ভারতীয় সংবিধান
ভারতীয় সংবিধান
thumb|right|300px|ভারতীয় সংবিধানের প্রথম খণ্ড
ভূমিকা ভারতীয় সংবিধান হল বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান। এটি ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা এবং সরকারের কাঠামো সংজ্ঞায়িত করে। ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে এটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হয়। এই দিনটিকে প্রতি বছর সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত করা হয়। সংবিধানটি একটি জীবন্ত দলিল, কারণ সময়ের সাথে সাথে এতে ১০০টিরও বেশি সংশোধনী আনা হয়েছে।
সংবিধান প্রণয়নের প্রেক্ষাপট ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ভারত স্বাধীন হলে একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সংবিধান সভা ১৯৪৬ সালে গঠিত হয়, যার দায়িত্ব ছিল ভারতের জন্য একটি সংবিধান তৈরি করা। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ছিলেন এই সংবিধান সভার সভাপতি। সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন বি. আর. আম্বেদকর। এই কমিটি অন্যান্য সদস্যের সহায়তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশের সংবিধান থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গ্রহণ করে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন।
সংবিধানের গঠন ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামোতে একটি প্রস্তাবনা, ২৩৬টি ধারা, ১২টি অনুসূচি এবং ৯৭টি সংশোধনী রয়েছে। এটি মূলত চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত:
১. প্রস্তাবনা (Preamble): প্রস্তাবনা সংবিধানের মূল উদ্দেশ্য ও আদর্শগুলি বর্ণনা করে। এটি সংবিধানের সারমর্ম হিসাবে বিবেচিত হয়। ২. মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights): এই অংশে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্র কর্তৃক সুরক্ষিত। এর মধ্যে সমতার অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার উল্লেখযোগ্য। ৩. নির্দেশমূলক নীতি (Directive Principles of State Policy): এই অংশে রাষ্ট্রকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের জন্য কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নীতিগুলি আইনত প্রয়োগযোগ্য নয়, তবে রাষ্ট্র এগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য। ৪. কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক: এই অংশে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা ও দায়িত্বের বণ্টন আলোচনা করা হয়েছে।
সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
- লিখিত সংবিধান: ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণরূপে লিখিত এবং সংকলিত।
- বিস্তারিত সংবিধান: এটি বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধানগুলির মধ্যে অন্যতম, যাতে বিস্তারিত নিয়ম ও বিধি উল্লেখ করা হয়েছে।
- কঠোর সংবিধান: সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া বেশ কঠিন, যা এটিকে স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো: সংবিধান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে দিয়েছে, তবে কেন্দ্রের প্রাধান্য বজায় রেখেছে।
- সংসদীয় সরকার: ভারতের সরকার সংসদের কাছে দায়বদ্ধ।
- মৌলিক অধিকার ও নির্দেশমূলক নীতি: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের জন্য নির্দেশমূলক নীতি উভয়ই উল্লেখ করা হয়েছে।
- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র: ভারতীয় সংবিধান ধর্মীয় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে।
- গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র: ভারত একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে।
অনুচ্ছেদ ও ধারা সংবিধানের প্রতিটি অংশ বিভিন্ন অনুচ্ছেদ এবং ধারায় বিভক্ত। প্রতিটি ধারার একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে এবং এটি সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উদাহরণস্বরূপ, ধারা ১৪ আইনের চোখে সমতা নিশ্চিত করে, ধারা ১৯ বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়, এবং ধারা ২১ জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়।
সংশোধনী ভারতীয় সংবিধান একটি পরিবর্তনশীল দলিল। সময়ের সাথে সাথে দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী এতে সংশোধনী আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯৭টি সংশোধনী গৃহীত হয়েছে। এই সংশোধনীগুলির মাধ্যমে সংবিধানের কিছু ধারা পরিবর্তন বা বাতিল করা হয়েছে।
সংবিধানের আঠম তফসিল সংবিধানের অষ্টম তফসিলটি अनुसूचित ভাষার তালিকা নিয়ে গঠিত। এই তালিকায় বর্তমানে ২২টি ভাষা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার সংবিধান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা ও দায়িত্বের একটি সুস্পষ্ট বণ্টন করেছে। কেন্দ্র সরকারের হাতে প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক, যোগাযোগ এবং মুদ্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলি তাদের নিজ নিজ রাজ্যের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং স্থানীয় সরকার পরিচালনা করে।
বিচার বিভাগ সংবিধান একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের কথা বলে। সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এবং এটি সংবিধানের ব্যাখ্যা ও মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। উচ্চ আদালতগুলি রাজ্য পর্যায়ে বিচারকার্য পরিচালনা করে।
নির্বাচন কমিশন সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দিয়েছে। এই কমিশন লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন পরিচালনা করে।
সংবিধানের গুরুত্ব ভারতীয় সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করে। সংবিধানের মাধ্যমেই সরকার তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে।
সংবিধানের ভবিষ্যৎ ভারতীয় সংবিধান সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, এর মূল কাঠামো এবং আদর্শগুলি সর্বদা অক্ষুণ্ণ থাকবে বলে আশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমূহ:
- সংবিধান সভা: সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত ঐতিহাসিক সংস্থা।
- বি. আর. আম্বেদকর: সংবিধানের প্রধান স্থপতি।
- রাজেন্দ্র প্রসাদ: সংবিধান সভার সভাপতি এবং ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
- মৌলিক অধিকার: নাগরিকদের জন্মগত অধিকারসমূহ।
- নির্দেশমূলক নীতি: রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
- সুপ্রিম কোর্ট: ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
- নির্বাচন কমিশন: নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত সংস্থা।
- ধারা ১৪: আইনের চোখে সমতা।
- ধারা ১৯: বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
- ধারা ২১: জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।
- সংবিধান দিবস: ২৬শে জানুয়ারি পালিত একটি জাতীয় দিবস।
- অনুসূচি: সংবিধানের অতিরিক্ত অংশ, যেখানে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- সংশোধনী: সংবিধানের পরিবর্তন প্রক্রিয়া।
- আঠম তফসিল: সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাগুলির তালিকা।
- বৈদেশিক সম্পর্ক: দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
- যোগাযোগ: দেশের পরিবহন ব্যবস্থা।
- মুদ্রা: দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যম।
- লোকসভা: ভারতের সংসদীয় নিম্নকক্ষ।
- বিধানসভা: রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা।
- সংবিধানের প্রস্তাবনা: সংবিধানের মূল ভিত্তি।
- সংবিধানের ধারা: সংবিধানের বিভিন্ন নিয়মাবলী।
- সংবিধানের মৌলিক কাঠামো: সংবিধানের অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য।
কৌশল, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ সম্পর্কিত লিঙ্ক:
১. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বেসিকস: [1](https://www.investopedia.com/terms/t/technicalanalysis.asp) ২. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নস: [2](https://www.schoolofsstock.com/candlestick-patterns-guide/) ৩. মুভিং এভারেজ: [3](https://www.investopedia.com/terms/m/movingaverage.asp) ৪. রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (RSI): [4](https://www.investopedia.com/terms/r/rsi.asp) ৫. MACD: [5](https://www.investopedia.com/terms/m/macd.asp) ৬. ভলিউম অ্যানালাইসিস: [6](https://www.investopedia.com/terms/v/volume.asp) ৭. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল: [7](https://www.babypips.com/learn-forex/forex-trading-basics/support-and-resistance) ৮. ট্রেন্ড লাইন: [8](https://www.investopedia.com/terms/t/trendline.asp) ৯. ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: [9](https://www.investopedia.com/terms/f/fibonacciretirement.asp) ১০. বুলিশ এবং বিয়ারিশ প্যাটার্ন: [10](https://www.fidelity.com/learning-center/trading-technologies/technical-analysis/chart-patterns) ১১. হেড অ্যান্ড শোল্ডারস প্যাটার্ন: [11](https://www.investopedia.com/terms/h/head-and-shoulders.asp) ১২. ডাবল টপ এবং ডাবল বটম: [12](https://www.investopedia.com/terms/d/doubletop.asp) ১৩. ভলিউম প্রফিাইল: [13](https://www.tradingview.com/chart/features/volume-profile/) ১৪. অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV): [14](https://www.investopedia.com/terms/o/obv.asp) ১৫. অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন: [15](https://www.investopedia.com/terms/a/accumulationdistributionline.asp)
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
