কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (CBE) একটি সম্মানসূচক পদবি যা যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়। এটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য অথবা যুক্তরাজ্যের বাইরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখার জন্য দেওয়া হয়। এই পদবিটি সাধারণত সামরিক, বেসামরিক, এবং শিল্পকলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস
অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার ১৯১৭ সালের জুন মাসে রাজা পঞ্চম জর্জ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সাম্রাজ্যের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে এই সম্মানসূচক পদবি চালু করা হয়। শুরুতে এটি মূলত সামরিক বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হতো, কিন্তু পরবর্তীতে এর পরিধি বৃদ্ধি করা হয় এবং বেসামরিক ক্ষেত্রে অবদানকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শ্রেণীবিভাগ
অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত:
- নাইট গ্র্যান্ড ক্রস (GCB)
- নাইট কম্যান্ডার (KCB)
- কম্যান্ডার (CBE)
- অফিসার (OBE)
- মেম্বার (MBE)
কম্যান্ডার (CBE) পদবিটি এই শ্রেণীবিন্যাসের তৃতীয় স্তর। এটি নাইটহুডের চেয়ে নিচের পদবি, তবে অফিসার (OBE) এবং মেম্বার (MBE) থেকে উচ্চতর।
যোগ্যতা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া
কম্যান্ডার (CBE) পদবি পাওয়ার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলো বিবেচনা করা হয়:
- বিশিষ্ট সেবা: জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী এবং প্রভাবশালী অবদান।
- নেতৃত্ব: নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করা।
- সাহসিকতা: ব্যক্তিগত ঝুঁকি নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ।
- শিল্পকলা ও বিজ্ঞান: শিল্পকলা, বিজ্ঞান, বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান।
- সামরিক অবদান: সামরিক ক্ষেত্রে বীরত্বপূর্ণ কাজ বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন।
এই পদবির জন্য মনোনয়ন সাধারণত সরকারি সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অথবা ব্যক্তিগতভাবে জমা দেওয়া হয়। এরপর একটি কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ এবং রাজকীয় অনুমোদন এর মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননার প্রতীক
কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (CBE) সম্মাননা লাভের পর একজন ব্যক্তি নিম্নলিখিত প্রতীকগুলো ব্যবহার করতে পারেন:
- একটি বিশেষ綬াংশ (Ribbon): এই綬াংশটি গাঢ় নীল রঙের এবং এর মাঝে রূপালী রঙের একটি প্রতীক থাকে।
- একটি স্টার ব্যাজ (Star Badge): এটি সাধারণত পোশাকের বাম দিকে ধারণ করা হয়।
- পোস্ট-নমিনাল লেটার্স (Post-Nominal Letters): নামের শেষে "CBE" ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্যান্ডারOfThe অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য বহু ব্যক্তি এই সম্মাননা লাভ করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
- স্যার পল ম্যাককার্টনি: সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি CBE সম্মাননা লাভ করেন।
- ড্যানিয়েল রেডক্লিফ: অভিনেতা হিসেবে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
- জোডি কোমার: অভিনেত্রী এবং মডেল হিসেবে অবদানের জন্য তিনি CBE পান।
- স্টিভেন স্পিলবার্গ: চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
- অ্যাং সান সু কি: মিয়ানমারের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তিনি CBE সম্মাননা লাভ করেন।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক (রূপক অর্থে)
যদিও কম্যান্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার একটি সম্মানসূচক পদবি এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি আর্থিক বিনিয়োগ কৌশল, তবুও সাফল্যের বিচারে উভয়ের মধ্যে একটি রূপক সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে।
- কৌশল ও বিশ্লেষণ: CBE পাওয়ার জন্য যেমন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করতে হয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও সফল হতে হলে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ, এবং ভলিউম বিশ্লেষণ এর মতো কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে হয়।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য CBE-এর জন্য মনোনীত হওয়ার আগে অনেক ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। একইভাবে, বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ধৈর্য ও অধ্যবসায়: CBE অর্জন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যেখানে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও ধৈর্য এবং অধ্যবসায় ছাড়া সফলতা অর্জন করা কঠিন।
- সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই CBE-এর মতো সম্মান অর্জন করা সম্ভব। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়েও দ্রুত এবং সঠিক ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি।
- বাজার পর্যবেক্ষণ : বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে বাজার পর্যবেক্ষণ করাটা খুব জরুরি, তেমনই CBE পাওয়ার জন্য সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজর রাখা প্রয়োজন।
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
১. বাইনারি অপশন কি?
বাইনারি অপশন হলো একটি আর্থিক চুক্তি, যেখানে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের (যেমন: স্টক, কারেন্সি, কমোডিটি) দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করেন। যদি বিনিয়োগকারীর অনুমান সঠিক হয়, তবে তিনি লাভ পান, অন্যথায় তিনি তার বিনিয়োগের পরিমাণ হারান।
২. ট্রেডিং কৌশল
সফল বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় কৌশল রয়েছে:
- ট্রেন্ড ট্রেডিং: বাজারের ট্রেন্ড অনুসরণ করে ট্রেড করা।
- রেঞ্জ ট্রেডিং: নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে দামের ওঠানামা থেকে লাভ বের করা।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং: দাম কোনো নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করলে ট্রেড করা।
- পিনি বার কৌশল: ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্যবহার করে ট্রেড করা।
- বলিঙ্গার ব্যান্ড কৌশল: বলিঙ্গার ব্যান্ড ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা।
৩. টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হলো:
- মুভিং এভারেজ (Moving Average)
- রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (RSI)
- MACD (Moving Average Convergence Divergence)
- ফিबोনাচি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)
- স্টোকাস্টিক অসিলেটর (Stochastic Oscillator)
৪. ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ
ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ অর্থনৈতিক সূচক, রাজনৈতিক ঘটনা, এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ট্রেড করার একটি পদ্ধতি।
৫. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কিছু নিয়ম অনুসরণ করা উচিত:
- স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করা।
- একবারে মোট বিনিয়োগের একটি ছোট অংশ ট্রেড করা।
- লিভারেজ সম্পর্কে সতর্ক থাকা।
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা।
৬. ভলিউম বিশ্লেষণ
ভলিউম বিশ্লেষণ বাজারের গতিবিধি এবং প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে।
- ভলিউম স্পাইক (Volume Spike)
- ভলিউম কনফার্মেশন (Volume Confirmation)
- অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV)
৭. ব্রোকার নির্বাচন
একটি নির্ভরযোগ্য এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্রোকার নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৮. ডেমো অ্যাকাউন্ট
বাস্তব অর্থ বিনিয়োগ করার আগে ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ট্রেডিং অনুশীলন করা উচিত।
৯. ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
একটি সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা উচিত।
১০. মার্কেট সেন্টিমেন্ট
মার্কেট সেন্টিমেন্ট বোঝা ট্রেডিংয়ের জন্য খুব দরকারি।
১১. নিউজ এবং ইভেন্ট
অর্থনৈতিক নিউজ এবং ইভেন্ট বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে।
১২. টাইম ফ্রেম
বিভিন্ন টাইম ফ্রেম এ ট্রেড করার কৌশল ভিন্ন হয়।
১৩. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো চিহ্নিত করতে পারাটা জরুরি।
১৪. প্যাটার্ন রিকগনিশন
চার্ট প্যাটার্নগুলো চিনতে পারা ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৫. মনোবিজ্ঞান
ট্রেডিংয়ের সময় নিজের মনোবিজ্ঞান নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
উপসংহার
কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার একটি অত্যন্ত সম্মানজনক পদবি, যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং সমাজের প্রতি অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল আর্থিক বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে সাফল্য অর্জনের জন্য সঠিক জ্ঞান, কৌশল, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। উভয় ক্ষেত্রেই, একাগ্রতা, অধ্যবসায়, এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
