একশন এরিয়া

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

একশন এরিয়া

ভূমিকা: বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, ‘একশন এরিয়া’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি এমন একটি নির্দিষ্ট মূল্য পরিসীমা বা এলাকাকে বোঝায় যেখানে উল্লেখযোগ্য বাজার কার্যকলাপ সংঘটিত হয়। এই কার্যকলাপ ট্রেডারদের আগ্রহ এবং সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটায়। একশন এরিয়া চিহ্নিত করতে পারলে, ট্রেডাররা সম্ভাব্য ট্রেডিং সুযোগ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন এবং তাদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল উন্নত করতে পারেন। এই নিবন্ধে, একশন এরিয়া কী, এটি কীভাবে চিহ্নিত করতে হয়, এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিংে এর ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

একশন এরিয়া কী? একশন এরিয়া হলো চার্টে এমন একটি অঞ্চল যেখানে দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই অঞ্চলে প্রায়শই সমর্থন এবং প্রতিরোধ স্তর তৈরি হয়, যেখানে দাম একাধিকবার ফিরে আসে বা ভেঙে যায়। একশন এরিয়া সাধারণত পূর্ববর্তী মূল্য গতিবিধি, ভলিউম, এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।

একশন এরিয়া চিহ্নিত করার পদ্ধতি: একশন এরিয়া চিহ্নিত করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:

১. দৃশ্যমান পরিদর্শন: চার্ট দেখে দামের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা এবং যেখানে দাম বারবার ফিরে এসেছে বা থেমেছে, সেই এলাকা চিহ্নিত করা। ২. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল: সাপোর্ট লেভেল হলো সেই মূল্যস্তর যেখানে দাম কমার প্রবণতা থমকে গিয়ে আবার বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, রেজিস্ট্যান্স লেভেল হলো সেই মূল্যস্তর যেখানে দাম বাড়ার প্রবণতা থমকে গিয়ে আবার কমতে শুরু করে। এই স্তরগুলো একশন এরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে। ৩. ভলিউম বিশ্লেষণ: যে এলাকায় ভলিউম বেশি, সেখানে একশন এরিয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, উচ্চ ভলিউম সাধারণত ট্রেডারদের মধ্যে বেশি আগ্রহ নির্দেশ করে। ভলিউম প্রোফাইল ব্যবহার করে এটি ভালোভাবে বোঝা যায়। ৪. ট্রেন্ড লাইন: ট্রেন্ড লাইন ব্যবহার করে আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ডের মধ্যে একশন এরিয়া চিহ্নিত করা যায়। ৫. মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজের কাছাকাছি দামের প্রতিক্রিয়া প্রায়শই একশন এরিয়া তৈরি করে। ৬. ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট স্তরগুলি সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এলাকা হিসাবে কাজ করে, যা একশন এরিয়া চিহ্নিত করতে সহায়ক।

একশন এরিয়ার প্রকারভেদ: একশন এরিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:

  • কনসোলিডেশন এরিয়া: এটি এমন একটি এলাকা যেখানে দাম একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে ওঠানামা করে, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দিকে যায় না।
  • ব্রেকআউট এরিয়া: এটি এমন একটি এলাকা যেখানে দাম একটি নির্দিষ্ট স্তর ভেঙে নতুন দিকে যাত্রা শুরু করে।
  • রিভার্সাল এরিয়া: এটি এমন একটি এলাকা যেখানে দাম তার পূর্ববর্তী প্রবণতা পরিবর্তন করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে একশন এরিয়ার ব্যবহার: বাইনারি অপশন ট্রেডিংে একশন এরিয়া ব্যবহার করে ট্রেডাররা নিম্নলিখিত সুবিধা পেতে পারেন:

১. এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ: একশন এরিয়ার মধ্যে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলি ব্যবহার করে ট্রেডাররা তাদের এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ করতে পারেন। ২. স্টপ-লস অর্ডার স্থাপন: একশন এরিয়ার বাইরে স্টপ-লস অর্ডার স্থাপন করে ট্রেডাররা তাদের ঝুঁকি কমাতে পারেন। ৩. টার্গেট নির্ধারণ: একশন এরিয়ার মধ্যে পরবর্তী সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স লেভেলটিকে টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৪. ট্রেডিংয়ের সুযোগ চিহ্নিতকরণ: একশন এরিয়া ব্রেকআউট বা রিভার্সালের সংকেত দিতে পারে, যা ট্রেডারদের জন্য নতুন ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: একশন এরিয়া ব্যবহার করে ট্রেডিং করার সময় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মনে রাখতে হবে:

  • নিশ্চিতকরণ: শুধুমাত্র একশন এরিয়ার উপর নির্ভর করে ট্রেড করা উচিত নয়। অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর এবং মৌলিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া উচিত।
  • ভলিউম: উচ্চ ভলিউমের সাথে একশন এরিয়া বেশি নির্ভরযোগ্য।
  • সময়সীমা: সময়সীমার উপর নির্ভর করে একশন এরিয়ার গুরুত্ব পরিবর্তিত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ট্রেডিংয়ের জন্য দৈনিক বা সাপ্তাহিক চার্ট ব্যবহার করা উচিত, যেখানে স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের জন্য মিনিট বা hourly চার্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • মার্কেট পরিস্থিতি: বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা জরুরি।

কৌশল এবং টেকনিক: একশন এরিয়াকে কাজে লাগিয়ে কিছু কার্যকরী ট্রেডিং কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে:

১. ব্রেকআউট কৌশল: যখন দাম একশন এরিয়া ভেঙে উপরে বা নিচে যায়, তখন ব্রেকআউট কৌশল ব্যবহার করা হয়। ২. রিভার্সাল কৌশল: যখন দাম একশন এরিয়ার কাছাকাছি পৌঁছে ফিরে আসে, তখন রিভার্সাল কৌশল ব্যবহার করা হয়। ৩. পুলব্যাক কৌশল: দাম ব্রেকআউটের পরে যখন অল্প সময়ের জন্য পিছিয়ে আসে, তখন পুলব্যাক কৌশল ব্যবহার করা হয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • নিউজ এবং ইভেন্ট: গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খবর এবং রাজনৈতিক ঘটনাগুলি একশন এরিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণ: বাজারের সেন্টিমেন্ট বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দামের গতিবিধিতে প্রভাব ফেলে।
  • পোর্টফোলিও ডাইভারসিফিকেশন: শুধুমাত্র একটি ট্রেডে সম্পূর্ণ মূলধন বিনিয়োগ না করে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনা উচিত।

টেবিল: একশন এরিয়ার প্রকারভেদ এবং ট্রেডিং কৌশল

একশন এরিয়ার প্রকারভেদ এবং ট্রেডিং কৌশল
প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য ট্রেডিং কৌশল কনসোলিডেশন এরিয়া দাম একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে ওঠানামা করে রেঞ্জ ট্রেডিং, সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করে ট্রেড ব্রেকআউট এরিয়া দাম একটি নির্দিষ্ট স্তর ভেঙে যায় ব্রেকআউট ট্রেডিং, ট্রেন্ড অনুসরণ করা রিভার্সাল এরিয়া দাম তার পূর্ববর্তী প্রবণতা পরিবর্তন করে রিভার্সাল ট্রেডিং, কনট্রেরিয়ান ট্রেডিং ভলিউম এরিয়া উচ্চ ভলিউমের সাথে দামের প্রতিক্রিয়া ভলিউম নিশ্চিতকরণ, শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা ফিবোনাচ্চি এরিয়া ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট স্তরের কাছাকাছি ফিবোনাচ্চি ট্রেডিং, সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স হিসাবে ব্যবহার

উপসংহার: একশন এরিয়া বাইনারি অপশন ট্রেডিংের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ট্রেডারদের সম্ভাব্য ট্রেডিংয়ের সুযোগগুলি চিহ্নিত করতে, ঝুঁকি কমাতে, এবং তাদের ট্রেডিং কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করে। একশন এরিয়া চিহ্নিত করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এবং প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ট্রেডারদের উচিত এই পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিজের ট্রেডিং কৌশলের সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করা। এছাড়াও, বাজারের পরিস্থিতি এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলির সাথে সমন্বয় করে ট্রেড করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে।

আরও জানতে:

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер