ध्वনিবিদ্যা

ध्वনিবিদ্যা : একটি বিস্তারিত আলোচনা

ভূমিকা

ध्वনিবিদ্যা বা ধ্বনিতত্ত্ব (Phonetics) হল ভাষার একটি মৌলিক শাখা। এটি মানুষের speech sound বা উক্তিধ্বনির ভৌত বৈশিষ্ট্য, উৎপাদন, প্রেরণ এবং উপলব্ধির বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন। ধ্বনিবিদ্যা শুধু বাংলা ভাষার জন্য নয়, বরং বিশ্বের সকল ভাষার ধ্বনি নিয়ে কাজ করে। এই আলোচনায় ধ্বনিবিদ্যার বিভিন্ন দিক, এর প্রকারভেদ, ধ্বনি উৎপাদনের প্রক্রিয়া, ধ্বনি বিশ্লেষণ এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

ধ্বনিবিদ্যার সংজ্ঞা ও পরিধি

ধ্বনিবিদ্যা ভাষার ক্ষুদ্রতম একক – ধ্বনি (phone) নিয়ে আলোচনা করে। একটি ধ্বনি একটি স্বতন্ত্র speech sound যা অর্থ পরিবর্তনে সক্ষম। ধ্বনিবিদ্যা মূলত তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে বিভক্ত:

• উৎপাদনমূলক ধ্বনিবিদ্যা (Articulatory Phonetics): speech sound কিভাবে মুখ, জিহ্বা, দাঁত, তালু, স্বরযন্ত্র ইত্যাদি speech organs বা বাক-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে উৎপন্ন হয়, তা নিয়ে আলোচনা করে।
• অকৌস্টিক ধ্বনিবিদ্যা (Acoustic Phonetics): speech sound এর ভৌত বৈশিষ্ট্য, যেমন – কম্পাঙ্ক (frequency), তীব্রতা (intensity), এবং সময়কাল (duration) ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। speech sound তরঙ্গ আকারে বাতাসবাহিত হয় এবং এই তরঙ্গগুলির বিশ্লেষণ acoustic phonetics এর মূল বিষয়।
• শ্রবণীয় ধ্বনিবিদ্যা (Auditory Phonetics): মানুষ কিভাবে speech sound শোনে এবং উপলব্ধি করে, তা নিয়ে আলোচনা করে। এটি speech perception বা ধ্বনি অনুধাবনের মনস্তাত্ত্বিক এবং স্নায়ু-তাত্ত্বিক দিকগুলো বিশ্লেষণ করে।

ধ্বনির প্রকারভেদ

ধ্বনি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

• স্বরধ্বনি (Vowel): স্বরধ্বনি হলো সেই সকল ধ্বনি যা মুখ থেকে নির্গত হওয়ার সময় কোনো প্রকার বাধা পায় না। বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭টি – অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ। স্বরধ্বনিগুলোকে জিহ্বার উচ্চতা ও পশ্চাৎবর্তীতার (tongue height and backness) ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়।
• ব্যঞ্জনধ্বনি (Consonant): ব্যঞ্জনধ্বনি হলো সেই সকল ধ্বনি যা মুখ থেকে নির্গত হওয়ার সময় বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ২৯টি। ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে উচ্চারণ স্থান (place of articulation) ও উচ্চারণ রীতি (manner of articulation) অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
• অর্ধস্বর (Semi-vowel): অর্ধস্বর হলো স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝামাঝি ধ্বনি। বাংলা ভাষায় ‘য’, ‘র’, ‘ল’, ‘ব’ – এই চারটি ধ্বনি অর্ধস্বর হিসেবে গণ্য হয়।

ধ্বনি উৎপাদনের প্রক্রিয়া

মানুষের speech organs বা বাক-প্রত্যঙ্গগুলি speech sound উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে প্রধান speech organs এবং তাদের কার্যাবলী আলোচনা করা হলো:

• ফুসফুস (Lungs): শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুসফুস বাতাস সরবরাহ করে, যা speech sound উৎপাদনের প্রাথমিক উৎস।
• স্বরযন্ত্র (Larynx): স্বরযন্ত্রে vocal cords বা স্বরতন্ত্রী থাকে, যা বাতাসের প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন করে। এই কম্পন speech sound এর pitch বা সুর নির্ধারণ করে।
• মুখবিবর (Oral Cavity): মুখবিবর হলো মুখ গহ্বর, যেখানে জিহ্বা, দাঁত, তালু, এবং ঠোঁট speech sound এর articulation বা স্পষ্টতা তৈরিতে সাহায্য করে।
• নাসারন্ধ্র (Nasal Cavity): নাসারন্ধ্র speech sound এর nasal quality বা অনুনাসিকতা যোগ করে।

ধ্বনি বিশ্লেষণ

ধ্বনি বিশ্লেষণ (Phonetic Analysis) speech sound এর বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া। এটি acoustic analysis এবং articulatory analysis এর মাধ্যমে করা হয়।

• Acoustic Analysis: speech wave বা ধ্বনি তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে speech sound এর কম্পাঙ্ক, তীব্রতা, এবং সময়কাল পরিমাপ করা হয়। Spectrogram নামক একটি tool ব্যবহার করে এই বিশ্লেষণ করা হয়।
• Articulatory Analysis: speech organs এর movement বা নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে speech sound কিভাবে উৎপন্ন হচ্ছে তা নির্ণয় করা হয়।

আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা (International Phonetic Alphabet - IPA)

আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা (IPA) হলো speech sound চিহ্নিত করার একটি universal system বা সর্বজনীন ব্যবস্থা। এটি ১৮৮৮ সালে International Phonetic Association (IPA) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। IPA তে প্রতিটি speech sound এর জন্য একটি স্বতন্ত্র symbol বা চিহ্ন রয়েছে, যা ভাষার পার্থক্য নির্বিশেষে speech sound সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক।

IPA Chart (Example)

Consonants		Bilabial | Labiodental | Dental | Alveolar | Post-alveolar | Palatal | Velar | Glottal
	p b | | | t d | | | k ɡ | |	f v | θ ð | s z | ʃ ʒ | ʧ ʤ | | h |	| | | | ʧ ʤ | | | |	m | | | n | | ŋ | | |	| | | ɹ | | j | w | |
Vowels		High | Mid | Low
Front | Central | Back
i u | e o | a |

ধ্বনিবিদ্যার ব্যবহারিক প্রয়োগ

ধ্বনিবিদ্যার অনেক ব্যবহারিক প্রয়োগ রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ উল্লেখ করা হলো:

• ভাষা শিক্ষা (Language Teaching): সঠিক উচ্চারণ শেখানোর জন্য ধ্বনিবিদ্যার জ্ঞান অপরিহার্য।
• speech therapy (বাক-চিকিৎসা): speech disorder বা বাক-ত্রুটি নির্ণয় ও সংশোধনে ধ্বনিবিদ্যা ব্যবহৃত হয়।
• forensic phonetics (ফরেনসিক ধ্বনিবিদ্যা): অপরাধী শনাক্ত করতে speech sample বা কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করা হয়।
• speech recognition (কণ্ঠস্বর শনাক্তকরণ): computer speech recognition technology-র উন্নয়নে ধ্বনিবিদ্যা ব্যবহৃত হয়।
• dialectology (উপভাষা বিজ্ঞান): বিভিন্ন উপভাষার ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণের জন্য ধ্বনিবিদ্যা ব্যবহৃত হয়।

বাংলা ধ্বনিবিদ্যার বৈশিষ্ট্য

বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাংলা স্বরধ্বনিগুলো জিহ্বার অবস্থান ও ঠোঁটের আকৃতির ওপর ভিত্তি করে উচ্চারিত হয়। বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো বিভিন্ন স্পর্শস্থলের (place of articulation) মাধ্যমে উচ্চারিত হয়। বাংলা ভাষায় nasalization বা অনুনাসিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য, যা স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি উভয়কেই প্রভাবিত করে।

ধ্বনি পরিবর্তন

ধ্বনি পরিবর্তন (sound change) ভাষার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে speech sound এর উচ্চারণে পরিবর্তন আসে। ধ্বনি পরিবর্তনের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন – regional variation বা আঞ্চলিক ভিন্নতা, social influence বা সামাজিক প্রভাব, এবং simplification বা সরলীকরণ।

আধুনিক ধ্বনিবিদ্যা

আধুনিক ধ্বনিবিদ্যা speech technology (বাক-প্রযুক্তি) এবং computational linguistics (গণনামূলক ভাষাতত্ত্ব) এর সাথে যুক্ত হয়েছে। speech synthesis (বাক-সংশ্লেষণ), speech analysis (বাক-বিশ্লেষণ), এবং automatic speech recognition (স্বয়ংক্রিয় speech recognition) এর মতো ক্ষেত্রগুলোতে ধ্বনিবিদ্যার প্রয়োগ বাড়ছে।

উপসংহার

ध्वনিবিদ্যা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা speech sound এর বিজ্ঞানসম্মত अध्ययन প্রদান করে। এর মাধ্যমে আমরা speech sound এর উৎপাদন, প্রেরণ, এবং উপলব্ধি সম্পর্কে জানতে পারি। ধ্বনিবিদ্যার জ্ঞান ভাষা শিক্ষা, speech therapy, forensic science, এবং speech technology-র উন্নয়নে সহায়ক।

ধ্বনি উচ্চারণ স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনি আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা বাংলা ভাষা ভাষাতত্ত্ব speech organs Acoustic Phonetics Articulatory Phonetics Auditory Phonetics Phoneme Allophone Assimilation Dissimilation Elision Nasalization Vowel Shift Consonant Shift Speech Synthesis Speech Recognition Forensic Linguistics Dialectology Computational Linguistics Spectrogram

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ