বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার

ভূমিকা

বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার হলো এমন এক শ্রেণির পলিমার যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেমন - ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা উদ্ভিদ দ্বারা সৃষ্ট এনজাইমের মাধ্যমে সময়ের সাথে সাথে ভেঙে গিয়ে পরিবেশের সাথে মিশে যেতে পারে। প্রচলিত প্লাস্টিক বা পলিমারগুলোর মতো এগুলো পরিবেশে দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকে না এবং দূষণ সৃষ্টি করে না। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, বায়োডিগ্রেডেবল পলিমারের ব্যবহার বাড়ছে, কারণ এটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প সরবরাহ করে। এই পলিমারগুলো প্যাকেজিং, কৃষি, চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

বায়োডিগ্রেডেশন প্রক্রিয়া

বায়োডিগ্রেডেশন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত দুটি ধাপে ঘটে:

**জলীয় বিশ্লেষণ (Hydrolysis):** এই ধাপে পলিমারের রাসায়নিক বন্ধনগুলো জলের সাথে বিক্রিয়া করে ভেঙে যায়, ফলে পলিমারের শৃঙ্খল ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে যায়।
**মাইক্রোবিয়াল ডিকম্পোজিশন (Microbial Decomposition):** এই ধাপে, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীবগুলো ভেঙে যাওয়া পলিমার শৃঙ্খলগুলোকে আরও ছোট অণুতে পরিণত করে, যেমন - কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং বায়োমাস।

বায়োডিগ্রেডেশনের হার বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন - পলিমারের রাসায়নিক গঠন, পরিবেশের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, অক্সিজেনের উপস্থিতি এবং অণুজীবের প্রাচুর্য।