ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের টিউটোরিয়াল

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

ডেরিভ প্ল্যাটফর্ম: একটি বিস্তারিত টিউটোরিয়াল

ভূমিকা

ডেরিভ (Deriv) একটি অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যা পূর্বে Binary.com নামে পরিচিত ছিল। এটি আর্থিক ডেরিভেটিভস ট্রেডিংয়ের সুযোগ প্রদান করে, যার মধ্যে বাইনারি অপশন অন্যতম। এই প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন ধরনের ট্রেডারদের জন্য উপযুক্ত, যেমন নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয়ই। ডেরিভে প্ল্যাটফর্মের সহজ ব্যবহারযোগ্যতা, উন্নত ট্রেডিং সরঞ্জাম এবং শিক্ষামূলক রিসোর্স এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এই নিবন্ধে, ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন দিক, ট্রেডিং প্রক্রিয়া, এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্য

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা একটি সহজ প্রক্রিয়া। নিচে ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. ডেরিভের ওয়েবসাইটে যান: প্রথমে, ডেরিভের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.deriv.com) যান। ২. অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন: "সাইন আপ" বা "অ্যাকাউন্ট খুলুন" অপশনে ক্লিক করুন। ৩. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন: আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং বসবাসের দেশের তথ্য প্রদান করুন। ৪. অ্যাকাউন্টের ধরন নির্বাচন করুন: আপনি ডেমো অ্যাকাউন্ট নাকি আসল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তা নির্বাচন করুন। ৫. যাচাইকরণ: আপনার ইমেল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর যাচাই করুন। ৬. অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করুন: আপনার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

প্ল্যাটফর্মের ইন্টারফেস

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের ইন্টারফেসটি বেশ সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব। প্রধান উপাদানগুলো হলো:

  • চার্ট: এখানে অ্যাসেটের মূল্য পরিবর্তন দেখানো হয়, যা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • অর্ডার প্যানেল: এই অংশে ট্রেড করার জন্য প্রয়োজনীয় অপশনগুলো পাওয়া যায়, যেমন অ্যাসেট নির্বাচন, ট্রেডের পরিমাণ, মেয়াদকাল এবং ট্রেডের দিক (কল বা পুট)।
  • ওয়াচলিস্ট: আপনার পছন্দের অ্যাসেটগুলো এখানে যুক্ত করে তাদের মূল্য ট্র্যাক করতে পারেন।
  • অ্যাকাউন্ট ড্যাশবোর্ড: এখানে আপনার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স, খোলা ট্রেড এবং ট্রেডিং হিস্টরি দেখা যায়।
  • টুলবার: বিভিন্ন ট্রেডিং টুল এবং সেটিংস এখানে পাওয়া যায়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর মৌলিক ধারণা

বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো অ্যাসেটের মূল্য বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করতে হয়। যদি আপনার অনুমান সঠিক হয়, তবে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ পান, অন্যথায় আপনি আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ হারান।

  • কল অপশন: আপনি যদি মনে করেন অ্যাসেটের মূল্য বাড়বে, তাহলে কল অপশন নির্বাচন করুন।
  • পুট অপশন: আপনি যদি মনে করেন অ্যাসেটের মূল্য কমবে, তাহলে পুট অপশন নির্বাচন করুন।
  • মেয়াদকাল: ট্রেডটি কতক্ষণ চলবে তা নির্ধারণ করে মেয়াদকাল। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।
  • পেমআউট: যদি আপনার অনুমান সঠিক হয়, তাহলে আপনি আপনার বিনিয়োগের উপর কত শতাংশ লাভ পাবেন তা হলো পেমআউট।

ডেরিভে ট্রেড কিভাবে করবেন?

ডেরিভে বাইনারি অপশন ট্রেড করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

১. অ্যাসেট নির্বাচন করুন: আপনি যে অ্যাসেট ট্রেড করতে চান, সেটি নির্বাচন করুন (যেমন, EUR/USD, Gold, Bitcoin)। ২. ট্রেডের পরিমাণ নির্ধারণ করুন: আপনি প্রতিটি ট্রেডে কত বিনিয়োগ করতে চান, তা নির্ধারণ করুন। ৩. মেয়াদকাল নির্বাচন করুন: ট্রেডটি কতক্ষণ চলবে, তা নির্বাচন করুন। ৪. ট্রেডের দিক নির্বাচন করুন: আপনি কল (Call) নাকি পুট (Put) অপশন নির্বাচন করতে চান, তা নির্ধারণ করুন। ৫. "বাই" (Buy) অপশনে ক্লিক করুন: আপনার ট্রেডটি নিশ্চিত করুন। ৬. ফলাফল পর্যবেক্ষণ করুন: মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পরে আপনার ট্রেডের ফলাফল দেখুন।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিচে কিছু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার টিপস দেওয়া হলো:

  • স্টপ-লস ব্যবহার করুন: আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষার জন্য স্টপ-লস ব্যবহার করুন।
  • ছোট বিনিয়োগ করুন: প্রথমে ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ান।
  • ডাইভারসিফাই করুন: বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করুন, যাতে কোনো একটি অ্যাসেটের ক্ষতির প্রভাব কম হয়।
  • ইমোশন কন্ট্রোল করুন: আবেগতাড়িত হয়ে ট্রেড করবেন না।
  • ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন: একটি সুনির্দিষ্ট ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস হলো চার্ট এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সূচক ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণের একটি পদ্ধতি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:

  • মুভিং এভারেজ (Moving Averages): এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাসেটের গড় মূল্য দেখায়।
  • রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI): এটি অ্যাসেটের অতিরিক্ত ক্রয় বা অতিরিক্ত বিক্রয়ের অবস্থা নির্দেশ করে।
  • MACD: এটি দুটি মুভিং এভারেজের মধ্যে সম্পর্ক দেখায় এবং ট্রেডিং সংকেত প্রদান করে।
  • বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): এটি অ্যাসেটের মূল্যের অস্থিরতা পরিমাপ করে।
  • ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): এটি সম্ভাব্য সমর্থন এবং প্রতিরোধের স্তর সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

ভলিউম বিশ্লেষণ

ভলিউম বিশ্লেষণ হলো ট্রেডিং ভলিউম পর্যবেক্ষণ করে বাজারের প্রবণতা বোঝার একটি পদ্ধতি। উচ্চ ভলিউম সাধারণত শক্তিশালী প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়, যেখানে কম ভলিউম দুর্বল প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।

ডেরিভের অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য

  • অটো ট্রেডিং: ডেরিভ অটো ট্রেডিংয়ের সুবিধা দেয়, যেখানে আপনি নিজের ট্রেডিং বট তৈরি করতে বা অন্যদের তৈরি করা বট ব্যবহার করতে পারেন।
  • API ট্রেডিং: অভিজ্ঞ ট্রেডারদের জন্য ডেরিভ API (Application Programming Interface) সরবরাহ করে, যা তাদের নিজস্ব ট্রেডিং অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে দেয়।
  • অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম: ডেরিভের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি অন্যদের রেফার করে কমিশন অর্জন করতে পারেন।

উপসংহার

ডেরিভ প্ল্যাটফর্ম বাইনারি অপশন এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভস ট্রেড করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত প্ল্যাটফর্ম। এর সহজ ইন্টারফেস, শিক্ষামূলক রিসোর্স এবং বিভিন্ন ট্রেডিং অপশন এটিকে নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ট্রেডারদের জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে। তবে, ট্রেডিংয়ের সাথে ঝুঁকি জড়িত, তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নিয়মগুলি অনুসরণ করা এবং সঠিক জ্ঞান ও কৌশল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

আরও জানতে:

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер