অপুর সংসার
অপুর সংসার
| অপুর সংসার (১৯৫৯) সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। এটি অপু ত্রয়ী-র তৃতীয় এবং শেষ চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘অপুর সংসার’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর। চলচ্চিত্রটি ভারত, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স-এর চলচ্চিত্র উৎসবে একাধিক পুরস্কার লাভ করে। |
চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট
অপুর সংসার মূলত অপু পারফরম্যান্সের জীবনের সংকট ও তার জীবন সংগ্রামের কাহিনী। প্রথম দুটি চলচ্চিত্র – পথের পাঁচালী (১৯৫৫) এবং অপুর পথে (১৯৫৬) -তে অপুর শৈশব ও কৈশোরের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অপুর সংসার-এ দেখানো হয়েছে, কিভাবে অপু একজন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং তার জীবন কিভাবে বাস্তবতার কঠিন পথ পাড়ি দেয়।
কাহিনী সংক্ষেপ
অপুর সংসার চলচ্চিত্রের কাহিনী শুরু হয় কলकाता শহরে। অপু (যিনি সুamit চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে জীবন পেয়েছেন) এখন একজন যুবক। তিনি একটি সামান্য বেতনের চাকরি করেন এবং লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার স্ত্রী অপর্ণা (যিনি শarmeela ঠাকুরের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পরিচিত) একটি শিক্ষিকা। তাদের জীবন আপাতদৃষ্টিতে শান্ত ও স্বাভাবিক।
কিন্তু তাদের জীবনে নেমে আসে নানা সংকট। অপুর লেখালেখি তেমন একটা স্বীকৃতি পায় না, ফলে আর্থিক অনটন দেখা দেয়। অপর্ণা তার স্বামীর প্রতি অনুগত থাকলেও, বাস্তব জীবনের কঠিন পরিস্থিতি তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে শুরু করে। অপর্ণার পরিবার তাদের বিবাহিত জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে এবং ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে।
অপু তার লেখালেখি চালিয়ে যেতে চান, কিন্তু সংসারের অভাব তাকে বাধ্য করে অন্য পথে হাঁটতে। তিনি একটি মিল কারখানায় কাজ করতে শুরু করেন, যা তার শিল্পীসত্তার পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে অপু এবং অপর্ণার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে থাকে।
কাহিনীর মোড় নেয় যখন অপর্ণা জানতে পারে যে সে সন্তান ধারণ করেছে। কিন্তু অপুর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে, তাদের সন্তানকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে আনতে না পারার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে অপু তার বন্ধুদের কাছে সাহায্য চান, কিন্তু তেমন সাড়া পান না।
শেষ পর্যন্ত, অপর্ণা অসুস্থ হয়ে মারা যান এবং অপুর জীবন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। সন্তান হারানোর শোকে অপু একেবারে নিঃস্ব হয়ে যান। চলচ্চিত্রটির শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, অপু তার সন্তানকে নিয়ে আবার গ্রামের পথে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে তার জীবন শুরু হয়েছিল।
চরিত্রায়ণ
- **অপু:** সুamit চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অপুর চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন। অপুর স্বপ্ন, হতাশা, এবং জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি দর্শকদের মনে গভীর দাগ কাটে।
- **অপর্ণা:** শarmeela ঠাকুর অপর্ণার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। অপর্ণার সংবেদনশীলতা, স্বামীর প্রতি ভালোবাসা এবং বাস্তবতার কাছে তার অসহায়তা দর্শকদের সহানুভূতি অর্জন করে।
- **সোমা:** অপুর বোন, যে তার ভাইয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- **কাশী:** অপর্ণার বাবা, যিনি অপুর প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণ
অপুর সংসার চলচ্চিত্রটি সত্যজিৎ রায় অত্যন্ত যত্ন সহকারে নির্মাণ করেছেন। তিনি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন।
- **চিত্রনাট্য:** সত্যজিৎ রায় নিজেই চিত্রনাট্য রচনা করেছেন, যা উপন্যাসটির মূল কাঠামো বজায় রেখে চলচ্চিত্রটিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।
- **ক্যামেরাম্যান:** সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর ক্যামেরার কাজ চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়নকে আরও সুন্দর ও বাস্তবসম্মত করেছে।
- **সংগীত:** ravi shankar-এর সংগীত চলচ্চিত্রটির আবেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
চলচ্চিত্রের পুরস্কার
অপুর সংসার চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে একাধিক পুরস্কার লাভ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:
- বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার (সিলভার বিয়ার)।
- বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) - শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
অপুর সংসারের দর্শন
অপুর সংসার চলচ্চিত্রটি জীবনের কঠিন বাস্তবতা, মানুষের সম্পর্কের জটিলতা এবং স্বপ্ন পূরণের পথে আসা বাধা নিয়ে আলোচনা করে। এটি দেখায় যে, জীবন সবসময় মসৃণ হয় না এবং মানুষকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
এই চলচ্চিত্রে বাস্তবতা, আশা, এবং হতাশা-র এক মিশ্রণ দেখা যায়। অপু তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও, সে হাল ছাড়ে না। সে আবার নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করে।
চলচ্চিত্রের প্রভাব
অপুর সংসার বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই চলচ্চিত্রটি নব্য তরঙ্গ (French New Wave) দ্বারা প্রভাবিত এবং এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
এই চলচ্চিত্রটি পরবর্তী প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং বাংলা চলচ্চিত্রের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক (রূপক অর্থে)
যদিও অপুর সংসার একটি চলচ্চিত্র, এর কাহিনীকে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে রূপকভাবে তুলনা করা যেতে পারে।
- **ঝুঁকি এবং পুরস্কার:** অপুর জীবনে যেমন ঝুঁকি ছিল, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও ঝুঁকি থাকে। উভয় ক্ষেত্রেই, পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঝুঁকি নিতে হয়।
- **বাজারের অনিশ্চয়তা:** অপুর জীবন যেমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় পূর্ণ ছিল, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর বাজারও অনিশ্চিত। এখানে সাফল্যের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।
- **ধৈর্য এবং অধ্যবসায়:** অপু যেমন তার স্বপ্ন পূরণের জন্য ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে গেছেন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও সফল হতে হলে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন।
- **ভুল সিদ্ধান্ত:** অপুর জীবনে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত তাকে কষ্টের দিকে নিয়ে গেছে, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ভুল সিদ্ধান্ত আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- **আর্থিক ব্যবস্থাপনা:** অপুর আর্থিক কষ্ট তাকে শিখিয়েছে কিভাবে সীমিত সম্পদ দিয়ে জীবন চালাতে হয়, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও আর্থিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
| ধারণা | |||||||||
| কল অপশন | পুট অপশন | পayout | বিনিয়োগের পরিমাণ | মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় |
ট্রেডিং কৌশল
- ট্রেন্ড ট্রেডিং: বাজারের গতিবিধি অনুসরণ করে ট্রেড করা।
- রেঞ্জ ট্রেডিং: নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে দামের ওঠানামা থেকে লাভবান হওয়া।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং: দাম যখন একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন ট্রেড করা।
- পিনি বার রিভার্সাল: পিনি বার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্যবহার করে ট্রেড করা।
- মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বোঝা।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ হল চার্ট এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে ভবিষ্যতের দামের গতিবিধি Predicting করার একটি পদ্ধতি। কিছু জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর হল:
- আরএসআই (Relative Strength Index)
- এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence)
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands)
- স্টোকাস্টিক অসিলেটর (Stochastic Oscillator)
ভলিউম বিশ্লেষণ
ভলিউম বিশ্লেষণ হল ট্রেডিং ভলিউমের উপর ভিত্তি করে বাজারের গতিবিধি বোঝার একটি পদ্ধতি।
- অন ভলিউম ব্যালেন্স (On Balance Volume)
- ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (Volume Weighted Average Price)
- অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (Accumulation/Distribution Line)
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল:
- নিজেকে একটি নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করা।
- প্রতিটি ট্রেডে বিনিয়োগের পরিমাণ সীমিত রাখা।
- স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করা।
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং যুক্তিবুদ্ধি দিয়ে ট্রেড করা।
- বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা এবং বিশ্লেষণ করা।
উপসংহার
অপুর সংসার একটি কালজয়ী চলচ্চিত্র, যা মানুষের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবে। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী আমাদের জীবনের অনেক কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি করে এবং নতুন করে বাঁচতে উৎসাহিত করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে এর রূপক তুলনা শুধুমাত্র একটি দৃষ্টান্ত, যা জীবনের ঝুঁকি ও পুরস্কারের ধারণা দেয়।
সত্যজিৎ রায়-এর এই সৃষ্টি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
