অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি
অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি
ভূমিকা {{{toc}}} অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি (Active Directory) হলো মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি একটি ডিরেক্টরি পরিষেবা। এটি উইন্ডোজ ডোমেইন নেটওয়ার্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারকারী, কম্পিউটার এবং অন্যান্য রিসোর্স সম্পর্কে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এই নিবন্ধে, অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির গঠন, কার্যাবলী, সুবিধা, অসুবিধা এবং বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির মূল ধারণা অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি মূলত একটি শ্রেণিবদ্ধ ডাটাবেস। এটি বিভিন্ন অবজেক্টের সমন্বয়ে গঠিত, যেমন - ব্যবহারকারী (User), কম্পিউটার (Computer), গ্রুপ (Group), প্রিন্টার (Printer) এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক রিসোর্স। এই অবজেক্টগুলো অর্গানাইজেশনাল ইউনিট (Organizational Unit - OU) এর মাধ্যমে শ্রেণিবদ্ধভাবে সাজানো থাকে।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির উপাদান অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির প্রধান উপাদানগুলো হলো:
- ডোমেইন (Domain): ডোমেইন হলো অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির মূল একক। এটি একটি নেটওয়ার্কের লজিক্যাল গ্রুপ, যেখানে ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারগুলো একটি সাধারণ নিরাপত্তা নীতি অনুসরণ করে।
- অর্গানাইজেশনাল ইউনিট (OU): OU হলো ডোমেইনের মধ্যে অবজেক্টগুলোকে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত কন্টেইনার। এটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের নীতি এবং অনুমতিগুলো প্রয়োগ করতে সাহায্য করে।
- অবজেক্ট (Object): ব্যবহারকারী, কম্পিউটার, গ্রুপ, প্রিন্টার ইত্যাদি হলো অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির অবজেক্ট।
- অ্যাট্রিবিউট (Attribute): প্রতিটি অবজেক্টের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, যেমন - নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এগুলো হলো অ্যাট্রিবিউট।
- স্কিমা (Schema): স্কিমা হলো অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির ডাটাবেসের গঠন। এটি নির্ধারণ করে কী ধরনের অবজেক্ট এবং অ্যাট্রিবিউট তৈরি করা যেতে পারে।
- গ্লোবাল ক্যাটালগ (Global Catalog): গ্লোবাল ক্যাটালগ হলো ডোমেইনগুলোর মধ্যে দ্রুত অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত একটি ডাটাবেস।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির কার্যাবলী অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি নিম্নলিখিত প্রধান কার্যাবলী সম্পাদন করে:
- ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটার ব্যবস্থাপনা: ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট তৈরি, পরিবর্তন এবং নিষ্ক্রিয় করা। কম্পিউটারগুলোকে ডোমেইনে যুক্ত করা এবং পরিচালনা করা।
- প্রমাণীকরণ (Authentication): ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং নেটওয়ার্ক রিসোর্সে অ্যাক্সেস প্রদান করা। কের্বেরোস এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটোকল।
- অনুমোদন (Authorization): ব্যবহারকারীদের কী রিসোর্স অ্যাক্সেস করার অনুমতি আছে, তা নির্ধারণ করা।
- গ্রুপ পলিসি (Group Policy): নেটওয়ার্কের কনফিগারেশন এবং নিরাপত্তা সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করা। গ্রুপ পলিসি ম্যানেজমেন্ট কনসোল (GPMC) ব্যবহার করে এই পলিসিগুলো পরিচালনা করা হয়।
- সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট: নেটওয়ার্ক রিসোর্স এবং ব্যবহারকারীদের কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা: শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নীতি তৈরি এবং প্রয়োগ করা, অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপত্তা অডিট করা।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির সুবিধা অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থাপনা: এটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তোলে, কারণ সমস্ত ব্যবহারকারী এবং রিসোর্স একটি কেন্দ্রীয় স্থান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।
- উন্নত নিরাপত্তা: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি শক্তিশালী নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে, যা ডেটা এবং সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
- স্কেলেবিলিটি: এটি ছোট থেকে বড় যেকোনো আকারের নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই সম্প্রসারণ করা যায়।
- নির্ভরযোগ্যতা: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং স্থিতিশীল, যা নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
- গ্রুপ পলিসি: এই ফিচারের মাধ্যমে অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা ব্যবহারকারীদের কাজের পরিবেশ কাস্টমাইজ করতে পারেন এবং নিরাপত্তা সেটিংস প্রয়োগ করতে পারেন।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির অসুবিধা কিছু অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও, অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। নিচে কয়েকটি অসুবিধা উল্লেখ করা হলো:
- জটিলতা: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি স্থাপন এবং পরিচালনা করা জটিল হতে পারে, বিশেষ করে বড় নেটওয়ার্কের জন্য।
- খরচ: হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রয়োজন হওয়ায় এটি ব্যয়বহুল হতে পারে।
- রক্ষণাবেক্ষণ: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপডেট প্রয়োজন।
- ফিজিক্যাল অবকাঠামো: অন-প্রিমিসেস হওয়ার কারণে ডেটা সেন্টার এবং সার্ভারের প্রয়োজন হয়।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি বাস্তবায়ন অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. পরিকল্পনা: নেটওয়ার্কের আকার, ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ২. হার্ডওয়্যার নির্বাচন: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি সার্ভার চালানোর জন্য উপযুক্ত হার্ডওয়্যার নির্বাচন করতে হবে। ৩. সফটওয়্যার ইনস্টলেশন: উইন্ডোজ সার্ভার অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি ডোমেইন সার্ভিসেস (AD DS) রোল ইনস্টল করতে হবে। ৪. ডোমেইন কনফিগারেশন: একটি নতুন ডোমেইন তৈরি করতে হবে এবং ডোমেইন কন্ট্রোলার কনফিগার করতে হবে। ৫. ইউজার এবং কম্পিউটার যুক্ত করা: ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারগুলোকে ডোমেইনে যুক্ত করতে হবে। ৬. অর্গানাইজেশনাল ইউনিট তৈরি: প্রয়োজন অনুযায়ী OU তৈরি করে সেগুলোতে ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারগুলোকে সাজাতে হবে। ৭. গ্রুপ পলিসি কনফিগারেশন: নিরাপত্তা সেটিংস এবং অন্যান্য নীতিগুলো প্রয়োগ করার জন্য গ্রুপ পলিসি কনফিগার করতে হবে। ৮. ব্যাকআপ এবং পুনরুদ্ধার: নিয়মিত ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে, যাতে কোনো সমস্যা হলে ডেটা পুনরুদ্ধার করা যায়।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তি অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি অন্যান্য অনেক প্রযুক্তির সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- DNS (Domain Name System): অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য DNS অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। DNS সার্ভার ডোমেইন নাম রেজোলিউশন প্রদান করে।
- DHCP (Dynamic Host Configuration Protocol): DHCP স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারগুলোকে আইপি ঠিকানা প্রদান করে, যা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে।
- Exchange Server: মাইক্রোসফটের ইমেল সার্ভার, যা অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে।
- SQL Server: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির ডাটাবেস সংরক্ষণের জন্য SQL সার্ভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- PowerShell: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি শক্তিশালী স্ক্রিপ্টিং ভাষা। PowerShell স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা যায়।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির নিরাপত্তা অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু নিরাপত্তা টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নীতি: জটিল এবং পরিবর্তনযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন।
- নিয়মিত আপডেট: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি এবং উইন্ডোজ সার্ভারকে সর্বশেষ নিরাপত্তা আপডেট দিয়ে আপডেট রাখুন।
- অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবহারকারীদের অ্যাক্সেস প্রদান করুন।
- অডিট লগিং: অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির কার্যকলাপ নিরীক্ষণ করুন এবং নিয়মিত অডিট লগ পর্যালোচনা করুন।
- মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA): ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য MFA ব্যবহার করুন।
অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির ভবিষ্যৎ অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি বর্তমানে ক্লাউড-ভিত্তিক সলিউশনগুলোর দিকে ঝুঁকছে। মাইক্রোসফট Azure Active Directory (Azure AD) হলো অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির ক্লাউড সংস্করণ। এটি অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরির সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে, আরও বেশি প্রতিষ্ঠান ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি সলিউশন ব্যবহার করতে আগ্রহী হবে।
অতিরিক্ত রিসোর্স
- মাইক্রোসফট অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি ডকুমেন্টেশন: [1](https://docs.microsoft.com/en-us/windows-server/identity/ad-ds/)
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণ
- সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স লেভেল: সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স লেভেল
- মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ
- রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স (RSI): রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স
- MACD: MACD
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন: ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট
- বুলিশ এবং বিয়ারিশ ট্রেন্ড: বুলিশ এবং বিয়ারিশ ট্রেন্ড
- পজিশন সাইজিং: পজিশন সাইজিং
- রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
- ডাইভারজেন্স: ডাইভারজেন্স
- ট্রেন্ড লাইন: ট্রেন্ড লাইন
- সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স: সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স
- মার্কেট সেন্টিমেন্ট: মার্কেট সেন্টিমেন্ট
উপসংহার অন-প্রিমিসেস অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য ডিরেক্টরি পরিষেবা। এটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা এবং ব্যবহারকারী ব্যবস্থাপনার জন্য অপরিহার্য। যদিও এটি জটিল এবং ব্যয়বহুল হতে পারে, তবে এর সুবিধাগুলো এটিকে অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মূল্যবান বিনিয়োগ করে তোলে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
