রাজনীতি বিজ্ঞান
রাজনীতি বিজ্ঞান : একটি বিস্তারিত আলোচনা
ভূমিকা
রাজনীতি বিজ্ঞান হলো সমাজ এবং রাষ্ট্র সম্পর্কিত অধ্যয়ন। এটি ক্ষমতা, সরকার, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক আচরণ এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করে। এই বিজ্ঞান শুধু রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজ, অর্থনীতি, ইতিহাস, ভূগোল এবং মনোবিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। রাজনীতি বিজ্ঞান আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করে, কেন কাজ করে এবং কিভাবে উন্নত করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করে।
রাজনীতি বিজ্ঞানের সংজ্ঞা
রাজনীতি বিজ্ঞানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- হারবার্ট স্পেন্সার এর মতে, রাজনীতি বিজ্ঞান হলো "রাষ্ট্রের উৎপত্তি, উদ্দেশ্য, সংস্থা এবং কার্যকলাপের বিজ্ঞান"।
- জন বোডন এর মতে, "রাষ্ট্র হলো ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতিফলন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা হলো ঐশ্বরিক অধিকার"।
- আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, রাজনীতি বিজ্ঞান হলো "ক্ষমতা ও প্রভাবের অধ্যয়ন"।
রাজনীতি বিজ্ঞানের শাখা
রাজনীতি বিজ্ঞান একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র। এর প্রধান শাখাগুলো হলো:
১. রাজনৈতিক তত্ত্ব (রাজনৈতিক তত্ত্ব) : এটি রাজনীতির মৌলিক ধারণা, মূল্যবোধ এবং নীতি নিয়ে আলোচনা করে। এখানে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং গণতন্ত্রের মতো বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়।
২. তুলনামূলক রাজনীতি (তুলনামূলক রাজনীতি) : এই শাখায় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে তুলনা করা হয়। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
৩. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) : এটি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এবং বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে। যুদ্ধ, শান্তি, কূটনীতি, এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মতো বিষয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত।
৪. পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) : এই শাখায় সরকারি নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এটি সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকারিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় নিয়েও কাজ করে।
৫. পাবলিক পলিসি (পাবলিক পলিসি) : এটি সরকারি নীতিমালার বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করে। একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং তার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
৬. স্থানীয় সরকার (স্থানীয় সরকার) : স্থানীয় পর্যায়ে সরকার কিভাবে কাজ করে, স্থানীয় জনগণের সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা হয়, এবং স্থানীয় উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা কী, তা নিয়ে এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
রাজনৈতিক ধারণা ও মতবাদ
রাজনীতি বিজ্ঞানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ধারণা ও মতবাদ প্রচলিত আছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান মতবাদ হলো:
- গণতন্ত্র (গণতন্ত্র) : জনগণের শাসন। এখানে জনগণ সরাসরি অথবা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করে।
- সমাজতন্ত্র (সমাজতন্ত্র) : উৎপাদন এবং বিতরণের ক্ষেত্রে সামাজিক মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয়।
- ক্যাপিটালিজম (ক্যাপিটালিজম) : ব্যক্তিগত মালিকানা এবং মুক্ত বাজারের উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
- ফ্যাসিবাদ (ফ্যাসিবাদ) : একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক মতবাদ।
- সাম্যবাদ (সাম্যবাদ) : শ্রেণিহীন সমাজ এবং সম্পদের সমান বিতরণের উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক মতবাদ।
- উদারতাবাদ (উদারতাবাদ) : ব্যক্তি স্বাধীনতা, সীমিত সরকার এবং মুক্ত বাজারের উপর জোর দেয়।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সেই কাঠামো যা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো:
- সংসদ (সংসদ) : আইন প্রণয়নকারী সংস্থা।
- নির্বাহী বিভাগ (নির্বাহী বিভাগ) : আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
- বিচার বিভাগ (বিচার বিভাগ) : আইন প্রয়োগ এবং বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা।
- রাজনৈতিক দল (রাজনৈতিক দল) : রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের জন্য গঠিত সংস্থা।
- নির্বাচন কমিশন (নির্বাচন কমিশন) : নির্বাচন পরিচালনা এবং তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা।
- সংবিধান (সংবিধান) : রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।
রাজনৈতিক প্রক্রিয়া
রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হলো সেই পদ্ধতি যার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং নীতি প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হলো:
- নির্বাচন (নির্বাচন) : জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করার প্রক্রিয়া।
- আইন প্রণয়ন (আইন প্রণয়ন) : সংসদ কর্তৃক আইন তৈরির প্রক্রিয়া।
- নীতি প্রণয়ন (নীতি প্রণয়ন) : সরকারের নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া।
- জনমত গঠন (জনমত গঠন) : জনগণের ধারণা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি।
- রাজনৈতিক সংস্কৃতি (রাজনৈতিক সংস্কৃতি) : একটি সমাজের রাজনৈতিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আচরণ।
রাজনীতি বিজ্ঞান এবং অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান
রাজনীতি বিজ্ঞান অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান যেমন অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, এবং ভূগোলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
- অর্থনীতি (অর্থনীতি) : রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা রাজনীতিকে প্রভাবিত করে।
- সমাজবিজ্ঞান (সমাজবিজ্ঞান) : সমাজ এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করে।
- ইতিহাস (ইতিহাস) : অতীতের রাজনৈতিক ঘটনা এবং প্রক্রিয়াগুলো বর্তমানের রাজনীতিকে বুঝতে সাহায্য করে।
- ভূগোল (ভূগোল) : ভৌগোলিক উপাদানগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক (সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে বিশ্লেষণের প্রাসঙ্গিকতা)
যদিও রাজনীতি বিজ্ঞান এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবে উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্লেষণের গুরুত্ব রয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে সফল হতে হলে বাজারের গতিবিধি, অর্থনৈতিক সূচক এবং রাজনৈতিক ঘটনাগুলির উপর নজর রাখা জরুরি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা অস্থিরতা, সরকারের নীতি পরিবর্তন, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বাজারের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রভাবগুলি বিশ্লেষণ করে ট্রেডাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কিছু কৌশল:
১. ট্রেন্ড অনুসরণ (ট্রেন্ড অনুসরণ) : বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ট্রেড করা। ২. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল (সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল) : নির্দিষ্ট মূল্যস্তরে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা। ৩. মুভিং এভারেজ (মুভিং এভারেজ) : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গড় মূল্য হিসাব করে বাজারের প্রবণতা বোঝা। ৪. আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স) (আরএসআই) : বাজারের অতিরিক্ত কেনা বা বিক্রির চাপ পরিমাপ করা। ৫. ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট) : সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল সনাক্ত করা। ৬. ভলিউম বিশ্লেষণ (ভলিউম বিশ্লেষণ) : ট্রেডিং ভলিউমের মাধ্যমে বাজারের শক্তি বোঝা। ৭. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন (ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন) : ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট দেখে বাজারের ভবিষ্যৎ গতিবিধি অনুমান করা। ৮. নিউজ ট্রেডিং (নিউজ ট্রেডিং) : গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা। ৯. স্কাল্পিং (স্কাল্পিং) : খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছোট ছোট লাভ করে ট্রেড করা। ১০. পজিশন ট্রেডিং (পজিশন ট্রেডিং) : দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ট্রেড করা। ১১. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস) : চার্ট এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে বাজারের বিশ্লেষণ করা। ১২. ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস) : অর্থনৈতিক ডেটা এবং অন্যান্য মৌলিক কারণগুলির উপর ভিত্তি করে বাজারের বিশ্লেষণ করা। ১৩. রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (রিস্ক ম্যানেজমেন্ট) : ঝুঁকির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেড করা। ১৪. পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন (পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন) : বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেটে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো। ১৫. অটোমেটেড ট্রেডিং (অটোমেটেড ট্রেডিং) : স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেম ব্যবহার করে ট্রেড করা।
উপসংহার
রাজনীতি বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিজ্ঞান। এটি আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সমাজকে বুঝতে সাহায্য করে। এই বিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারি এবং একটি উন্নত সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারি। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বোঝা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
