factor.net/)
• ডকার (Docker)(https://www.docker.com/)
• কুবেরনেটিস (Kubernetes)(https://kubernetes.io/)
• ডেভঅপস (DevOps)(https://www.atlassian.com/devops)
• কন্টিনিউয়াস ইন্টিগ্রেশন (Continuous Integration)(https://www.redhat.com/en/topics/devops/what-is-ci-cd)
• কন্টিনিউয়াস ডেলিভারি (Continuous Delivery)(https://www.redhat.com/en/topics/devops/what-is-ci-cd)
• মাইক্রোসার্ভিসেস (Microservices)(https://microservices.io/)
• ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)(https://aws.amazon.com/what-is-cloud-computing/)
• গিট (Git)(https://git-scm.com/)
• এনভায়রনমেন্ট ভেরিয়েবল (Environment Variables)(https://en.wikipedia.org/wiki/Environment_variable)
• টেস্টিং (Software Testing)(https://www.guru99.com/software-testing.html)
• লোড ব্যালেন্সিং (Load Balancing)(https://www.cloudflare.com/learning/ddos/what-is-load-balancing/)
• এপিএম (Application Performance Monitoring)(https://newrelic.com/application-performance-monitoring)
• ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ কোড (Infrastructure as Code)(https://www.hashicorp.com/solutions/infrastructure-as-code)
• টেরাফর্ম (Terraform)(https://www.terraform.io/)
• অ্যানসিবল (Ansible)(https://www.ansible.com/)
• এলকে স্ট্যাক (ELK Stack)(https://www.elastic.co/elk-stack)
• স্প্লঙ্ক (Splunk)(https://www.splunk.com/)
• গ্রাফানা (Grafana)(https://grafana.com/)
• প্রমিথিউস (Prometheus)(https://prometheus.io/)
• ফ্লাইওয়ে (Flyway)(https://flywaydb.org/)
• লিকুইবেস (Liquibase)(https://www.liquibase.org/)

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ