দুটি বিশ্বযুদ্ধ
দুটি বিশ্বযুদ্ধ
thumb|right|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি প্রচারপত্র
দুটি বিশ্বযুদ্ধ বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই দুটি যুদ্ধ পৃথিবীকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিয়েছে, রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন করেছে, নতুন প্রযুক্তি ও অস্ত্রের জন্ম দিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল। এই নিবন্ধে, আমরা এই দুটি যুদ্ধের কারণ, ঘটনাপ্রবাহ, ফলাফল এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সাথে এদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮)
কারণসমূহ:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মূল কারণগুলি ছিল জটিল এবং বহুস্তরীয়। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো:
- সাম্রাজ্যবাদ: উনিশ শতকের শেষ দিকে, ইউরোপীয় দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদ-এর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। আফ্রিকা ও এশিয়ার উপনিবেশগুলি দখল করার জন্য তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, যা উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল।
- জোটবদ্ধতা: জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি এবং ইতালির মধ্যে ত্রিমুখী মৈত্রী (Triple Alliance) এবং ফ্রান্স, রাশিয়া ও গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে ত্রিমুখী আঁতাত (Triple Entente) গঠিত হয়েছিল। এই জোটগুলি একটি দেশের উপর আক্রমণকে অন্য দেশগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করার বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছিল।
- জাতীয়তাবাদ: জাতীয়তাবাদ ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিজেদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করত, যা সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে সংঘাতের জন্ম দিয়েছিল।
- সামরিকতাবাদ: ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছিল এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সামরিকতাবাদ-এর কারণে দেশগুলির মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ বাড়তে থাকে।
- আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দের হত্যাকাণ্ড: অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির যুবরাজ আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দকে ১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার সারায়েভোতে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।
ঘটনাপ্রবাহ:
- ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
- জার্মানি অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির পক্ষে এবং রাশিয়া সার্বিয়ার পক্ষে যোগ দেয়।
- জার্মানি ফ্রান্সের উপর আক্রমণ করে এবং বেলজিয়াম হয়ে অগ্রসর হয়।
- গ্রেট ব্রিটেন জার্মানির বেলজিয়াম আক্রমণের প্রতিবাদে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে trench warfare বা পরিখা যুদ্ধ একটি সাধারণ চিত্র ছিল। উভয় পক্ষ পরিখা খনন করে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যায়।
- ১৯১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধে যোগদান করে।
- ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানি আত্মসমর্পণ করে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
ফলাফল:
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং ২ কোটির বেশি মানুষ আহত হয়।
- জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, অটোমান সাম্রাজ্য এবং রাশিয়ার সাম্রাজ্যের পতন হয়।
- নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়, যেমন পোল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া এবং যুগোস্লাভিয়া।
- ভার্সাই চুক্তি (Treaty of Versailles) জার্মানির উপর কঠোর শর্ত আরোপ করে, যা পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়।
- লিগ অফ নেশনস (League of Nations) গঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫)
কারণসমূহ:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণগুলি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল এবং ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকে ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
- ভার্সাই চুক্তি: ভার্সাই চুক্তি জার্মানির উপর কঠোর শর্ত আরোপ করেছিল, যা জার্মানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল।
- অর্থনৈতিক সংকট: ১৯২৯ সালের মহাবিপর্যয় (Great Depression) বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়।
- ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদ: ইতালিতে ফ্যাসিবাদ এবং জার্মানিতে নাৎসিবাদ-এর উত্থান হয়। এই উভয় মতাদর্শই আগ্রাসী ও সাম্রাজ্যবাদী ছিল।
- সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার: জার্মানি, ইতালি ও জাপান তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিল, যা অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে তাদের সংঘাতের কারণ হয়।
- তোষণ নীতি: গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির আগ্রাসী নীতিগুলির প্রতি তোষণ নীতি (Appeasement) অনুসরণ করে, যা হিটলারকে আরও উৎসাহিত করে।
- পোল্যান্ড আক্রমণ: ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
ঘটনাপ্রবাহ:
- ১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
- জার্মানি Blitzkrieg (বিদ্যুৎগতি আক্রমণ) কৌশল ব্যবহার করে দ্রুত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দখল করে নেয়।
- ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান পার্ল হারবার (Pearl Harbor) আক্রমণ করে, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যোগদান করে।
- স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধ (Battle of Stalingrad) ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলির মধ্যে একটি।
- ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ডি-ডে (D-Day) -তে মিত্রশক্তি ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে অবতরণ করে এবং জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলে।
- ১৯৪৫ সালের মে মাসে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের উপর পারমাণবিক বোমা (Atomic Bomb) নিক্ষেপ করে, যার ফলে জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
ফলাফল:
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৫ থেকে ৮ কোটি মানুষ মারা যায়, যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণহত্যা ছিল।
- জার্মানি, ইতালি ও জাপানের পরাজয় হয়।
- জাতিসংঘ (United Nations) গঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
- ঠান্ডা যুদ্ধের (Cold War) সূচনা হয়, যা প্রায় চার দশক ধরে বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করে।
- উপনিবেশগুলির স্বাধীনতা লাভ শুরু হয়।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং বিশ্বযুদ্ধ
বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা কোনো সম্পদের (যেমন স্টক, কমোডিটি, মুদ্রা) দামের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি বা হ্রাস হবে কিনা, তা অনুমান করে। বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীকালে এই ধরনের ট্রেডিংয়ের চাহিদা বেড়েছিল। কারণ যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল এবং বিনিয়োগকারীরা দ্রুত মুনাফা অর্জনের উপায় খুঁজছিলেন।
- যুদ্ধের সময় মুদ্রার বিনিময় হার (currency exchange rate) অত্যন্ত অস্থির ছিল। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এই অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারতেন।
- যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন পণ্যের দামের পরিবর্তন হতো। এই পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিতে পারলে বাইনারি অপশনে বিনিয়োগ করে লাভ করা যেত।
- যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন ছিল। বাইনারি অপশন ট্রেডিং এক্ষেত্রে একটি দ্রুত রিটার্ন পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ:
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical Analysis) এবং ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: অতীতের দামের গতিবিধি এবং চার্ট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের দামের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন নির্দেশক (indicators) ব্যবহার করা হয়, যেমন:
- মুভিং এভারেজ (Moving Average)
- রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index - RSI)
- মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স (Moving Average Convergence Divergence - MACD)
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands)
ভলিউম বিশ্লেষণ: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি সম্পদের কতগুলি ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়। ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে দামের পরিবর্তনের কারণ এবং এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
- ভলিউম স্পাইক (Volume Spike): অস্বাভাবিক পরিমাণে ভলিউম বৃদ্ধি পেলে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দামের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
- ভলিউম কনফার্মেশন (Volume Confirmation): দামের পরিবর্তনের সাথে ভলিউমের বৃদ্ধি বা হ্রাস দামের প্রবণতা নিশ্চিত করে।
- অন ব্যালেন্স ভলিউম (On Balance Volume - OBV): এই সূচকটি ভলিউম এবং দামের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে বাজারের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে।
বিশ্বযুদ্ধ এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে কিছু কৌশল আলোচনা করা হলো:
১. নিউজ ট্রেডিং: যুদ্ধের সময় প্রকাশিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা। যেমন, কোনো দেশের যুদ্ধজয় বা পরাজয়ের খবর প্রকাশিত হলে, সেই দেশের মুদ্রার দামের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
২. সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণ: বাজারের সামগ্রিক настроения (sentiment) বোঝা এবং সেই অনুযায়ী ট্রেড করা। যুদ্ধের সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয় বা আশার অনুভূতি তৈরি হতে পারে, যা দামের উপর প্রভাব ফেলে।
৩. ব্রেকআউট ট্রেডিং: যখন দাম কোনো নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন ট্রেড করা। যুদ্ধের সময় বাজারের অস্থিরতা ব্রেকআউট ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে।
৪. রেঞ্জ ট্রেডিং: যখন দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করে, তখন ট্রেড করা।
উপসংহার
দুটি বিশ্বযুদ্ধ মানব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই যুদ্ধগুলি পৃথিবীকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, এই যুদ্ধগুলির সময় এবং পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ এবং ঝুঁকি উভয়ই তৈরি করেছিল। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগগুলি কাজে লাগাতে পারতেন।
আরও জানতে:
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
- লিগ অফ নেশনস
- জাতিসংঘ
- ভার্সাই চুক্তি
- ফ্যাসিবাদ
- নাৎসিবাদ
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ভলিউম বিশ্লেষণ
- মুভিং এভারেজ
- RSI
- MACD
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস
- নিউজ ট্রেডিং
- সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণ
- ব্রেকআউট ট্রেডিং
- রেঞ্জ ট্রেডিং
- মুদ্রা বিনিময় হার
- পার্ল হারবার
- ডি-ডে
- মহাবিপর্যয়
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
