তারা

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

তারা

তারা হল উজ্জ্বল, আত্ম-illuminating celestial body যা রাতের আকাশে দেখা যায়। এগুলি মহাকর্ষ দ্বারা একত্রিত বিশাল, উজ্জ্বল প্লাজমা গোলক। তারাগুলি তাদের নিজস্ব আলো তৈরি করে, যা তাদের পারমাণবিক ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। আমাদের সূর্য একটি তারা, এবং এটি পৃথিবীর জন্য আলো এবং তাপের প্রধান উৎস।

তারার গঠন

তারাদের গঠন বেশ জটিল। এদের প্রধান উপাদানগুলি হল হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম। এছাড়াও, অল্প পরিমাণে অন্যান্য উপাদান, যেমন অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন এবং লোহা বিদ্যমান। একটি তারার জীবনচক্র তার ভর দ্বারা নির্ধারিত হয়।

তারার গঠন
Component
Core
Radiative Zone
Convective Zone
Photosphere
Chromosphere
Corona

তারার প্রকারভেদ

তারাদের তাদের তাপমাত্রা, আকার, উজ্জ্বলতা এবং বর্ণ অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রধান প্রকার নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • লাল বামন (Red Dwarfs): এই তারাগুলি ছোট এবং শীতল হয়, এবং এদের জীবনকাল অনেক দীর্ঘ হয়।
  • হলুদ বামন (Yellow Dwarfs): আমাদের সূর্য এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এদের আকার এবং তাপমাত্রা মাঝারি।
  • নীল দৈত্য (Blue Giants): এই তারাগুলি বড়, গরম এবং উজ্জ্বল হয়, কিন্তু এদের জীবনকাল খুব কম হয়।
  • সুপারজায়ান্ট (Supergiants): এগুলি সবচেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল তারা, এবং এদের জীবনকাল খুবই সংক্ষিপ্ত।
  • হোয়াইট ড्वार्ফ (White Dwarfs): এটি একটি তারার জীবনের শেষ পর্যায়, যখন তারা তার বাইরের স্তরগুলি ত্যাগ করে এবং ছোট, ঘন একটি অবশিষ্ট অংশে পরিণত হয়।
  • নিউট্রন তারা (Neutron Stars): এটি একটি অত্যন্ত ঘন তারা, যা একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে গঠিত হয়।
  • ব্ল্যাক হোল (Black Holes): এটি মহাকর্ষীয় শক্তি দ্বারা এতটাই শক্তিশালী যে আলো সহ কিছুই পালাতে পারে না।

তারার উজ্জ্বলতা

তারার উজ্জ্বলতা বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • আপেক্ষিক উজ্জ্বলতা (Apparent Magnitude): এটি পৃথিবী থেকে তারাটি কতটা উজ্জ্বল দেখায় তার পরিমাপ।
  • নিরপেক্ষ উজ্জ্বলতা (Absolute Magnitude): এটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে তারাটির প্রকৃত উজ্জ্বলতা নির্দেশ করে।

উজ্জ্বলতা পরিমাপের জন্য ম্যাগনিটিউড স্কেল ব্যবহার করা হয়। এই স্কেলে, কম সংখ্যা মানে বেশি উজ্জ্বলতা।

তারার দূরত্ব

তারার দূরত্ব পরিমাপ করা বেশ কঠিন। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এটি নির্ণয় করেন, যার মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • প্যারাল্যাক্স (Parallax): এটি নিকটবর্তী তারার দূরত্ব পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • স্পেকট্রোস্কোপিক প্যারালাক্স (Spectroscopic Parallax): এটি দূরবর্তী তারার দূরত্ব নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • স্ট্যান্ডার্ড ক্যান্ডেল (Standard Candles): কিছু তারার উজ্জ্বলতা জানা থাকলে, তাদের আপাত উজ্জ্বলতা ব্যবহার করে দূরত্ব গণনা করা যায়।

নক্ষত্রমণ্ডল

নক্ষত্রমণ্ডল হল আকাশের তারাগুলির একটি দৃশ্যমান দল, যা একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন তৈরি করে। প্রাচীন সংস্কৃতিতে, নক্ষত্রমণ্ডলগুলি গল্প এবং মিথের সাথে জড়িত ছিল। কিছু পরিচিত নক্ষত্রমণ্ডল হলো:

  • কালপুরুষ (Orion)
  • সপ্তর্ষি মণ্ডল (Ursa Major)
  • বৃশ্চিক (Scorpio)
  • সিংহ (Leo)

তারার জীবনচক্র

একটি তারার জীবনচক্র তার ভরের উপর নির্ভর করে। ছোট এবং মাঝারি ভরের তারাদের জীবনচক্র সাধারণত নিম্নরূপ:

1. নীহারিকা (Nebula): তারা গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘ থেকে গঠিত হয়। 2. প্রোটোস্টার (Protostar): মাধ্যাকর্ষণ মেঘকে সংকুচিত করে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। 3. প্রধান ক্রম (Main Sequence): তারা হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে ফিউজ করে শক্তি উৎপন্ন করে। 4. লাল দৈত্য (Red Giant): হাইড্রোজেন ফুরিয়ে গেলে, তারা প্রসারিত হয় এবং শীতল হয়। 5. গ্রহ নীহারিকা (Planetary Nebula): তারা তার বাইরের স্তরগুলি ত্যাগ করে। 6. হোয়াইট ড्वार्ফ (White Dwarf): অবশিষ্ট কোরটি ধীরে ধীরে শীতল হয়ে যায়।

বড় ভরের তারাদের জীবনচক্র আরও নাটকীয়। তারা সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেষ হয় এবং নিউট্রন তারা বা ব্ল্যাক হোল-এ পরিণত হয়।

বাইনারি স্টার সিস্টেম

বাইনারি স্টার সিস্টেম হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে দুটি তারা একে অপরের চারপাশে ঘোরে। এই তারাগুলি একে অপরের উপর মহাকর্ষীয় প্রভাব ফেলে এবং তাদের কক্ষপথ জটিল হতে পারে।

তারা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান

তারা জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারাগুলি মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে। বিজ্ঞানীরা তারা পর্যবেক্ষণ করে মহাবিশ্বের বয়স, দূরত্ব, এবং উপাদান সম্পর্কে জানতে পারেন।

সাম্প্রতিক গবেষণা

তারা নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। বিজ্ঞানীরা নতুন তারা আবিষ্কার করছেন এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলি জানার চেষ্টা করছেন। মহাকাশ দূরবীক্ষণ (Space Telescopes) যেমন হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (Hubble Space Telescope) এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope) এই গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আরও জানার জন্য

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер