মূল্য মডেল

মূল্য মডেল

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ মূল্য মডেল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি একটি আর্থিক মডেল যা কোনো নির্দিষ্ট অ্যাসেটের (যেমন স্টক, মুদ্রা, কমোডিটি ইত্যাদি) ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই মডেলগুলো মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অ্যাসেটের দাম বাড়বে নাকি কমবে, সেই বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে। একজন বাইনারি অপশন ট্রেডার হিসেবে, এই মডেলগুলো বোঝা এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা আপনার ট্রেডিং সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।

মূল্য মডেলের প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের মূল্য মডেল রয়েছে, প্রত্যেকটির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান মূল্য মডেল নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. ব্ল্যাক-স্কোলস মডেল (Black-Scholes Model):

এটি সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত এবং বহুল ব্যবহৃত অপশন মূল্য মডেল। ১৯সেventy-তিন সালে ফিশার ব্ল্যাক এবং মাইরন স্কোলস এটি তৈরি করেন। এই মডেলটি কিছু নির্দিষ্ট অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেমন - অ্যাসেটের মূল্য লগ-নরমালি ডিস্ট্রিবিউটেড (log-normally distributed), কোনো লভ্যাংশ প্রদান করা হয় না, এবং বাজারের সুদ হার স্থিতিশীল থাকে।

ফর্মুলা: C = S * N(d1) - K * e^(-rT) * N(d2) এখানে, C = কল অপশনের মূল্য S = অ্যাসেটের বর্তমান মূল্য K = স্ট্রাইক মূল্য r = ঝুঁকি-মুক্ত সুদের হার T = মেয়াদকাল (বছরে) N = স্ট্যান্ডার্ড নরমাল ডিস্ট্রিবিউশন ফাংশন d1 = [ln(S/K) + (r + σ^2/2)T] / (σ * √T) d2 = d1 - σ * √T σ = অ্যাসেটের অস্থিরতা (volatility)

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা-এর ক্ষেত্রে এই মডেল গুরুত্বপূর্ণ।

২. বাইনোমিয়াল ট্রি মডেল (Binomial Tree Model):

এই মডেলটি ব্ল্যাক-স্কোলস মডেলের তুলনায় আরও নমনীয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অ্যাসেটের দাম একাধিকবার উপরে বা নিচে যেতে পারে এমন ধারণা দেয়। এই মডেল ব্যবহার করে আমেরিকান অপশনের মূল্য নির্ধারণ করা যায়, যেখানে মেয়াদপূর্তির আগে অপশন প্রয়োগ করার অধিকার থাকে।

এই মডেলটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. মন্টি কার্লো সিমুলেশন (Monte Carlo Simulation):

এটি একটি পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি যা সম্ভাব্য ফলাফলের একটি বৃহৎ সংখ্যা তৈরি করে এবং সেগুলোর গড় বের করে অপশনের মূল্য নির্ধারণ করে। এই মডেলটি জটিল অপশনগুলোর মূল্য নির্ধারণের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, যেখানে ব্ল্যাক-স্কোলস বা বাইনোমিয়াল মডেল ব্যবহার করা কঠিন।

পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন এর জন্য এই মডেল ব্যবহার করা যায়।

৪. অস্থিরতা মডেল (Volatility Models):

অস্থিতিশীলতা (Volatility) অপশন মূল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন অস্থিরতা মডেল রয়েছে, যেমন হিস্টোরিক্যাল ভলাটিলিটি (Historical Volatility) এবং ইম্প্লাইড ভলাটিলিটি (Implied Volatility)।

• হিস্টোরিক্যাল ভলাট

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ