ইংল্যান্ড

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ইংল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। এটি যুক্তরাজ্য (United Kingdom)-এর চারটি constituent country-র মধ্যে বৃহত্তম। এর পূর্বে উত্তর সাগর, উত্তরে স্কটল্যান্ড, পশ্চিমে ওয়েলস এবং দক্ষিণে ইংরেজি চ্যানেল অবস্থিত। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব শহর।

ইতিহাস

ইংল্যান্ডের ইতিহাস বহু প্রাচীন। এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জাতির প্রভাব পড়েছে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ: ইংল্যান্ডে মানব বসতি প্রায় ৮ লক্ষ বছর আগে শুরু হয়েছিল। প্রাচীন স্টোনহেঞ্জ এর সাক্ষ্য বহন করে।
রোমান যুগ: ৪৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইংল্যান্ড রোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। রোমানরা এখানে রাস্তা, দুর্গ এবং শহর নির্মাণ করে।
অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগ: পঞ্চম শতাব্দীতে জার্মানিক উপজাতি অ্যাংলো, স্যাক্সন এবং জুট ইংল্যান্ডে এসে বসতি স্থাপন করে। এই সময়কালে ইংল্যান্ডে খ্রিস্ট ধর্মের বিস্তার ঘটে।
নরম্যান বিজয়: ১০৬৬ সালে নরম্যান্ডির ডিউক উইলিয়াম ইংল্যান্ড আক্রমণ করে এবং হেস্টিংসের যুদ্ধে জয়লাভ করেন। এর ফলে ইংল্যান্ডে ফরাসি সংস্কৃতির প্রভাব বাড়ে।
মধ্যযুগ: মধ্যযুগে ইংল্যান্ডে সামন্ততন্ত্রের বিকাশ ঘটে। ১২১৫ সালে ম্যাগনা কার্টা স্বাক্ষরিত হয়, যা রাজার ক্ষমতাকে সীমিত করে এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে।
টিউডর যুগ: ১৫৩৪ সালে হেনরি অষ্টম নিজেকে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান ঘোষণা করেন। এই সময়কালে ইংল্যান্ডে রেনেসাঁর প্রভাব পড়ে।
স্টুয়ার্ট যুগ: এই সময়ে ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধ (English Civil War) সংঘটিত হয়, যার ফলস্বরূপ অলিভার ক্রমওয়েল ইংল্যান্ডের শাসক হন।
হ্যানোভার যুগ: ১৭১৪ সালে জর্জ প্রথম ইংল্যান্ডের রাজা হন। এই সময়কালে শিল্প বিপ্লব শুরু হয় এবং ইংল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়।
ভিক্টোরিয়ান যুগ: ভিক্টোরিয়ার শাসনকালে ইংল্যান্ড সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটায়।
বিংশ শতাব্দী ও পরবর্তীকাল: দুটি বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড তার উপনিবেশগুলি থেকে স্বাধীনতা দেয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এ যোগদান করে। ২০২০ সালে ইংল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় (ব্রেক্সিট)।

ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য

ইংল্যান্ডের ভূখণ্ড মূলত সমতল ভূমি এবং পাহাড়ি এলাকা নিয়ে গঠিত। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে ডাউনস নামক চুনাপাথরের পাহাড় রয়েছে। উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে লেক ডিস্ট্রিক্ট এবং প Pennines পর্বতমালা। ইংল্যান্ডের দীর্ঘতম নদী থেমস।

ইংল্যান্ডের প্রধান শহরসমূহ
শহর	জনসংখ্যা (২০২১)	অঞ্চল
লন্ডন	৮৯,৮২,০০০	বৃহত্তর লন্ডন
বার্মিংহাম	১১,৪১,০০০	ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস
ম্যানচেস্টার	৫,৬১,০০০	উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড
লিডস	৭,৯২,০০০	ইয়র্কশায়ার ও হাম্বার
শেফিল্ড	৫,৬৮,০০০	ইয়র্কশায়ার ও হাম্বার

জলবায়ু

ইংল্যান্ডের জলবায়ু সমুদ্রীয়। এখানে শীতকাল সাধারণত মৃদু এবং গ্রীষ্মকাল উষ্ণ হয়। বৃষ্টিপাত সারা বছরই হয়, তবে শীতকালে তুষারপাতও দেখা যায়।

অর্থনীতি

ইংল্যান্ডের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম। লন্ডন একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র। দেশটির প্রধান শিল্পগুলির মধ্যে রয়েছে উৎপাদন, সেবা, পর্যটন এবং কৃষি।

সংস্কৃতি

ইংল্যান্ডের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, চার্লস ডিকেন্স এবং জেন অস্টেন-এর মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকগণ ইংরেজি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। ইংল্যান্ড সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র এবং ক্রীড়াতেও বিখ্যাত। ফুটবল ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।

রাজনীতি

ইংল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা বা রানী হলেন রাষ্ট্রের প্রধান, তবে প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত। পার্লামেন্ট হলো আইন প্রণয়নকারী সংস্থা।

শিক্ষা

ইংল্যান্ডে শিক্ষার মান উন্নত। এখানে অনেক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

পর্যটন

ইংল্যান্ডে পর্যটকদের জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে লন্ডন আই, টাওয়ার অফ লন্ডন, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে এবং স্টোনহেঞ্জ উল্লেখযোগ্য।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডে বাইনারি অপশন ট্রেডিং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তবে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। এখানে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো:

নিয়ন্ত্রণ: ফিনান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি (FCA) ইংল্যান্ডে বাইনারি অপশন ট্রেডিং নিয়ন্ত্রণ করে। FCA-এর নিয়ম অনুযায়ী, বাইনারি অপশন প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে লাইসেন্স নিতে হয় এবং গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
ঝুঁকি: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিনিয়োগকারীরা খুব অল্প সময়ে তাদের বিনিয়োগের সম্পূর্ণ অর্থ হারাতে পারেন।
কৌশল: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হওয়ার জন্য সঠিক ট্রেডিং কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। কিছু জনপ্রিয় কৌশল হলো:

   * ট্রেন্ড অনুসরণ: বাজারের ট্রেন্ড অনুযায়ী ট্রেড করা। (Technical Analysis)
   * সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করে ট্রেড করা। (Support and Resistance)
   * মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা। (Moving Averages)
   * আরএসআই (RSI): আরএসআই ব্যবহার করে বাজারের ওভারবট এবং ওভারসোল্ড অবস্থা নির্ণয় করা। (RSI Indicator)
   * বলিঙ্গার ব্যান্ড: বলিঙ্গার ব্যান্ড ব্যবহার করে বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করা। (Bollinger Bands)

ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। (Volume Analysis)
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: চার্ট এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করা। (Candlestick Patterns)
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। (Risk Management)
ব্রোকার নির্বাচন: একটি নির্ভরযোগ্য এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্রোকার নির্বাচন করা জরুরি। ব্রোকারের প্ল্যাটফর্ম, ফি এবং গ্রাহক পরিষেবা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। (Binary Options Brokers)
মার্কেট বিশ্লেষণ: ট্রেড করার আগে মার্কেট সম্পর্কে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন। (Economic Calendar)
ডেমো অ্যাকাউন্ট: প্রথমে ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত।
মানসিক শৃঙ্খলা: ট্রেডিংয়ের সময় মানসিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি। আবেগপ্রবণ হয়ে ট্রেড করা উচিত নয়। (Trading Psychology)
অর্থ ব্যবস্থাপনা: আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী ট্রেড করুন। (Money Management)
নিউজ ট্রেডিং: গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খবর এবং ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করা। (News Trading)
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লেভেল ব্যবহার করে সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করা। (Fibonacci Retracement)
Elliott Wave Theory: এই তত্ত্ব ব্যবহার করে বাজারের দীর্ঘমেয়াদী গতিবিধি বিশ্লেষণ করা। (Elliott Wave Theory)
পেNetration ট্রেডিং: ব্রেকআউট এবং পুলব্যাক ট্রেডিং কৌশল ব্যবহার করা। (Breakout Trading)

ইংল্যান্ডে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ভবিষ্যৎ FCA-এর নিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভরশীল। FCA বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

তথ্যসূত্র

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ