যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান
ভূমিকা
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান হলো বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত এবং কোডাবদ্ধ সংবিধানগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ভিত্তি স্থাপন করে এবং নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে। ১৭৮৭ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ফিলাডেলফিয়ার কনভেনশনে এটি গৃহীত হয় এবং ১৭৮৮ সালের ২১শে জুন নিউ হ্যাম্পশায়ার কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর এটি কার্যকর হয়। এই সংবিধান ফেডারেল সরকারের তিনটি প্রধান শাখা - আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ-এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী নির্দিষ্ট করে।
সংবিধান প্রণয়নের প্রেক্ষাপট
সংবিধান প্রণয়নের পূর্বে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্টিকেলস অফ কনফেডারেশন নামক একটি দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হতো। এই সরকারে রাজ্যগুলির হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা ছিল, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে কার্যকরভাবে শাসন করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের কারণে অর্থনৈতিক সংকট, আন্তঃরাজ্য বিরোধ এবং শেইস বিদ্রোহ-এর মতো ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং ১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়াতে একটি সাংবিধানিক কনভেনশন আহ্বান করা হয়।
সংবিধানের মূল উপাদান
সংবিধানের মূল কাঠামো নিম্নলিখিত উপাদানগুলির সমন্বয়ে গঠিত:
- ভূমিকা (Preamble): সংবিধানে এর মাধ্যমে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বর্ণিত হয়েছে। যেমন - "আমরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, একটি আরও নিখুঁত ইউনিয়ন গঠন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অভ্যন্তরীণ শান্তি নিশ্চিত, সাধারণ প্রতিরক্ষা প্রদান, সাধারণ কল্যাণ বৃদ্ধি এবং নিজেদের ও আমাদের বংশধরদের জন্য স্বাধীনতার আশীর্বাদ সুরক্ষিত করার জন্য এই সংবিধানের জন্য বিধিবদ্ধ ও প্রতিষ্ঠা করছি।"
- সাতটি ধারা (Seven Articles): এই ধারাগুলোতে সরকারের তিনটি প্রধান শাখা (আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) এবং তাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক বর্ণিত হয়েছে।
- সংশোধনী (Amendments): সংবিধানে পরিবর্তন আনার জন্য এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। আজ পর্যন্ত ২৭টি সংশোধনী গৃহীত হয়েছে।
সাতটি ধারার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
| আইনসভা: কংগ্রেসের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে সিনেট ও প্রতিনিধি সভা অন্তর্ভুক্ত। | নির্বাহী বিভাগ: রাষ্ট্রপতি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর ক্ষমতা, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। | বিচার বিভাগ: সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য ফেডারেল আদালতের গঠন, এখতিয়ার এবং বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। | রাজ্যসমূহের মধ্যে সম্পর্ক: রাজ্যগুলির মধ্যে সম্পর্ক, নাগরিকদের অধিকার এবং নতুন রাজ্য গঠনের নিয়মাবলী বর্ণিত হয়েছে। | সংশোধনী প্রস্তাবনা: সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে। | সর্বোচ্চ আইন: এই ধারায় সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। | অনুমোদন প্রক্রিয়া: সংবিধান অনুমোদনের প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে। |
বিল অফ রাইটস (Bill of Rights)
সংবিধানের প্রথম দশটি সংশোধনীকে একত্রে বিল অফ রাইটস বলা হয়। এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- প্রথম সংশোধনী: বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার এবং সরকারের কাছে প্রতিকার চাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে।
- দ্বিতীয় সংশোধনী: অস্ত্র রাখার ও বহন করার অধিকার নিশ্চিত করে।
- চতুর্থ সংশোধনী: অযৌক্তিক অনুসন্ধান ও আটক থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- পঞ্চম সংশোধনী: আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ, দ্বৈত বিপদ থেকে সুরক্ষা এবং আত্ম-দোষারোপ থেকে মুক্তির অধিকার নিশ্চিত করে।
- ষষ্ঠ সংশোধনী: দ্রুত এবং জনসমক্ষে বিচার পাওয়ার অধিকার, আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার অধিকার এবং সাক্ষীদের মুখোমুখি হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে।
- অষ্টম সংশোধনী: নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি এবং অতিরিক্ত জামানত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- নবম সংশোধনী: সংবিধানে উল্লেখিত অধিকারগুলো ছাড়াও অন্যান্য অধিকারও নাগরিকদের রয়েছে বলে ঘোষণা করে।
- দশম সংশোধনী: সংবিধানে কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি এমন ক্ষমতা রাজ্য বা জনগণের হাতে থাকবে তা নিশ্চিত করে।
সংবিধানের সংশোধনী প্রক্রিয়া
সংবিধান সংশোধন করার জন্য একটি জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। কোনো সংশোধনী প্রস্তাব করার জন্য কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। এরপর, সংশোধনীটি রাজ্যগুলির মধ্যে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে এটি অনুমোদিত হতে পারে:
- রাজ্য আইনসভাগুলির দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন।
- রাজ্যগুলির বিশেষ convened কনভেনশনের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন।
- সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত।
বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা (Judicial Review)
মার্বুরি বনাম ম্যাডিসন (১৮০৩) মামলার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা অর্জন করে। এই ক্ষমতার মাধ্যমে আদালত আইন এবং নির্বাহী আদেশ সংবিধানে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা যাচাই করতে পারে। যদি কোনো আইন বা আদেশ সংবিধানের লঙ্ঘন করে, তবে আদালত তা বাতিল ঘোষণা করতে পারে।
সংবিধানের তাৎপর্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংবিধানের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করেছে। এটি গণতন্ত্র, বৈষম্যহীনতা, এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার ধারণাকে সমুন্নত করেছে। এই সংবিধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সংবিধানের সম্পর্ক
যদিও সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের কিছু মৌলিক ধারণা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে। যেমন:
- চুক্তি আইন (Contract Law): বাইনারি অপশন হলো একটি চুক্তি। সংবিধানের চুক্তি সম্পর্কিত ধারাগুলো এই ধরনের চুক্তির বৈধতা এবং বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করে।
- সম্পত্তির অধিকার (Property Rights): বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ সম্পত্তির অধিকারের আওতায় আসে এবং সংবিধান এই অধিকার রক্ষা করে।
- নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা (Regulatory Power): সরকার কর্তৃক বাইনারি অপশন ট্রেডিং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সংবিধানে বর্ণিত হয়েছে।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশলগুলো বাজারের গতিবিধি এবং সম্ভাব্য প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
- মুভিং এভারেজ (Moving Averages): বাজারের গড় মূল্য নির্ধারণ করে প্রবণতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। Moving Average Convergence Divergence (MACD)
- রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index - RSI): অতিরিক্ত কেনা বা বিক্রির পরিস্থিতি নির্দেশ করে। RSI Divergence
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করে। Bollinger Bands Squeeze
- ফিিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): সম্ভাব্য সমর্থন এবং প্রতিরোধের স্তর চিহ্নিত করে। Fibonacci Extensions
- ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (Volume Weighted Average Price - VWAP): নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রেডিং ভলিউম বিবেচনা করে গড় মূল্য নির্ণয় করে। VWAP Trading Strategies
- অন-ব্যালেন্স ভলিউম (On-Balance Volume - OBV): মূল্য এবং ভলিউমের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে। OBV Divergence
- অ্যাকিউমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (Accumulation/Distribution Line): বাজারের ক্রেতা এবং বিক্রেতার চাপ পরিমাপ করে। A/D Line Crossovers
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন (Candlestick Patterns): বাজারের সম্ভাব্য গতিবিধি সম্পর্কে সংকেত দেয়। Doji Candlestick
- হার্মোনিক প্যাটার্ন (Harmonic Patterns): নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ মূল্য সম্পর্কে ধারণা দেয়। Butterfly Pattern
- ইলিওট ওয়েভ থিওরি (Elliott Wave Theory): বাজারের গতিবিধিকে ঢেউয়ের আকারে বিশ্লেষণ করে। Fibonacci and Elliott Wave
- ডাউন ট্রেন্ড (Downtrend): বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা। Identifying Downtrends
- আপট্রেন্ড (Uptrend): বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। Confirming Uptrends
- সাইডওয়েজ মার্কেট (Sideways Market): বাজারের স্থিতিশীল অবস্থা। Trading Sideways Markets
- ব্রেকআউট (Breakout): প্রতিরোধের স্তর ভেদ করে উপরে বা নিচে যাওয়া। Breakout Trading Strategies
- ফেক ব্রেকআউট (Fake Breakout): ব্রেকআউটের মতো মনে হলেও পরবর্তীতে বিপরীত দিকে ফিরে যাওয়া। Avoiding Fake Breakouts
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি জীবন্ত দলিল, যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটি কেবল একটি আইনি কাঠামো নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে সমুন্নত করে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
