ফিনান্সিয়াল টার্মিনোলজি

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

ফিনান্সিয়াল টার্মিনোলজি

ফিনান্সিয়াল টার্মিনোলজি বা আর্থিক পরিভাষা হল অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং হিসাব সংক্রান্ত বিভিন্ন শব্দ ও ধারণার সমষ্টি। এই পরিভাষাগুলি আর্থিক বাজারের কার্যকারিতা বুঝতে, বিশ্লেষণ করতে এবং আলোচনা করতে অপরিহার্য। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের (বাইনারি অপশন) ক্ষেত্রেও এই শব্দগুলির সঠিক জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিভাষা আলোচনা করা হলো:

১. অ্যাসেট (Asset): অ্যাসেট হলো এমন কোনো সম্পদ যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করতে পারে। এটি tangible (যেমন: জমি, ভবন) বা intangible (যেমন: পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক) হতে পারে। বাইনারি অপশনে, অ্যাসেট হলো সেই ভিত্তি যার উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা হয়, যেমন - স্টক, মুদ্রা, কমোডিটি ইত্যাদি।

২. স্টক (Stock): স্টক হলো কোনো কোম্পানির মালিকানার অংশ। একজন বিনিয়োগকারী যখন কোনো কোম্পানির স্টক কেনে, তখন সে কোম্পানির আংশিক মালিক হয়। স্টক মার্কেট-এ স্টকের দাম চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে ওঠানামা করে।

৩. বন্ড (Bond): বন্ড হলো ঋণপত্র। এটি সরকার বা কোনো কোম্পানি কর্তৃক ইস্যু করা হয়। বন্ডধারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণ প্রদান করে এবং এর বিনিময়ে তারা সুদ পায়। বন্ড ট্রেডিং বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৪. মুদ্রা (Currency): মুদ্রা হলো বিনিময়ের মাধ্যম। বিভিন্ন দেশের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে, যেমন - মার্কিন ডলার (USD), ইউরো (EUR), জাপানি ইয়েন (JPY) ইত্যাদি। ফরেক্স ট্রেডিং-এ মুদ্রা কেনাবেচা করা হয়।

৫. কমোডিটি (Commodity): কমোডিটি হলো মৌলিক পণ্য, যেমন - তেল, গ্যাস, সোনা, রূপা, খাদ্যশস্য ইত্যাদি। কমোডিটি ফিউচার্স মার্কেটে (কমোডিটি মার্কেট) এগুলোর ট্রেডিং করা হয়।

৬. ফিউচার্স (Futures): ফিউচার্স হলো একটি চুক্তি, যেখানে ভবিষ্যতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দামে কোনো সম্পদ কেনা বা বেচা করার অঙ্গীকার করা হয়। ফিউচার্স ট্রেডিং সাধারণত হেজিং এবং স্পেকুলেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

৭. অপশন (Option): অপশন হলো একটি চুক্তি, যা ক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দামে কোনো সম্পদ কেনার (কল অপশন) বা বেচার (পুট অপশন) অধিকার দেয়, কিন্তু বাধ্য করে না। অপশন ট্রেডিং একটি জটিল বিনিয়োগ কৌশল।

৮. বাইনারি অপশন (Binary Option): বাইনারি অপশন হলো একটি আর্থিক চুক্তি, যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো অ্যাসেটের দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। অনুমান সঠিক হলে বিনিয়োগকারী লাভ পান, ভুল হলে বিনিয়োগের পরিমাণ হারান। এটি একটি ‘অল অর নাথিং’ বিনিয়োগ।

৯. স্ট্রাইক প্রাইস (Strike Price): স্ট্রাইক প্রাইস হলো সেই দাম, যে দামে অপশন ধারক সম্পদ কেনা বা বেচা করার অধিকার রাখে। বাইনারি অপশনে, স্ট্রাইক প্রাইস নির্ধারণ করা হয় এবং বাজারের দামের সাথে তুলনা করা হয়।

১০. এক্সপিরেশন টাইম (Expiration Time): এক্সপিরেশন টাইম হলো সেই সময়সীমা, যার মধ্যে অপশন চুক্তিটি কার্যকর থাকতে পারে। এই সময়সীমার মধ্যে বিনিয়োগকারীকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাইনারি অপশনে, এক্সপিরেশন টাইম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১১. ইন-দ্য-মানি (In-the-Money): ইন-দ্য-মানি হলো অপশনের এমন একটি অবস্থা, যেখানে অপশনটি ব্যবহার করলে লাভ হবে। অর্থাৎ, অ্যাসেটের বর্তমান দাম স্ট্রাইক প্রাইসের চেয়ে বেশি (কল অপশনের ক্ষেত্রে) বা কম (পুট অপশনের ক্ষেত্রে)।

১২. আউট-অব-দ্য-মানি (Out-of-the-Money): আউট-অব-দ্য-মানি হলো অপশনের এমন একটি অবস্থা, যেখানে অপশনটি ব্যবহার করলে লোকসান হবে। অর্থাৎ, অ্যাসেটের বর্তমান দাম স্ট্রাইক প্রাইসের চেয়ে কম (কল অপশনের ক্ষেত্রে) বা বেশি (পুট অপশনের ক্ষেত্রে)।

১৩. অ্যাট-দ্য-মানি (At-the-Money): অ্যাট-দ্য-মানি হলো অপশনের এমন একটি অবস্থা, যেখানে অ্যাসেটের বর্তমান দাম স্ট্রাইক প্রাইসের সমান।

১৪. ভলাটিলিটি (Volatility): ভলাটিলিটি হলো অ্যাসেটের দামের ওঠানামার মাত্রা। উচ্চ ভলাটিলিটি মানে দামের দ্রুত পরিবর্তন, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সুযোগ এবং ঝুঁকি দুটোই তৈরি করে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

১৫. লিকুইডিটি (Liquidity): লিকুইডিটি হলো অ্যাসেটকে দ্রুত নগদে রূপান্তর করার ক্ষমতা। উচ্চ লিকুইডিটি সম্পন্ন অ্যাসেট কেনাবেচা করা সহজ। মার্কেট লিকুইডিটি ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১৬. স্প্রেড (Spread): স্প্রেড হলো কোনো অ্যাসেটের ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্যের মধ্যে পার্থক্য। এটি ট্রেডিংয়ের খরচ হিসেবে বিবেচিত হয়। ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণে স্প্রেড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

১৭. লিভারেজ (Leverage): লিভারেজ হলো ঋণ ব্যবহার করে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। এটি লাভ এবং লোকসান দুটোই বাড়িয়ে দিতে পারে। বাইনারি অপশনে লিভারেজের ব্যবহার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত।

১৮. মার্জিন (Margin): মার্জিন হলো বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরিমাণ। লিভারেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মার্জিন প্রয়োজন হয়। মার্জিন কল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।

১৯. পোর্টফোলিও (Portfolio): পোর্টফোলিও হলো বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের সমষ্টি। একটি সুগঠিত পোর্টফোলিও বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য জরুরি।

২০. রিস্ক রিভার্সাল (Risk Reversal): রিস্ক রিভার্সাল হলো একটি অপশন কৌশল, যা বিনিয়োগকারীকে ডাউনসাইড ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

২১. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical Analysis): টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস হলো ঐতিহাসিক মূল্য এবং ভলিউমের ডেটা ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য প্রবণতাPredict করার পদ্ধতি। চার্ট প্যাটার্ন এবং ইন্ডিকেটর এর মাধ্যমে এই বিশ্লেষণ করা হয়।

২২. ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental Analysis): ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস হলো কোনো কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, শিল্পের পরিস্থিতি এবং সামগ্রিক অর্থনীতির বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর্থিক অনুপাত এই বিশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

২৩. ভলিউম অ্যানালাইসিস (Volume Analysis): ভলিউম অ্যানালাইসিস হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি অ্যাসেটের লেনদেনের পরিমাণ বিশ্লেষণ করা। এটি বাজারের গতিবিধি এবং প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে। ভলিউম ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে এই বিশ্লেষণ করা হয়।

২৪. বুলিশ (Bullish): বুলিশ হলো বাজারের এমন একটি অবস্থা, যেখানে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

২৫. বিয়ারিশ (Bearish): বিয়ারিশ হলো বাজারের এমন একটি অবস্থা, যেখানে দাম কমার সম্ভাবনা থাকে।

আর্থিক পরিভাষা
শব্দ সংজ্ঞা
অ্যাসেট ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করতে পারে এমন সম্পদ
স্টক কোম্পানির মালিকানার অংশ
বন্ড ঋণপত্র
মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যম
কমোডিটি মৌলিক পণ্য
ফিউচার্স ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট দামে সম্পদ কেনা বা বেচার চুক্তি
অপশন সম্পদ কেনার বা বেচার অধিকার
বাইনারি অপশন ‘অল অর নাথিং’ বিনিয়োগ চুক্তি
স্ট্রাইক প্রাইস অপশন ব্যবহারের দাম
এক্সপিরেশন টাইম অপশন চুক্তির সময়সীমা

উপসংহার: ফিনান্সিয়াল টার্মিনোলজি বোঝা বিনিয়োগের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মতো জটিল আর্থিক বাজারে অংশগ্রহণের আগে এই পরিভাষাগুলির সাথে পরিচিত হওয়া উচিত। নিয়মিত অনুশীলন এবং অধ্যয়নের মাধ্যমে এই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।

বিনিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। অর্থনৈতিক সূচক কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখুন। ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ধারণা নিন। সেন্ট্রাল ব্যাংক এর ভূমিকা সম্পর্কে জানুন। আর্থিক প্রবিধান মেনে চলুন।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер