জর্জ বার্নার্ড শ
জর্জ বার্নার্ড শ
| জন্ম | ২৬ জুলাই ১৮৫৬ |
| জন্মস্থান | ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড |
| মৃত্যু | ২ নভেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৯৪) |
| মৃত্যুস্থান | আইওট, ইংল্যান্ড |
| পেশা | নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, সাংবাদিক |
| জাতীয়তা | আইরিশ (জন্ম); ব্রিটিশ (পরবর্তীতে) |
| সাহিত্যিক আন্দোলন | আধুনিকতাবাদ |
জর্জ বার্নার্ড শ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী নাট্যকার। তিনি ১৮৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ডের আইওটে মারা যান। শ ছিলেন একজন খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক এবং তাঁর নাটকগুলোতে সামাজিক অবিচার, নৈতিকতা এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯২৫ সালে।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
জর্জ বার্নার্ড শ-এর জন্ম এক প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ব্যর্থ অ্যালকোহলিক এবং মা ছিলেন একজন সঙ্গীত শিক্ষিকা। ডাবলিনের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি, বরং স্ব-অধ্যয়ন এবং ব্যক্তিগত আগ্রহের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় রাজনৈতিক অর্থনীতি, সঙ্গীত এবং নাটক নিয়ে লেখালেখি করেন।
কর্মজীবন
শ-এর কর্মজীবনের শুরুটা ছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। তিনি ‘দ্য স্টার’, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘দ্য সানডে রিভিউ’ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। এই সময়কালে তিনি ফ্যাবিয়ান সোসাইটি-র সাথে যুক্ত হন, যা একটি সমাজতান্ত্রিক সংগঠন। ফ্যাবিয়ান সোসাইটির আদর্শ শ-এর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং তাঁর নাটকে এর প্রতিফলন দেখা যায়।
১৮৯০-এর দশকে শ নাটক লেখা শুরু করেন। তাঁর প্রথম দিকের নাটকগুলো ছিল মূলত সামাজিক সমস্যা ও সংস্কারের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণকারী। "ওয়াইডেনিং আইস" (Widowers' Houses) (১৮৯০) এবং "দ্য ফিল্যান্সার" (The Philanderer) (১৮৯৩) তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রথম দিকের কাজ।
শ-এর সবচেয়ে বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো "পিগমেলিয়ন" (Pygmalion) (১৯১৩), যা পরবর্তীতে "মাই ফেয়ার লেডি" (My Fair Lady) নামে একটি জনপ্রিয় সঙ্গীতনাট্যে রূপান্তরিত হয়। এছাড়াও "ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান" (Man and Superman) (১৯০৩), "মেজর বারবারা" (Major Barbara) (১৯০৫), "অ্যান্ড্রোক্লিস অ্যান্ড দ্য লায়ন" (Androcles and the Lion) (১৯১২) এবং "সেন্ট জোয়ান" (Saint Joan) (১৯২৩) তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ।
নাটকের বৈশিষ্ট্য
জর্জ বার্নার্ড শ-এর নাটকগুলো প্রচলিত নাটকের কাঠামো থেকে ভিন্ন ছিল। তিনি নাটকে সংলাপের মাধ্যমে চরিত্রগুলোর মানসিকতা ও সামাজিক অবস্থান তুলে ধরতেন। তাঁর নাটকগুলোতে সাধারণত দীর্ঘ এবং বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ দেখা যায়, যেখানে চরিত্ররা জটিল দার্শনিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করে। শ-এর নাটকগুলো প্রায়শই শ্লেষ ও বিদ্রূপাত্মক হয়ে থাকে।
শ-এর নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- সামাজিক সমস্যা ও অবিচারের প্রতি মনোযোগ।
- বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ এবং চরিত্রগুলোর মধ্যে বিতর্কের প্রাধান্য।
- নৈতিকতা ও রাজনৈতিক বিষয়গুলোর আলোচনা।
- প্রচলিত নাটকের কাঠামোর বাইরে নতুন ধরনের নাট্যশৈলী।
- শ্লেষ ও বিদ্রূপের ব্যবহার।
সমাজতান্ত্রিক দর্শন
জর্জ বার্নার্ড শ ছিলেন একজন প্রভাবশালী সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা জরুরি। তাঁর নাটকে তিনি প্রায়শই পুঁজিবাদের সমালোচনা করেছেন এবং সাম্যবাদের আদর্শের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। শ মনে করতেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব, যা সমাজ পরিবর্তনের জন্য অপরিহার্য।
সাহিত্যিক অবদান
জর্জ বার্নার্ড শ শুধু একজন নাট্যকার ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ঔপন্যাসিক, সমালোচক এবং সাংবাদিক। তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখেছেন, যা সাহিত্য, রাজনীতি ও সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে "লাভ amongst the Artists" (১৮৮১) এবং "The Irrational Knot" (১৮৮২)।
শ-এর সাহিত্যিক অবদানের জন্য তিনি ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুইডিশ একাডেমি তাঁকে "তাঁর লেখার মাধ্যমে মানবতাবাদের আদর্শকে তুলে ধরার জন্য" এই পুরস্কার প্রদান করে।
ব্যক্তিগত জীবন
জর্জ বার্নার্ড শ ১৮৯৮ সালে শার্লট পেইন্টারকে বিয়ে করেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল বেশ unconventional। শার্লট ছিলেন একজন বুদ্ধিমতী ও স্বাধীনচেতা নারী এবং শ-এর কাজের প্রতি তাঁর সমর্থন ছিল অবিচল। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। শ তাঁর জীবনকালে বহু নারীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন, যা নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ
- ওয়াইডেনিং আইস (Widowers' Houses) (১৮৯০)
- দ্য ফিল্যান্সার (The Philanderer) (১৮৯৩)
- আর্Ms and the Man (Arms and the Man) (১৮৯৪)
- ক্যান্ডিডাস (Candida) (১৮৯৫)
- দ্য ম্যান অফ ডেস্টিনি (The Man of Destiny) (১৮৯৫)
- ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান (Man and Superman) (১৯০৩)
- মেজর বারবারা (Major Barbara) (১৯০৫)
- দ্য শোম্যান (The Showman) (১৯০৭)
- অ্যান্ড্রোক্লিস অ্যান্ড দ্য লায়ন (Androcles and the Lion) (১৯১২)
- পিগমেলিয়ন (Pygmalion) (১৯১৩)
- সেন্ট জোয়ান (Saint Joan) (১৯২৩)
শ এর প্রভাব
জর্জ বার্নার্ড শ-এর নাটকগুলো পরবর্তী প্রজন্মের নাট্যকার ও সাহিত্যিকদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর নাটকের বিষয়বস্তু, চরিত্রায়ণ এবং সংলাপের ধরণ আধুনিক নাটকের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শ-এর সমাজতান্ত্রিক দর্শন এবং সামাজিক সমালোচনার ধারা আজও প্রাসঙ্গিক।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক (রূপক)
যদিও জর্জ বার্নার্ড শ সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে জড়িত ছিলেন না, তবে তাঁর কাজ এবং দর্শন এই ট্রেডিংয়ের কিছু দিকের সাথে তুলনীয় হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি আর্থিক বিনিয়োগ যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। এটি অনেকটা শ-এর নাটকের মতো, যেখানে চরিত্ররা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদের মতামত এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- ঝুঁকি বিশ্লেষণ: শ-এর নাটকে চরিত্ররা যেমন তাদের সিদ্ধান্তের ফলাফল সম্পর্কে সচেতন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়।
- সম্ভাবনা মূল্যায়ন: শ-এর নাটকে চরিত্ররা বিভিন্ন ঘটনার সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগকারীদের বাজারের গতিবিধি এবং সাফল্যের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করতে হয়।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ: শ-এর নাটকে চরিত্ররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর কিছু কৌশল:
- ট্রেন্ড ফলোয়িং (Trend Following): বাজারের গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রেখে ট্রেড করা।
- রিভার্সাল ট্রেডিং (Reversal Trading): বাজারের বিপরীত দিকে ট্রেড করা।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং (Breakout Trading): গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল ভেদ করার সময় ট্রেড করা।
- পিনি বার কৌশল (Pin Bar Strategy): ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্যবহার করে ট্রেড করা।
- মুভিং এভারেজ (Moving Average): বাজারের গড় মূল্য নির্ধারণ করে ট্রেড করা।
- আরএসআই (RSI): Relative Strength Index ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা।
- এফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): ফিবোনাচি অনুপাত ব্যবহার করে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল খুঁজে বের করা।
- ভলিউম অ্যানালাইসিস (Volume Analysis): ট্রেডিং ভলিউম বিশ্লেষণ করে বাজারের প্রবণতা বোঝা।
- ম্যাকডি (MACD): Moving Average Convergence Divergence ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বোঝা।
- স্টোকাস্টিক অসিলিটর (Stochastic Oscillator): বাজারের অতিরিক্ত কেনা বা বিক্রির অবস্থা নির্ণয় করা।
- বোলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করা।
- ইচিঙ্কৌ ক্লাউড (Ichimoku Cloud): বাজারের সাপোর্ট, রেজিস্ট্যান্স, ট্রেন্ড এবং মোমেন্টাম নির্ণয় করা।
- ডনচিয়ান চ্যানেল (Donchian Channel): বাজারের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মূল্য ট্র্যাক করা।
- পারাবোলিক সার (Parabolic SAR): বাজারের সম্ভাব্য রিভার্সাল পয়েন্ট চিহ্নিত করা।
- এল্ডার রোল (Elder Roll): বাজারের প্রবণতা এবং মোমেন্টাম বিশ্লেষণ করা।
মনে রাখতে হবে, বাইনারি অপশন ট্রেডিং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এখানে বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে গবেষণা করা উচিত।
উপসংহার
জর্জ বার্নার্ড শ ছিলেন একাধারে নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সমালোচক এবং সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ। তাঁর নাটকগুলো সামাজিক অবিচার, নৈতিকতা এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে গভীর আলোচনা করে। শ-এর সাহিত্যিক অবদান এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শন তাঁকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
